সূর্যোদয় – ৯

আশাপূর্ণা দেবী

নয়

নীচের তলার দিশ্য দেখে বুঝি আর উঠে আসতে পারছিলে না?…

সুনয়নী বলে ওঠেন, তবু তো ভগবান রক্ষে করেছেন। নইলে যে এখন বাড়ীতে কী দক্ষযজ্ঞ হতো!

চন্দ্রকান্ত থমকে দাঁড়ান।

কী ব্যাপার?

কী ব্যাপার! দেখে এলে না নীচের তলায়?

চন্দ্রকান্ত মনে মনে একবার ভেবে নিয়ে বলেন, কই! কিছুই—তো দেখলাম না।

কিছুই দেখলে না?

না—তো!

কী দেখলে?

যেমন রোজ দেখি। কেউ কোথাও নেই, পিসি বসে আছেন সন্ধেটির অপেক্ষায়। সন্ধে হলে মালা ধরবে।

ও—মা সে কি!

সুনয়নী গালে হাত দেন, কেউ কোথাও নেই?

কেন? কী হলো?

সুনয়নী বলেন, হয়েছে অনেক কাণ্ড। শুনো পরে। তোমার আসার সাড়া পেয়ে পাখিরা সব উড়ে পালিয়েছে বোধহয়।… নতুন বৌকেও দেখতে পেলে না?

নতুন বৌ!

ওমা, নতুন বৌ কে তা জানো না? ঠাকুরপোর বৌ। টেবু ধেবুর মা—

আচ্ছা আচ্ছা বুঝেছি। বুঝেছি। তা তিনি হঠাৎ? তাঁকে তো কোনদিনই—

তার মানে পিসিমা কিছুই বলেন নি—

নাঃ, এসব হেঁয়ালি বোঝা আমার অসাধ্য। বাইরের জামা—কাপড়গুলো ছাড়তে দাও তারপর তোমার হেঁয়ালী শোনা যাবে।…..

হঠাৎ কোথা থেকে যেন নীলকান্তর দুষ্টবুদ্ধি প্রণোদিত গলা ভেসে আসে, হেঁয়ালী কী জানো বাবা? আজ নতুন খুড়ি খিড়কির পুকুরে ডুবে মরছিল।

সকল অধ্যায়

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন