রতনতনু ঘাটী
সেএকলা ছোট্ট একটা দেশ। সেদেশে অনেক লোকজন বাস করে ঠিকই। তাঁতে কাপড় বোনা লোক, কাঠ কেটে আসবাব বানানো লোক, সোনা-মণি-মুক্তের কাজ জানা লোক, বাড়ি তৈরি করার লোক, চাষবাস করা লোক, কী নেই? কিন্তু তার আশপাশে আর কোনো দেশ নেই।
ও মা, তার চারপাশে একটাও দেশ নেই? সেআবার কেমন দেশ?
শুধু কি তাই? সেদেশটার কোনো নামই নেই।
ও মা, দেশের নাম নেই? নাম ছাড়া আবার দেশ হয় নাকি? নাম নেই? সত্যি?
নাম নেই, তাতে কী? নাম না থাকলে কি সেদেশে নদী থাকতে নেই নাকি? সেদেশে দু-তিনটে নদী আছে। নদী তো না। বড়োসড়ো খালই বলা যায়।
তাতে সারাবছর কী হয় তা হলে?
তার কোনোটায় সারাদিন নৌকো বায় মাঝি। কোনোটায় বছর ঘুরতে-না-ঘুরতে দেশ ভাসিয়ে বানও আসে। কোনোটায় আবার বান-টান কিছুই আসে না। শুধু ঢেউ আর ঢেউ। সেজলে চাষবাস হয়। তাই সেদেশের লোক ওদের নদী বলেই ডাকে।
নদী না হয় হল। পাহাড় আছে?
নেই আবার? চার দিকে চারটে পাহাড়ও আছে। যদিও তেমন বড়োসড়ো টিলা ছাড়া সেগুলো আর কিছুই না। আমরা হলে ওগুলোকে টিলাই বলতাম। তবু সেদেশের সকলে ওগুলোকেই পাহাড় বলে।
দূর, টিলা আবার কোনোকালে পাহাড় হয়েছে নাকি? ও তো গায়ের জোরের কথা হল! পাহাড়ের ওপাশে কি কোনো দেশটেস আছে?
কে জানে? ওরা কখনো পাহাড় ডিঙিয়ে তা দেখতেও যায়নি। কোনো দেশ থাকলেও থাকতে পারে। আবার না থাকলে নেই। তাতে সেদেশের লোকের কিছু যায়-আসে না।
সেদেশে জঙ্গল নেই একটাও?
নেই আবার? হ্যাঁ, তাও আছে। দু-তিনটে। সেগুলোকে অন্য দেশের লোক হলে জঙ্গলই বলত না। বলত ‘বন’! মাত্র কয়েক-শো গাছটাছ, লতাপাতা আছে এক-একটায়।
ও কি জঙ্গল নাকি, ও তো বনই! জঙ্গলই যদি বলো, বাঘ-সিংহ-হাতি-হরিণ আছে সেজঙ্গলে?
দূর, অত ছোটো জঙ্গলে বাঘ-সিংহ-হাতি-হরিণ থাকবে কী করে? তবে অনেক রকমের পাখি আছে। বছর ঘুরতে- না-ঘুরতে অনেক ভিনদেশি পাখি আসে। একসময় তারা চারদিকের চারটে পাহাড় পেরিয়ে আবার উড়েও চলে যায়।
ও তো পরিযায়ী পাখি! ওরা থাকতে আসে না। তাই উড়ে চলে যায়।
তা যাক, তবু ছোটো শিশুদের ঘুম পাড়াতে গেলে মা-ঠাকুরমাদের মুখে ওইসব জঙ্গলের বাঘ-সিংহর কথা এসেই পড়ে। সত্যি হোক মিথ্যে হোক, তাতে কিন্তু শিশুরা সেসব বাঘ-সিংহর কথা শুনে ঘুমিয়েও পড়ে।
দেশের যখন এত কথা আছে? তবে সেদেশের কি কোনোও রাজা নেই?
সে-কথাই তো বলছি। সেদেশের কোনো রাজাই নেই। লোকজন সকলে মিলেমিশে থাকে। সকলে মিলে পথঘাট বানায়, চাষবাস করে। কেউ কারো সঙ্গে ঝগড়া-মারামারি করে না। সেদেশে চুরি-ডাকাতি হয় না। তাই রাজার দরকারই পড়ে না তাদের।
দেশ থাকবে, তার রাজা থাকবে না, মন্ত্রী থাকবে না, সেনাপতি থাকবে না, তাই কি হয়? তা হলে সেদেশের রানিও নেই? রাজপুত্র-রাজকন্যেও নেই?
নেই-ই তো! সে-কথাই তো বলছি। একদিন হল কী, কী যে খেয়াল চাপল তাদের মাথায়। যে লোকরা সোনা-রুপো-মণি-মুক্তোর কাজ জানত, তারা ক-জন মিলে অনেক দিনের চেষ্টায় একটা সোনার সিংহাসন বানিয়ে ফেলল। কী তার বাহার! সিংহের থাবার মতো দেখতে দুটো হাতল। পায়াগুলো সিংহের পায়ের মতো দেখতে। আর সিংহাসনের পিছন দিকটা? কী যে মণি-মুক্তোর কাজ করা চালচিত্র সেযে না দেখেছে সেবিশ্বাসই করবে না।
সিংহাসন বানিয়ে কী হবে? রাজাই নেই, তার আবার সিংহাসন! ও কী কাজে লাগবে শুনি?
সেকথাই তো বলছি। সিংহাসন দেখে সেদেশের সমস্ত লোক পড়ল মহা ফ্যাসাদে। এই সিংহাসন নিয়ে কী করা যায়? এ ওকে জিজ্ঞেস করল, ‘‘বলো না এই সিংহাসন নিয়ে কী করা যায়?’’
সেতাকে জিজ্ঞেস করল, ‘‘বলো না এই সিংহাসন নিয়ে কী করলে ভালো হয়?’’
এ ওর মুখের দিকে তাকায়। সেতার মুখের দিকে। কারুর মাথায় আর কোনো বুদ্ধি খেলে না।
বুদ্ধি কি অত সোজা জিনিস নাকি? থাকলেই হল? বুদ্ধি হল খুব শৌখিন জিনিস। সকলের মাথায় থাকে না।
বলছি শোনো না! একদিন সেদেশের একটা লোকের মাথায় একটা বুদ্ধি খেলে গেল। যেমন করে আকাশে বিদ্যুৎ খেলে যায়, ওরকম করে আর কী!
কী বুদ্ধি খেলে গেল শুনি?
সেবলল, ‘‘চলো, আমাদের দেশের তেপান্তরের মাঠটা তো খালিই পড়ে থাকে। বিকেল বেলা কোনোদিন মন হলে রামধনু ওঠে। তেমন মন হলে, আকাশে কালো মেঘ করলে ঝাপসা হয়ে বৃষ্টি নামে। ওখানে আমরা একদিন সকলে একটা মিটিং ডাকি। সেই মিটিংয়ে আমাদের মধ্যে থেকে একজন রাজা খুঁজে বের করতে হবে। সিংহাসন আছে, অথচ রাজা নেই, এ ভালো দেখায় না।’’
মিটিং ডেকে রাজা ঠিক করা এমন তো কোনো দেশে হয়েছে বলে কখনো শুনিনি।
শোনোই না। সব কথা কি আগেভাগে শোনা যায় নাকি? কত কথা পরে পরে উড়ে আসে কানে। কী, বলো, আসে নাকি? সেরকমই সেদিনের মিটিংয়ে একজন লম্বা-চওড়া লোককে খুঁজে বের করা হল। দেখতেশুনতেও বেশ! বঁাশির মতো নাক। গায়ের রং ফরসার দিকেই। মুখের গড়নের মধ্যে একটা রাজা-রাজা ভাবও আছে দেখে মনে হল। বেশ বুঝেসুঝে রাজার ঢঙে কথাও বলে। মনে হয়, সেএর আগে কোথাও রাজা দেখেছে? কে জানে! কিছুকিঞ্চিৎ লেখাপড়াও জানে বলে মনে হচ্ছে।
এর মধ্যে কে যেন বলল, ‘‘আরে এ তো আমাদের দেশের যাত্রাদলে রাজা সাজত। প্রথমটায় চিনতে পারিনি।’’
রাজা সাজত মানে, এখন কি সেযাত্রাদল নেই? এখন আর রাজা সাজে না?
না, সেযাত্রাদল কবেই উঠে গেছে। আসলে যাত্রা তো নকল, অভিনয়, আসল তো নয়।
লোকটা শুনে বলল, ‘‘তা একসময় যাত্রাদলে রাজা সাজতাম বটে! কিন্তু এখন তো সত্যি রাজার কথা হচ্ছে! এর সঙ্গে তার কোনো মিলই নেই। সকলে যদি মান্য করে তবে আমি রাজা, না মান্য করলে রাজা নই।’’
অনেকে অনেকরকম বলা-কওয়া করে শেষে ঠিক করল, ও-ই তবে রাজা হোক। যাত্রাদলে যখন রাজাই সাজত লোকটা, আর যাত্রাদলটাও তো কবেই উঠে গেছে। এখন ও-ই তবে রাজা হোক। তার আগে লোকটাকে সিংহাসনে বসিয়ে দেখা হোক, কেমন মানায়!
অনেক লোক গেল সোনা-মণি-মুক্তোর কাজ করে যারা, তাদের বাড়ি থেকে মাথায় করে বয়ে আনল সিংহাসনটা তেপান্তরের মাঠে। তারপর হঠাৎ করল কী, বলা নেই কওয়া নেই, লোকটা অমনি ধপাস করে বসে পড়ল সিংহাসনে।
ও মা, লোকটার কান্ডজ্ঞানের অভাব আছে দেখছি!
কেউ বলল, ‘‘এটা কি লোকটার ঠিক কাজ হল?’’
তা দেখে কেউ বলল, ‘‘বেশ মানিয়েছে!’’
আবার কেউ বলল, ‘‘দূর, যাত্রা যাত্রা মনে হচ্ছে কেমন।’’
শেষে সকলে মিলে একমত হল, লোকটার যখন যাত্রায় রাজা সাজার পূর্ব অভিজ্ঞতা আছে, তখন ওকেই রাজা করা হোক।
ব্যস, অমনি লোকটা সেদেশের রাজা হয়ে গেল?
রাজা হয়ে গেলেনই তো! তার পরই তো বাধল গন্ডগোল। রাজা বললেন, ‘‘এমনি এমনি কি রাজা হওয়া যায় নাকি? আমার মণি-মুক্তো হিরে-জহরত বসানো রাজপোশাকের ব্যবস্থা করা হোক।’’
সকলে এক সঙ্গে ঘাড় নাড়ল, তা কথাটা তো মিথ্যে নয়। রাজা থাকবে, রাজার রাজপোশাক থাকবে না, তা তো আর হয় না। যারা জামা-কাপড় তৈরির কাজ করত, তাদের কাছে আদেশ গেল, ‘‘রাজার জন্যে মণি-মুক্তো বসানো রাজপোশাক বানিয়ে দাও যত তাড়াতাড়ি পার।’’
তারা রাজপোশাক বানাতে চলে যেতে-না-যেতেই রাজা বললেন, ‘‘আমার জন্যে হিরে বসানো নাগরা জুতো বানিয়ে দেওয়া হোক। নইলে কি খালি পায়ে রাজা হওয়া যায় নাকি?’’
সকলে ঘাড় নেড়ে সেকথায়ও সায় দিল। আদেশ গেল জুতো-বানিয়ে লোকের কাছে। সেশোনামাত্রই চলল রাজামশাইয়ের পায়ের মাপ নিয়ে হিরে বসানো নাগরা জুতো বানাতে।
বিকেল গড়িয়ে এল। তেপান্তরের মাঠের কোণে রামধনু উঠল একফালি। তার রং এসে পড়ল রাজামশাইয়ের মুখে।
রাজা বললেন, ‘‘আমি কেমন রাজা? আমার রাজমুকুট কোথায়? আমি মণি-মাণিক্যখচিত রাজমুকুট না পেলে রাজা হবই না। রাজার নামের জায়গা থেকে আমার নাম কেটে দেওয়া হোক! এই আমি সিংহাসন থেকে নেমে যাচ্ছি।’’
সকলে অমনি বলে উঠল, ‘‘আ-হা-হা! তা কেন, তা কেন রাজামশাই? আপনি হলেন আমাদের রাজা। আপনি অমন করে অভিমান করবেন না। এখনই রাজমুকুটের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’’ আদেশ গেল রাজমুকুট বানিয়ে লোকের কাছে, ‘‘কালই সকালে যেন রাজমুকুট তৈরি হয়ে যায়।’’
সন্ধে নামতে আর বাকি নেই। পুব আকাশে একফালি চাঁদ উঁকি দিচ্ছে। রাজা উঠে দাঁড়ালেন। তারপর গর্জন করে উঠলেন, ‘এই তেপান্তরের মাঠে তো আর সারারাত রাজা বসে থাকতে পারেন না। রাতে কোথাও থাকার ব্যবস্থা করা হোক। আমার রাজাপ্রাসাদ তৈরির ব্যবস্থা করা হোক।’’
সকলে রাজার গর্জন শুনে ভয়ে কেঁপে উঠল। কিন্তু রাজপ্রাসাদ কি আর একদিনে তৈরির হয়ে যাওয়ার কাজ নাকি? যারা ঘরদোর বানায়, তারা বলল, ‘‘কম করে এ এক মাসের কাজ।’’
শুনে রাজামশাই বললেন, ‘‘তা প্রাসাদটা যেন ঠিক রাজপ্রসাদের মতো হয়। সেক-দিন আমি না হয় আমার বাড়িতেই ফিরে যাব। আমি কিন্তু পায়ে হেঁটে যাব না। এখন আমি রাজা। সিংহাসনসুদ্ধ আমাকে বয়ে নিয়ে যাওয়া হোক!’’
সিংহাসনসুদ্ধ রাজা চললেন তাঁর বাড়িতে?
তা তো চললেন। তারপর বাড়ি গিয়ে লোকলশকর সিংহাসনটা নামিয়ে রাখতে-না-রাখতে রাজা বায়না ধরলেন, ‘‘আমি যখন আজ থেকে এ দেশের রাজা, আমি তো আর আগের ছেঁড়া বিছানায় শুতে পারব না। রাজপ্রাসাদ তৈরি হওয়া পর্যন্ত আমি এই রাজসিংহাসনে বসেই কাটিয়ে দেব।’’
তাই হল। তারপর থেকে রাজামশাই সিংহাসনে বসেই খান, ঘুমোন, রাজকার্য পরিচালনা করেন। চার-চারটে পাহাড় ঢুঁড়ে নানা রঙের মূল্যবান পাথর দিয়ে তৈরি হতে শুরু করল সাতমহলা রাজপ্রাসাদ।
হাতির দাঁতের পালঙ্ক বানানো হল রাজার ঘুমোনোর জন্যে। দিঘি কাটানো হল প্রাসাদের সামনে। তাতে শ্বেতপাথরের ঘাট তৈরি হল। দিঘির জলে ভেসে বেড়ো¡তে লাগল রাজহাঁসের দল। কত নাম-না-জানা ফুলের গাছ লাগানো হল সামনের বাগানে।
তারপর রাজা সকলকে ডেকে একদিন বললেন, ‘‘অভিষেক না হলে কি রাজা হওয়া মানায়? মহা ধুমধাম করে আমার অভিষেকের ব্যবস্থা করা হোক।’’
সকলে মরিপুড়ি করে রাজার আদেশ পালন করতে ছুটল। এমন সময় রাজা আর একটা নতুন বায়না ধরে বসলেন। এতদিন গরিব ছিলেন বলে তাঁর বিয়ে-থা করা হয়নি।
এবার বললেন, ‘‘রানি ছাড়া এই মহামূল্যবান প্রাসাদে কি রাজাকে একা মানায়? একই দিনে আমার বিয়ে এবং অভিষেকের ব্যবস্থা করা হোক।’’ তাই করা হল। অপরূপা সুন্দরী মেয়ে খুঁজে এনে রাজার সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হল অভিষেকের দিনেই। রানি এলেন রাজপ্রাসাদে।
দেশের লোক রাজার এতসব বায়না মেনে নিল?
তাই তো নিল। এত বায়না মেটাতে গিয়ে হল কি দেশটা একদম গরিব হয়ে গেল। লাটে উঠল চাষ-আবাদের কাজ। কেউ কারো জীবিকা ঠিকমতো করতে পারল না। রাজার ফাইফরমাশ খাটতে খাটতেই দিন গেল তাদের।
এমন সময় রাজা বললেন, ‘‘আমার রাজকোষাগার নেই কেন? কেউ সে-দিকে নজরই দেয়নি? এ আমি কেমন দেশের রাজা?’’
কথা বলামাত্রই তৈরি হল মূল্যবান ধাতু দিয়ে বিশাল রাজকোষাগার। রাজকোষাগারই যদি তৈরি হল, তাতে ধনরত্ন চাই তো!
রাজা ঢেঁড়া পেটানোর আদেশ করলেন, ‘‘সমস্ত দেশবাসীর কাছ থেকে চড়া হারে খাজনা আদায় করা হোক। স্বেচ্ছায় কেউ খাজনা না দিলে তাকে কারাগারে এনে বন্দি করে রাখা হোক।’’
খাজনা দেবে কী করে? সকলে রাজার বায়না মেটাতেই হিমশিম। কেউ কারো কাজই করতে পারেনি। ধু-ধু করছে মাঠ। চাষ-আবাদ হয়নি।
বন্দি করে রাখতে রাখতে যখন উপচে পড়ল রাজকারাগার, তখন একদিন দেশের লোক বিদ্রোহ ঘোষণা করল, ‘‘আমরা রাজা চাই না।’’
রাজপ্রাসাদ থেকে রাজাকে টেনে বাইরে নিয়ে যাওয়া হল একটা গরিব লোকের মতো তৈরি কুটিরে। রানিকেও যেতে হল রাজার সঙ্গে। কেড়ে নেওয়া হল রাজপোশাক, রাজমুকুট, নাগরা জুতো, রাজউপাধি, হাতির দাঁতের তৈরি পালঙ্ক।
এর পরে রাজা কী করলেন?
রাজাহীন দেশটা আবার আগের মতোই চলতে শুরু করল। সুখ ফিরে আসতে লাগল মানুষের মধ্যে। এখন আর সেদেশে আগের মতোই কোনো রাজা নেই। মন ভালো করতে হলে এত সুন্দর রাজপ্রাসাদটা দেখতে আসে দেশের লোক।
আর রাজা?
রাজা এখন নিজে একাই একটা যাত্রাপালা তৈরি করেছে। সেখানে সেনিজে নিজে রাজা সাজে। দেশের লোক একজনও কেউ সেযাত্রাপালা দেখতে যায়, তা কিন্তু নয়।
নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন
লগইন