আবু সয়ীদ আইয়ুব
বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন কালে রচিত সমস্ত কবিতা যে একটি জীবন্ত বাড়ন্ত কাব্যশরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ — টি. এস. এলিয়ট-এর এই উক্তি যেমন তাঁর কবিজনোচিত অন্তর্দৃষ্টির, তেমনি তাঁর কবিসুলভ অতিরঞ্জনপ্রিয়তারও পরিচায়ক। তৃতীয় শতকের তামিল কবিতার সঙ্গে ষোড়শ শতকের বাংলা কবিতার যদি-বা অতি সূক্ষ্ম কোনো যোগসূত্র খুঁজে পাওয়া যায়, মঙ্গলকাব্য ও ক্যান্টারবারি টেসের মধ্যে, অথবা কালিদাস ও শেক্সপিয়রের মধ্যে নাড়ির যোগ খুঁজতে যাওয়া বিড়ম্বনা মাত্র। কিন্তু কোনো-একজন মহাকবির খণ্ডকবিতাসমূহকে একটি মহাকাব্যের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ভাবাই সংগত। নিজের কাব্যসৃষ্টি সম্বন্ধে ইয়েট্স্ এই ধারণা পোষণ করতেন এবং এরই বশবর্তী হয়ে তাঁর সমগ্র রচনাকে বার-বার নতুন করে সাজান, কালক্রম অনেক ক্ষেত্রেই অগ্রাহ্য করে সুষ্ঠুতর পাঠক্রম তৈরি করতে প্রয়াস পান। রবীন্দ্রনাথের বিশ্বাস ও অভিপ্রায়ও অনুরূপ ছিল, যদিও সেই অভিপ্রায়কে তাঁর প্রকাশিত রচনাবলীর ক্রমবিন্যাসে বাস্তব রূপ দিয়ে যেতে পারেননি তিনি। ‘সেই খণ্ডকবিতাগুলিতে আমার সমগ্র কাব্যগ্রন্থের তাৎপর্য সম্পূর্ণ হয় নাই— সেই তাৎপর্যটি কী, তাহাও আমি পূর্বে জানিতাম না। এইরূপ পরিণাম না জানিয়া আমি একটির সহিত একটি কবিতা যোজন করিয়া আসিয়াছি— তাহাদের প্রত্যেকের যে-ক্ষুদ্র অর্থ কল্পনা করিয়াছিলাম, আজ সমগ্রের সাহায্যে নিশ্চয় বুঝিয়াছি সে-অর্থ অতিক্রম করিয়া একটি অবিচ্ছিন্ন তাৎপর্য তাহাদের প্রত্যেকের মধ্য দিয়া প্রবাহিত হইয়া আসিয়াছিল।’ রবীন্দ্র-কাব্যের ক্রমবিকাশে যে-অবিচ্ছিন্ন তাৎপর্য নিহিত, সেদিকে লক্ষ্য না রাখলে রবীন্দ্রনাথের কোনো-একটি কাব্যগ্রন্থের বা একটি বিশেষ পর্বের কবিতার সঠিক মূল্যায়ন সম্ভব নয় ব’লেই আমার বিশ্বাস।
কত বিচিত্র বিপরীত উপাদান দিয়ে ষাট বছরের অক্লান্ত সাধনায় গ’ড়ে উঠেছিল রবীন্দ্রকাব্যের রাজপ্রাসাদ। অথবা বলা উচিত, সৌধরচনা অসমাপ্তই রয়ে গেল কবির মৃত্যুকালে। উদাহরণত, মধুর রসের চর্চা তিনি করলেন সন্ধ্যাসঙ্গীত থেকে মহুয়া পর্যন্ত, প্রায় পঞ্চাশ বৎসর ধরে— যদিও এ-পর্বের সীমার মধ্যেও বিষাদের, বৈরাগ্যের বা তিক্ততার আমেজ কোথাও লাগেনি বললে ভুল বলা হবে। তবে যে-ভাবান্তরকে তিনি আখ্যা দিয়েছেন ‘রৌদ্রী রাগিণীর দীক্ষা’, সেটা স্পষ্ট হয়ে ওঠে পরিশেষ-এ, কবির বয়স তখন সত্তর পেরিয়েছে। এবং মাত্র দশ বছর পর যখন তাঁর মৃত্যু ঘটে তখন শেষ লেখা-তেও সেই দীক্ষাগ্রহণের পালাই চলছিল। এই কবি-স্থপতির আরও অন্তত দশ বছর বেঁচে থাকা দরকার ছিল তাঁর কাব্যস্থাপত্যেরই অত্যন্ত প্রয়োজনে। কিন্তু তার পরে আবারও যে তিনি কোনো নতুনতর রাগিণীতে দীক্ষাগ্রহণ করতেন না, তা কি আমরা বলতে পারি? কবির সমগ্র সৃষ্টির বনভূমিসদৃশ পূর্ণতাকে খণ্ড রচনার পুষ্পতুল্য পূর্ণতার আদর্শে বিচার করা যায় না, তার একটা দিক মৃত্যুদিন পর্যন্ত খোলাই থাকবে। অসমাপ্তির মধ্যেও যে-পরিপূর্ণতা ব্যক্ত হয়েছে, সেটাতেই আমাদের চোখকে অভ্যস্ত ও রসপিপাসাকে তৃপ্ত করতে না শিখলে চলবে কেন?
‘জীবন ও কবিতা বিষয়ে রবীন্দ্রনাথ যৌবন থেকে মৃত্যুকাল পর্যন্ত একই ধারণা পোষণ করে গেছেন আর তাঁর পক্ষে সেটাই হয়তো স্বাভাবিক ভাবা যেতে পারে’[1]–বুদ্ধদেব বসুর এ-মত আমি গ্রহণ করতে পারি না। আমার বিশ্বাস রবীন্দ্রনাথের সাধনা যেমন অক্লান্ত ছিল, পরিণতিও তেমনি অ-চূড়ান্ত। বিরাম-চিহ্ন দেখা যায় মাঝে-মাঝে কিন্তু গতিরোধ ঘটেনি শেষ দিন পর্যন্ত; পদে-পদেই তিনি নিজেকে ছাড়িয়ে গেছেন, যদি-বা কখনো ফিরে এসেছেন পূর্বপদে, সে-প্রত্যাবর্তনটাও ঘোরানো সিঁড়ির মতন উপরের দিকে উঠে গেছে, একই জায়গায় পাক খায়নি। তাঁর কাব্যের আঙ্গিকগত পরিবর্তনের বিচার করতে আমি চেষ্টা করব না, কারণ সেটা আমার পক্ষে হবে অনধিকার চর্চা। কিন্তু তাঁর ‘অ্যাটিটিউড টু লাইফ’[2] বা আরও বড়ো করে দেখলে তাঁর সমগ্র জগৎদর্শনের একাধিক রূপান্তর এবং ক্রম-পরিণতি আমার চোখে যেভাবে প্রতিভাত হয়েছে, সে-বিষয়ে কিছু বলব পরবর্তী অধ্যায়গুলিতে। দৃষ্টিভঙ্গির এই বিবর্তন তাঁর অমঙ্গলবোধেরই প্রকারভেদ-প্রস্তুত না হলেও তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত।
রবীন্দ্রনাথ বাল্যকাল থেকে এই ‘সুন্দর ভুবন’কে ভালোবেসেছিলেন, তবে বিশ্বের সৌন্দর্য যে একটি শতদল পদ্মের মতো নিখুঁত, নিটোল, নিষ্কলুষ সৌন্দর্য নয়—এ-উপলব্ধি তাঁর ক্রমশ গভীর হয়েছে, সেই সঙ্গে তাঁর ভালোবাসাও প্রাজ্ঞ এবং কঠিন হয়েছে। তবু তা কখনও শিথিল হয়ে যায়নি, তাতে এমন কোনো ফাটল ধরেনি যা বিশ্বকবিকে[3] মুহূর্তের জন্যেও বিশ্ববিমুখ করে দিতে পারত। যে-ভাষায়, যে-ভাষাবৈচিত্র্যে, এই অক্ষয় ভালোবাসা রবীন্দ্রনাথ সুদীর্ঘজীবন ভরে প্রকাশ করেছিলেন, তা হয়তো আজ কোনো-কোনো সমালোচকের অত্যাধুনিক দৃষ্টিতে তার পূর্ব দীপ্তি হারিয়েছে ‘অভ্যাসের ম্লানস্পর্শ লেগে’ – কবি স্বয়ং যেমন অনুমান করেছিলেন। কিন্তু তিনি যে-ভরসা মনে পোষণ করতেন তাও সত্যি— ‘আমার সে ভালোবাসা/সব ক্ষয়ক্ষতিশেষে অবশিষ্ট রবে।’
আজ বাংলাদেশে আমরা সেই ক্ষয়ক্ষতির যুগে বাস করছি যে-যুগ রবীন্দ্রনাথের আগ্রহ, উৎসাহ, উদ্দীপনা ও অনুরাগ-কে— এক কথায় তাঁর (এবং প্রাক্-বোদলেয়র য়োরোপীয় কবিদেরও) যাবতীয় ধনাত্মক বর্ণাঢ্য মনঃপ্রতিন্যাসকে বেশ খানিকটা সন্দেহের চোখে দেখে। তবু সে-অনুরাগ টিকে থাকবে; না যদি টিকে, তাহলে কবিতা বাঁচবে কী নিয়ে?
জগতের মধ্যে যা-কিছু শুভ, সুন্দর ও প্রাণস্ফূর্ত, রবীন্দ্রকাব্যে তার প্রকাশ প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত অক্লান্ত ও অনবচ্ছিন্ন। পরিবর্তন ঘটেছে ভাষায়, ভঙ্গিতে, অনুষঙ্গে, অনুপুঙ্খে; কিন্তু তাঁর কাব্যের এই মূল উৎস কখনও শুকিয়ে যায়নি। এ নিয়ে কোনো তর্কের অবকাশ আছে বলে আমার মনে হয় না। কিন্তু অবকাশ না থাকলেও তর্ক উঠেছিল। কবি স্বয়ং চিত্রার ভূমিকায় লিখেছেন, ‘লোকজীবনের ব্যবহারিক বাণীকে উপেক্ষা করে আমার কাব্যে আমি কেবল আনন্দ, মঙ্গল এবং ঔপনিষদিক মোহ বিস্তার করে তার বাস্তব সংসর্গের মূল্য লাঘব করেছি এমন অপবাদ কেউ-কেউ আমায় দিয়েছেন।’ য়েট্স্ও দিয়েছিলেন, গীতাঞ্জলি-আবিষ্কারের প্রথম উচ্ছ্বাস উপশমিত হলে। এ-অপবাদকে রবীন্দ্রনাথ ‘আমার প্রতি অবিচার’ বলেছেন; অপব্যাখ্যাও বলতে পারতেন। কারণ উপনিষদের প্রভাব তাঁর কাব্যে গভীর হলেও, উপনিষদের ব্রহ্মই বলুন, ভক্তের ভগবানই বলুন আর তাঁর স্বকীয় জীবনদেবতাই বলুন, কাউকেই তিনি মানুষ ও প্রকৃতি থেকে বিচ্ছিন্ন করে এক বিমূর্ত জগতোত্তীর্ণ সত্তারূপে দেখেননি। দেখেননি বলেই নিঃসংকোচে দাবি করতে পেরেছেন : ‘আমি এই বাণীর পন্থাতেই আমার গদ্য ও পদ্য রচনাকে চালনা করতে পেরেছি—
জগতের মাঝে কত বিচিত্র তুমি হে
তুমি বিচিত্ররূপিণী।’
উপরের অপব্যাখ্যা সহজেই অগ্রাহ্য করা যায়। কিন্তু এতৎসংশ্লিষ্ট অন্য একটি অপবাদ আজকের দিনে আরও নিঃসংশয়ে উচ্চারিত হচ্ছে, এবং রবীন্দ্রকাব্যের বহু অনুরাগী পাঠকের চিত্তে সংশয় জাগিয়েছে। জগতের ‘বিচিত্র রূপ’ কি আপন সম্যক বৈচিত্র্যে ধরা দিয়েছিল রবীন্দ্রনাথের চোখে, না কি তিনি কেবল তার শুভ ও সুন্দর দিকটাই দেখেছেন, কদর্য ও বীভৎসের সঙ্গে হয় তাঁর সাক্ষাৎ পরিচয় ঘটেনি অথবা ঐ ধরনের অভিজ্ঞতাকে কাব্যে অপাঙ্ক্তেয় বিবেচনা করে সজ্ঞানে সযত্নে পরিহার করলেন তাঁর কবিকর্ম থেকে? এ-আপত্তি সরাসরি অগ্রাহ্য করা যায় না, দু-কথায় তার উত্তর দেওয়াও সম্ভব নয়; তাই বিস্তারিত আলোচনার প্রয়োজন বোধ করছি। সে-আলোচনাকে একটি বিতর্কের প্রত্যুত্তর জ্ঞান না করে রবীন্দ্রকাব্যের এই দিকটাকে বুঝে দেখবার চেষ্টা মনে করলে আমার পরিশ্রম ব্যর্থ হবে না।
প্রশ্নটা হচ্ছে— রবীন্দ্রকাব্যে sense of evil (যার বাংলা করেছি অমঙ্গলবোধ) কি সত্যিই অনুপস্থিত বা অত্যন্ত ক্ষীণ? আধুনিক সাহিত্যের তুলনায় যে মাত্রায় অল্প এবং গুণে স্বতন্ত্র, তাতে অবশ্য কোনো সন্দেহ নেই। আগের অধ্যায়ে দেখাতে চেষ্টা করেছি আধুনিক সাহিত্যে অমঙ্গলবোধ স্বাভাবিক বা যথাযথ নয়, সযত্নচর্চিত, মাত্রাজ্ঞানরহিত। কদর্যর দিকে, দুঃখ ও পাপের দিকে, আধুনিকেরা মোহমুক্ত চোখে তাকাতে পারেননি; কোমর বেঁধে রোম্যান্টিকদের বিরুদ্ধাচরণ করতে গিয়ে তাঁরা কেবল বিরুদ্ধ বিষয়ে অতিশয় রোম্যান্টিক হয়ে উঠলেন।
মুশকিল হয়েছে এই যে, গীতাঞ্জলি-পর্বের কবিতায় (অর্থাৎ নৈবেদ্য থেকে গীতালি পর্যন্ত কাব্যগ্রন্থগুলিতে) যে-বিশেষ ধরনের হৃদয়ানুভূতি ও মনোভঙ্গি প্রকাশ পেয়েছে, সেটাকেই আমরা রবীন্দ্রনাথের গোটা জীবনদর্শন ব’লে ধরে নিতে অভ্যস্ত। নৈবেদ্যের প্রথম কবিতার প্রথম দুটি পঙ্ক্তি (‘প্রতিদিন আমি হে জীবনস্বামী/দাঁড়াব তোমারি সম্মুখে’) উদ্ধৃত করে প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় বলেছেন : ‘রবীন্দ্রসাহিত্য রবীন্দ্রদর্শন রবীন্দ্রজীবনের মূলকথা এই অহেতুকী ঈশ্বর-নির্ভরতা।’[৪] প্রমথনাথ বিশীও অনুরূপ মন্তব্য করেছেন : ‘রবীন্দ্রনাথের প্রতিভা ও শিল্প নিয়ত পরিবর্তনশীল, নানাবিধ পরীক্ষা ও অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়া তাহারা গিয়াছে— কিন্তু একটি বিষয়ে কখনো তাহাদের পরিবর্তন ঘটে নাই… বিশ্ববিধানের পরিণাম মঙ্গলময়, বাহ্য দুঃখ-কষ্ট ও অমঙ্গল উদারতর দৃষ্টিতে শুভেরই ছদ্মবেশ, বিশ্বব্যাপারে যিনি কর্তা তিনি আনন্দ ও কল্যাণস্বরূপ এবং তিনি একম্।’[৫] শুধু প্রাচীনপন্থীরা নন, আধুনিক সাহিত্যের মেজাজ ও রীতির শ্রদ্ধেয় প্রতিনিধি বুদ্ধদেব বসুও লিখেছেন যে গ্যেটের মতো রবীন্দ্রনাথও জীবনের শুভত্ব বিষয়ে সর্বদা নিঃসংশয় ছিলেন, উপরন্তু গ্যেটে অপেক্ষা ‘রবীন্দ্রনাথে বিশ্বাসের ঘোষণা অধিকাংশ স্থলেই নির্দ্বন্দ্ব’[৬] (আগের উদ্ধৃতিতে আমরা জানতে পেরেছি যে বুদ্ধদেবের মতে জীবন ও কবিতা বিষয়ে রবীন্দ্রনাথ আজীবন একই ধারণা পোষণ করতেন)। অতি আধুনিক সমালোচকরাও পূর্বোক্ত মন্তব্যগুলির সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত এবং সেইখানে তাঁদের নালিশ—রবীন্দ্রনাথ জগৎকে বড়ো বেশি সুন্দর এবং শুভ, অর্থাৎ কল্যাণস্বরূপ ঈশ্বরের সুব্যবস্থিত রাজ্যরূপে দেখেছেন, তার পাপপঙ্কিল, বেদনাদগ্ধ, বিশৃঙ্খল ও বীভৎস চেহারাটা তাঁর চোখে ধরা দেয়নি।
ধরা দিয়েছিল ঠিকই, তবে চোখে যতটা ধরা দিয়েছিল কাব্যে ঠিক ততটা স্থান জোড়েনি। কেন জোড়েনি তা “শ্রেয়োনীতি ও সাহিত্যনীতি” শীর্ষক পরবর্তী একটি অধ্যায়ে স্পষ্ট ক’রে তুলতে চেষ্টা করব। কিন্তু জীবনের কঠোর ও কদর্য দিকটা রবীন্দ্রকাব্যে একেবারে অপ্রকাশিত কিংবা প্রকাশ তার এতই সংকুচিত যে রবীন্দ্রনাথকে কেবল মধুর রসের বা ভক্তিরসের কবি ভাবা যায়, এ-ধারণা খুবই বিভ্রান্ত। এই বিভ্রান্তি-বিষয়ে কিছু বলা দরকার, কারণ এটা রবীন্দ্রনাথের প্রতি যেমন অবিচার, তেমনি আধুনিক পাঠককে অকারণে বঞ্চিত করছে রবীন্দ্রকাব্যের সম্যক রসসম্ভোগ থেকে, শাশ্বতকে বিগত ভাববার মতো সংকীর্ণ মন তৈরি করে দিচ্ছে।
…
পাদদীকা
১ বুদ্ধদেব বহু— প্রবন্ধ-সংকলন (ভারবি), পৃ ৬
২ ‘His verse changed externally, as it had many times before, but neither in his attitude to life nor in the use of language did he outgrow himself.’-Buddhadeva Bose-Tagore, Portrait of a poet, (University of Bombay, 1962) p. 25
৩ পৃথিবীসুদ্ধ লোক তাঁকে মহৎ কবি ব’লে শ্রদ্ধা করে— এই অর্থে রবীন্দ্রনাথকে বিশ্বকবি বলা অতিশয়োক্তি এবং তাঁর স্বদেশবাসীর মুখে শোভা পায় না। তবে সমগ্র বিশ্ব বিষয়ে চেতনা ও অনুভূতির গভীরতা তাঁকে প্রকৃত অর্থে এবং সম্ভবত অতুলনীয় রূপে ‘বিশ্বকবি’ করেছিল।
৪ প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়— রবীন্দ্রজীবনী, ২য় খণ্ড (তৃতীয় সংস্করণ), পৃ ১৮
৫ প্রমথনাথ বিশী— রবীন্দ্রকাব্যপ্রবাহ, ১ম খণ্ড (তৃতীয় সংস্করণ) পৃ ৫৪
৬ বুদ্ধদেব বসু— প্রবন্ধ-সংকলন (ভারবি), পৃ ৭
নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন
লগইন