ঠিক দুপুরে আকাশকুসুম – স্বপন বুড়ো

লীলা মজুমদার

ঠিক দুপুরে আকাশ কুসুম – স্বপন বুড়ো

আজ ক্লাসে ঢুকেই যে টেকো মাথা পঞ্চানন পন্ডিত একেবারে সরাসরি তার দিকে আঙ্গুল তুলে শব্দের রূপ’ মুখস্থ বলতে আদেশ করবে সে কথা গজানন জানবে কি করে?

গজানন তো আর জ্যোতিষ বিদ্যা জানে না।

জানলে হয়তো একদিনের জন্য ইস্কুল থেকে পলায়ন করতো।

সারা ক্লাসের ছেলেদের মধ্যে তাকেই কেন শব্দরূপ বলতে সরাসরি বেছে নেয়া হল, সে কথা গজানন অনেক ভেবে চিন্তেও বুঝে উঠতে পারল না। তার মুখটা কি একেবারে প্যাঁচার মতো?

‘নর’ শব্দ, ‘নদী’ শব্দ কোনো কিছুই তার আয়ত্তে নেই।

অবশেষে পঞ্চানন পন্ডিত তাকে ক্লাসের বাইরে দাঁড় করিয়ে একটা ইঁটের টুকরো কপালে বসিয়ে দিয়ে বললো, এটা যেন কোনো মতেই মাটিতে পড়ে না যায়। পড়লেই বেত যে কেমন মিষ্টি সেটা ভালো করে চেখে দেখতে হবে।

পঞ্চানন পন্ডিত সবে পৃষ্ঠ প্রদর্শন করেছে, গজানন কপালের ইটটা হাতে তুলে নিয়ে পন্ডিতের পৃষ্ঠদেশের উদ্দেশ্যে হাতের তাক্ করে ছুঁড়ে মারল। তারপর লম্বা লম্বা লাফে ইস্কুলের গন্ডি পেরিয়ে সদর রাস্তায় গিয়ে পড়ল। তখন আর তাকে পায় কে।

সারা ইস্কুলে হৈ-হৈ-রৈ-রৈ শব্দ উঠল।

কিন্তু পঞ্চানন পন্ডিতের হাজার আদেশেও কেউ গজাননকে অনুসরণ করতে রাজি হল না। ওর হাতের অব্যর্থ তাক্ এই খানিকক্ষণ আগে পঞ্চানন পন্ডিত তাঁর পৃষ্ঠদেশে বিলক্ষণ অনুভব করেছেন। সেই অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করবার আগ্রহ গোটা ইস্কুলের ছাত্রদের মধ্যে আর কারো ছিল না। কাজেই গজানন পরম আরামে ও আনন্দে নদীর দিকে চলে গেল। ওখানে মাঝিদের নৌকোয় পাল তোলা আছে। একটু দূরে একটা বিরাট ফলের বাগান আছে। আর আছে মৃদু সমীরণ আর মৌমাছিদের গুনগুনানি। সেখানে গজানন নিজেকে অতি সহজেই হারিয়ে ফেলে।

নদীর ধারের অবারিত আনন্দ আর খোলা হাওয়া তাকে হাতছানি দিয়ে ডাকলো।

মাঝির দল তখন সবাই নিজের নিজের নৌকায় রান্না চাপিয়েছে। ওরা কেউ নৌকায় পাল তুলে দিয়ে নদীর পথে উধাও হয়ে যেতে রাজি হল না।

বিরক্ত হয়ে গজানন নদীর পথ ধরে নির্জন ফলের বাগানের দিকে এগিয়ে চললো। আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, কলা সবকিছু বাগান ভর্তি।

এমন মনোরম জায়গা থাকতে ছেলেরা দুপুর বেলা গুমোট ইস্কুল বাড়ীতে বন্ধ থেকে প্যাঁচার মতো মুখ করে শব্দরূপ মুখস্থ করে কেন, সে অনেক ভেবে- চিন্তেও বুঝে উঠতে পারল না।

গাছে গাছে পাকা আম ঝুলে রয়েছে। গজাননের হাতের টিপে দু’একটা টুপটাপ পড়ল তলায়। তাই আমেজ করে চুষতে চুষতে এগিয়ে চললো গজানন। চোখ বুজে মিঠে হাওয়ায় পাখীর মিঠে বোল শুনতে শুনতে আপন মনে ভাবলো, আহা এমন মধুর আনন্দে যদি জীবনটা কেটে যায় তাহলে আর কিসের পরোয়া! দূরে পড়ে থাক পঞ্চানন পন্ডিতের বেত, আর শব্দরূপের কচকচি। সারা জীবনের পন্থ যদি এই ফলের বাগানের ভেতর দিয়ে চলে, তাহলে সে ভ্রমরের মতোই গুনগুন করে পরম আমেজে তুড়ি মেরে এগিয়ে যেতে পারে।

হঠাৎ গজানন তাকিয়ে দেখে তার উল্টো দিক থেকে এক ফকির লাঠি হাতে গান গাইতে গাইতে আঁকা বাঁকা পথ ধরে তার দিকেই এগিয়ে আসছে। ফকিরের পিঠে ঝুলছে একটা ঝোলা। ফকিরের অনেক বয়স হয়েছে। মাথাটা একেবারে নেড়া। সাদা দাড়ি গোঁফ হাওয়ায় দুলছে। আর সেই সঙ্গে দুলছে তার নেড়া মাথা। গজাননকে ঐভাবে একা একা এগিয়ে আসতে দেখে ফকির ফোকলা দাঁতে ফিক্ ফিক্ করে হেসে উঠলো। তারপর মাথা নেড়ে কইলে, হুঁ। বুঝতে পেরেছি। ইস্কুল পালিয়ে এই ফলের বাগানে ঢুকেছ খোকা। কিন্তু সারা জীবন তো এইসব ফল পেকে ঝুলে থাকবে না। তখন রস জুটবে কোথায় শুনি?

গজানন ফকিরের কথা গায়ে মাখল না। সেও খিলখিল করে হেসে উঠল। কইলে, শোন ফকির ভাই, আমি খোকা নই। আমার নাম গজানন। ইস্কুল থেকে সরে পড়েছি, একথা সত্যি। এমন মজাদার রসালো বাগান থাকতে কে আর — ‘শব্দরূপ’ মুখস্থ করে বলো?

তারপর ফকিরের কাছাকাছি এসে আবদারের সুরে কইলে, ফকির ভাই, আমাকে একটা গান শিখিয়ে দেবে?

ফকির মাথা দুলিয়ে হাসতে লাগল। জবাব দিলে, গান আমি তোমায় শেখাতে পারি। তার আগে তোমায় বলতে হবে – আমার এই ঝোলার মধ্যে কি আছে?

ফকিরের কথা শুনে গজানন ভারী মজা পেল। মাথা নেড়ে কইলে, হুঁ। বলতে পারি তোমার ঝোলার ভেতর কি আছে। আচ্ছা, আমায় একটু ভাবতে দাও। তোমার ঝোলার ভেতর রয়েছে রং বেরঙের একটি পিরান, দুটি সরু পায়জামা, একটি গানের খাতা, যাদুর খেলা দেখাবার জন্যে একটি হাড়ের কৌটো।

ফকির হাসতে হাসতে উত্তর দিলে, হোল না খোকা, হল না। আমার ঝুলি থেকে ঝেড়ে তোমায় সব দেখাচ্ছি। ফকির তার কাঁধ থেকে ঝুলিটা তুলে নিয়ে গজাননের চোখের সামনে উপুর করে ধরল। তার ভেতর থেকে বেরিয়ে এলো পাকা কলা, পাকা লিচু, পাকা আম, আর রাশি রাশি পাকা কালো জাম।

দেখে শুনে গজানন মহাখুশী। কইলে, আচ্ছা ফকির, তুমি কি যাদুর খেলা জানো? আমারও দারুণ খিদে পেয়েছে। আগে তোমার পাকা ফলগুলি খেয়েনি। তারপর গাছের ছায়ায় বসে গান শিখবো। ফকির কিন্তু হাসি মুখে মাথা দোলাতে লাগলো।

উঁহু। সেটি হচ্ছে না খোকাবাবু। আমার আনা পাকা ফল তুমি যে টপা করে মুখে পুরে দেবে সেটি আমি কিছুতেই হতে দেব না। গজানন একবার

ফলগুলির দিকে তাকিয়ে চোখ দুটি নামিয়ে কইলে, তোমার ফলগুলি দেখে মনে হচ্ছে এ বাগানের ফল একটিও নয়। ফকির ভাই, নিশ্চয়ই তুমি যাদুর খেলায় এই মজার ফলগুলি মুহূর্তের মধ্যে আমদানি করেছ। আমায় এইরকম যাদুর খেলা শিখিয়ে দাও না।

ফকির তার নেড়া মাথা দুলিয়ে কইলে, যাদু তোমায় শিখিয়ে দিতে পারি, কিন্তু তার আগে তোমায় ওই টলটলে পুকুরের জলে একটা ডুব দিয়ে আসতে হবে।

— এ আর বেশী কথা কি?

মহানন্দে তিড়িং মিড়িং লাফাতে লাফাতে গজানন পাশের পুকুরের জলে ঝাঁপিয়ে পড়ল।

ফলের বাগান ছেড়ে গজানন এগিয়ে চললো। পথে তার সঙ্গে দেখা হল ইস্কুলের পড়ুয়াদের সঙ্গে

তারা দু’হাত তুলে গজাননকে কত ডাকতে লাগলঃ

— গজানন, আমাদের সঙ্গে চলে আয়! ইস্কুলে ফিরে যেতে হবে না? আর সাত দিন পরই তো পরীক্ষা শুরু হবে। আমরা সবাই একসঙ্গে পরীক্ষা দেব। নিশ্চয়ই আমরা পাস করবো।

গজানন বন্ধুদের ডাক শুনলো না, দ্রুতপদে সামনের দিকে এগিয়ে চললো।

ইস্কুলের পড়ুয়ারা চীৎকার করে কইলে, গজানন, অমন করে আমাদের ছেড়ে চলে যাসনে। পঞ্চানন পন্ডিত মশাই তোকে আর কিছু বলবে না। আমরা সবাই মিলে তাঁকে অনুরোধ করবো।

গজানন কিন্তু কারো অনুরোধে কান পাতল না। নিজের গোঁতে এগিয়ে চললো। এইভাবে গজানন বন্ধুদের, অভিভাবকদের, শুভানুধ্যায়ীদের কারো কোন কথা শুনলো না। শিক্ষকরা ওর সম্পর্কে একেবারে হতাশ হয়ে হাল ছেড়ে দিল।

ধীরে ধীরে গজাননের বয়স বেড়ে গেল।

ইস্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিলে গজানন।

বন্ধুরাও ওকে আর কেউ ডাকে না। একা একা এখানে ওখানে বনে বাদাড়ে ঘুরে বেড়ায় গজানন।

গজাননকে কেউ খেলতে ডাকে না। একেবারে জংলী হয়ে গেল গজানন।

কিন্তু পেটের খিদে তো কোনমতেই যাবার নয়।

গজানন কোন বাড়ীতে গিয়ে খাবার চাইলে তারা দূর দূর করে তাড়িয়ে দেয়। এক জায়গায় ভাত চাইতে বাড়ীর লোকে তাকে তেড়ে মারতে আসল। বললে, জোয়ান মরদ ছেলে, খেটে খেতে পারো না? ভাত চাইতে এসেছ? লজ্জা করে না তোমার?

গজানন ভাবলে, ঠিক কথাই তো! ভাত চেয়ে খাবে কেন? সে চাকরী করবে। এক অফিসে গিয়ে গজানন চাকরি চাইলে।

অফিসের বাবুরা বললে, কি লেখাপড়া শিখেছ তুমি? কটা পাস দিয়েছ যে চাকরি খুঁজতে বেরিয়েছ?

গজানন সে কথার কোন উত্তর দিতে পারে না।

অফিসের বাবুরা রসিকতা করে বলে, যা ধাঙ্গড়দের সঙ্গে রাস্তা সাফ করগে—

ভদ্রলোকের ছেলে। গজানন সে কাজ তো করতে চায় না।

তখন সে এক গেরস্ত বাড়ীতে গিয়ে চাকরের কাজে বহাল হল!

দিন-রাত তাকে বাসন মাজতে হয়, ঘর-দোর সাফ করতে হয়। হাজার বার করে বাজারে ছুটতে হয়। ফাই-ফরমাসের অন্ত নেই।

দিনের শেষে কড়কড়ে কাঁকড় মেশানো ঠান্ডা ভাত, কড়ায়ের ডাল দিয়ে ভাত খায়। সে ভাত মুখে তুলতে পারে না। ওর পেট ভরে না। খাটতে খাটতে গজানন কাহিল হয়ে পড়ল।

আর আগের মতো বাসন মাজতে পারে না।

ঘর-দোর সাফ্ করতে পারে না।

ফাই ফরমাস খাটতে পারে না। একটুকুতেই হাঁপিয়ে পড়ে। বাড়ীর গিন্নি তখন ওকে তাড়িয়ে দিল।

ঘরতে ঘুরতে গজানন এক দোকানে গিয়ে কাজ নিলে। খাবারের দোকান। সেখানেও উদয়-অস্ত খাটতে হয়।

তবে একটা সুবিধে এই যে, দু’বেলা পেট ভরে খেতে দেয়। সেই খাবারের দোকানে আরও যেসব ছোকরা কাজ করে তারা সবাই মিলে শলা পরামর্শ করে গভীর রাত্রে খাবার চুরি করে খায়।

ছোকরার দল একদিন বলল, গজানন আমাদের সঙ্গে যদি খাবার চুরি করিস তাহলে তোকেও ভাগ দেব।

গজানন কিন্তু চুরি করতে রাজি হয় না।

দোকানের মালিক দু’বেলা তাকে যে খাবার খেতে দেয় তাতেই সে খুশী।

দোকানের ছোকরাগুলো কিন্তু ভারী শয়তান। তারা যে শুধু নিজেরা দোকান থেকে খাবার চুরি করে খায়, তাই নয়। এই দোকানের খাবার বাইরে নিয়ে গিয়ে বিক্রী করে।

তাতেও ছোকরাদের অনেক পয়সা-কড়ি লাভ হয়।

একদিন ছোকরার দল দেখলে, দোকানে অনেক রকম খাবার তৈরি হয়েছে। পরদিন বিয়ে বাড়ী পাঠিয়ে দেয়া হবে।

দোকানের মালিক বারবার সাবধান করে গেছে, কোন জিনিষ যেন খোয়া না যায়। সারা রাত জেগে দোকানে পাহারা দিতে বলে গেছে মালিক। সেজন্যে আলাদা বকশিস্ দেয়া হবে, সেকথাও ছোকরাদের জানিয়ে দিয়ে গেছে।

কিন্তু মালিক বাড়ী চলে যেতেই ছোকরার দল সেই সব খাবার বাইরে চালান করে দেবে ঠিক করলে। গজাননকে বললে, ওদের সঙ্গে মাল বয়ে নিয়ে যেতে। কিন্তু গজানন কিছুতেই সে কাজ করতে রাজি হল না।

পরদিন দোকানের মালিক খাবারগুলো দেখতে না পেয়ে সবাইকে গালাগাল শুরু করে দিল।

তখন ছোকরার দল এক জোট হয়ে গজাননের কাঁধে দোষ চাপিয়ে দিলে। বললে ওরা যখন সবাই ঘুমুচ্ছিল, তখন গজানন বাইরে থেকে লোক এনে সব খাবার পাচার করে দিয়েছে।

দোকানের মালিক রেগে-মেগে থানা থেকে পুলিশ ডেকে এনে গজাননকে চোর বলে ধরিয়ে দিলে। পাহারাওলা গজাননের হাতে হাতকড়া পরাতে এলো।

গজানন চীৎকার করে কইলে, আমি চুরি করিনি। আমি চোর নই।

.

হঠাৎ এমন সময় গজানন ভুস করে পুকুর থেকে মাথা তুলে হাঁফাতে লাগল। দেখলে ফকির পুকুরের ধারে দাঁড়িয়ে তার ন্যাড়া মাথা দুলিয়ে দুলিয়ে হাসছে।

গজানন হাঁফাতে হাঁফাতে কইলে, ফকির ভাই, কতক্ষণ আমি পুকুরের জলে ডুব দিয়ে ছিলাম? এসব কি কান্ড ঘটল বলত? সারাটা জীবন কি আমার এমনিভাবে ভিক্ষে করে কাটবে?

ফকির ফোকলা দাঁতে হেসে উঠে উত্তর দিলে, মাত্র দু’মিনিট তুমি পুকুরের জলে ডুব দিয়েছিলে। তাতেই এই সব ভুঘুড়ে কান্ড দেখতে পেলে। তোমার জীবনটা সিনেমার মতো তোমার চোখের সামনে দেখতে পেলে তো? এখন বুঝতে পারলে জীবনের পথ পাকা ফলের মতো রসে টুলটুলে নয়? পরিশ্রম করে তোমায় মানুষ হতে হবে।

গজানন মাথা নীচু করে কইলে, ফকির ভাই, আমি আমার ভুল বুঝতে পেরেছি। কালই আমি ইস্কুলে ফিরে যাবো।

হঠাৎ গজানন তাকিয়ে দেখে তার সামনে থেকে ফকির তার ঝুলিঝোলা শুদ্ধ একেবারে উধাও হয়ে গেছে।

সকল অধ্যায়

১. টমসাহেবের বাড়ী – ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায়
২. এথেন্সের শেকল বাঁধা ভূত – হেমেন্দ্রকুমার রায়
৩. দিনে দুপুরে – বুদ্ধদেব বসু
৪. ঠিক দুপুরে আকাশকুসুম – স্বপন বুড়ো
৫. রাক্ষুসে পাথর – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
৬. লোকসান না লাভ – আশাপূর্ণা দেবী
৭. মাঝরাতের কল – প্রেমেন্দ্র মিত্র
৮. ওয়ারিশ – লীলা মজুমদার
৯. তান্ত্রিক – ধীরেন্দ্রলাল ধর
১০. বোধহয় লোকটা ভূত – শুদ্ধসত্ত্ব বসু
১১. ছক্কা মিঞার টমটম – সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ
১২. ভূতেরা বিজ্ঞান চায় না – অদ্রীশ বর্ধন
১৩. হুড়কো ভূত – অমিতাভ চৌধুরী
১৪. ভূতে পাওয়া হরিণ – সংকর্ষণ রায়
১৫. মড়ার মাথা কথা বলে – রবিদাস সাহারায়
১৬. ফ্রান্সিসের অভিশাপ – শিশিরকুমার মজুমদার
১৭. সত্যি ভূতের মিথ্যে গল্প – বরেন গঙ্গোপাধ্যায়
১৮. শব্দের রহস্য – বিমল কর
১৯. পুরনো জিনিষ – শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
২০. ভাড়া বাড়ি – মঞ্জিল সেন
২১. জ্যোৎস্নায় ঘোড়ার ছবি – অতীন বন্দ্যোপাধ্যায়
২২. শাঁখারিটোলার সেই বাড়িটা – লক্ষ্মণকুমার বিশ্বাস
২৩. হাসি – বিভুতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
২৪. ভূতুড়ে রসিকতা – আনন্দ বাগচী
২৫. ভূতেশ্বরের দরবারে কোয়েল – জগদীশ দাস
২৬. ভূত আছে কি নেই – হরিনারায়ণ চট্টোপাধ্যায়
২৭. ভূতের সঙ্গে লড়াই – শেখর বসু

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন