মাঝরাতের কল – প্রেমেন্দ্র মিত্র

লীলা মজুমদার

সেদিন রাত্রে শহরের প্রায় বাইরে বহুদূরের একটা ‘কল’ সেরে একলাই ফিরছিলাম। একে দারুণ শীত এবছর, তার ওপর রাত অনেক হওয়ায় ঠান্ডা অত্যন্ত বেশী পড়েছিল। পুরুপুরু গোটা কতক গরমের জামা থাকা সত্ত্বেও সব ভেদ করে মনে হচ্ছিল ঠান্ডা হাওয়া আমার পাঁজরার ভিতরে গিয়ে ঢুকছে।

আসছিলাম আমার পুরনো মোটরে। এ মোটর আমি আজ দশ বছর ধরে একাই চালিয়ে ফিরছি। কিন্তু এখন মনে হচ্ছিল, সঙ্গে একজন সোফার থাকলেই বুঝি ভাল হত। এই দারুণ শীতে ষ্টিয়ারিং হুইল ধরে সমস্ত হাওয়ার ঝাপটা সহ্য করার চেয়ে কষ্ট আর কিছু নেই।

আমাদের শহরটি অত্যন্ত চূড়ান। বড় বড় কয়েকটি রাস্তাকে আশ্রয় করে চারিধারে অনেক দূর পর্যন্ত সে বিস্তৃত হয়ে আছে। কিন্তু জমাট বাঁধেনি। অনে সময় এক প্রান্ত থেকে তার এক প্রান্তের মধ্যে শুধু একটি নির্জন রাস্তা ছাড়া আর কোন যোগ নেই।

যে রাস্তা দিয়ে আসছিলাম সেটিও অত্যন্ত নির্জন। দুধারে মাঝে মাঝে হরতুকি বা মহুয়া গাছ। আর রাস্তার দুধারে শুধু শূন্য অসমতল মাঠ। তার ভেতর বাড়ি ঘর নেই বল্লেই হয়। কে বাড়ি করবে এই নির্জন জায়গায়।

অন্ধকারে অবশ্য এ সব কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। আমার মোটরের মিটমিটে আলোয় সামনের পথের খানিকটা দেখা যাচ্ছিল মাত্র। যেতে যেতে মনে হচ্ছিল, অন্ধকারের সমুদ্রই যেন আমার মোটরের আলোয় কেটে চলেছি কোনরকমে।

শীতের দরুণ কষ্ট পেলেও বেশ নিশ্চিন্ত মনেই চলেছিলাম। আমার কারটি পুরান হলেও মজবুত। বেয়াড়াপনা সে করে না। আধ ঘন্টার মধ্যেই বাড়ি পৌঁছে গরম লেপের মধ্যে আরাম করে যে শুতে পাব, এ বিষয়ে কোন সন্দেহ ছিল না।

অন্ধকার রাস্তার নিস্তব্ধতার ওপর শব্দের ঢেউ তুলে আমার মোটর চলেছে দ্রুত গতিতে। নিজেকে যথা সম্ভব আবৃত রেখে ভেতরে বসে সমস্ত চিন্তা পরিত্যাগ করে আমি শুধু আমার গরম বিছানাটার আরামের কথাই ভাবছি। ডাক্তারদের মত পরাধীন আর কেউ নয়। তবু মনে হচ্ছিল, একবার বাড়িতে পৌঁছতে পারলে প্রাণের দায়ে ছাড়া শুধু পয়সার জন্যে আর আমায় কেউ বার করতে পারবে না। এখন কোন রকমে কুড়ি পঁচিশ মিনিট কাটলেই হয়।

কিন্তু হঠাৎ অপ্রত্যাশিত এক ঘটনায় সুখস্বপ্ন ভেঙে গেল। আমার একান্ত সুস্থ সবল মোটর থেকে থেকে অদ্ভুত একরকম ধাতব আর্তনাদ করতে শুরু করেছে। মোটরের এ রকম আচরণের কোন কারণই খুঁজে পেলাম না। আজ দুপুরেই আমার মোটরের ভাল রকম সেবা শুশ্রুষা হয়ে গেছে। কোন রকম রোগের আভাষ তার ভেতর তখন ছিল না। হঠাৎ তার এ রকম আকস্মিক বিকারের কারণ তবে কি!

এই দারুণ শীতের রাত্রে অন্ধকার নির্জন এই পথের মাঝে মোটরের এই বেয়াড়াপনায় সত্যিই ভীত হয়ে উঠলাম। এখনও প্রায় সাত আট মাইল পথ বাকী। রাস্তার মাঝে মোটর সত্যি অচল হয়ে গেলে করব কি? এই রাত্রের ডাকেও সঙ্গে লোক না আনার নির্বুদ্ধিতার জন্য এবার নিজের উপরই রাগ হচ্ছিল। সঙ্গে একজন লোক থাকলে তবু বিপদে অনেক সাহায্য পাওয়া যেত।

দেখতে দেখতে মোটরের আর্তনাদ আরো বেড়ে উঠল, সঙ্গে সঙ্গে মোটরের বেগও মন্থর হয়ে আসছে বুঝতে পারলাম। মোটর চালনার সমস্ত বিদ্যা প্রয়োগ করেও সুরাহা কিছু করতে পারলাম না। কারাতে কাত্রাতে খানিক দূর গিয়ে আমার মোটর হঠাৎ রাস্তার মাঝে এক জায়গায় একেবারে থেমে গেল। আর তার নড়বার নাম নেই। চেষ্টার আমি তখনও ত্রুটি করলাম না। কিন্তু আমার পীড়নে অস্ফুটভাবে একটু কাতরোক্তি করে ওঠা ছাড়া আর কোন সাড়া সে দিল না।

ভয়ে দুর্ভাবনায় সত্যিই তখন আমার সমস্ত দেহ আড়ষ্ট হয়ে এসেছে। মোটর ফেলে এই দারুণ শীতের মাঝে সাত আট মাইল জনহীন পথ হেঁটে যাবার কথা তো কল্পনা করা যায় না। এই মাঠের মাঝে মোটরে সারা রাত কাটানও অসম্ভব। এখন উপায়।

“ডাক্তারবাবু।”

হঠাৎ বুকের ভেতর হৃদপিন্ডটা যেন লাফিয়ে উঠল। এই জনশূন্য পথে এমন সময়ে কে ডাকল?

আবার শুনতে পেলাম “ডাক্তারবাবু।”

এদিক ওদিক অন্ধকারে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি নিক্ষেপ করে এবার দেখতেও পেলাম। পথের ধারে ঝাঁকড়া একটি গাছের পাশে আবছা একটি দীর্ঘ শীর্ণ মূর্তি দেখা যাচ্ছে। হঠাৎ এমন জায়গায় কেমন করে সে উদয় হল বুঝতে না পারলেও সাড়া দিয়ে বললাম, “কে। কে তুমি?” মনে তখন আমার একটু আশার রেখাও দেখা দিয়েছে। তার আবির্ভাব যেমন বিস্ময়করই হোক না কেন, লোকটার কাছে সাহায্য পাবার সম্ভাবনা তো আছে।

লোকটা সেই জায়গা থেকেই বললে, “আমায় চিনবেন না আপনি।”

চেনবার জন্য আমি তখন ব্যস্ত নই। আমার সাহায্য করবার জন্যে একজন লোক তখন দরকার মাত্র। সেই কথাই তাকে বলতে যাচ্ছি এমন সময় লোকটা আবার বললে, “আপনাকে একটু আসতে হবে ডাক্তারবাবু। ভারী অসুখ একজনের!”

এমন সময়ে এ অনুরোধে বিরক্ত যেমন হলাম আশ্চর্য হলামও তেমনি। ঠিক এই সময়ে রাস্তার ঠিক এই জায়গায় রুগী কি আমার জন্য তৈরী হয়ে বসেছিল!

লোকটা আমার মনের কথাই যেন আঁচ করে বললে, এ ভগবানের দয়া ডাক্তারবাবু! এমন সময় আপনাকে এখানে পাব স্বপ্নেও ভাবিনি, অথচ না পেলে কি বিপদই যে হত!”

বেশী কথাবর্তা তখন আর ভাল লাগছিল না। একটু বিরক্ত হয়েই বললাম “কোথায় তোমার রুগী?”

লোকটা এবার নিঃশব্দে অন্ধকারের ভেতর একদিকে হাত বাড়িয়ে নির্দেশ করল। সেদিকে চেয়ে দেখলাম সত্যি দূরে একটা বাড়ির আলো যেন দেখা যাচ্ছে। এ রকম নির্জন প্রান্তরের মাঝে এ রকম বাড়ি খুব কমই থাকে। হঠাৎ এ রকম জায়গায় এমন সময়ে যাওয়াও একটু বিপজ্জনক। তবে শত্রু আমার কেউ তো নেই এবং সঙ্গে টাকা কড়িও নিতান্ত সামান্য এই যা ভরসা!

একটু ভেবে নিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম “কি অসুখ?”

উত্তর এল “জানি না ডাক্তারবাবু, কিন্তু অত্যন্ত সঙ্গীন অবস্থা, তাড়াতাড়ি না গেলে বোধহয় বাঁচান যাবে না। দোহাই আপনার, চলুন ডাক্তারবাবু।”

কোথায় নিজের বিপদ সামলাব, না হঠাৎ রাস্তার মাঝে মাঝ রাত্রে যেতে হবে পরের চিকিৎসায়। তবু ডাক্তার মানুষ–জীবন মরণের সমস্যা শুনলে চুপ করে বসে থাকতে পারা যায় না। বাধ্য হয়েই তাই বললাম ‘চল!’

মাঠের ওপর দিয়ে সরু একটু পথ। অন্ধকারে ভাল করে দেখাই যায় না। তাই ধরে লোকটার পিছু পিছু মিনিট পাঁচেক হেঁটে একটি বাড়ির উঠানে এসে দাঁড়ালাম। সামনে একটি ঘরের দরজা থেকে আলো দেখা যাচ্ছে। সেই দিকে দেখিয়ে লোকটা বললে, “ওই ঘরেই রুগী বাবু, আপনি যান, আমি এখনি আসছি!”

অন্ধকারের ভেতরই বুঝতে পারছিলাম, বাড়িটি বিশেষ সমৃদ্ধ চেহারার নয়। গুটি চার পাঁচেক ঘর এবং একটুখানি ঘেরা উঠান। ঘরগুলিও সব পাকা ছাদের নয়, দু পাশে খোলার ছাউনি।

লোকটার কথা মত সামনের ঘরে এবার গিয়ে ঢুকলাম। ঘরটি আয়তনে বিশেষ বড় নয়, তার ওপর নানান আকারের বাক্স পেটরায় বোঝাই বলে ভেতরে নড়বার চড়বার স্থান অত্যন্ত অল্প। দরজার মুখোমুখি একটি জানালা। সেই জানলার ধারে মিটিমিট করে একটি কেরাসিনের লন্ঠন জ্বলছে। সেই আলোতেই অস্পষ্টভাবে দেখা গেল, দরজার বাঁ ধারে একটি চারপায়ায় অত্যন্ত শীর্ণ এক ভদ্রলোক শুয়ে আছেন।

আমি ঘরে ঢুকতেই ক্ষীণ স্বরে তিনি বললেন, “এসেছেন ডাক্তারবাবু! আপনার দয়া কখনও ভুলব না, বসুন।”

ঘরের ভিতর এদিক ওদিক চেয়ে বসবার জায়গা একটিই দেখতে পেলাম। জানালার কাছে গিয়ে চারপায়া থেকে অনেক দূরে একটি বেতের মোড়া। সেইটেই টেনে চারপায়ার কাছে আসবার উদ্যোগ করতেই ভদ্রলোক আবার ক্ষীণ স্বরে বললেন, “বসুন বসুন এইখানেই বসুন, আগে আমার রোগের কথা বলি শুনুন।”

একটু হেসে এবার সেইখানেই বসলাম। রুগীদের নানা অদ্ভুত বাতিকের সঙ্গে আমার যথেষ্ট পরিচয় আছে। বুঝলাম, খানিকক্ষণ ধরে নিজের রোগ সম্বন্ধে ভদ্রলোকের নানা মতামত এখন আমায় শুনতে হবে। না শুনলে নিস্তার নেই।

ক্ষীণস্বরে প্রথমেই তিনি আরম্ভ করলেন, “আমার রোগ সারাজে আপনি পারবেন না ডাক্তারবাবু। বাঁচাতে পারেবেন ডাক্তারবাবু?” একটু হেসে বললাম, সেই চেষ্টা করাই তো আমাদের কাজ! আর বাঁচবেন নাই বা কেন?”

একটু অদ্ভুত হাসির আওয়াজ এল খাট থেকে “বাঁচতেও পারি ডাক্তারবাবু কেমন?”

বললাম, “পারেন বই কি। কি তেমন আর হয়েছে আপনার?”

“না তেমন আর কি হয়েছে!” ভদ্রলোক আবার যেন হাসলেন, তারপর বললেন, “ডাক্তারদের অনেক ক্ষমতা কেমন না! কিন্তু ধরুন তাতেও যদি না বাঁচি, যদি আজ রাত্রেই মারা যাই?”

রোগীর এই অর্ধোন্মত্ত প্রলাপের উত্তরে কি যে বলবো কিছুই ভেবে পেলাম না। মনে মনে তখন এই বিলম্বে অস্থির হয়ে উঠছি।

রোগীই আবার বললেন, “যদি আপনি থাকতে থাকতেই মারা যাই ডাক্তারবাবু, কি হবে তাহলে? কে আপনার ‘ফী’ দেবে?”

আচ্ছা পাগল রোগীর পাল্লায় তো পড়া গেছে। বললাম, “যদি নেহাৎই তাই হয়, তাহলে ‘ফী’ নাই পেলাম। আমরা শুধু ফীর জন্যই সব সময়ে আসি না!”

“তা বটে তা বটে” পৃথিবীতে ভাল লোক, পৃথিবীতে মনুষ্যত্ব এখনও আছে, তাই না ডাক্তারবাবু। কিন্তু আপনার ফীর ব্যবস্থা আমি করে রেখেছি ডাক্তারবাবু! হঠাৎ যদি মরে যাই ওই বাক্স খুলে ফেলবেন, বুঝেছেন ডাক্তারবাবু–ওই বেতের ছোট্ট বাক্সটি।”

ভদ্রলোকের স্বর আরো মৃদু হয়ে এল “ওই বাক্স থেকে আপনার প্রাপ্য টাকা নেবেন। আরও একটা জিনিষ নেবেন ডাক্তারবাবু! বলুন। নেবেন তো?”

একটু বিরক্ত হয়ে বললাম, “কি?”

“কিছু না ডাক্তারবাবু একটা কাগজ। কিন্তু ভয়ানক দরকারী কাগজ। এ কাগজ ওখানে আছে শুধু আপনি আর আমি জানি। আর কেউ জানে না। জানলে আর ওখানে ওটা থাকত না।”

ভদ্রলোক একটু চুপ করে থেকে একটু হেসে আবার বললেন, “এ বাড়ীতে কাউকে দেখতে না পেয়ে ভাববেন না যেন আমার কেউ নেই। আমার অনেক আত্মীয় আছে—ওৎ পেতে আছে আমার মরার অপেক্ষায়। শুধু তাদের বিশ্বাস আজ আমি হয়ত মরব না, তাদের বিশ্বাস মরবার আগে আর আমি কিছু করব না তারাই সব পাবে।”

আমি এবার বলতে যাচ্ছিলাম, “আপনার অসুখটা সম্বন্ধে—”

“হ্যাঁ, অসুখ তো দেখবেনই, তার আগে আর একটা কথা বলে নিই ওই কাগজটি আমার উইল, ডাক্তারবাবু। আমার ছেলের নামে উইল। সে ছেলেকে আমি ত্যজ্যপুত্র করেছিলাম একদিন, কোথায় আছে তাও জানি না। কিন্তু জানেনই তো রক্ত জলের চেয়ে ঘন।”

আর বেশীক্ষণ অপেক্ষা করা যায় না। মোড়া থেকে উঠে পড়ে আমি বললাম, “এইবার আমি দেখতে পারি!”

খাট থেকে আওয়াজ হল “দেখুন।”

আমি খাটের কাছে এগিয়ে গিয়ে রোগীর নাড়ি দেখবার জন্যে হাতটা তুলে ধরলাম এবং পরমুহূর্তেই সেই দারুণ শীতের ভেতরেও আমার সমস্ত দেহ ঘেমে উঠল।

সে হাত বরফের মত ঠান্ডা। রোগী মৃত! শুধু মৃত হলে এতখানি আতঙ্কের আমার বোধহয় কারণ থাকত না। কিন্তু ব্যাপার যে আলাদা! ডাক্তারী শাস্ত্রে যদি কিছু সত্য থাকে, তাহলে এ রোগী এইমাত্র কখনই মারা যায় নি। তার মৃত্যু হয়েছে অনেক আগে, কয়েক ঘন্টা আগে। সমস্ত দেহ, তার কঠিন।

উন্মাদের মত আরো খানিকক্ষণ পরীক্ষা করলাম। না, ভুল আমার হতেই পারে না। কিন্তু তাহলে কি এ ব্যাপারের অর্থ?

তখন কিন্তু স্থিরভাবে কোন চিন্তা করবার আর আমার ক্ষমতা নেই। আতঙ্কে আমার বুকের স্পন্দন পর্যন্ত যেন থেমে আসছে। হঠাৎ জানালার কাছে বাতিটা দপ দপ করে নেচে উঠল। সেটা একবার নেড়ে দেখলাম তাতে তেল এক ফোঁটা নেই। প্রান্তরের মাঝে নিস্তব্ধ নির্জন বাড়িতে এই ভয়ঙ্কর অবস্থায় আমি একা, এই বাতির আলোটুকুই যেন আমার একমাত্র সহায় ছিল। তাও নিভতে চলেছে দেখে, আমি দ্রুত পদে ঘর থেকে বেরিয়ে পড়লাম। বুঝতে পারলাম পিছনে আলোটা আর কয়েকবার নেচে নিভে গেল। তখন আমি উঠান ছাড়িয়ে এসেছি প্রায়।

কিভাবে তারপর অন্ধকার প্রান্তরের ভেতর দিয়ে ছুটতে ছুটতে এসে মোটরে উঠেছিলাম তা আমার মনে নেই। মোটর চালিয়ে শহরের মাঝ বরাবর আসবার পর আমার যেন স্বাভাবিক জ্ঞান ফিরে এল। সবচেয়ে আশ্চর্য ব্যাপার মনে হল, মোটরের এই চলা। খানিক আগে অদ্ভুতভাবে যে মোটর বন্ধ হয়ে গিয়েছিল হঠাৎ এবার বিনা চেষ্টায় আপনা হতে সে মোটর এমন শুধরে গেল কি করে?

.

তার পরদিন দিনের আলোকে লোক সঙ্গে করে নিয়ে সেই প্রান্তরের মাঝেকার বাড়ির নিঃসঙ্গ রোগীর শেষ ইচ্ছা পূর্ণ করার ব্যবস্থা করেছিলাম। তাঁর ছেলেই আজকাল সমস্ত বিষয়ের মালিক।

সেদিনকার রহস্যের স্বাভাবিক মীমাংসা আমি এখনও করতে পারিনি।

সকল অধ্যায়

১. টমসাহেবের বাড়ী – ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায়
২. এথেন্সের শেকল বাঁধা ভূত – হেমেন্দ্রকুমার রায়
৩. দিনে দুপুরে – বুদ্ধদেব বসু
৪. ঠিক দুপুরে আকাশকুসুম – স্বপন বুড়ো
৫. রাক্ষুসে পাথর – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
৬. লোকসান না লাভ – আশাপূর্ণা দেবী
৭. মাঝরাতের কল – প্রেমেন্দ্র মিত্র
৮. ওয়ারিশ – লীলা মজুমদার
৯. তান্ত্রিক – ধীরেন্দ্রলাল ধর
১০. বোধহয় লোকটা ভূত – শুদ্ধসত্ত্ব বসু
১১. ছক্কা মিঞার টমটম – সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ
১২. ভূতেরা বিজ্ঞান চায় না – অদ্রীশ বর্ধন
১৩. হুড়কো ভূত – অমিতাভ চৌধুরী
১৪. ভূতে পাওয়া হরিণ – সংকর্ষণ রায়
১৫. মড়ার মাথা কথা বলে – রবিদাস সাহারায়
১৬. ফ্রান্সিসের অভিশাপ – শিশিরকুমার মজুমদার
১৭. সত্যি ভূতের মিথ্যে গল্প – বরেন গঙ্গোপাধ্যায়
১৮. শব্দের রহস্য – বিমল কর
১৯. পুরনো জিনিষ – শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
২০. ভাড়া বাড়ি – মঞ্জিল সেন
২১. জ্যোৎস্নায় ঘোড়ার ছবি – অতীন বন্দ্যোপাধ্যায়
২২. শাঁখারিটোলার সেই বাড়িটা – লক্ষ্মণকুমার বিশ্বাস
২৩. হাসি – বিভুতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
২৪. ভূতুড়ে রসিকতা – আনন্দ বাগচী
২৫. ভূতেশ্বরের দরবারে কোয়েল – জগদীশ দাস
২৬. ভূত আছে কি নেই – হরিনারায়ণ চট্টোপাধ্যায়
২৭. ভূতের সঙ্গে লড়াই – শেখর বসু

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন