পৃথ্বীরাজ সেন
সকল শক্তির অন্তরালে যে শক্তির ক্রিয়া পরিলক্ষিত হয় তাকে সংক্ষেপে আমরা কুণ্ডলিনী শক্তি বলতে পারি। তন্ত্র সাধকদের কাছে এই শক্তি হলো সকল শক্তির উৎস বা মূলাধার। এই শক্তি কখনও কখনও প্রাণশক্তি হিসাবে উপস্থাপিত হয়। আবার কুণ্ডলিনী শক্তির সঙ্গে অনেকে চৈতন্য শক্তির সাযুজ্য নিরূপণ করেন। কুণ্ডলিনী মূলাধারে আদ্যাশক্তি হিসাবে বিরাজ করে থাকেন। তিনি যোগীদের হৃদয়ে নৃত্যশীলা এবং স্পন্দনশীলা। কুণ্ডলিনী শক্তি মূলাধারে অবস্থিতা, প্রসুপ্ত, ভূজগ, কারা এবং সার্দ্ধ ত্রিবলয়ান্বিতা। অর্থাৎ এটি নিদ্রিত সাপের মতো আকার বিশিষ্ট। সাড়ে তিন বেষ্টনে কুণ্ডলীকৃত। কখনও কখনও এই শক্তি মৃণালতন্ত্রীর মতো সূক্ষ্ম হয়ে থাকে। কুণ্ডলিনী শক্তির মাধ্যমে যে আলোক উৎসারণ চোখে পড়ে তা কোটি কোটি বিদ্যুতের প্রভায় উদ্ভাসিত। কুণ্ডলিনী শক্তি অব্যক্তরূপিণী, শব্দ বা বাক্য দ্বারা তাকে বিশ্লেষণ করা যায় না। তিনি দিব্যা ও ধ্যানমগ্না। ত্রিপুরাশঙ্কর সেন শাস্ত্রী তাঁর শাক্তপদাবলী গ্রন্থে কুণ্ডলিনী শক্তির এই বর্ণনা করেছেন।
কুণ্ডলিনী যোগ এবং তার ক্রিয়া
যে কোনও তন্ত্রসাধনার অন্যতম প্রধান বিষয় হল কুণ্ডলিনী যোগ। দেহসাধনার সঙ্গে এই যোগক্রিয়া অঙ্গাঙ্গীভাবে যুক্ত হয়ে আছে। প্রত্যেক মানুষের মধ্যে যে বিপুল পরিমাণ অধ্যাত্ম শক্তি অব্যক্ত অবস্থায় থাকে তাকেই আমরা কুণ্ডলিনী বলে থাকি। কুণ্ডলিনী শক্তিকে জাগ্রত করার জন্য তন্ত্র সাধকেরা বিভিন্ন বিধিমতে তন্ত্রসাধনা করে থাকেন। কিন্তু শুধুমাত্র এই শক্তিকে জাগ্রত করলেই চলবে না, এই শক্তি যাতে মানুষকে সমাজের ইতিবাচক কাজে উদ্বুদ্ধ করতে পারে সেদিকে নজর দিতে হবে। তাই শক্তিকে দেহের কোষ থেকে কোষান্তরে চালিত করতে হয়। তান্ত্রিক সাধকের সাধনার উদ্দেশ্য হল কুণ্ডলিনী শক্তির সঙ্গে আত্মিক শক্তির সংযুক্তিকরণ। এর জন্য নির্জন সাধনপীঠের দরকার। কেউ কেউ আবার পঞ্চবটি নির্মাণ করে সাধনা করেন। এই পঞ্চবটির মধ্যে যে পঞ্চবৃক্ষ আছে সেগুলি হল অশ্বত্থ, অশোক, নিম, বেল এবং চাঁপা। এছাড়া পঞ্চমুণ্ডির প্রয়োজন, যেমন চণ্ডালমুণ্ড দুটি, শৃগাল মুণ্ড ১টি, বামন মুণ্ড ১টি, সর্প মুণ্ড একটি।
সাধনার উপযোগী স্থান নির্বাচন করার পর তন্ত্রসাধক ধ্যানমগ্ন অবস্থায় বসেন। তখন তিনি তাঁর পঞ্চ জ্ঞানেন্দ্রিয়, পঞ্চ কর্মেন্দ্রিয় এবং মন ও বুদ্ধির আধার স্বরূপ জীবাত্মাকে অনাহত পদ্ম থেকে মূলাধার পদ্মে আনার চেষ্টা করেন। তারপর ওঁম মন্ত্র উচ্চারণ করতে থাকেন। এসময়ে তাঁকে নাসিকার বায়ু আকর্ষণ করতে হবে। এই বাতাসকে মূলাধারের দিকে চালিত করতে হবে। অত্যন্ত কঠিন এই প্রক্রিয়া। ধাপে ধাপে এই প্রক্রিয়া পরিচালিত করতে হয়। যখন ওই বায়ু মূলাধারের দিকে চালিত হবে তখন মূলাধার কামবহ্নিতে প্রজ্জ্বলিত হবে। আর এভাবে নিদ্রিত বা সুপ্তিমগ্ন কুণ্ডলিনী শক্তি জাগ্রত হবেন। তখন মেরুদণ্ডের মধ্যে এমন এক শিহরণ জাগবে যা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব হয় না। কাম বহ্নির দ্বারা উত্তেজিত এবং উদ্বেলিত হলে কুণ্ডলিনী ঊর্ধ্বমুখে উঠে যান। তখন হংস মন্ত্র উচ্চারণ করে গুহ্যদেশ সঙ্কুচিত করতে হয়। এই সময়ে যোগী যে আসনটি করবেন তাকে বলে কুম্ভক। কুণ্ডলিনী একবার জাগ্রত হলে একটির পর একটি অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটতে থাকে। প্রথমেই আধার কমলের চতুর্দল প্রস্ফুটিত হয়। আর তখন কুণ্ডলিনী শক্তি স্বাধিষ্ঠানের দিকে অগ্রসর হয়। ধীরে ধীরে দক্ষিণাবর্ত আর কমলের দলে ভুক্ত হয়। একে একে এই আধার কমলের পৃথ্বিতত্ত্বকে পরিক্রমণ করে। পৃথ্বিতত্ত্বের মধ্যে আছে ক্ষিতি, গন্ধ, নাসা, ঘ্রাণ।
এবার কুণ্ডলিনীর পূর্বমুখ কণ্ঠদেশে পৌঁছে যায়। সেখানে পদ্মের অবস্থান। এই পদ্ম বিশুদ্ধ। পদ্মটিকে দলে দলে ঊর্ধ্বমুখে তুলে দেয়। বিশুদ্ধ পদ্মের প্রকাশে তার অন্তর্নিহিত সমস্ত বৈশিষ্ট্য এবং বৃত্তি প্রস্ফুটিত হয়। অনাহতের দেবদেবী কুণ্ডলিনীর দেহে বিলীন হন।
পরবর্তী পর্যায় কুণ্ডলিনী আজ্ঞাচক্রে এসে উপস্থিত হয়। ভ্রূ—মধ্যস্থ দ্বি—দলপদ্ম সমস্ত বৃত্তিসহ বিকশিত হয়ে ওঠে। অধ্যাত্ম শক্তির স্পর্শে মনের ভেতর এমন এক অনাস্বাদিত আনন্দের স্ফুরণ হয় যা ভাষায় বর্ণনা করা সম্ভব নয়। এইভাবে সাধকের মানস জাগরণ ঘটে থাকে। বিশুদ্ধ পদ্মের দল এবং বৃত্তিশক্তি এবং বর্ণ কুণ্ডলিনীর মধ্যে বিলুপ্ত হয়ে যায়।
আজ্ঞাচক্র থেকে কুণ্ডলিনী ঊর্ধ্ব দিকে উঠতে থাকে। তখন অহঙ্কার, বুদ্ধি প্রভৃতি সম্পর্ক আর থাকে না। এই সময় সাধক অমৃত পথের পথিক হয়ে যান। তার সমগ্র সত্তা জুড়ে তখন এক অলৌকিক স্পন্দন অনুভূত হয়। সাধক দীর্ঘদিন ধরে যে কাজে ব্রতী ছিলেন, সেই আরাধ্য কাজ এবার তার কাঙ্ক্ষিত সমাপ্তির পথে এগিয়ে চলেছে। কুণ্ডলিনী শক্তি শিবের সঙ্গে সংযোজিত হয়েছে। শিব শবরূপে অবস্থান করছেন। এখানে এসে দেবী রূপবতী কাম উল্লাসিনী হয়ে ওঠেন। নিরীহ শিব জাগ্রত হন। দেবী তখন শিবের মুখপদ্ম চুম্বন করেন। অবশেষে দেবীর কণ্ঠ থেকে উচ্চারিত হয় সেই মহামন্ত্র—
অমৃতং জায়তে দেবি! তৎক্ষণাৎ পরমেশ্বরী
তদুদ্ভবামূতং দেবি! লাক্ষারসম সমারূণম্।
সাধক এই অমৃতের দ্বারা আবেগে আপ্লুত হয়ে যান। দেবতা এই অমৃত পান করে তুষ্ট ও পরিতুষ্ট হন। আর এভাবেই সাধকের মুক্তির পথ উন্মুক্ত হয়।
কুণ্ডলিনী আবার বিপরীতক্রমে শিবপুর থেকে সমস্ত পদ্ম অতিক্রম করে মূলাধারে চলে আসে। এই বিপরীত ক্রিয়াতেও ক্ষণে—বিক্ষণে নানা ধরনের আবেগ ও অনুভূতির সঞ্চালন ঘটে থাকে। এই আবেগকে ভাষার দ্বারা প্রকাশ করা সম্ভব নয়। সাধক ইতিমধ্যে দিব্যজীবনে সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। কুণ্ডলিনীর এই বিপরীত পথ পরিক্রমাতেও তিনি তাঁর স্বধর্ম থেকে বিচ্যুত হন না। দীর্ঘ সাধনালব্ধ অনুভূতি এবং উপলব্ধি সাধককে আরও চিন্তামগ্ন করে তোলে। সাধক তখন নিত্য আনন্দ, নিত্য চৈতন্য অবস্থায় পৌঁছে যান।
জাহ্নবীকুমার চক্রবর্তী তার ‘শাক্ত পদাবলী ও শক্তিসাধনা’ গ্রন্থে কুণ্ডলিনী শক্তির এই পথ পরিক্রমার একটি সুন্দর বিবরণ লিপিবব্ধ করেছেন।
ষটচক্রের রহস্য
পরবর্তী পর্যায়ে আমরা ষট্চক্রের কথা বলব। যাঁরা তন্ত্রশাস্ত্রে বিশ্বাস করেন, তাঁরা জানেন যে ষট্চক্র আমাদের দেহের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত। যে ষট্চক্র আমাদের দেহে আছে সেগুলি হলো গুহ্য, লিঙ্গমূল, নাভি, হৃদয়, কণ্ঠ, মস্তিষ্ক ও ললাট। এই ছ’টি অংশ যথাক্রমে মূলাধার, স্বাধিষ্ঠান, মণিপুর, অনাহত, বিশুদ্ধ ও আজ্ঞা এই ছয়টি চক্রে প্রতিষ্ঠিত আছে।
প্রতিটি চক্রের মধ্যে একটি আলাদা দ্যোতনা বা প্রতীতি লুকিয়ে আছে। আমরা একে একে সেই প্রতীতিগুলির কথা উল্লেখ করব।
মূলাধারকে আমরা Organ of Generation বা Region of Earth বলতে পারি। মূলাধারের সঙ্গে প্রজনন বিষয়টি অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। আবার যেহেতু পৃথিবী হল উর্বরা, তাই এই অংশটির সাথে বসুন্ধরার একাত্মতা ঘোষণা করা হয়েছে।
দ্বিতীয় পর্যায়ে আছে স্বাধিষ্ঠান। একে above the previous one বলা হয়ে থাকে। একে বলে Region of water। স্বাধিষ্ঠানের অবস্থান মূলাধারের ওপর। এই অংশটির সাথে জলের সাযুজ্য কল্পনা করা হয়েছে। তাই স্বাধিষ্ঠান হল জলচক্রের প্রতীক।
তৃতীয় পর্যায়ে আছে মণিপুর। একে in the spinal cord বলে। এর অবস্থান আমাদের স্নায়ু বা স্পাইনাল কর্ডের মধ্যে। একে আমরা অগ্নির কেন্দ্র বা অগ্নি প্রতিষ্ঠিত পথ বলতে পারি।
চতুর্থ অবস্থায় আছে অনাহত, একে Opposite of the heart বলা হয়ে থাকে। এর সাথে বাতাস বা পবনের সম্পর্ক আছে বলে একে বাতাসের ক্ষেত্র বলা হয়।
পঞ্চম স্থানে আছে বিশুদ্ধচক্র, বিশুদ্ধচক্রকে বলা হয় Opposite of base of the throat, একে Region of Ether বলা হয়েছে।
ষষ্ঠ পর্যায়ে আছে আজ্ঞা, একে বলে Opposite of the junction of the Eyebrows, একে Region of the psychic vision বলা হয়ে থাকে। স্বাধিষ্ঠান চক্রের ঊর্ধ্বে নাভিমূলে দশ দল যুক্ত মেঘের ন্যায় নীলবর্ণ বিশিষ্ট মণিপুর পদ্মের অবস্থান। এটি তেজতত্ত্বের স্থান। এখানে শক্তিরূপে লাকিনীদেবী অবস্থান করছেন।
সহস্রার পদ্ম আছে, অধোমুখী অবস্থায়। এখনে সহস্রদল পদ্মের উপস্থিতি দেখা যায়। গুহ্য ও লিঙ্গদেশের মধ্যে সুষুম্না নাড়ীর মুখে ষোলো বর্ণ আছে। চারটি দলযুক্ত পদ্মের নাম আধার পদ্ম। এখানে ‘ব’, ‘শ’, ‘ষ’ এবং ‘স’ এই চারটি মাত্রা বর্ণের উপস্থিতি। মূলাধার এবং পৃথিবী তত্ত্বের স্থান হিসেবে এটিকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই অঞ্চলে ডাকিনী শক্তি বিরাজিতা। সুষুম্না নাড়ীর অগ্রভাগের নাম ব্রহ্মদ্বার। এই ব্রহ্মদ্বার আচ্ছাদন করে সাপের মতো ত্রিবৃত্তাকৃতি জগন্মোহিনী কুণ্ডলিনী শক্তি বিদ্যমান। এটি রক্তবর্ণা। এখানে ছয়টি মাতৃকাবর্ণ দেখতে পাওয়া যায়—’ব’, ‘ভ’, ‘ম’, ‘য’, ‘র’, ‘ল’। এখানে যে মাতৃকাশক্তির অবস্থান তাকে রাকিনী বলা হয়।
জীবের হৃদয় দেশে আছে অনাহত পদ্ম। এই পদ্মে বারোটি দল আছে। এখানে যে সব মাত্রিকা বর্ণ উপস্থিত হয়েছে সেগুলি হল—ক, খ, গ, ঘ, ঙ, চ, ছ, জ, ঝ, ঞ, ট এবং ঠ। এর সাথে বাতাসের সাযুজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এখানে কাকিনী দেবীর অবস্থান।
কণ্ঠ দেশে আছে নির্মল বিশুদ্ধ পদ্ম। এই পদ্ম ষোড়শ দল বিশিষ্ট। এর বর্ণগুলি হল—অ, আ, ই, ঈ, উ, ঊ, ঋ, ৯, এ, ঐ, ও, ঔ এবং অং ও অঃ। এখানে শাকিনী নামে শক্তিদেবী বিরাজ করছেন। এই অঞ্চলটির সাথে আকাশতত্ত্ব সংযুক্ত হয়েছে।
ভ্রূ—মধ্যে প্রণব আজ্ঞাচক্র স্থাপিত। এই পদ্মে দুটি দল আছে। এখানে হ এবং ক্ষ এই দুটি মাতৃকা বর্ণ দেখতে পাওয়া যায় মাতৃশক্তি হ্লাদিনী।
নাড়ী—মানবদেহ বিশ্লেষণ করে তান্ত্রিকরা অসংখ্য নাড়ীর সন্ধান পেয়েছেন। তারা মোটামুটি ভাবে ৩ লক্ষ নাড়ীকে চিহ্নিত করেছেন। এর মধ্যে ইড়া, পিঙ্গলা এবং সুষুম্না প্রধান। ইড়ার অবস্থান মেরুদণ্ডের বামদিকে। দক্ষিণদিকে পিঙ্গলা আছে এবং মধ্যে আছে সুষুম্না। ইড়া ব্যবহারে চন্দ্ররূপিণী, পিঙ্গলা সূর্যরূপিণী আর সুষুম্না অগ্নিরূপিণী।
এই তিনটি নাড়ীর মধ্যে সুষুম্না হল প্রধান। এটি স্কন্দমূলের শিরোদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত। গুহ্যদেশ হল এই নাড়ীর ব্রহ্মদ্বার।
এই তিনটি নাড়ীকে আমরা গঙ্গা—যমুনা—সরস্বতী নামেও অভিহিত করে থাকি। গুহ্য দেশে এবং মস্তকে এই তিটি নাড়ী মিলিত হয়েছে, ওই দুটি অঞ্চলকে ত্রিবেণী বলা হয়।
বায়ু—তন্ত্রমতে মানবদেশের মোট দশ রকম বায়ু আছে—বাণ, প্রাণ, অপান, সমান, উদান, ব্যান, নার্গ, কুর্ম, উজ্জ্বল, দেবদত্ত, ধনঞ্জয়। তবে এতগুলি বায়ুর মধ্যে প্রাণ এবং অপান বায়ুর প্রভাব সব থেকে বেশি।
সহস্রার পদ্ম—জীবদেহের মস্তকে সহস্রার পদ্মের অবস্থান। এই পদ্ম সহস্র নাদবিন্দু সমন্বিত। এর একদিকে সগুণ ব্রহ্মা শিবের অবস্থান অন্যদিকে নির্বাণ শিবের মধ্যস্থ ব্রহ্মরূপ পরাশিব উপস্থিত আছেন।
তন্ত্রসাধনার সাথে এই শব্দগুলি এবং এই বিষয়গুলি অঙ্গাঙ্গীভাবে যুক্ত। তাই তন্ত্রসাধনা সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে হলে এই বিষয়গুলি সম্বন্ধে সম্যক জ্ঞান থাকা বিশেষ দরকার।
নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন
লগইন