শোধ – ২

শিবব্রত বর্মন

বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবের হলরুম একটা বারোয়ারি জায়গা হলেও সেদিন ফিরোজ মোটেও দৈবক্রমে সেখানে হাজির হয়নি। সে ক্লাবে যাওয়ার লোকই নয়। গত ১৭ মাসে তাকে কেউ ক্লাবের ছায়া মাড়াতে দেখেনি। সে ক্লাবে গিয়েছিল সুনির্দিষ্টভাবে আফসান চৌধুরীর খোঁজে।

যে লোক তিন দিন আগে দেশের দাবা সাম্রাজ্যের অশ্বমেধযজ্ঞ সেরে এসেছে, সে কোন গরজে নিজ বিদ্যাপীঠের এক মামুলি আড্ডাচক্রের ততোধিক অপাঙ্ক্তেয় জনশ্রুতির মুখোমুখি দাঁড়াবে? অতীতে এ রকম কতশত মহল্লার হিরোকে সে ধসিয়ে দিয়ে এসেছে।

সত্যি বলতে, ফিরোজ আহসান বেগের এই বিসদৃশ অভিযানের পেছনে আছে এক নারী। তার নাম রওশন আরা। আরও সুনির্দিষ্ট করে বললে এর পেছনে রওশন আরার পোষা পার্সিয়ান বিড়াল, যার নাম মিক জ্যাগার। সাদা লোমশ এ হুলো বিড়াল আগের দিন একটা বড় বিপর্যয় ঘটিয়েছে। ঢাকা শহরের ঝিমমারা অপরাহ্ণে সে দরজা ঠেলে রওশন আরার শোবার ঘরে ঢুকে পড়েছিল।

ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক রওশন আরার বয়স কম না হলেও তার রূপের তারিফ আছে ক্যাম্পাসে। ডিভোর্সি এই শিক্ষকের এলিফ্যান্ট রোডের ভাড়া বাসায় চায়ের দাওয়াতপ্রত্যাশীর সংখ্যা কম নয়। তবে বছরখানেক হলো এ দৌড়ে সবাইকে টপকে এগিয়ে গেছে ফিরোজ বেগ। এগিয়ে বলতে অনেক এগিয়ে।

করাচি জয়ের পর দেশে ফেরার পরদিনই ফিরোজ বেগকে একটি চিরকুট লিখে বাসায় ডেকে পাঠায় রওশন আরা। তাতে গোটা গোটা ইংরেজি অক্ষরে যা লেখা, তার অর্থ, দাবার এই প্রতিভাকে নিজের মতো করে বরণ করার জন্য সে উন্মুখ হয়ে আছে এবং তার জন্য একটি উপহার সে প্রস্তুত করে রেখেছে। সেই উপহারটিই ফিরোজের হাতে পরা পান্নারঙা ডায়ালের টাইমেক্স ঘড়ি। তবে চিরকুট পেয়ে ফিরোজ স্বাভাবিকভাবে ধরে নিয়েছিল ‘উপহার’ কথাটা রওশন আরার কোনো দুষ্টুমিভরা ইঙ্গিত। নিজেকে ফিরোজের সামনে উজাড় করে দিতে চাওয়াই রওশন আরার অন্তর্নিহিত বার্তা।

করাচি বিজয়কে উপলক্ষ করে সেদিন বিছানায় বাড়তি উদ্যম ও তৎপরতা দেখাচ্ছিল রওশন আরা। কিন্তু মিক জ্যাগারের কারণে বিপর্যয় ঘটে। পোষা বিড়াল তার মনিবের সাহচর্য খুঁজবে, সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সে কথা বোঝার লোক এ দেশে কোথায়। রওশন আরা তখন তার তুরীয় মুহূর্তের আগের দশায় ছিল। মিক জ্যাগার লাফিয়ে বিছানায় উঠে এসেছিল। এমন নয় যে ফিরোজের মধ্যে আইলুরোফোবিয়া বা বিড়ালভীতি আছে। তবে ঘরে একটি তৃতীয় সত্তার উপস্থিতি ফিরোজ বেগকে তাৎক্ষণিকভাবে শিথিল করে দেয় এবং পরে বিড়ালকে তাড়িয়েও তার পক্ষে আর হারানো আবেগ ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি।

ঘটনাটি খুব ছোট হলেও এটা ফিরোজের জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। সামান্য বিড়ালের সূত্রে অমূলক প্রতিক্রিয়ায় রওশন আরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। ফিরোজ কিছুটা আত্মরক্ষামূলক ভঙ্গি নেয়। বিড়াল নিয়ে বচসার সূত্র ধরে রওশন আরা অচিরেই ফিরোজের মায়ের প্রসঙ্গ টেনে আনে। সে অবান্তরভাবে বলে, ‘তোমার মা সাইকো ছবির ওই হাড়গিলা বুড়ি মহিলার মতো। একদম’

রওশন আরা কী অর্থে কথাটা বলছে, বুঝতে পারলেও ফিরোজ বলে, ‘কীভাবে?’

তুমি কোনো মেয়ের দিকে একবার তাকিয়েছ কী তোমার মা ছুরি হাতে তাকে মারতে আসে।’

রওশন আরা সেদিনই প্রথম কথাটা বলেছে এমন না। ঘটনাচক্রে রওশন ও ফিরোজ একসঙ্গে সাইকো দেখেছে, মাস চারেক আগে, জনসন রোডের লায়ন সিনেমা হলে। হল থেকে বেরোনোর সময় সিঁড়িতে রওশন কিছুটা হালকা চালে বলেছিল, ‘এ তো তোমার আর তোমার মায়ের কাহিনি। একদম।’

কথাটা ফিরোজের ভালো লাগেনি। সে একাধিকবার রওশনকে মনে করিয়ে দিয়েছে ছবির বিষয়বস্তু ছেলের প্রতি মায়ের অবসেশন নয়। বরং মায়ের প্রতি ছেলের অবসেশন।

রওশন আরা প্রতিবারই ‘ওই হলো’ বলে যেভাবে উড়িয়ে দিয়েছে, ফিরোজের সন্দেহ ওই দিকেই রওশন আরার ইঙ্গিত।

রওশন আরার সঙ্গে ফিরোজের মা সালমা এহতেশাম বেগের সম্পর্ক তিক্ত বললেও কম বলা হয়। ফিরোজের মুখে রওশনের নাম শোনামাত্র প্রতিবার তিনি ‘স্লিজি হোর’ বলে ফোড়ন কাটেন। এটা রওশন কীভাবে জেনেছে, কে জানে। তাদের সম্পর্ক ভালো হওয়ার আর সুযোগ নেই।

বিড়াল-কাণ্ডের দিন মায়ের প্রসঙ্গ এলেও ফিরোজ সেটা এড়ানোর জন্য তার সম্মানে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আসন্ন সংবর্ধনা আয়োজনের প্রসঙ্গ আনে। নতুন সিনেট হলে সংবর্ধনা দেওয়া হবে। তাতে গভর্নর থাকতে পারেন। প্রসঙ্গ বদলানোয় ঝগড়ার তিক্ততা কিছুটা প্রশমিত হয়েছে বলে ফিরোজের মনে হয়। সে নিজের কর্তৃত্ব পুনঃপ্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে বলে, ‘এখানে আমার কোনো উন্নতি হচ্ছে না। কেন জানো? দাবা এখানে কালচার না। আমার কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নাই। কার সাথে খেলব?’

ঠিক তখন আকস্মিকভাবে রওশন আরা বলে, ‘তুমি আফসান চৌধুরীর নাম শুনেছ?’

রওশন আরা ওই মুহূর্তেই কেন আফসান চৌধুরীর কথা বলেছিল, নির্ণয় করা মুশকিল। সে আসলে ফিরোজের চূড়াস্পর্শী অহমকে আঘাত করার উপায় খুঁজছিল। তার উদ্দেশ্য ছিল কোনো একভাবে পরিমলের প্রসঙ্গ এনে ফিরোজকে ঈর্ষাকাতর করা।

সে হিসেবে, আফসান চৌধুরীর নাম যখন ফিরোজের কানে প্রথম ঢোকে, তখন সে পুরোপুরি নগ্ন, এক পাশে কাত হয়ে শোয়া, মাথাটা ভাঁজ করা এক হাতের তালুতে ঠেস দেওয়া। অপর হাত উপুড় হয়ে শুয়ে পা দোলাতে থাকা রওশন আরার পিঠে বিলি কাটছিল। ওই হাতেই একটু আগে রওশন আরার দেওয়া টাইমেক্স ঘড়ি। সেটার সেকেন্ডের ডায়ালের টিকটিক আওয়াজ ছাড়া কক্ষটা তখন পুরোপুরি নীরব। পুরো এলিফ্যান্ট রোড এলাকা হঠাৎ চুপ মেরে গেছে। বিদঘুটে একটা কিছু ঘটার অপেক্ষায় একটা কাকও ডাকছে না। তখন ফিরোজের ভবিতব্য লেখা হচ্ছিল।

ফিরোজ অবশ্য অন্য কিছু ভাবছিল। অমনোযোগীভাবে সে বলে, ‘শুনিনি। কে?’

‘হিস্ট্রি ডিপার্টমেন্টের।’

‘তো?’

‘দাবার তুখোড় প্রতিভা। পরিমল বলছিল, তাকে কেউ হারাতে পারে না। পরিমল নিজে তার খেলা দেখেছে।’

অল্প কিছুদিন হলো পরিমল ব্যানার্জি নামে এক তরুণ ব্যবসায়ীকে কিছুটা প্রশ্রয় দিতে শুরু করেছে রওশন আরা। পরিমল ভালো নজরুলসংগীত গায়। তার নাম শুনলে ফিরোজের চোয়াল শক্ত হয়ে ওঠে। এবারও রওশন আরার পিঠে বিলি কাটা আঙুল থেমে গেল। পুরো ঘরে তখন কেবল টাইমেক্সের সেকেন্ডের কাটাই নড়ছে।

‘পরিমল দাবার কী বোঝে?’

পরিমলের প্রসঙ্গ আনাই রওশন আরার মূল উদ্দেশ্য ছিল। সেই সূত্রে আফসান চৌধুরীর নাম এসেছে। ব্যাপার হলো, রওশন আরা তখন সালমা এহতেশাম বেগের চেহারা স্মরণ করছিল। ‘দ্যাট স্লিজি হোর’ কথাটা তার কানে বারবার প্রতিধ্বনিত হচ্ছিল কোনো কারণ ছাড়া। একটা পর্যায়ে সে ঝট করে উঠে বসে। বলে, ইউ জাস্ট গো, বিট আফসান চৌধুরী ইন আ গেম অব চেস। তারপর এসে বোলো পরিমল দাবার কী বোঝে।’

রওশন আরার এ আচরণ অস্বাভাবিক ছিল। কিন্তু এভাবেই একটা বিষাক্ত রেষারেষি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। আর এটার গোড়ায় ছিল মিক জ্যাগার নামে এক লোমশ পার্সিয়ান বিড়াল।

.

আফসান চৌধুরী আর ফিরোজ বেগ মুখোমুখি বসলেও তাঁদের আসন একই তলে নয়। ষাটোর্ধ্ব ইতিহাসের অধ্যাপক বসা নিচু সোফায়। তাঁর পেছনে দেয়াল। বিপরীতে গণিতের অপেক্ষাকৃত তরুণ অধ্যাপক বসা একটা উঁচু চেয়ারে। ছোটখাটো শরীরের আফসান চৌধুরীর বিপরীতে ফিরোজ দীর্ঘদেহী। ফলে পুরো দৃশ্যটা একটু আগের মকশো খেলারই বিপরীত সম্প্রসারণ বলে মনে হয়।

ফিরোজ প্রথম চালে রাজার সামনের বড়ে দুই ঘর এগিয়ে দেয়। অচেনা প্রতিপক্ষের সামর্থ্য সম্পর্কে ধারণা না থাকলে এটাই সবচেয়ে নিরাপদ ওপেনিং। আফসান চৌধুরীও একই চাল দেন। ফিরোজ তখন যে চালটা দেয়, তাতে বোঝা যায় সে কুইনস গ্যামবিট ওপেনিং কম্বিনেশনে গেছে। আফসান চৌধুরী সি-সিক্স চালেন।

ফিরোজ মুচকি হাসে। মৃদু স্বরে বলে, ‘স্লাভ ডিফেন্স? ইন্টারেস্টিং।’ ফিরোজ এবার আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে একের পর এক চাল দিতে থাকে। আফসান চৌধুরী রক্ষণাত্মক খেলছেন।

বোর্ডের একেবারে পাশ ঘেঁষে নিয়াজ দাঁড়ানো। দুহাত বুকের ওপর ভাঁজ করা। মাঝে মাঝে সে ফিরোজের দিকে তাকাচ্ছে। বোঝার চেষ্টা করছে দীর্ঘদেহী লোকটা কেন হুট করে এসে তার খেলাটা পণ্ড করে দিয়েছে।

ফিরোজের ক্ষিপ্র ভঙ্গির বিপরীতে আফসান চৌধুরী ধীর। ফিরোজ বসেছে ঋজু ভঙ্গিতে। তবে প্রতিটি চালের সময় তাকে ঝুঁকে আসতে হচ্ছে। আর প্রতিবার সে তাকাচ্ছে তার প্রতিপক্ষের দিকে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে চাল শেষে অভ্যাসবশত সে হাতের ডানে একটা অদৃশ্য চেস ক্লকের বাটনের দিকে হাত বাড়াচ্ছে। সেটা না পেয়ে বিব্রত ভঙ্গিতে হাত গুটিয়ে নিচ্ছে। টুর্নামেন্টে খেলে অভ্যস্ত সে।

আফসান চৌধুরী কোনো দিকে তাকাচ্ছেন না। তাঁর দৃষ্টি একটানা বোর্ডের দিকে। নিচু সোফায় আলোয়ান টেনে জবুথবু বসা লোকটিকে একটা শীতকাতর ভালুকের মতো দেখাচ্ছে। অথচ শীতের তখনো মাসখানেক দেরি। দিনের দৈর্ঘ্য কমে আসতে শুরু করলেও ক্লাবে ঢোকার সুরকিফেলা ড্রাইভওয়ের দুপাশের শিলকড়ইগাছের উঁচু ছায়াচ্ছন্ন শাখা-প্রশাখায় তখনো নীলচে কুয়াশা জমতে শুরু করেনি।

গেমটা স্পিড চেসের মতো চলে কিছুক্ষণ। তারপর ধীরে ধীরে গতি হারাতে থাকে। বোঝা যায়, ফিরোজ তার প্রতিপক্ষকে সিরিয়াসলি নিতে শুরু করেছে। গেমটা ক্রমশ জটিল হয়ে উঠছে। হাবিবুল্লাহ অনেক চালেরই পেছনের অভিপ্রায় এখন আর বুঝতে পারছেন না।

গেমের ২২ মিনিটে ফিরোজ আফসানের হাতি খেয়ে ফেলে। একটা গুঞ্জন ওঠে ঘিরে ধরা ভিড়ের মধ্যে। নিয়াজ পাশে দাঁড়ানো হাবিবুল্লাহর জামার আস্তিন খামচে ধরে।

বোর্ড থেকে হাতিটা সরাতে গিয়ে ফিরোজ থেমে যায়। আফসান চৌধুরীর দিকে তাকায়। বলে, ‘সম্ভবত ট্র্যাপটা আপনি লক্ষ করেননি। ফেরত নেবেন?’

আফসান চৌধুরী কোনো কথা বলেন না। একদৃষ্টে তাকিয়ে থাকেন বোর্ডের দিকে, যেন ফিরোজের কথাটা শুনতে পাননি।

পাঁচ চাল পরে আফসান চৌধুরী ফিরোজের ঘোড়াটা খেয়ে ফেলেন। নিস্তব্ধ কক্ষে হাততালি দিয়ে ওঠে নিয়াজ।

আফসান চৌধুরী ঘোড়াটা বোর্ড থেকে সরিয়ে নিতে গিয়ে থামেন। তাকান ফিরোজের দিকে। বলেন, ‘ফেরত?’ আফসান চৌধুরী একই ভঙ্গিতে বলেন কথাটা, যেভাবে মিনিট পনেরো আগে ফিরোজ বলেছিল। প্রায় একই ফ্রিকোয়েন্সি, একই তাল-লয়ে।

ফিরোজের ফরসা গাল যে কিছুটা রক্তিম হয়ে উঠল, তা হাবিবুল্লাহর নজর এড়ায় না।

গেমে এখন দুটি চালের মধ্যবর্তী অবকাশ বাড়ছে একটু একটু করে। দুই পক্ষই প্রতিপক্ষের নিরাপদ চৌহদ্দির ভেতরে ঢুকে পড়ছে সৈন্যসামন্ত নিয়ে। ফিরোজের মধ্যে প্রাথমিক আগ্রাসী ভঙ্গিমার বদলে এখন দৃশ্যমান অস্থিরতা। সে ঘন ঘন বসার ভঙ্গি বদল করছে। মাঝে মাঝে মুখ ও চোয়ালে হাত বোলাচ্ছে।

আড়াই ঘণ্টায় খেলা পঞ্চাশ চাল ছাড়িয়ে গেল। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামছে। হলরুমের বাতিগুলো একে একে জ্বলে উঠছে। মাগরিবের আজানের আগে আগে খেলা এন্ডগেমের দিকে এগোতে শুরু করে।

দুই দাবাড়ুকে ঘিরে ধরা ভিড় এখন আরও বেড়েছে। সন্ধ্যায় ক্লাবে আসা শিক্ষকেরা অনেকে কৌতূহলে উঁকি দিচ্ছেন। কেউ কেউ কফি বা চায়ের কাপ হাতে নিয়ে এসে দাঁড়িয়েছেন। একজনের হাতে টেনিস ব্যাট।

ফিরোজের অবিন্যস্ত চুল এখন আরও অবিন্যস্ত। সে চেয়ার ঘেঁষে দাঁড়ানো একজনকে সরে যেতে বলল রুক্ষ স্বরে।

তিন ঘণ্টা এগারো মিনিটের মাথায় আফসান চৌধুরী ঘোড়া দিয়ে চেক দিলেন। ফিরোজ অবিশ্বাস নিয়ে তাকিয়ে থাকল বোর্ডের দিকে। দেখতে নিরীহ একটা চেক। রাজার কোনো আসন্ন বিপদ বোঝা যাচ্ছে না। কিন্তু ফিরোজ জানে, সাত চাল পরে কী ঘটবে।

দূরে কোথাও একটা টেলিফোন বাজছে। বেজেই চলেছে। কেউ তুলছে না। সেটা ছাড়া কোথাও আর কোনো শব্দ নেই।

ফিরোজ তার সাদা রঙের রাজাটাকে শুইয়ে দিল বোর্ডে।

আফসান চৌধুরী ক্লান্তিতে সোফায় গা এলিয়ে দেন।

সকল অধ্যায়

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন