শোধ – ১২

শিবব্রত বর্মন

‘আপনাকে হারতে হবে, স্যার,’ ফিরোজ বলল।

বলার সময় ও সোজাসুজি তাকিয়ে ছিল আফসানের দিকে, অন্য কোথাও চোখ সরিয়ে নেয়নি। তবে আফসান জানেন, এ জন্য ওকে নিজের ওপর জোর খাটাতে হচ্ছে।

আফসান ভালো করে দেখতে পাচ্ছিলেন না ওকে। একে তো কক্ষে আলো কম, তায় ও বসেছে আলো ঢোকার একমাত্র পথটা ঘুলঘুলিটাকে আড়াল করে। তার ওপর আফসানের একটা চোখ ফুলে এমনভাবে বুজে আছে, কিছু দেখতে পাচ্ছেন না তিনি। অপর চোখ দিয়ে গতকাল থেকে ঘোলা দেখছেন। যা দেখছেন, তার অনেক কিছু, তিনি বুঝতে পারছেন, তাঁর মনের বানানো। যা শুনছেন, তারও কি সব সত্য? পাশের কক্ষ থেকে একটা বেহালার আওয়াজ পেয়েছেন আজ সকালে। আগের তিন দিন ওই কক্ষ থেকে যে আওয়াজ আসছিল, পৃথিবীতে একমাত্র বেহালার সুরের সঙ্গে তাঁর যোগ সবচেয়ে কম।

‘আমি আপনাকে এখান থেকে বের করে নিয়ে যেতে পারব, ‘ ফিরোজ বলল। বলতে গিয়ে এবার চেয়ারে বসার ভঙ্গি পরিবর্তন করল ও। তাতে এতক্ষণ আড়াল করে রাখা পেছনের আলোর উৎস একটু প্রকাশিত হলো। ঘুলঘুলি দিয়ে যে আলো আসছে, আফসান অনুমান করলেন, সেটা বিকেলের আলো। ওই মুদু আলোতেই তাঁর অপর চোখটা কুচকে গেল।

ফিরোজ আবার বলল, ‘আপনাকে হারতে হবে, স্যার। তাহলে আমি আপনাকে এখান থেকে বের করে নিয়ে যেতে পারব। আমার কানেকশন আছে।’

দুটি চেয়ারে তাঁরা এমনভাবে মুখোমুখি বসেছেন, যেন মাঝখানে একটা অদৃশ্য টেবিল রাখা। ছোট্ট নিচু টেবিল। টি-পট রাখা যায়, একটা ট্রেসহ দুটো চায়ের কাপ, চিনির বয়াম রাখা যায়, এমন একটা টেবিল কাঠের। সেই টেবিলে যেন রাখা আছে একটা অদৃশ্য দাবার বোর্ড আফসানের এ রকম মনে হলো, কারণ ফিরোজের সঙ্গে তিনি অন্য কোনোভাবে কোনো দিন বসেননি। অন্য কোনোভাবে তাঁরা মুখোমুখি হননি এর আগে।

তাঁরা দুজন দুটি কাঠের চেয়ারে বসে আছেন। আফসান বসে আছেন পেছনে হেলান দিয়ে, গা ছেড়ে, এলায়িত ভঙ্গিতে। ভাঁজ করতে পারছেন না বলে তাঁর একটা পা সামনে বাড়ানো। খালি পা। সেই পায়ের বুড়ো আঙুলে একটা মাছি বসে আছে। ওখানটায় পুঁজ জমেছে। তাঁর প্যান্টালুন কোঁচকানো। হাফ-হাতা জামা একটু আগে তাঁকে পরিয়ে দেওয়া হয়েছে, নিজে পরতে পারছিলেন না বলে। আফসানের গা থেকে একটা মৃদু গন্ধ বেরোচ্ছে। শুকিয়ে যাওয়া মলের গন্ধ। সেই গন্ধ মিশে যাচ্ছে ফিরোজের গা থেকে আসা পরিমিত পারফিউমের গন্ধের সঙ্গে। আধা ঘণ্টা ধরে দুটি বিপরীতমুখী গন্ধ পরস্পরের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করছে। ওর সঙ্গে আফসানের চিরকাল প্রতিযোগিতার সম্পর্ক।

আধা ঘণ্টা আগে ফিরোজ যখন এই কক্ষে পা রেখেছিল, ও বলেছিল, ‘এরা আপনার সঙ্গে এ রকম আচরণ করবে আমি ভাবতেও পারিনি।’

ওর কণ্ঠে আন্তরিক বিস্ময় ছিল। ও দুবার বলেছিল, ‘এ কী ধরনের নিষ্ঠুরতা! এরা কি মানুষ না!’

এ দুর্গের মতো ভবনটায় তাঁকে কবে আনা হয়েছে, আফসান ভুলে গেছেন। কীভাবে আনা হয়েছে, তা-ও এখন আর ঠিকমতো মনে করতে পারেন না তিনি। মাঝে মাঝে বিছানায় চিত হয়ে শুয়ে থেকে তাঁর মনে হয়, এখানে অনন্তকাল ধরে আছেন তিনি। এই জানালা সিলগালা করা মাঝারি আকারের কক্ষটাতেই বুঝি তাঁর জন্ম হয়েছে। এখানে একটা বিষ্ঠাগন্ধী শরীর নিয়ে তিনি বেড়ে উঠেছেন, যেমন করে ক্যাম্পাসের প্রকাণ্ড জলশিরীষ গাছগুলোয় বেড়ে ওঠে অন্ধকাররঙা অর্কিড।

তাঁকে যখন ওরা ধরে নিয়ে যেতে আসে, কেউ আভাস দেয়নি। কেউ বলেনি, নীলক্ষেতের টিচার্স কোয়ার্টার্সে যে জলপাইরঙা জিপগাড়িটা ঢুকছে আগস্টের সন্ধ্যার আগে আগে, ঢুকে কলোনির শেষ মাথায় তাঁদের চারতলা ভবনের নিচে থামছে, সেটা তাঁর জন্যই এসেছে। সিঁড়ি ভেঙে যে চার জোড়া বুটজুতা দ্রুত উঠে আসছে, কেউ বলেনি, সেগুলো এসে থামবে তাঁরই দরজার সামনে। তাঁকে যখন ওরা তুলছে বয়রাগাছের তলায় রাখা জিপগাড়িটার পেছনে, তখন বয়রা ফলের একটা আঁশটে গন্ধ এসে লেগেছিল তাঁর নাকে। জিপগাড়ির চাকায় থেঁতলা কয়েকটা বয়রা ফল দেখে গন্ধটা হয়তো তিনি কল্পনা করে নিয়েছেন। কিন্তু এই গন্ধের স্মৃতি ছাড়া ওই দিনের আর কিছুই ঠিকমতো মনে নেই তাঁর। এ বড় আশ্চর্য ব্যাপার, গাড়ির ভেতর ওরা তাঁকে যত অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছে, তাঁর সারা শরীরে যত কিলঘুষি, লাথি কষেছে, তার সবই একটা ভেষজ ফলের তীব্র গন্ধের স্মৃতির নিচে চাপা পড়ে গেছে।

‘আপনার বিরুদ্ধে এদের অভিযোগটা কী আসলে?’ ফিরোজ বলেছিল, এ কক্ষে ঢুকে আফসানের দিকে বেশ কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকার পর। আফসান টের পেয়েছিলেন, এটা কোনো জিজ্ঞাসা নয়, মন্তব্য। একধরনের অস্বস্তিমাখা মন্তব্য। কিন্তু তিনি জিজ্ঞাসা হিসেবেই নিয়েছিলেন কথাটা। বলেছিলেন, ‘ওরা বলছে, আমি নাকি আরবান গেরিলাদের আশ্রয় দিই। তাদের অস্ত্রশস্ত্র লুকিয়ে রাখি। আমার বাসা থেকে ওরা কী একটা অস্ত্রও উদ্ধার করেছে।’

এটাই ছিল তাঁর প্রথম বাক্য, ফিরোজ এ কক্ষে ঢোকার পর।

‘এর চেয়ে অদ্ভুত অভিযোগ আর কী হতে পারে?’ বলল ফিরোজ। ‘আপনার মতো একজন আত্মভোলা, তাপস লোক, যিনি বইয়ের পাতা আর দাবার বোর্ড থেকে কোনো কালে চোখ তুলে তাকাননি, তাঁর বিরুদ্ধে এ রকম ভায়োলেন্সের অভিযোগ? পুরো ইউনিভার্সিটি হাসবে,’ বলে ও একটু হাসার চেষ্টা করল। কিন্তু আফসানের অবস্থা দেখে কারও পক্ষে কটাক্ষের হাসি হাসতে পারাও কঠিন।

যেন এই অপমানজনক পরিস্থিতি থেকে, এই দুর্বিষহ যন্ত্রণা থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখতে, অপারেশন টেবিলে শুয়ে একটা পুরোনো কৌতুক মনে করার চেষ্টার মতো আফসান বলে উঠলেন, ‘দাবা খেলবা?’

ফুলে ওঠা জিবের জড়তার কারণে তাঁর প্রথমে মনে হয়েছিল

ফিরোজ শুনতে পায়নি কথাটা। কিন্তু প্রস্তাবটা এমন অপ্রস্তুত, এমন অপার্থিব যে ফিরোজ আসলে প্রথমটায় এটার কোনো অর্থই করতে পারছিল না। সে জন্য আফসান শ্রাব্যভাবে দ্বিতীয়বার বললেন, ‘খেলবা, দাবা?’

ফিরোজ বলল, ‘দাবা? এখানে?’ তাঁর কণ্ঠে এমন একটা কিছু ছিল, মনে হয়েছিল, এই নির্যাতনকক্ষের বিসদৃশতা নয়, বরং একটা দাবার বোর্ডের অনুপস্থিতির মধ্যেই যেন এ প্রস্তাবের মূল কৌতুকটি নিহিত। অভিব্যক্তির এ সূক্ষ্ম তফাতটুকু বুঝতে আফসানের কষ্ট হচ্ছিল না। হয়তো পায়ের মাছিটার দিকে তাকিয়ে ছিলেন বলে তাঁর একমাত্র অক্ষত চোখ শতসহস্ৰ যৌগিক চোখের জটিলতা ধারণ করতে পারছিল।

আফসান বললেন, ‘শেষ দিনের অসমাপ্ত খেলাটার ছবি কি তোমার মাথায় আছে?’

ফিরোজের চোখে হাসি ফুটে উঠল। এইবার দ্বিধাহীন, কটাক্ষহীন, নির্মল হাসি। বলল, ‘আছে।’

মধ্যবর্তী অদৃশ্য টেবিলে একটা অদৃশ্য দাবার বোর্ডের দিকে তাকিয়ে থেকে তাঁরা খেলতে শুরু করেন। একটা অসমাপ্ত খেলা বহুদিন পর শুরু হলো, যে খেলাটা বাধাগ্রস্ত হয়েছিল আফসানের বাসার ড্রয়িংরুমের দরজায় কলিং বেলের আওয়াজে। খেলাটা বেছে নিতে তাঁরা অনায়াসে সম্মত হতে পেরেছিলেন, কেননা লেফটেন্যান্ট শাকিল, এ অভিযানের নেতৃত্বদানকারী পাকিস্তানি সেনাসদস্য, ওই দিন লাথি কষে মেঝেতে নিয়াজের সাজানো দাবার বোর্ডটা উল্টে দেওয়ার আগমুহূর্তে খেলাটা ঠিক ‘টাই’ হয়ে ছিল। আফসান দুটি হাতি পাশাপাশি সারিতে বসাতে পেরেছিলেন বটে, কিন্তু সেটা ফিরোজের ক্যাসলিং করা রাজার নিরাপদ দুর্গে এমন কোনো হুমকি তখনো তৈরি করতে পারেনি।

আফসান বললেন, ‘নাইট এফ সেভেন।’

ফিরোজ ভুরু কুঁচকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে বলল, ‘কুইন এফ সিক্স।’ তাঁরা দুজন খেলায় এমন মগ্ন হয়ে গেলেন, যেন তেজগাঁও এমপি হোস্টেলের অস্থায়ী নির্যাতন-শিবিরে নয়, তাঁরা বসে আছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবের ছায়াঢাকা লনে, টিচার্স লাউঞ্জের ছড়ানো প্ৰশস্ত কাঠের টেবিলটায়, যার মসৃণ চকচকে পিঠে ওপরের বৈদ্যুতিক পাখার ব্লেডগুলো প্রতিফলিত হয়।

এক ঘণ্টা সতেরো মিনিটের মাথায় আফসান যখন বললেন, ‘রুক জি এইট’, ফিরোজ হার স্বীকার করল। বিধ্বস্তভাবে গা এলিয়ে দিয়ে এমনভাবে মাঝখানের শূন্য জায়গাটার দিকে তাকিয়ে থাকল, যেন একটা পরিত্যক্ত দাবার বোর্ডের দিকে তাকিয়ে আছে, যার খেয়ে ফেলা খুঁটিগুলো দুপাশে এলোমেলো দাঁড় করানো। অনেকক্ষণ এভাবে তাকিয়ে থেকে ও উঠে দাঁড়াল। চেয়ার সরিয়ে দিয়ে পায়চারি করতে থাকল সংকীর্ণ ঘরটায়। তারপর আফসানের সামনে এসে দাঁড়িয়ে বলল, ‘আপনি হারবেন না কেন? আপনাকে হারানো কেন এমন কঠিন হবে? দাবা নিয়ে আমার চেয়ে বেশি পড়াশোনা আপনি করেননি। ইন ফ্যাক্ট, কোনো পড়াশোনাই করেননি আপনি। এখনো ভালো ওপেনিং রপ্ত হয়নি আপনার। কুইনস গ্যামবিটে আপনি কালো নিয়ে নাইট এফ সিক্স চাল দেন। কী হাস্যকর। এখনো মিডগেমে আপনি এমন সব স্ট্র্যাটেজিক ভুল করেন, যেগুলো আনাড়িরা করবে। এন্ডগেমে আপনি দশ চালের বেশি হিসাব কষতে পারেন না। কিন্তু তবু আপনাকে ঘিরে কেন বিশ্ববিদ্যালয়ে মিথ তৈরি হবে? কেন বছরের পর বছর একটা অসতর্ক সিঙ্গেল গেমেও কেউ আপনাকে হারাতে পারবে না? কেন আপনার কাছে হারার হিউমিলিয়েশন আমাকে বহন করে বেড়াতেই হবে?’

আফসান তার দিকে তাকিয়ে থেকে বললেন, ‘আমি বিশপটা সি-সিক্সে কেন দিলাম, তুমি অনুমান করতে পারলা না?’

আফসানের কথা যেন শুনতে পায়নি, এমনভাবে ও বলে চলল, ‘দেশে আমার চেয়ে বড় চেস স্ট্র্যাটেজিস্ট আর নেই। ক্যাপাব্লাংকা, অ্যান্ডারসন আমি ভেজে খেয়েছি। তবু কেন আপনার দুই ঘোড়ার অ্যাটাক আমার সম্মুখসারি তছনছ করে দেবে? কেন আপনার প্রতিটি অনায়াস চাল আমার অধ্যবসায়কে বিদ্রূপ করবে?’

আফসান বললেন, ‘তুমি আমার বড়েগুলোর সজ্জাকে আন্ডারএস্টিমেট করলা কেন?’

কিন্তু যেন শুনতেই পায়নি, এমনভাবে ফিরোজ বলে চলল, ‘এরা আপনার সঙ্গে যা করেছে, সেটা অন্যায়, স্যার, আমি স্বীকার করি। আপনাকে ফাঁসানো হয়েছে। কিন্তু আমি বলছি, আমি আপনাকে উদ্ধার করতে পারি। এই নরক থেকে বের করে নিয়ে যেতে পারি আমি আপনাকে। এখান থেকে কেউ বের হতে পারে না। হাবিবুল্লাহ ও পারেননি।’

আফসান বিস্মিত হয়ে বলেন, ‘হাবিবুল্লাহ পারেনি মানে?’

ফিরোজ তাকিয়ে দেখে আফসানের পেছনে ঘরের শেষ প্রান্তে লোহার খাটটিতে বসে আছে একটা লোক। উর্দি পরা। এখান থেকে লোকটাকে ভালো করে দেখা না গেলেও ফিরোজ লোকটাকে চেনে। লোকটা আবার ফিরে আসতে শুরু করেছে।

ফিরোজ বলে, ‘হাবিবুল্লাহ আর নিতে পারেননি, স্যার। বডি বাসায় পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। গত পরশু। আমি ভেবেছিলাম, আপনি জানেন।’

আফসান শূন্য চোখে তাকিয়ে থাকেন ফিরোজের দিকে।

ফিরোজ বলে যায়, ‘আর্মিতে ওপরের লেভেলে আমার যোগাযোগ আছে। ওরা আপনাকে সসম্মানে ছেড়ে দেবে। যখন বলব, তখন। কিন্তু আপনাকে হারতে হবে। এই গন্ডগোলের মধ্যেও ইস্ট পাকিস্তান চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু হচ্ছে সামনের মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে। ঢাকা যে শান্ত আছে বিশ্ববাসীকে সেটা দেখানোর জন্য বিশেষ আসর বসাচ্ছে মার্শাল ল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। সেইখানে আপনি আমার কাছে হারবেন। আমি আর কিছু চাইব না আপনার কাছে।’

‘আমি কম্পিটিশন গেম খেলি না, ফিরোজ।’

‘খেলবেন। না হলে আমার কাছে হারবেন কী করে আপনি?’

‘যদি না খেলি?’

‘চয়েস আপনার।’

আফসান কিছুক্ষণ চেয়ারে গা এলিয়ে দিয়ে থাকেন। তারপর উঠে খুঁড়িয়ে এগিয়ে যেতে থাকেন নিজের খাটের দিকে। বলেন, ‘তুমি এখন যাও, ফিরোজ।’

‘ওকে।’

ফিরোজ তার পাশে রাখা প্যাকেটটা হাতে নেয়। প্যাকেটে আফসানের জন্য নতুন এক সেট কাপড়। সেটা নিয়ে সে বেরিয়ে যেতে উদ্যত হয়। দরজার কাছে গিয়ে আবার ফিরে আসে। ‘একটা কথা বলতে ভুলে গেছি, স্যার। মিরার ব্যাপারে কিছু ইনফরমেশন এসেছে এখানকার সেনা কো-অর্ডিনেটরের কাছে। ওর কিছু অ্যাসোসিয়েশন সাসপিশাস।’

আফসান বিছানার দিকে এগোচ্ছিলেন। দাঁড়িয়ে যান।

ঘুরে তাকিয়ে থাকেন ফিরোজের দিকে।

সকল অধ্যায়

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন