রানা! সাবধান!! – ৩

কাজী আনোয়ার হোসেন

তিন

‘এই যে দেখুন আপনার পাইলট।’ একটা লাসের ওপর থেকে সাদা কাপড় সরিয়ে দেখাল রানাকে মেজর টিং ফং। ‘আর এ’দুটো হচ্ছে আপনার গার্ড। দেখবেন?’

‘দরকার নেই। আপনি যখন বলছেন, তখন নিশ্চয়ই আছে।’

‘বেশ তাহলে চলুন খাওয়া-দাওয়াটা সেরে নিই।’ বেরিয়ে এল ওরা ঠাণ্ডা ঘরটা থেকে। ডাইনিং রূমের দিকে চলতে চলতে টিং ফং বলল, ‘এদের ইউনিফরম পরিয়ে প্লেনের মধ্যে জায়গা মত বসিয়ে দেয়া হবে ততক্ষণে। হাতে আর বেশি সময় নেই।

‘প্লেনের মধ্যে যে বোমাটা ফাটাব, তাতে মড়াগুলো পুড়বে তো ঠিকমত?’ জিজ্ঞেস করল রানা। ‘ধরা পড়ে যাব না তো আবার?’

‘না। অবশ্য ফরেনসিক টেস্ট করলে ধরা পড়ার সম্ভাবনা আছে, কিন্তু আসলে ওরা অতসব টেস্টের মধ্যে যাবেই না। আপনার গল্প অবিশ্বাস করবার কোনও কারণই নেই ওদের। আপনাকে যে ধরা হয়েছে এবং পাকিস্ত ানে পাঠানো হচ্ছে কোর্ট মার্শালের জন্যে, এ খবরটা কৌশলে জানানো হয়েছে ওদেরকে। ওরা বুঝবে আপনি গার্ডগুলোকে কাবু করে পাইলটকে আক্রমণ করে বসেছিলেন, ফলে ক্র্যাশ করেছে প্লেনটা, আপনি কপাল জোরে বেঁচে গেছেন, আর সবকিছু ভস্ম হয়ে গেছে।’

খেতে খেতে প্রশ্ন করল টিং ফং গতরাতে ফাইল পড়ে সব কথা রানা মনে রাখতে পেরেছে কিনা পরীক্ষা করবার জন্যে।

‘সুহর্ষ নাগ দেখতে কেমন?’

‘কালো-মোটা-বেঁটে-কানা,’ জবাব দিল রানা। ‘বাম গালে আঁচিল আছে।’

‘পিকিং সামরিক ঘাঁটির ছবি তোলার জন্যে আপনাকে কী ক্যামেরা দেয়া হয়েছিল ভারতীয় এজেণ্ট মারফত?’

‘এম থ্রি লাইকা, সেইসাথে একটা এম সি এক্সপোজার মিটার, কে টু ফিল্টার এবং একটা ফ্ল্যাশ গান।’

‘টোকিয়োতে গত মাসে যে মাইক্রো ফিল্ম ওদের এজেন্টের হাতে তুলে দিয়েছিলেন তাতে কি ছিল?’

‘একশোটা পাকিস্তানী এবং চীনা এজেন্টের নাম, ঠিকানা, চেহারার বর্ণনা। এবং ঢাকার ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টের কয়েকটা গোপন নক্সা।’

‘চমৎকার। এবার বলুন দেখি, কিভাবে হত্যা করেছিলেন আপনি ভারতীয় মহিলা এজেন্টকে জেনেভায়? মেয়েটির হাতে কি ঘড়ি ছিল?’

‘জিলেট ব্লেড দিয়ে এক পোচে গলার অর্ধেকটা নামিয়ে দিয়েছিলাম। হাতে ছিল রোলেক্স কোম্পানীর একটা গোল ঘড়ি- নাম জেনেক্স।

‘এইবার আপনাকে একটু কষ্ট দেব।’ খাওয়া শেষ হতেই উঠে দাঁড়াল মেজর টিং ফং। ‘যেহেতু আপনি ধরা পড়েছেন আমাদের হাতে, তাই ওরা স্বভাবতই আশা করবে খুব মনোরম ভাবে কাটেনি আপনার সময়। অল্প বিস্ত র নির্যাতনের চিহ্ন থাকা দরকার আপনার শরীরে, বুঝতে পারছেন? রুটিন ওয়ার্ক।

‘পারছি। এখানেই করবেন, না অন্য কোথাও?’

‘এখানেই। চেয়ার টেবিল থেকে একটু সরে আসুন। অনর্থক ওগুলো ভাঙার কোন মানে হয় না।

শার্ট খুলে ফেলল রানা। হাতে একটা রুমাল জড়িয়ে নিল টিং ফং। তারপর দমাদম মেরে চলল রানাকে আর্টিস্টিক কায়দায়। বুকে পিঠে গলায় গালে চোয়ালে ঊরুতে চাপ চাপ রক্ত জমে গেল আধ মিনিটের মধ্যেই। সবশেষে হালকা একটা ঘুসি মারল সে রানার বাম চোখ লক্ষ্য করে। আধঘণ্টার মধ্যে কালশিরে পড়ে অর্ধেক বুজে যাবে চোখটা।

‘ব্যস, এতেই হবে,’ সন্তুষ্টচিত্তে বলল টিং ফং। ‘দেখে মনে হচ্ছে তিন ঘণ্টা নির্যাতন করা হয়েছে আপনাকে। আসুন, এবার শার্টটা গায়ে দিয়ে নিন।

প্রচণ্ড মারের চোটে মাথা ঘুরছে রানার। টলতে টলতে উঠে দাঁড়াল। কাপড় পরতে সাহায্য করল ওকে টিং ফুং। তারপর দুটো ব্রেসলেটের মত ধাতুর জিনিস কব্জিতে পরিয়ে স্ক্রু এঁটে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ক্ষতচিহ্ন সৃষ্টি করল দুই হাতে। দাঁতে দাঁত চেপে ব্যথা সহ্য করল রানা।

এবার হাসিমুখে সোজা হয়ে দাঁড়াল টিং ফং রানার সামনে। বলল, ‘আপনার দেহের ওপর এই নির্যাতন করতে হলো বলে আমি দুঃখিত। মারবেন আমাকে? আমাকে পাল্টা দু’এক ঘা দিতে পারলে হয়তো আপনার ক্ষোভ কিছু কমতে পারে।’

‘না, না। কি যে বলেন। আপনার ওপর আমার ক্ষোভ হবে কেন? আপনার ডিউটি আপনি করেছেন,’ বলল রানা মৃদু হেসে।

‘ধন্যবাদ। আপনি ঠিক বুঝতে…’ ছিটকে পড়ে গেল টিং ফং মাটিতে চোয়ালের উপর রানার হাতের প্রচণ্ড এক ঘুসি খেয়ে।

উঠে দাঁড়াতে সাহায্য করল রানা টিং ফং-কে। বলল, ‘হঠাৎ মনে পড়ল যে ওরা আশা করবে প্লেনের মধ্যে রীতিমত মারামারি করতে হয়েছে আমাকে। কাজেই একটা ঘুসি মারার চিহ্ন অন্তত আমার হাতে থাকা দরকার।

‘শোধবোধ,’ বলল টিং ফং চেষ্টাকৃত হাসি ঠোঁটে টেনে। চোয়াল ডলছে।

.

পুরানো মডেলের একটা ফোর সিটার সিঙ্গল্-এঞ্জিন এয়ারক্রাফট। পড়ন্ত রোদে লম্বা ছায়া ফেলেছে ঘাসের ওপর। পিছনের সীটে চীনা সামরিক ইউনিফরম পরে বসে আছে দুটো মড়া, কোমরের বেল্টে রিভলভার, কোলের ওপর স্টেনগান রাখা। তৃতীয় জন হেলমেট মাথায় বসে আছে পাইলটের পাশের সীটে।

বাহ্, চমৎকার সহযাত্রী নিয়ে চলেছে এবার রানা! মৃদু হাসি ফুটে উঠল ওর ঠোঁটে।

‘এরা সব মারা গেছে কিসে?’ জিজ্ঞেস করল সে সীট বেল্ট বাঁধতে বাঁধতে।

‘একজন মরেছে হার্টফেল করে, একজন করেছে সুইসাইড, আরেকজন খুব সম্ভব লাং ক্যান্সারের রোগী ছিল, ́ বলল মেজর টিং ফং।

‘সহযাত্রীদের পরিচয় জেনে রাখা ভাল। যাক্, চলি,’ হাত বাড়াল রানা। ‘অনেক কষ্ট দিয়েছি আপনাদের, বেঁচে থাকলে দেখা হবে আবার।

‘আসুন।’ হ্যাণ্ডশেক করে দরজা বন্ধ করে দিল টিং ফং।

এঞ্জিনটা খানিকক্ষণ স্টার্ট দিয়ে রেখে গরম করে নিল রানা। সেই ফাঁকে কক্‌পিট চেক করে নিল। স্টিক টু দা লেফট, লেফট এলেরন আপ, অ্যাণ্ড রাইট ওয়ান ডাউন। স্টিক টু দা রাইট, রাইট এলেরন আপ, লেফট ডাউন। স্টিক ব্যাক, এলিভেটার্স আপ। স্টিক ফরওয়ার্ড, এলিভেটার্স ডাউন। রাডার রাইট, রাডার লেফট্। সুইচেস অন। ফুয়েল সিস্টেম চেক। ইসট্রুমেন্ট চেক। দেন রেডিও।’ মুখস্থ করা গত বাঁধা নিয়মে চেক করে চলল রানা।

অয়েল প্রেশার আপ। লো স্পীডে ম্যাগনেটো চেক করল রানা। তারপর স্টিকটা পিছনে রেখে থ্রটল খুলে দিল। ফুল থ্রটলে রেভ কাউন্টার চেক করল। হাই স্পীডে আরেকবার ম্যাগনেটো চেক করে থ্রটল বন্ধ করল। এইবার ব্রেক ছেড়ে দিয়ে ধীরে ধীরে এগোল সে সামনের দিকে।

থ্রটল ওপেন করে আস্তে স্টিক ফরওয়ার্ড করল রানা। বেশ খানিকটা দৌড়ে গিয়েই মাটি ছেড়ে উঠে গেল উড়োজাহাজ, শূন্যে। ক্রমে গাছপালাগুলো ছোট হয়ে এল। আরও খানিকটা উপরে উঠে সোজা পশ্চিমে এগোল সে। সাড়ে তিনশো মাইল। পুরো আড়াই ঘণ্টার পথ। গত দু’দিনের ঘটনাগুলো মনে মনে উল্টে-পাল্টেই সময় কাটানো স্থির করল রানা। সহযাত্রীদের দিকে ঘাড় ফিরিয়ে দেখল একবার। মাথাগুলো সামনের দিকে ঝুলে পড়েছে, বসে আছে তারা আড়ষ্ট ভঙ্গিতে। মৃদু হাসল রানা। তারপর ডুবে গেল গভীর চিন্তায়।

ইম্ফল কোন গোলমাল করল না। কয়েকবার ব্লিপ ব্লিপ রাডার সিগন্যাল পাওয়া গেল দুর্বল ভাবে। রানা আশা করেছিল এয়ার ফোর্সের জেট আসবে তেড়ে। কিন্তু এল না। আসাম ডিঙিয়ে পাকিস্তানে ঢুকল রানা আবার। চিটাগাংকে কল সাইন দিতেই চুপ হয়ে গেল সঙ্গে সঙ্গে। এবার সাবধানে এগোল রানা। কোর্স চেক করল। আগরতলার মনোযোগ আকর্ষণের জন্যে উঠে গেল অনেক ওপরে। কুমিল্লা পেরিয়েই পাগলামি আরম্ভ করল প্লেনটা।

নাকটা একটু দাবিয়ে কাৎ হয়ে ফুলস্পীডে নিচে নামতে নামতে বর্ডার ক্রস করল রানা। চষা খেত আর গাছপালা দ্রুতবেগে এগিয়ে আসতে থাকল রানার দিকে। পঞ্চাশ গজ থাকতেই সোজা হয়ে গেল প্লেনটা, তারপর আবার উঠতে আরম্ভ করল আগরতলার দিকে এগোতে এগোতে। একরাশ প্রশ্ন এসে পৌঁছল এয়ারফোনের মাধ্যমে। মৃদু হেসে সুইচ অফ করে দিল রানা। সোনামুরা, বিশালগড়, টাকারজালা পেরিয়ে এল প্লেনটা। উল্টে-পাল্টে, কাৎ হয়ে, সোজা হয়ে ডাইনে বাঁয়ে ওপরে নিচে এমন ভাবে চালাল প্লেন যে মনে হচ্ছে ভয়ঙ্কর এক জীবন-মরণ যুদ্ধ চলেছে প্লেনের ভিতর।

হঠাৎ চমকে উঠল রানা। দুটো মিগ টোয়েনটি ওয়ান উঠে এসেছে আগরতলা এয়ারপোর্ট থেকে এই প্লেন থেকে তাদের প্রশ্নের কোন উত্তর না পেয়ে। থ্রটল্ বন্ধ করে ফুল লেফট রাডার দিল রানা- সেই সঙ্গে পিছনে ধরে রাখল স্টিক। পাক খেতে আরম্ভ করল উড়োজাহাজ। এবার ফুল রাইট রাডার দিয়ে ধীরে ধীরে সামনে বাড়াল স্টিকটা। অনেকখানি নেমে এসেছিল প্লেনটা এবার আবার ওপরে উঠতে আরম্ভ করল বিচিত্র আঁকাবাঁকা ভঙ্গিতে। যেন মারামারি চলছে এখনও।

পিছন ফিরে দেখল রানা মিগ দুটো তেমনি আসছে পিছন থেকে। ক্র্যাশ এরিয়ায় পৌঁছে গেছে রানা। গঙ্গাসর আর আগরতলার মাঝামাঝি জায়গায় বর্ডারের কাছে ঘটাতে হবে অ্যাকসিডেন্ট। গার্ডদের ব্যারাকের কাছে। ডাইভ দিল রানা। পাওয়ার কেটে দিয়ে স্টলিং স্পীডে নিয়ে এল প্লেনটা। আবছা অন্ধকার হয়ে এসেছে, রানার হাত ঘড়িতে বাজছে সাড়ে ছয়টা। এই অবস্থায় ক্র্যাশ ল্যাণ্ড করা সহজ কথা নয়।

ব্যারাক ছেড়ে হুড়মুড় করে বেরিয়ে পড়ল কয়েকজন সীমান্ত রক্ষী- দু’জনের হাতে রাইফেল। চীনা প্লেন দেখে বিনা দ্বিধায় গুলি করল ওরা। কেবিন স্ক্রীন চুর হয়ে গেল। বাতাসের বেগে কিছু দেখতে পাচ্ছে না রানা আর। ঠাস করে চড় পড়ল ওর গালে। না তাকিয়েও বুঝতে পারল রানা, ক্যান্সার রোগীর চড়। ঝাঁকাঝাঁকিতে আল্‌ল্গা হয়ে ঝুলছে ওর হাতটা কিছুক্ষণ থেকে। ক্র্যাশ-ল্যাণ্ড আর করতে হলো না, ব্যারাকের একটা থামের সাথে পাখাটা ধাক্কা খেয়ে পঞ্চাশ গজের মধ্যে আপনা-আপনি ল্যাণ্ডিং হয়ে গেল। ধাক্কার চোটে প্লেনের বডি দুমড়ে গিয়ে দরজা খুলে গেল ঝটাং করে।

পরমুহূর্তে ছিটকে দশহাত দূরে গিয়ে পড়ল রানা প্লেন থেকে বেরিয়ে। ডান পায়ে তীব্র একটা ব্যথা অনুভব করল, তারপর চষা খেতের উপরে কয়েকটা ডিগবাজি খেয়ে একটা ডোবার নরম কাদায় পড়ল সে মুখ থুবড়ে। লোকজনের চিৎকার আর সাইরেনের শব্দ শুনতে পেল সে।

উঠে বসবার চেষ্টা করল রানা। সারা গায়ে অসহ্য ব্যথা, কয়েক জায়গায় কেটে গিয়ে রক্ত গড়াচ্ছে। চারদিকে চেয়েই চমকে উঠল সে। সাইরেন দিতে দিতে এগিয়ে আসছে দুটো পুলিসের গাড়ি, সীমান্ত রক্ষীরাও এগিয়ে আসছে প্লেনের ধ্বংসাবশেষের দিকে। এক্ষুণি প্লেনের কাছে যাওয়া দরকার। কেবিনটা আস্ত রয়েছে। কোনও মতে ওদের আগে ওখানে পৌঁছে ডিটোনেটর লিভারটা না টানতে পারলে সব আয়োজন শেষ হয়ে যাবে।

উঠে দাঁড়াবার চেষ্টা করল রানা। কিন্তু পারল না। ডান পা-টা মাটিতে ছোঁয়ানো যাচ্ছে না। হয় ভেঙে গেছে, নয়তো ভীষণভাবে মচকেছে কব্জিটা। তাড়াহুড়োর মধ্যে চিন্তা করবার চেষ্টা করল রানা, মূল প্ল্যানটা ঠিক রেখে অন্যরকম কোন গল্প বানিয়ে বলা সম্ভব কিনা। কিছুই এল না মাথায়। মাথা খারাপ হয়ে গেল ওর। যে করেই হোক প্লেনের কাছে পৌঁছতে হবে ওকে।

হামাগুড়ি দিয়ে এগোতে আরম্ভ করল রানা। দ্রুত এগিয়ে আসছে গার্ডগুলো। পঁচিশ গজ দূরে একটা কাঁটাতারের বেড়া টপকাচ্ছে ওরা এখন। পাগলের মত মাটি খামচে ধরে বাম পায়ের ধাক্কায় এগোল রানা।

শেষের কয়েক হাত দাঁতে দাঁত চেপে উঠে দাঁড়িয়ে এক পায়ে লাফিয়ে চলল রানা। পড়ে গেল এবড়োখেবড়ো চষা খেতের ওপর টাল সামলাতে না পেরে। আবার এগোল হামাগুড়ি দিয়ে। কোনও মতে আছড়ে-পাছড়ে আবার উঠে দাঁড়াল সে। কেবিনের খোলা দরজা দিয়ে চেয়ে দেখল সোজা ওর চোখের দিকে চেয়ে আছে হার্টফেলের মড়াটা। ড্রাইভিং সীটের নিচেই লিভার- হাত বাড়িয়ে টেনে দিল সে ওটাকে।

শক্তিশালী দু’জন গার্ড পিছন থেকে ধরল রানার দুই হাত।

‘পালাও!’ চিৎকার করে উঠল রানা। ‘এক্ষুণি বার্স্ট করবে। আগুন ধরে গেছে পেট্রলে!’

টেনে নিয়ে গেল ওরা রানাকে নিরাপদ দূরত্বে। যারা এগোচ্ছিল তাদের নিষেধ করল আর সামনে বাড়তে। কেবিনের দরজা দিয়ে ভিতরে আগুন দেখা গেল।

‘শুয়ে পড়ো! শুয়ে পড়ো সবাই!’ আবার বলল রানা

রানাকে ধরে থাকা অবস্থাতেই শুয়ে পড়ল সামনের দু’জন। দুই সেকেণ্ড পরই প্রচণ্ড বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে উঠল রানা। দাউ দাউ করে জ্বলে উঠল আগুন।

পরম নিশ্চিন্তে দীর্ঘশ্বাস ছাড়ল রানা। তিনটে মৃতদেহের হাড় ক’খানা পাবে ওরা কেবল।

সকল অধ্যায়

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন