বিষাক্ত মদ – পরেশ সরকার

ইমদাদুল হক মিলন

বিষাক্ত মদ – পরেশ সরকার

এই পূজা পার্বণের দিনে আবার সাত সকালে মদ গিলে এয়েচো। লজ্জা করে না। এমন ভাতারের মুখে ছাই। বলি কোন লজ্জায় মুখ দেখাও। কথাটা রাগে গজরাতে গজাতে চিৎকার করে বলেছিল সুষমা।

—খোঁচা খাওয়া বাঘের মতো হুঙ্কার দিয়ে উঠল শ্রীকান্ত নস্কর। সেই বা কম কিসে। দস্তুর মতো হপ্তা প্রায় সাতশ আটশ টাকা, সুতাকল থেকে। তুই মেয়েমানুষ, মেয়েমানুষের মতো থাকবি। বেশী ফ্যাচ ফ্যাচ করবিনা তো। আমি কি তোর বাপের টাকায় মদ গিলি। পয়সা উপায় করে খাই। আমাকে বেশি ঘাঁটাবি না বলে দিচ্ছি। মদের তুলনা দিবি না খবরদার।

বলতে আমার বয়েই গেছে? তুই মরবি অকালে। আমার আর কি? ছেলে পুলে নিয়ে পথে বসবো। তোর ছেলেমেয়েরা ভিগ মেগে খাবে। পরের বাড়িতে খুদকুড়ো ভেঙে খাবো। কথা শোনার লোক হলে তো শুনবে। সবই তো আমার কপাল গো। নাহলে এমন মোদোমাতাল ভাতার কারোর কপালে জোটে? বলেই ডুকরে ডুকরে কাঁদতে লাগলো সুষমা।

ছেলেমেয়েরাও বড় হয়েছে। দুটি ছেলে একটি মেয়ে। মেয়েই বড়, ক্লাস নাইনে পড়ে। বাবামায়ের এই কদর্য ঝগড়া দেখে, বিষিয়ে উঠেছে তাদের মন। পরের দুটি ভাই একটি সেভেনে, অন্যটি ফাইভে পড়ে। বাবার এই পুজোর দিনে এভাবে মদ খেয়ে মাতলামি করা, তাদেরও ভাল লাগে না। সূতোকলের কাজ। কখনও ডে ডিউটি কখনও নাইট ডিউটি। আর নাইট ডিউটি হলেই শ্রীকান্ত সকালে বাড়ি ফিরবে টলতে টলতে। তখন বাড়ির সবাই বুঝে ফেলে, বাবা তাদের তৈরি হয়েই এসেছে। ছেলেমেয়েরা চুপচাপ ভয়ে জড়ো হয়ে থাকে। তারা জানে ঈশান কোণে মেঘ জমলে যেন ঝসৃষ্টি হয়, ঠিক তেমনি বাবা মদ খেয়ে ঘরে ঢুকলে মা ঝগড়া করবেই। আর সেই ঝোড়ো ঝগড়া দক্ষযজ্ঞও বাধিয়ে দিতে পারে। আর এসব ভয়াবহ বাবা মায়ের কাণ্ডকারখানা দেখে ছেলেমেয়েরাও বিগড়ে যেতে বসেছে। অথচ সেদিকে বাবা মায়ের খেয়াল নেই। পাড়ায় বাড়িটির নাম হয়ে গেছে, ঝগড়াটে বাড়ি। বড় মেয়ে লীলা পাড়ায় মুখ দেখাতে পারেনা, লজ্জায়। তাকে দেখলেই তার স্কুলের বন্ধুরা জিজ্ঞেস করে, কিরে, কি নিয়ে তোদের বাড়ি ঝগড়া হচ্ছিল। বাবা মায়ের মধ্যে তো দিনরাত ঝগড়া হয়, তোদের বাড়িতে। তোরা থামাতে পারিস না।

ছেলেমেয়েরা ঝগড়া করলে বাবামায়েরা বকে। ভাইবোনের মধ্যে মারামারি। করলে, বাবামারা মারধোর করে। কিন্তু বাবামায়ের মধ্যে ঝগড়া রাগারাগি হলে, কে তাদের বকবেন। বকার যে কেউ থাকে না। তখন ছেলে আর মেয়েরা দিশেহারা। ছোট ভাই দিদিকে বলল, মা, বাবার ওপর খুব রেগে গেছেরে বড়দি। বড়দি লীলা তাকে বলল, ছোটো চুপ কর। মা রেগে আছে। তোর পিঠেই ভাদ্দরে তাল ফেলবে। ভ্যাবাচেকা খাওয়া ছেলেমেয়েরা একেবারে কেঁচো হয়ে গিয়েছিল। মায়ের অশ্রাব্য গালাগাল শুনে—আর সুষমা তার দজ্জাল গলায় তখনও সমানে গালি দিয়ে যাচ্ছে, শ্রীকান্তকে শুনিয়ে শুনিয়ে। মদ্দ মানুষ হয়েছে গো। হপ্তা পাওয়া টাকার অর্ধেকটা মদ গিলে শেষ করে এসে আমাকে কিছু টাকা ছুঁড়ে দিল। তুমি শালা সংসার সামলাও, চোদ্দগুষ্ঠির পিণ্ডির যোগাড় আর আমি করতে পারবো না, বলে দিলাম। বাবু আমার নবাবপুর। বন্ধু বান্ধবদের মদ গিলিয়ে টাকা সাবাড় করে দিচ্ছে। আমি কি এ সংসারের ঝি চাকর নাকি? রইল তোর সংসার পড়ে, যেদিকে দুচোখ যাবে চলে যাবো। এ সংসারের মুখে নুড়ো জ্বেলে দিই।

আবার কানের কাছে চেল্লাচ্ছ। নাইট ডিউটি সেরে এসে দজ্জাল বউয়ের মুখ ঝাঁপটা খাওয়ার বান্দা এ শর্মা নয়, জেনে রাখো। পোয় থাকো, না হলে কেটে পড়ো। মেয়েমানুষের মোড়লি শোনার মদ্দমানুষ আমি নই, জেনে রাখো।

—কি আমার মন্দ মানুষরে। ভাত দেবার ভাতার নয়, ঠোনা মারার গোঁসাই। কটা টাকা তো দাও ঘ টাকা ফুকিয়ে দিয়ে। কি করে যে সংসার আমি টেনে কষে চালাই, তা ওই জগদিশ্বরই জানেন। মিনসের আমার কথা শোনো। কথা শুনলে গা পিত্তি জ্বলে যায়। অমন সোয়ামীর মুখে নুড়ো জ্বেলে দিই আমি। ভিক্ষে করে খাবো লোকের দরজায় গিয়ে গিয়ে। তবু তোর মত ভাতার আমার দরকার নেই। এর চেয়ে বেধবা থাকা ঢের ভালো।

–আবার সেই গালাগাল পাড়ছে। দ্যাখো বাড়াবাড়ি আর আমি সহ্য করবো না। মুখে রক্ত ভোলা পয়সায় তোমাদের মতো হাতি আর আমি পুষতে পারবো না, পিরবো না। সূতো কলের কাজ রাত জেগে করে এসে দজ্জাল মাগির কথা শুনতে আমি আর পারবো না, সাফ বলে দিচ্ছি। আমার এখন ঘুম পেয়েছে ঘুমাবো। কানের ধারে গজগজ করেছ কি ঠেঙিয়ে বিষ ঝাড়িয়ে দেবো। একবার চিৎকার করে দ্যা বুঝবি ঠ্যালা।

সুষমা গুম হয়ে গেল। ঘুমোত চাইছে বলেই আর কোন উচ্চবাক্য করল না। সুষমা জানে নেশার ঘোরে রাগ চড়ে গেলে, অনেক সময় মারাত্মক কাণ্ড করে ফ্যালে। এটা ওটা ভেঙে বাড়ি জিনিসপত্র তছনছ করে দিতে পারে। এতক্ষণ যে বাড়িতে দাঙ্গা চলছিল বোঝবার জো টি নেই। সুষমা রাগে গুম হয়ে বসেছিল দাবার কোণে। বড়মেয়ে লীলা গিয়ে রান্নাবান্নার কাজ শুরু করে দিল। নাহলে বাড়িতে অরন্ধন হয়ে যাবে। আর ভাতের হাঁড়ি চড়বে না উনুনে। বাড়িতে বাবা মায়ের ঝগড়া কি ভয়ঙ্কর অবস্থায় গিয়ে দাঁড়ায় তা তাদের জানা। সারা বাড়ির সবাইয়ের উপোস অবস্থা থেকে বাঁচানোর একমাত্র অবলম্বন তখন বড় মেয়ে লীলা। তারপর সাধাসাধি করে বাবামাকে, তাকেই খাওয়াতে হয়। ঝোড়ো ঝগড়ার মধ্যে তিন ভাইবোনে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে।

.

২.

মদের খোঁজে কাউকেই আর যেতে হয় না হাটে বাজারে। প্রতিটি গ্রামেই গড়ে উঠেছে মদের ভাটিখানা, নয়তো মদের বেওয়ারিশ দোকান। মদের সঙ্গে পাওয়া যায় মদের চাটও। এ যেন গাঁয়ের এখন কুটিরশিল্প। এই ভাটিখানা কুটির শিল্প প্রতিদিন শতশত নিত্যনতুন মাতাল সৃষ্টি করছে। এই গাঁয়ের মধ্যেই সাত আটটি ভাটিখানা। শনিবার হপ্তা, ছুটির দিন শ্রীকারে। ঝগড়াঝাটির জন্যে বেশ কয়েকমাস মদ খায়নি হপ্তার দিনে। আর মাতলামি করতে করতে বাড়িও ফেরে না। স্বামী স্ত্রীতে বনিবনা নেই তাদের। ডিভোর্স হয়নি সুষমা, শ্রীকান্তের মধ্যে। তবে রাতের বিছানা আলাদা হয়ে গেছে। স্বামী স্ত্রীর মধ্যে কথাবার্তাও তেমন হয় না। বড় মেয়ে লীলার মাধ্যমে এখন হপ্তার টাকা লেনদেন হয়। ঝগড়া এখন চিরস্থায়ী বিবাদে রূপ নিয়েছে। আবার শ্ৰীকার মদ খাওয়ার মাত্রাও বেড়ে গেছে। আগে তবু ঝগড়া রাগারাগি করতে সুষমা। এখন তাও করে না, কে কি করছে, স্বামী স্ত্রীর সে সব কোন খোঁজ খবরও কেউ রাখে না। বড় মেয়ে লীলা একদিন রেগে গিয়ে মাকে বলেও ফেলে ছিল, মা তোমার রাগ কমাও। বাবা না হয় মদ খায়, সপ্তায় দু-একদিন, নাইট ডিউটির সময় তা বলে তুমি তার সঙ্গে রাতদিন খিটখিট করো কেন? তুমিও রেগে গিয়ে বাবাকে যা তা ভাষায় গালাগাল দাও। সেটাও তো অন্যায় মা। আর এভাবে তোমাদের ঝগড়াঝাটি শুনতে ভাল লাগে না। তোমরা এর চেয়ে কাটান ছিঁড়েন করে নাও তোমরা ডিভোর্স করে নিলে, দরকার হলে বাবুর বাড়িতে খেটে খাবো। তোমাদের এই ঝগড়াঝাটি আর আমাদের একদম সহ্য হয় না।

কথাটা শুনে কেউটে সাপের মতো ফোঁস করে উঠেছিল সুষমা বলি ও বাবা সোহাগী মাগী, বারে কোনো দোষ দেখতে পাস না বাপের পক্ষ নেওয়া। কোথায় বাই মিলে বাপের সঙ্গে ঝগড়া করবে, না আমাকে জ্ঞান দেওয়া হচ্ছে। এবারে বোঝাব মজা। রস্বতী পুজোটা কেটে গেলেই চলে যাবো বাবুর বাড়িতে। যেখানে হাত নাড়বো সেখানেই ভাত পাবো। একটা লোকের পেটের ভাত আমার জুটে যাবে। মরবি তোরা। ভোরাতো আমার পেটের ছেলেমেয়ে না। তখন বুঝবি ওই মোদো মাতাল, লম্পট বাবা তোদের কতো দ্যাখে।

.

৩.

কয়েকমাসের মধ্যে সুষমার সংসার ওলট পালট হয়ে গিয়েছিল। সুষমা যতোই অপমান আর অবহেলা করছে শ্রীকান্তকে, শ্রীকান্ত ততোই বেপরোয়া হয়ে উঠেছিলেন। মদ দিনরাত্রি খেয়ে খেয়ে শরীরকে অস্থিচর্মসার করে ফেলেছিলেন। ও মদ খাওয়ার ক্ষ্যাপামি তার কমেনি। সংসারের হেপা আর হেঁসেল ঠেলতে গিয়ে মেয়েটার পড়াশুনাও লাটে উঠে গিয়েছিল। স্বামী স্ত্রীর কলহ দাবানলের আগুনে পুরো সংসারটাই জ্বলছিল। মন মেজাজ যেটুকু ছিল তাও বিগড়ে গিয়েছিল শ্রীকান্ত। রাগে কাপছিল আর বলছিল শ্রীকান্ত, শালা সংসারের নিকুচি করছে। সংসারের কথা ভেবে ভেবে হাড়ে আমার ঘুন ধরে গেছে। সুও মাগীর মন পাইনি। ভাটিখানার বসে আপনমনে বকে যাচ্ছিল শ্রীকান্ত। মদওলি কানা বাগদির বউ বলছিল, কিগো ঠাকুরপো, কি হলো তোমার। সন্ধ্যে তো হয়ে এল। বাড়ি যাবে নে। আর মদ তুমি খেয়োনি বাবু। নেশাটা বড্ড চড়ে গেছে। তুমি তো মদ খেলে আমার পয়সা হবে। এবার খেলে দম ছুটে মরে যাবে। এতো আর জল দেওয়া মদ গো নয়। মদ জ্বাল দিচ্ছি গরম গরম তোমাকে দিয়েছি। দুবোতল তো সাবাড় করেচো। আর একথালা নিহেড়ে মাছের ঝোল। যাও এবার বাড়ি চলে যাও। একা একা বাড়ি যেতে পারবে তো গা ঠাকুরপো? হেই দ্যাখো মাটিতে শুয়ে গেলে। ওরে খোকা তোর কাকাকে খেজুরের চেটাই এনে, বিইছে দে। বালিশটা এনে দে। এখন লেশার ঝেকে একটু ঘুইমে নিক, তোর কাকা।

শ্রীকান্তর শরীরটা তেমন আর নড়াচড়া করছিল না। নেশায় চুর। চোখ মুখের ঘোরও অন্যরকম হয়ে গিয়েছিল। বেঘোরে ঘুমোচ্ছিল। কানা বাগদির বউ অনেক টানাটানি করে তার শরীরের খানিকটা অংশ চেটাইয়ে রাখতে পারলো। মাথায় তেলচিটে পাতলা শক্ত বালিশটা থান হঁটের মতো কোনো রকমে ঢুকিয়ে দিল। কিন্তু শ্রীকান্ত ঠাকুরপোর ঘুম, সে আর ভাঙাতে পারল না রাত পর্যন্ত। তখন সত্যিই ভয় পেল। বাড়ির লোক বলতে সুষমা আর লীলা খবর পেয়েই ছুটলো কানা বাগদির ভাটিখানায়।

শ্রীকান্তর বডি কেমন যেন ঠাণ্ডা হয়ে গেছিল। কানা বাগদির ঘরের পাশে ঝোঁপের মধ্যে পচা গুড়ের কলসি নিশাদলে তখনও ফুটছিল। কানাকানি হয়ে গেছে পাড়ায়। লীলার বাবার অবস্থা খারাপ। মদে বিষক্রিয়া হয়ে গেছে। হাত পা কেমন ঠাণ্ডা হয়ে গেছে। এতরাতে গাঁয়ে ডাক্তার পাওয়া যাবে কোথায়। অগত্যা বাঁশের খালি করেই কয়েকজন ছেলে ছোঁকরা তাকে নিয়ে গেল হেলথসেন্টারে।

হেলথসেন্টারের বড় ডাক্তার শ্রীকান্ত্র নাড়ী ধরে বলল, হয়ে গেছে। ওর বডি বাড়িতে নিয়েই চলে যান। লীলা ককিয়ে কেঁদে ওঠে বাপের বুকে আছাড় খেয়ে পড়লো। সুতো কাটা ঘুড়ি গোৎ খেয়ে পড়ে যেভাবে, ঠিক সেইভাবে। উবু হয়ে বসেছিল সুষমা পাথরের মতো ছোটো ছেলেকে বুকে আগলে ধরে। শ্মশানের বন্ধুরা এসে গিয়েছে প্রধানের জ্বালিয়ে দেবার সার্টিফিকেট নিয়ে। তারা খাটুলি তুললো। বল হরি, হরি বল। বল হরি, হরি বল। বল হরি, হরি বল। শ্রীকান্ত নস্করের মরদেহ চোখের আড়ালে চলে গেল। লীলা ককিয়ে কেঁদে উঠল, ‘বাবা তোমার মনে এই ছিল’ সুষমা পাথরের মত নির্বাক, চোখে মুখে শোকে ছল ছল করছিল যন্ত্রণার ভয়াবহ অশ্রু। তখনও শোনা যাচ্ছিল বল, হরি, হরি বল। চারিদিকে তখন ঘোর অন্ধকার। গাঁয়ের মাটির রাস্তার মোড়ে কুকুরগুলো তারস্বরে চিৎকার করছিল, না কাঁদছিল কে জানে।

সকল অধ্যায়

১. মণিবালার প্রথম ও পঞ্চম বাবু – শঙ্করলাল ভট্টাচার্য
২. জনৈক কাপুরুষের কাহিনী – প্রেমেন্দ্র মিত্র
৩. নুরবানু – অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত
৪. আমি একটা মানুষ নই – আশাপূর্ণা দেবী
৫. ঠগের ঘর – সুবোধ ঘোষ
৬. হরপার্বতী সংবাদ – প্রবোধকুমার সান্যাল
৭. চীনেমাটি – সন্তোষকুমার ঘোষ
৮. বালির ঝড় – সমরেশ বসু
৯. আত্মজা – বিমল কর
১০. সন্ধ্যেবেলা রক্তপাত – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
১১. কীট – শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
১২. আর একবার – প্রফুল্ল রায়
১৩. রাগ অনুরাগ – শক্তিপদ রাজগুরু
১৪. পূর্বক্ষণ – ননী ভৌমিক
১৫. রাজার টুপি – অতীন বন্দ্যোপাধ্যায়
১৬. ফাঁদ – সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ
১৭. জারিনার প্রেম – তারাপদ রায়
১৮. বলিছে সোনার ঘড়ি – বরেন গঙ্গোপাধ্যায়
১৯. আঁধার ঘর – সঙ্কর্ষণ রায়
২০. টেককা টেককি – কণা বসুমিত্র
২১. মিসেস মেলনির গল্প – সুকুমার ভট্টাচার্য
২২. অঙ্কুর – ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়
২৩. ছায়া গোধূলি – উত্তম ঘোষ
২৪. রোদ বৃষ্টি কুয়াশা – বামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়
২৫. দাম্পত্য – অনিশা দত্ত
২৬. বাতাসের রং নেই – কল্যাণ মৈত্র
২৭. বালির ঘর – দিলীপকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়
২৮. শ্বশুরবাড়ি নয়— ক্লাব হাউস – বৈদ্যনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়
২৯. হেনস্থা – তপনকুমার দাস
৩০. লজ্জা – রবিন দে
৩১. দাম্পত্য কলহ ও নেকলেস – শ্রীজয়দেব রায়
৩২. দাম্পত্য স্মৃতি – লক্ষ্মীদেবী চক্রবর্তী
৩৩. সংঘাত প্রশান্ত – বর্মন রায়
৩৪. শেষের সে বিচার – ডাঃ অরুণকুমার দত্ত
৩৫. আলট্রা মডার্ণ – অসীমানন্দ মহারাজ
৩৬. তুমি আমি দুজনেই – আবদুল জব্বার
৩৭. লোকটা – আশিস সান্যাল
৩৮. ক্ষত ও নিরাময় – তৃণাঞ্জন গঙ্গোপাধ্যায়
৩৯. নতুন বইয়ের গন্ধ – শুভমানস ঘোষ
৪০. ভুবন চৌধুরী – অলোককৃষ্ণ চক্রবর্তী
৪১. পদ্মাকাঁটা – গৌর মিত্র
৪২. মালাবৌদি – ডাঃ মহাদেব বন্দ্যোপাধ্যায়
৪৩. ধূসর কণ্ঠস্বর – শান্তিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়
৪৪. দাম্পত্য কলহকথা – স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়
৪৫. বাদশা-বেগম ঝমঝমাঝম – সৌমিত্ৰশংকর দাশগুপ্ত
৪৬. দাম্পত্য – সুব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়
৪৭. বন্ধ্যা – তমাল লাহা
৪৮. অণুবীক্ষণ – কুণালকিশোর ঘোষ
৪৯. শিউলি বনে গন্ধরাজ – গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায়
৫০. বাঁশফুল – শিবতোষ ঘোষ
৫১. ছোটলোক – শচীন দাশ
৫২. পঞ্চম রিপু – শৈলেন রায়
৫৩. শুধু সমুদ্রের চিত্রনাট্য – অরূপরতন ঘোষ
৫৪. আশ্রয় – নীলাঞ্জন চট্টোপাধ্যায়
৫৫. কুমারী মাটি – পুলককুমার বন্দ্যোপাধ্যায়
৫৬. দাম্পত্য কলহের অন্তরালে – বরুণ মজুমদার
৫৭. জলপরী, সুবিমল ও একটি ধর্ষণের গল্প – জগন্নাথ প্রামাণিক
৫৮. পরকীয়া – প্রণব সেন
৫৯. সম্পর্ক – চিন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়
৬০. কালার টি.ভি. – সুদীপ্ত বন্দ্যোপাধ্যায়
৬১. বন্ধন – ভাগ্যধর হাজারী
৬২. পরকীয়া প্রেম – উজ্জ্বল কুমার দাস
৬৩. অনিকেত – সঞ্জয় ব্রহ্ম
৬৪. ভূমিকা – পঞ্চানন মালাকর
৬৫. বিষাক্ত মদ – পরেশ সরকার
৬৬. দূরের গাড়ি – অগ্নি বসু
৬৭. ধারাবাহিক – মৃণাল বসুচৌধুরী
৬৮. বুমেরাং – তপন বন্দ্যোপাধ্যায়
৬৯. বকম বকম – প্রদীপ আচার্য
৭০. কুয়োতলার কাব্য – অশোককুমার কুণ্ডু
৭১. ধরিত্রী – জীবন সরকার
৭২. পৃথিবী শস্যশালিনী – শৈবাল মিত্র
৭৩. রবিবার ছুটির দিন – আফসার আমেদ (আফসার আহমেদ)
৭৪. চিতা – চণ্ডী মণ্ডল
৭৫. মেঘাবৃত চাঁদ – আবু রুশদ
৭৬. প্রতিষেধক – আবু ইসহাক
৭৭. ফাঁদ – আবুল খায়ের মুসলেহউদ্দিন
৭৮. পরী – আলাউদ্দিন আল আজাদ
৭৯. প্রেমের গপ্পো – আখতারুজ্জামান ইলিয়াস
৮০. পানকৌড়ির রক্ত – আল মাহমুদ
৮১. অস্থির অশ্বক্ষুর – আবদুল মান্নান সৈয়দ
৮২. ফুলের বাগানে সাপ – ইমদাদুল হক মিলন
৮৩. আজীবন দিন-রাত্রি – জ্যোতিপ্রকাশ দত্ত
৮৪. পথ, হে পথ – নাসরীন জাহান
৮৫. ধূসর – বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর
৮৬. বেলী – বুলবুল চৌধুরী
৮৭. অস্পষ্ট মুখ – মঈনুল আহসান সাবের
৮৮. যৌথ একাকিত্ব – মঞ্জু সরকার
৮৯. লা পেরুজের সূর্যাস্ত – রাবেয়া খাতুন
৯০. হে আনন্দ – রাহাত খান
৯১. খাঁচার ভিতর সুচিন পাখি কমনে বাঁইচে রয় – শওকত আলী
৯২. অষুধ – শহীদ আখন্দ
৯৩. মানব-মানবী – শিহাব সরকার
৯৪. মতিনউদ্দিনের প্রেম – সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ
৯৫. গন্তব্য, অশোক – সৈয়দ শামসুল হক
৯৬. প্রহসনের মতো – সাইয়িদ আতীকুল্লাহ
৯৭. দুর্নীতি – সেলিনা হোসেন
৯৮. জননী – হাসান আজিজুল হক
৯৯. নিশিকাব্য – হুমায়ূন আহমেদ

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন