পরকীয়া – প্রণব সেন

ইমদাদুল হক মিলন

পরকীয়া – প্রণব সেন

এখনও বাড়ি ফেরেনি কাবেরী। এগারোটা না বাজলে ওর হয়ত বাড়ির কথা ভাবার সুযোগই আসে না। এত রাত পর্যন্ত বাইরে থাকার জন্য ওকে কোনও কৈফিয়ত দিতে হয় না। সেইজন্যই ও বোধহয় এই সংসারের সঙ্গে এক কৃত্রিম যোগসূত্র বজায় রেখে বেশ খোশমেজাজেই থাকতে পারছে। অন্তত রাতের অন্ধকারে যারা নিজের পরিচয় বদলে শয্যা পরিবর্তনের খেলায় মেতে ওঠে, তাদের সমগোত্রীয় বলে যাতে কারও মনে ভুল ধারণায় সৃষ্টি না হয় তার দিকে সতর্ক দৃষ্টি বজায় রাখার প্রচেষ্টা চালাতে বিন্দুমাত্র অন্তরায় না গড়ে ওঠে। কাবেরী নিশ্চয়ই এই মানসিকতাকে সমসাময়িক কালের নারী স্বাধীনতা হিসাবে চিহ্নিত করেছে।

প্রতিদিন কোথায় যায় কাবেরী? এ প্রশ্ন সুশার। দশটা পাঁচটার উদভ্রান্ত কেন্দ্রীয় সরকারী কেরানীর এই প্রশ্ন জিজ্ঞেস করার অধিকার কি আছে? রাতের শয্যায় কাবেরী যে ফিরে আসে, এটুকু পেয়েই সুশান্তকে পরিতৃপ্ত থাকতে হয়। কাবেরীর স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করলে অশান্তি বাড়ে। সেই যন্ত্রণার শিকার হতে চায় সুশান্ত। তাই নীরবতাকেই বেছে নিতে বাধ্য হয়েছে।

এই কাবেরীকেই আঠারো বছদ্র আগে ভালোবেসে বিয়ে করেছিল সুশান্ত। তার মূল্য কি ওকে এভাবেই দিতে হবে? কাবেরী সেদিনের গড়ে ওঠা সম্পর্ককে আজ কি একটুও মর্যাদা দিতে চায় না? না কি সেই বোধ ও মন থেকে মুছে ফেলেছে? অথচ সেদিন কাবেরী বিয়ের জন্য কত উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছিল। সুশান্তকে বলেছিল, আগামী এক মাসের মধ্যে তুমি যদি বিয়ে করতে রাজী না হও, আমাকে আত্মহত্যা করতে হবে। সেদিনের কথা কি ভুলে গেছে কাবেরী? সুশান্ত সেই প্রসঙ্গ উত্থাপন করলে কাবেরী এতটুকু গুরুত্ব না দিয়ে বলেছিল, তখনকার পরিস্থিতিতে আমি বাধ্য হয়েছিলাম। কিন্তু তাকে মূল্য দিতে সারাজীবন ধরে তোমার কেনা বাদী হয়ে আমাকে থাকতে হবে নাকি? তা যদি ভেবে থাকো তাহলে অত্যন্ত ভুল করেছ।

সত্যিই ভুল করেছে সুশান্ত। আজ ওকে সেই পাপের প্রায়শ্চিত্ত করতে হচ্ছে। কিন্তু কাবেরী যে এক অবৈধ সম্পর্ককে চাপা দিতে চেয়ে সুশান্তকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, তখন ও সে কথা জানতে পারেনি। সুশান্ত প্রথম যেদিন ওবাড়িতে শ্যামলকে দেখেছিল, সেদিন কিন্তু একবারও মনে হয়নি এই মানুষটা ধীরে ধীরে দু’জনের এতদিনের সম্পর্কের মধ্যে দূরত্বের পাঁচিল গড়ে তুলবে। আর এমন আগুন। জ্বালাবে কাবেরীর মদতে, যার আঁচে একটু একটু করে পুড়বে সুশান্তর মন। শ্যামলের। প্রসঙ্গ নিয়ে কাবেরী আগে কখনই বিশেষ আলোচনার পক্ষপাতী ছিল না। সুশান্ত শুধু এইটুকুই জেনেছিল শ্যামল সম্পর্কে কাবেরীর মামা। শিবপুরের বাড়িতে কয়েকবার এসেছিল। মিলিটারীতে চাকরি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের বাইরে চলে যায়। সেই কারণে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। বিয়েতে শ্যামল আসেনি। দূরত্ব যে বিরহের যন্ত্রণা জাগিয়ে তুলেছিল দুজনের মনে আজ বুঝতে পারছে সুশান্ত। তাই আবার যোগাযোগ স্থাপিত হলে অপরিপূর্ণ কামনার নিবৃত্তি ঘটাতে দুজনে অনিয়ন্ত্রিত বোধে আক্রান্ত হয়ে পড়েছে। যেখানে সামাজিক বিধি, বিবেক, কর্তব্যবোধ সবকিছুই অবহেলিত।

কেন ভালোবাসার অভিনয় করে প্রতারণার খেলায় মেতে উঠেছিল কাবেরী? শ্যামলকে বিয়ে করা সম্ভব ছিল না। অবৈধ সম্পর্ককে সামাজিক স্বীকৃতি দিতে চাইলে কাবেরী কারোরই সমর্থন পেত না। শ্যামলের প্রস্তাবকে প্রত্যাখ্যান করতে বাধ্য হয়েছিল। শ্যামল প্রত্যাশা না মেটায় অভিমানে আহত হয়ে নিজেকেই দূরে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সারাজীবন উপবাসী থেকে জীবনপিপাসা না মেটানোর পথও বেছে নেওয়ার পক্ষপাতী ছিল না কাবেরী। সেই নিঃসঙ্গ মুহূর্তে কাবেরী কাছে পেতে চেয়েছিল একজন পুরুষকে। তখনই ওর জীবনে আসে সুশান্ত। এক অনিশ্চিত জীবন ছেড়ে নিরাপত্তা খুঁজে পাবার আকাঙ্ক্ষায় কাবেরী আঁকড়ে ধরেছিল সুশান্তকে। তাকেই সত্য বলে মেনে নিয়েছিল সুশান্ত, কোথাও ছলনার আভাস খুঁজে পায়নি। বিশ্বাস করেছিল কাবেরীকে। এমন আত্মনিবেদনের মধ্যে বিরাট ফাঁকি লুকিয়েছিল, কি করে বুঝবে সুশান্ত?

সুশান্তর মনে অশান্ত ঝড় বয়ে চলেছে। কাকে শোনাবে প্রতারিত হবার কাহিনী? কিন্তু সহ্যের সীমা অতিক্রম করে গেলে নীরবতার কাছে আশ্রয় কি সুশান্তকে স্বস্তি দিতে পারবে?

তুলিকা এসেছিল কাবেরীকে গৃহপ্রবেশের নেমন্তন্ন করতে। কাবেরী কোথায় গেছে জানতে চাইলে সুশান্ত বলল, তোমার দিদির খবর আমি রাখি না। ওর সঙ্গে দেখা করতে হলে রাত এগারোটার পর তোমাকে আসতে হবে। এত রাত পর্যন্ত ও বাড়ির বাইরে থাকে, অথচ আপনি কিছু বলেন না?

সুশান্ত আর নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেনি। এতদিনের জমানো ক্ষোভ আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের মতো বুক থেকে বেরিয়ে আসতে চাইলো। সুশান্ত বলল, তোমরা আমাকে ঠকিয়েছ। আমার বিশ্বাসকে নিয়ে প্রতারণা করেছ। আজ এসেছ আমাকে…

তুলিকা এমন আক্রমণাত্মক ভঙ্গীতে সুশান্তকে দেখে খুবই অবাক হয়ে বলল, কি হয়েছে সুশান্তদা! আমি কি কোনও অপরাধ করেছি?

অপরাধী তুমি একা নও, তোমরা সবাই। তোমার দিদি যে অন্য কারোর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল, সে ঘটনা চাপা দিতেই তোমরা আমাকে বেছে নিয়েছিলে। আমি তোমাদের কাছে খেলার পুতুল ছিলাম, তাই না? তোমরা সবকিছু গোপন করে রেখে আমার জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছ। তোমরা পারবে আমার হারানো দিনগুলো ফিরিয়ে দিতে? আমি এখন প্রতি মুহূর্তে যন্ত্রণার আগুনে পুড়ছি। আমি কি করবো জানি না। পরিস্থিতি অসহ্য হয়ে উঠলে আমাকে হয়ত শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যা করতে হবে।

তুলিকা বুঝতে পেরেছে কে এই পরিণতির জন্য দায়ী। শ্যামলমামা কেন এত বস্ত্র পর কলকাতায় ফিরে এসে আবার দিদির দিকে হাত বাড়াতে চাইছে? নিজেরও

তো সংসার রয়েছে। এ বাড়ির ঠিকানাই বা ওকে কে দিয়েছে?

তুলিকা জিজ্ঞেস করলো, এখানে শ্যামলমামাকে কে নিয়ে এসেছিল?

সুমিত্রা মাসি। তারপর থেকেই এ বাড়িতে নিয়মিত যাতায়াত শুরু করলো। সপ্তাহে পাঁচ দিন। অফিস থেকে চলে আসে প্রতিদিন দুপুর দেড়টা-দুটো নাগাদ। বাড়িতে তখন একা কাবেরী। ঘনিষ্ঠতা বাড়ানোর কোনও বাধা থাকে না। দু’জনে নিশ্চিন্তে দৈহিক সান্নিধ্য উপভোগ করে। আমার নজরেও পড়েছিল। আমি প্রতিবাদ করতে পারিনি। এই ব্যাপার নিয়ে চেঁচামেচি করলে বাড়ির অন্য ভাড়াটে বিদ্রুপের খোরাক পেয়ে যাবে। এমন কেচ্ছা নিয়ে রসালো আলোচনায় সকলে মেতে উঠবে।

কিন্তু প্রতিদিন দুপুরে দিদির কাছে যে পুরুষ আসে, তাকে নিয়ে কৌতূহল জাগবে না, এ কথা কি আপনি বিশ্বাস করেন? অস্বাভাবিক সম্পর্ক গড়ে না উঠলে কেউ কি প্রতিদিন আসে? আপনি বৃথাই গোপন করে রাখার চেষ্টা করছে। আমার ধারণা, শুধু এই বাড়ির সকলে নয়, পাড়া প্রতিবেশীরাও জেনে ফেলেছে। আপনার কানে কি কখনও কোনও কটুক্তি গিয়ে পৌঁছয়নি।

তুলিকা ঠিকই অনুমান করেছে। কয়েকদিন আগে অফিস থেকে ফেরার পথে সুশান্ত দেখেছিল ওর দিকে লক্ষ্য করে পাড়ার একটি যুবক বন্ধুদের বলছে, উনি চরতে বেরিয়েছে সেই দুপুরে। বেশ ফুর্তিতে আছেন।

কাবেরীই যে ওদের উপহাসের পাত্রী, বুঝতে বিন্দুমাত্র অসুবিধা হয়নি সুশান্তর। ওদের কোনও দোষ নেই। ওদের উৎসাহিত করার জন্য প্ররোচনা যুগিয়েছে কাবেরী নিজেই।

সেদিনই সুশান্ত কাবেরীকে সংযত করার প্রয়াসী হয়েছিল। কিন্তু ব্যর্থ হয়েছে। কাবেরী বলেছিল, তুমি যদি আমাকে বাধা দেবার চেষ্টা করো আমি আত্মহত্যা করব।

স্ত্রীকে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে বাধ্য করার অভিযোগে অভিযুক্ত হলে, পুলিস-আইন-আদালত জীবনকে বিপর্যস্ত করে তুলবে। সেই অস্বাভাবিক পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে করতে নিজেই অতিষ্ঠ হয়ে উঠবে। কাবেরী শেখানো অস্ত্র প্রয়োগ করে সুশান্তকে পুরোপুরি বশে আনতে পেরেছিল। কাবেরীর গর্ভে যদি শ্যামলের ঔরসজাত সন্তান আসে, তাতে একটুও অবাক হবে না সুশান্ত। কিন্তু অবৈধ সন্তানের পিতৃত্বের দায় ওকেই বহন করতে হবে লোকলজ্জার ভয়ে। ওই নির্মম ও নিষ্ঠুর পরিহাসের শিকার হয়েও কাবেরীর সঙ্গে ওর সব বন্ধন ছিন্ন করার কথা এখনও ভাবতে পারেনি সুশান্ত।

তুলিকা চলে যাবে। ন’টা বাজে। বাড়িতে পৌঁছতে পৌঁছতে অনেক রাত হয়ে যাবে। দিনকাল ভালো নয়। রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে সংঘর্ষ ক্রমশই বাড়ছে। রাতের অন্ধকারে ও যেন ওদের প্রতিদিনের উৎসব। ঘর থেকে বেরোতে যাবার মুখে তুলিকা আচমকা মুখোমুখি হয়ে গেল কাবেরীর। তুলিকাকে দেখেই কাবেরী একটু থতমত হয়ে থমকে দাঁড়িয়ে পড়ল। বলল, তুই আমাকে না জানিয়ে হঠাৎ এসেছিস কেন?

কাবেরীর এমন প্রশ্নে আহত হয়ে তুলিকা বলল, এ বাড়িতে আসতে হলে আমাকে যে তোর কাছ থেকে আগাম অনুমতি নিতে হবে, আমার জানা ছিল না। তুই বলে ভালোই করেছিস। এবার থেকে…

আমি তোকে অনুমতি নিতে বলিনি। না জানিয়ে এলে আমার সঙ্গে তোর দেখা হবার সম্ভাবনা কম।

জানি। তুই আজকাল রাত এগারোটার আগে বাড়ি ফিরিস না। অবশ্য তুই কোথায় যাস, কি করিস, আমি বলতে পারছি না। তবে আমার মনে হয় তুই বোধহয় একটু বেশি বাড়াবাড়ি করে ফেলছিস। যে সম্পর্ক শেষ হয়ে গিয়েছিল, তাকে তুই আবার বাঁচিয়ে তুলেছিস কোন আশা নিয়ে? তুই সুশান্তদার…

কাবেরী তুলিকার এই ভূমিকাকে মেনে নিতে না পেরে বলল, আমার ব্যক্তিগত ব্যাপারে তুই নাক গলাতে চাইছিস কেন? তুই যদি এই কথা বলতে আজ এখানে এসে থাকিস, তবে আমি তোকে বলতে বাধ্য হচ্ছি, তুই আমাকে না জানিয়ে আর কোনওদিন আসিস না।

আমি আসবো না। কিন্তু তুই কি ভুলে গেছিস, একদিন আমাদের বলেছিলি তোর এই গোপন সম্পর্কের কথা সুশান্তদার কাছে ফাস না করে দিতে? সেদিন আমরা তোর ভবিষ্যতের কথা ভেবে সবকিছু গোপন করে রেখেছিলাম। আজ সুশান্তদা আমাদের অভিযুক্ত করতে চাইছেন। আমরা কি জবাব দেব বলতে পারিস?

তুলিকা এভাবে গোপনীয়তার আড়াল ভেঙে সুশাস্ত্র কাছে আসল সত্যকে উন্মোচিত করে দেবে ভাবতে পারেনি কাবেরী। কিন্তু শ্যামলমামার উষ্ণ স্পর্শ ছড়িয়ে আছে সারা শরীরে তাকেই বা অস্বীকার করবে কিভাবে? সুমিত্রামাসিকেই দায়ী করতে চায় কাবেরী। তিনি কেন ঘনিষ্ঠতা বাড়াবার সুযোগ করে দিয়েছে? কাবেরীকে নির্বাক দেখে তুলিকা উত্তরের প্রত্যাশা না করে ঘর থেকে বেরিয়ে গেল। সুশান্ত এই মুহূর্তে কাবেরীকে একজন বেশ্যা ছাড়া অন্য কোনও বিশেষণে ভূষিত করতে পারলো না। সুশান্ত ক্ষুব্ধ স্বরে বলল, কাল থেকে তুমি বাড়িতে ফিরো না। ওই পাড়ায় ঘর ভাড়া নিয়ে থেকো। ওখানে থাকলে তুমি তোমার ইচ্ছেমতো শয্যাসঙ্গী বদলাতে পারবে।

কাবেরীর সামাজিক অস্তিত্বে আঘাত করে একেবারে নিঃস্ব করে দিতে চাইলে সুশান্ত। তবু প্রবািদের ভাষা খুঁজে পেল না কাবেরী। শ্যামলমামা কাছে এসে দাঁড়ালে শরীর যে সঙ্গ পিপসায় ক্ষুধার্ত হয়ে ওঠে। এই সংসার, এই পরিবেশ, যার সান্নিধ্যে এতদিন ধরে প্রতিটি মুহূর্তে কাটিয়েছে, তাকে অস্বীকার করে বেরিয়ে যেতেও দ্বিধাবোধ করে না। শুধুমাত্র শরীরী আকর্ষণ! নাকি একদিন যাকে প্রত্যাখ্যান করতে বাধ্য হয়েছে, সেদিনের শূন্যতা আজ অত্যন্ত প্রবল হয়ে উঠে আঁকড়ে ধরতে চাইছে। ফিরে পাওয়া হারানো পুরুষকে।

রাতে কাবেরী সুশান্তর পাশে এসে শুতেই সুশান্ত বিছানা ছেড়ে উঠে গেল। সাফায় শুয়ে সুশান্ত বলল, আমার পাশে শোবার অধিকার নেই।

কাবেরী হঠাৎ একা হয়ে গেল। জানলার কাছে গিয়ে দাঁড়াল। ও কি কোনও পুরুষের জন্য প্রতীক্ষা করছে? সুশান্ত তাকিয়ে দেখলো, অন্ধকারে কাবেরীকে সত্যিই একজন বেশ্যার মতো মনে হচ্ছে। এখন ওর চাই একজন পুরুষ-সঙ্গী।

সকল অধ্যায়

১. মণিবালার প্রথম ও পঞ্চম বাবু – শঙ্করলাল ভট্টাচার্য
২. জনৈক কাপুরুষের কাহিনী – প্রেমেন্দ্র মিত্র
৩. নুরবানু – অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত
৪. আমি একটা মানুষ নই – আশাপূর্ণা দেবী
৫. ঠগের ঘর – সুবোধ ঘোষ
৬. হরপার্বতী সংবাদ – প্রবোধকুমার সান্যাল
৭. চীনেমাটি – সন্তোষকুমার ঘোষ
৮. বালির ঝড় – সমরেশ বসু
৯. আত্মজা – বিমল কর
১০. সন্ধ্যেবেলা রক্তপাত – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
১১. কীট – শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
১২. আর একবার – প্রফুল্ল রায়
১৩. রাগ অনুরাগ – শক্তিপদ রাজগুরু
১৪. পূর্বক্ষণ – ননী ভৌমিক
১৫. রাজার টুপি – অতীন বন্দ্যোপাধ্যায়
১৬. ফাঁদ – সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ
১৭. জারিনার প্রেম – তারাপদ রায়
১৮. বলিছে সোনার ঘড়ি – বরেন গঙ্গোপাধ্যায়
১৯. আঁধার ঘর – সঙ্কর্ষণ রায়
২০. টেককা টেককি – কণা বসুমিত্র
২১. মিসেস মেলনির গল্প – সুকুমার ভট্টাচার্য
২২. অঙ্কুর – ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়
২৩. ছায়া গোধূলি – উত্তম ঘোষ
২৪. রোদ বৃষ্টি কুয়াশা – বামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়
২৫. দাম্পত্য – অনিশা দত্ত
২৬. বাতাসের রং নেই – কল্যাণ মৈত্র
২৭. বালির ঘর – দিলীপকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়
২৮. শ্বশুরবাড়ি নয়— ক্লাব হাউস – বৈদ্যনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়
২৯. হেনস্থা – তপনকুমার দাস
৩০. লজ্জা – রবিন দে
৩১. দাম্পত্য কলহ ও নেকলেস – শ্রীজয়দেব রায়
৩২. দাম্পত্য স্মৃতি – লক্ষ্মীদেবী চক্রবর্তী
৩৩. সংঘাত প্রশান্ত – বর্মন রায়
৩৪. শেষের সে বিচার – ডাঃ অরুণকুমার দত্ত
৩৫. আলট্রা মডার্ণ – অসীমানন্দ মহারাজ
৩৬. তুমি আমি দুজনেই – আবদুল জব্বার
৩৭. লোকটা – আশিস সান্যাল
৩৮. ক্ষত ও নিরাময় – তৃণাঞ্জন গঙ্গোপাধ্যায়
৩৯. নতুন বইয়ের গন্ধ – শুভমানস ঘোষ
৪০. ভুবন চৌধুরী – অলোককৃষ্ণ চক্রবর্তী
৪১. পদ্মাকাঁটা – গৌর মিত্র
৪২. মালাবৌদি – ডাঃ মহাদেব বন্দ্যোপাধ্যায়
৪৩. ধূসর কণ্ঠস্বর – শান্তিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়
৪৪. দাম্পত্য কলহকথা – স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়
৪৫. বাদশা-বেগম ঝমঝমাঝম – সৌমিত্ৰশংকর দাশগুপ্ত
৪৬. দাম্পত্য – সুব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়
৪৭. বন্ধ্যা – তমাল লাহা
৪৮. অণুবীক্ষণ – কুণালকিশোর ঘোষ
৪৯. শিউলি বনে গন্ধরাজ – গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায়
৫০. বাঁশফুল – শিবতোষ ঘোষ
৫১. ছোটলোক – শচীন দাশ
৫২. পঞ্চম রিপু – শৈলেন রায়
৫৩. শুধু সমুদ্রের চিত্রনাট্য – অরূপরতন ঘোষ
৫৪. আশ্রয় – নীলাঞ্জন চট্টোপাধ্যায়
৫৫. কুমারী মাটি – পুলককুমার বন্দ্যোপাধ্যায়
৫৬. দাম্পত্য কলহের অন্তরালে – বরুণ মজুমদার
৫৭. জলপরী, সুবিমল ও একটি ধর্ষণের গল্প – জগন্নাথ প্রামাণিক
৫৮. পরকীয়া – প্রণব সেন
৫৯. সম্পর্ক – চিন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়
৬০. কালার টি.ভি. – সুদীপ্ত বন্দ্যোপাধ্যায়
৬১. বন্ধন – ভাগ্যধর হাজারী
৬২. পরকীয়া প্রেম – উজ্জ্বল কুমার দাস
৬৩. অনিকেত – সঞ্জয় ব্রহ্ম
৬৪. ভূমিকা – পঞ্চানন মালাকর
৬৫. বিষাক্ত মদ – পরেশ সরকার
৬৬. দূরের গাড়ি – অগ্নি বসু
৬৭. ধারাবাহিক – মৃণাল বসুচৌধুরী
৬৮. বুমেরাং – তপন বন্দ্যোপাধ্যায়
৬৯. বকম বকম – প্রদীপ আচার্য
৭০. কুয়োতলার কাব্য – অশোককুমার কুণ্ডু
৭১. ধরিত্রী – জীবন সরকার
৭২. পৃথিবী শস্যশালিনী – শৈবাল মিত্র
৭৩. রবিবার ছুটির দিন – আফসার আমেদ (আফসার আহমেদ)
৭৪. চিতা – চণ্ডী মণ্ডল
৭৫. মেঘাবৃত চাঁদ – আবু রুশদ
৭৬. প্রতিষেধক – আবু ইসহাক
৭৭. ফাঁদ – আবুল খায়ের মুসলেহউদ্দিন
৭৮. পরী – আলাউদ্দিন আল আজাদ
৭৯. প্রেমের গপ্পো – আখতারুজ্জামান ইলিয়াস
৮০. পানকৌড়ির রক্ত – আল মাহমুদ
৮১. অস্থির অশ্বক্ষুর – আবদুল মান্নান সৈয়দ
৮২. ফুলের বাগানে সাপ – ইমদাদুল হক মিলন
৮৩. আজীবন দিন-রাত্রি – জ্যোতিপ্রকাশ দত্ত
৮৪. পথ, হে পথ – নাসরীন জাহান
৮৫. ধূসর – বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর
৮৬. বেলী – বুলবুল চৌধুরী
৮৭. অস্পষ্ট মুখ – মঈনুল আহসান সাবের
৮৮. যৌথ একাকিত্ব – মঞ্জু সরকার
৮৯. লা পেরুজের সূর্যাস্ত – রাবেয়া খাতুন
৯০. হে আনন্দ – রাহাত খান
৯১. খাঁচার ভিতর সুচিন পাখি কমনে বাঁইচে রয় – শওকত আলী
৯২. অষুধ – শহীদ আখন্দ
৯৩. মানব-মানবী – শিহাব সরকার
৯৪. মতিনউদ্দিনের প্রেম – সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ
৯৫. গন্তব্য, অশোক – সৈয়দ শামসুল হক
৯৬. প্রহসনের মতো – সাইয়িদ আতীকুল্লাহ
৯৭. দুর্নীতি – সেলিনা হোসেন
৯৮. জননী – হাসান আজিজুল হক
৯৯. নিশিকাব্য – হুমায়ূন আহমেদ

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন