সম্পর্ক – চিন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়

ইমদাদুল হক মিলন

সম্পর্ক – চিন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়

এই বলো না, আমাকে করে দেবে তো!

সবসময় খালি বলবে না তো, আমাকে করে দেবে তো, করে দেবে তো–। কথাটা শুনতে শুনতে কান ঝালাপালা হয়ে গেল।

ওরকম করো কেন! তুমি না, আমাকে একদম ভালোবাস না।

করে দিলেই বুঝি ভালাবাসা হয়! আর করে না দিলে বুঝি ভালবাসা হয় না, তাই যদি হত তবে ছেলেরা আর কোন মেয়েকে ভালবাসতে যেতো না। এই জন্যেই বলেছিলাম— বিয়ে করার দরকার নেই। বিয়ে করেছ কি মরেছ! বিয়ে করা মানেই “ভালবাসার অপমৃত্যু!”

বাবা! তোমার কি মুখ!

আমি তোমায় কি এমন খারাপ কথা বলেছি!

এটা খারাপ কথা না? কিছুদিন ধরে দেখছি তুমি ঐ একই কথা বলে চলেছ।

তোমাকে কি, আমি করে দিই-ই না নাকি! তোমার হঠাৎ হঠাৎ বায়নাক্কা, তোমার ঐ বায়নাক্কা সামলাতে গিয়ে আমার প্রাণটা একেবারে ওষ্ঠাগত হয়ে গেল!

আহাঃ রে কি ফুলের মতন প্রাণ তোমার!ইস, টোকা লাগলেই পাপড়িগুলো ঝরেঝরে পড়ছে।

এই সুতপা, তুমি আমাকে একেবারে ইনসাল্ট করে কথা বলবে না, বোলে দিলাম! তুমি যখনই কথা বল, আমাকে ইনসাল্ট করে কথা বল। এটা ঠিক নয়, বোলে দিলাম।

তোমাকে কি এমন ইন্স্যাল্ট করে কথা বলেছি। করে দিতে বললে—ইসাল্ট করে কথা বলা হয় নাকি! এতো আগে জানতাম্ না।

এই সুতপা, সুতপা, আগে জানলে—তুমি কি করতে হা! কি করতে!

না না, চাদু, কি আবার করব! তোমায় ফুল দিয়ে পুজো করতাম্।

তুমি আমায় চাদু বললে কেন? তুমি আমার নাম জান না?

হ্যাঁ জানি বৈ কি, নিশ্চয়ই জানি!

স্বামীকে নাম ধরে ডাকা যায় না কিনা, তাই তোমার একটা ওরফে নাম দিয়েছি চাদু।

চাঁদু নাম দিয়ে আমাকে ভোলানো যাবে না, আমি কিছুতেই করে দেবো না। পাশের বাড়ীর স্বপনদা যে করে দিয়েছে।

বেশ করেছে, করে দিয়েছে। আমি করে দেবো না। আমার কাছে থাকতে হয় থাক, না হলে স্বপনদার কাছে চলে যাও।

ছিঃ! সমীরণ, তুমি কি নোরা ব্যাটাছেলে। তোমার মুখটা এত বাজে আগে জানতাম না।

এই সুতপা তুমি আবার বাজে কথা বলছ! বলেছি না, তুমি একদম বাজে কথা বলবে না।

এই কি এমন বাজে কথা বোললাম্ গো!

বাজে কথা না, ওটা বাজে কথা না!

কোনটা বাজে কথা বল, তোমাকে বলতেই হবে।

ঐ যে বললে আগে জানতাম না, আগে জানলে কি করতে!

আমি বলেছি, পাশের বাড়ীর স্বপনদা ওঁর বৌকে করে দিয়েছে। এটা কি এমন বাজে কথা হল, শুনি!

পাশের বাড়ীর স্বপনদা ওর বৌকে করে দিয়েছে বলে আমাকেও করে দিতে হবে নাকি! পাশের বাড়ীর স্বপনদা তো অফিস থেকে দুনম্বরী পয়সা আয় করে, আমি করি নাকি!

আহা রে, একেবারে সতী নাম্বার “ওয়ান”! আমি ওসব শুনব না। আমাকে করে দিতেই হবে। করে দিতে না পারলে বিয়ে করেছিলে কেন, শুনি! তোমার রূপ ধুয়ে জল খাব নাকি। শুনে রাখ সমীরণ, রূপ দেখে বেশীদিন চলে না। ছেলেদের অলংকার শুধু টাকা, বুঝলে!

হ্যাঁ, বুনা, বুঝেছি, বেশ বুঝেছি। এই জন্যেই লোকে বলে, “মা দেখে ছেলের পেট” ছেলেটা দুটো খেতে পেল নাকি আগে দেখে, আর তোমরা, তোমরা দেখ স্বামীর পকেট, পকেটটা কত ভারী!

তা মা কে নিয়েই থাকলে তো পারতে! আমায় বিয়ে করার দরকার কি ছিল!

বাব্বা! সুতপা, তুমি আমার মাথাটা না খেয়ে আর ছাড়বে না দেখছি! একজনের মাথা তো খেয়েছে। আমার মাথাটা না খেলে তোমার আর শান্তি হচ্ছে না বুঝি! এই তো কদিন হল, কত কষ্ট করে, ধার দেনা করে তোমার বায়নাক্কা মেটালাম, রঙীন টিভি কিনে দিলাম।

বাব্বা! কি মিথ্যেবাদী তুমি! সমীরণ, তুমি এত মিথ্যা কথা বলো, আগে জানতাম নাতো, টিভি কিতে আমি তোমায় টাকা দিই নি বুঝি!

এই সুতপা, তুমি কত টাকা দিয়েছ, বল, বল। সত্যিকথা বল।

সত্যিই তো বলছি সমীরণ। এই মাসের পুরো পেনশনের টাকাটা ধরে দিইনি তোমায়! বাব্বা! তুমি এত মিথ্যা কথা বলো। সত্যিই বাবা আগে জানতাম না।

এই সুতপা, তুমি আবারও বাজে কথা বলছ।

বেশ করেছি বলেছি। একশ বার বলব। টাকা দিয়েছি, তাই বলেছি। তোমার মত আমি মিথ্যাবাদী নাকি!

বেশ তো বেশ, সুতপা তুমিই বল, কোন যুক্তিতে আমি তোমার নামে বাড়ী করে দেবো! আমি তো বেশ ভালো রকম জেনে গেছি যা তোমার নামে দেবোঐ সবই তো তোমার মেয়ের জন্য ড্রেনেজ হবে!

কি বললে, সমীরণ! আমার মেয়ের নামে ড্রেনেজ হবে! বল, এ পর্যন্ত কি ড্রেনেজ হয়েছে।

ড্রেনেজ হয়নি, সুতপা! এই তো তুমি তোমার নাম করে গয়না বানাও, মেয়ের জন্য ড্রেনেজ। শালোয়ার কামিজ বানাও, নিজে পরো না মেয়ের জন্য ড্রেনেজ, ভালো ভালো শাড়ী কেন, মেয়ের নামে ড্রেনেজ।

বাঃ সমীরণ বাঃ। এই জন্যই বৃটিশ অনেক দিন আগে আমাদের দেশ ছেড়ে চলে গেছে। ওরা বুদ্ধিমান, তাই ওরা আগে থেকেই বুঝে ছিল, তোমার মত আকাট মূখের হাতে পড়ে ইংরেজী ভাষাটার কি দুর্দশা হবে! “মেয়ের নামে ড্রেনেজ!” কি সুন্দর ইংরেজী!

এই সুতপা, দেখলে তো, দেখলে তুমি আমাকে কি ভাবে ইল্লাল্ট কর!

দেখ সমীরণ, ওসব বাজে কথা রাখ। মিষ্টি কথায় চিড়ে ভেজে না, বুঝলে, ভালো চাও তো আমার নামেই বাড়ীটা কিনবে।

কিনব না, তোমার নামে কিনব না, সুতপা।

অসভ্য ব্যাটাছেলে কোথাকার! বৌ-এর নামে সামান্য একটা বাড়ী কিনে দেবে তাও দিতে চায় না। এসো রাত্রে, বিছানায় শুতে; শুইয়ে দেবো একদম।

শোব না সুতপা, দরকার হলে, তোমার সাথে যোব না।

তা শোবে কেন, আমার সাথে শোবে কেন বাইরে তোমার তত শোবার মত লোক আছে!

এই সুতপা, এই সুতপা তুমি একদম্ বাজে কথা বলবে না বোলে দিলাম।

চাদু আমার! আমি কোন কথা বললেই বাজে কথা বলা হয়।

ওটা বাজে কথা নয় সুতপা! বল তুমিই বল, ওটা বাজে কথা নয়!

কোন্‌টা বাজে কথা, নাকা–!

সুতপা, বল, তুমি বললে কেন, বাইরে আমার শোবার লোক আছে।

আছেই তো! আছে বলেই তো বলেছি। বেশ করেছি। দরকার হলে আবার বলব।

ও, সুতপা, আমি লোকের সাথে শুই!

মরণদশা! ঐ হলো যা! ঐ একই হল! লোক মানে তোমার ঐ মালবিকার কথা বলছি।

তুমি মালবিকার নাম নেবে না, বলে দিলাম। তুমি মালবিকার নোখের যোগ্‌গী না!

আহাঃ রে চ্যাঁদু! আমি তোমার ঐ মালবিকার নোখের যোগ্নী হতেও চাই না। নোংরা মেয়েছেলে কোথাকার। বাজারের মেয়েছেলে। দশটা ব্যাটাছেলে নিয়ে ঘুরে বেড়ায়।

সুতপা একদম বাজে কথা বলবে না কিন্তু বোলে দিলাম। খুব খারাপ হয়ে যাবে।

কি করবে সমীরণ, তুমি কি আমাকে মারবে নাকি!

সুতপা তোমার মত মেয়েমানুষকে মারাই দরকার। আমার মত ভদ্রলোকের হাতে পড়েছিলে বলে, এ যাত্রা বেঁচে গেলে। নইলে তোমার মত মেয়েমানুষকে না জ্যান্ত পুড়িয়ে মারত!

সমীরণ তুমি আমাকে পুড়িয়ে মারবে! আমার নামে বাড়ী করে দিতে বলেছি এটাই আমার অপরাধ! দাঁড়াও, আমি বাপীকে বলব।

সুতপা, তোমার বাপীকে তো আমার চেনা আছে। মাঝে মাঝেই বলবে দশহাজার দাও, বিশ হাজার দাও। আর আমাদের দেখবে তো, আমাদের দেখবে তো।

সমীরণ তুমি আমার বাপীকে অপমান করবে না, বলে দিলাম্।

সত্যি কথা বললে আপমান করা হয়, সুতপা। কত ছেলে তো শ্বশুর বাড়ী থেকে কত কিছু পায়! আমাকে তোমরা কি দিয়েছ! তোমাদের কোন ভাই নেই। তুমি তোমার মার সাথে বসে কি ঠিক করলে! বলে কিনা নীচের ছোটঘরটা আর দোতলাটা তোমার মেয়ে টুম্পার নামে হবে। নীচের বাকী সবটা তোমার বোনের নামে হবে আর তার বিনিময়ে তোমার বাবাকে আমি মোটা অংকের টাকা আর সারাজীবন তোমার বাবা-মার ভরণ পোষণের স্ব দায়িত্ব নেবো। বাঃ! কি সুন্দর ব্লাকমেলিং করতে পার; সুতপা!

সমীরণ এটা কে তুমি ব্লাক মেলিং বলে! এটাকে ব্ল্যাক মেলিং বলে।

তবে না তো কি, সুতপা! এটা যদি ব্লাকমেলিং না হয়, তবে ব্লাক মেলিং কোনটা!

ঠিক আছে বাবা, ঠিক আছে, চাই না আমার বাড়ী চাই না। তোমার কাছে কিছু চাই না। আমার বহুদিনের সখ ছিল আমার নিজের নামে একটা বাড়ী থাকবে, রোজ ফুলের গাছ থেকে কুড়ি করে ফুল তুলব—আর ঠাকুর পুজো করব।

হ্যাঁ, তা তো করবেই। ঠাকুর পুজো করবে। ঠাকুরের সামনে বসে কাদবে। আর আমার নামে অভিসম্পাৎ করবে। তবে যা সুতপা জেনে রাখো চালাকি করে সব সময়ে জেতা যায় না। তা ছাড়া আজকাল ছেলেদের অত সহজে ব্লাকমেলিং করাও যাবে না। তোমাদের ঐ মহিলা সমিতির মতো ছেলেরাও “পীড়িত পুরুষ পতি পরিষদ” তৈরী করে ফেলেছে। তুমি আমাকে ব্লাকমেলিং করলেই, ওরা তোমাকেও ছেড়ে কথা কইবে না, হ্যাঁ।

সমীরণ, ছেলেরা আবার “পীড়িত” হয় নাকি! পীড়িত পুরুষ বলতে তোমাদের লজ্জা হয় না! ছিঃ!

সুতপা, তুমি আমাকে পীড়িত করছ না! ছেলেরা তোমাদের মত ঐ রকম ব্যাঙের কান্না কাঁদতে পারে না বলেই ওদের উপর পীড়নটা লোকের চোখে পড়ে না। তুমি আমাকে করে দাও, আমাকে করে দাও বলে বলে আমার ওপর পীড়নের সৃষ্টি করছ না বল। তোমাকে আমি ঘরে আনলাম, সম্মান্ দিলাম। এখন তুমি আমায় বল কিনা আমার বংশ খারাপ, বউ ধরা আর ছাড়া, নাকি আমার পেশা। তুমি আমার ছেলেকে বললে কিনা খারাপ মেয়েছেলের ছেলে। বললে, তোমার মেয়ে নাকি উঁচু বংশের মেয়ে। ঠিক আছে সুতপা আমরা যখন খারাপ তখন তুমি তোমার মেয়েকে নিয়ে যেখানে ইচ্ছা যাও। আমিও আমার ছেলেকে নিয়ে ঐ খারাপ মেয়ে ছেলেটার কাছেই চলে যাব। আমি জান্তাম। ঠিক জানতা—এই হবে। আমার ভুল হয়ে গেছে, আবার বিয়ে করাটাই ভুল হয়ে গেছে।

সমীরণ সত্যিই তো, তুমি তোমার ঘর ছেড়ে যাবে কেন! তার চেয়ে রং আমিই আমার মেয়েকে নিয়ে বাপের বাড়ীতে চলে যাচ্ছি!

চল্‌, টুম্পা চল, রেডি হয়ে নে! যা আছে ভাগ্যে তাই-ই হবে। আমি জীবনে যা হারিয়েছি তার চেয়ে বড় হারাবার আমার জীবনে আর কি আছে!

সুতপা জানো তো, এই জন্যেই মা বলতেন এক গাছের ছাল, এ অন্য গাছে লাগে না রে! জীবনে মা’র কথা না শুনে বড় ভুল করেছি। আর ঐ তোমাদের কথায় কথায় বাপের বাড়ী যাচ্ছি! বাপের বাড়ী না থাকলে তোমাদের মেয়েদের যে কি দশা হত কে জানে!

ছেলেদের তো আর বাপের বাড়ী বলে কিছু নেই, আছে শুধু নিজের বাড়ী, নইলে যমের বাড়ী। চল টুম্পা চল—

হুঁ হুঁ–একি তুমি চলে কোথায়?

বাবা মা কে ডাকো না—

দেখলি তো টুকাই, তোর বাবা কত নিষ্ঠুর!

না সুতপা না, তুমি আমায় চিনলে না গো, চিনলে না। চল ঘরে চল, তুমি চলে গেলে আমরা কার কাছে থাকব! আমরা যে তোমার কাছে একটু ভালো ভাবে থাকব বলে এসেছি।

তালে বল সমীরণ আমায় করে দেবে তো!

দেব রে বাবা দেবো, ঠিক করে দেবো। তোমায় না করে দিলে কাকে করে দেবো বল!

এই না হলে, স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক, বল সমীরণ!

সকল অধ্যায়

১. মণিবালার প্রথম ও পঞ্চম বাবু – শঙ্করলাল ভট্টাচার্য
২. জনৈক কাপুরুষের কাহিনী – প্রেমেন্দ্র মিত্র
৩. নুরবানু – অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত
৪. আমি একটা মানুষ নই – আশাপূর্ণা দেবী
৫. ঠগের ঘর – সুবোধ ঘোষ
৬. হরপার্বতী সংবাদ – প্রবোধকুমার সান্যাল
৭. চীনেমাটি – সন্তোষকুমার ঘোষ
৮. বালির ঝড় – সমরেশ বসু
৯. আত্মজা – বিমল কর
১০. সন্ধ্যেবেলা রক্তপাত – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
১১. কীট – শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
১২. আর একবার – প্রফুল্ল রায়
১৩. রাগ অনুরাগ – শক্তিপদ রাজগুরু
১৪. পূর্বক্ষণ – ননী ভৌমিক
১৫. রাজার টুপি – অতীন বন্দ্যোপাধ্যায়
১৬. ফাঁদ – সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ
১৭. জারিনার প্রেম – তারাপদ রায়
১৮. বলিছে সোনার ঘড়ি – বরেন গঙ্গোপাধ্যায়
১৯. আঁধার ঘর – সঙ্কর্ষণ রায়
২০. টেককা টেককি – কণা বসুমিত্র
২১. মিসেস মেলনির গল্প – সুকুমার ভট্টাচার্য
২২. অঙ্কুর – ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়
২৩. ছায়া গোধূলি – উত্তম ঘোষ
২৪. রোদ বৃষ্টি কুয়াশা – বামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়
২৫. দাম্পত্য – অনিশা দত্ত
২৬. বাতাসের রং নেই – কল্যাণ মৈত্র
২৭. বালির ঘর – দিলীপকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়
২৮. শ্বশুরবাড়ি নয়— ক্লাব হাউস – বৈদ্যনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়
২৯. হেনস্থা – তপনকুমার দাস
৩০. লজ্জা – রবিন দে
৩১. দাম্পত্য কলহ ও নেকলেস – শ্রীজয়দেব রায়
৩২. দাম্পত্য স্মৃতি – লক্ষ্মীদেবী চক্রবর্তী
৩৩. সংঘাত প্রশান্ত – বর্মন রায়
৩৪. শেষের সে বিচার – ডাঃ অরুণকুমার দত্ত
৩৫. আলট্রা মডার্ণ – অসীমানন্দ মহারাজ
৩৬. তুমি আমি দুজনেই – আবদুল জব্বার
৩৭. লোকটা – আশিস সান্যাল
৩৮. ক্ষত ও নিরাময় – তৃণাঞ্জন গঙ্গোপাধ্যায়
৩৯. নতুন বইয়ের গন্ধ – শুভমানস ঘোষ
৪০. ভুবন চৌধুরী – অলোককৃষ্ণ চক্রবর্তী
৪১. পদ্মাকাঁটা – গৌর মিত্র
৪২. মালাবৌদি – ডাঃ মহাদেব বন্দ্যোপাধ্যায়
৪৩. ধূসর কণ্ঠস্বর – শান্তিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়
৪৪. দাম্পত্য কলহকথা – স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়
৪৫. বাদশা-বেগম ঝমঝমাঝম – সৌমিত্ৰশংকর দাশগুপ্ত
৪৬. দাম্পত্য – সুব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়
৪৭. বন্ধ্যা – তমাল লাহা
৪৮. অণুবীক্ষণ – কুণালকিশোর ঘোষ
৪৯. শিউলি বনে গন্ধরাজ – গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায়
৫০. বাঁশফুল – শিবতোষ ঘোষ
৫১. ছোটলোক – শচীন দাশ
৫২. পঞ্চম রিপু – শৈলেন রায়
৫৩. শুধু সমুদ্রের চিত্রনাট্য – অরূপরতন ঘোষ
৫৪. আশ্রয় – নীলাঞ্জন চট্টোপাধ্যায়
৫৫. কুমারী মাটি – পুলককুমার বন্দ্যোপাধ্যায়
৫৬. দাম্পত্য কলহের অন্তরালে – বরুণ মজুমদার
৫৭. জলপরী, সুবিমল ও একটি ধর্ষণের গল্প – জগন্নাথ প্রামাণিক
৫৮. পরকীয়া – প্রণব সেন
৫৯. সম্পর্ক – চিন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়
৬০. কালার টি.ভি. – সুদীপ্ত বন্দ্যোপাধ্যায়
৬১. বন্ধন – ভাগ্যধর হাজারী
৬২. পরকীয়া প্রেম – উজ্জ্বল কুমার দাস
৬৩. অনিকেত – সঞ্জয় ব্রহ্ম
৬৪. ভূমিকা – পঞ্চানন মালাকর
৬৫. বিষাক্ত মদ – পরেশ সরকার
৬৬. দূরের গাড়ি – অগ্নি বসু
৬৭. ধারাবাহিক – মৃণাল বসুচৌধুরী
৬৮. বুমেরাং – তপন বন্দ্যোপাধ্যায়
৬৯. বকম বকম – প্রদীপ আচার্য
৭০. কুয়োতলার কাব্য – অশোককুমার কুণ্ডু
৭১. ধরিত্রী – জীবন সরকার
৭২. পৃথিবী শস্যশালিনী – শৈবাল মিত্র
৭৩. রবিবার ছুটির দিন – আফসার আমেদ (আফসার আহমেদ)
৭৪. চিতা – চণ্ডী মণ্ডল
৭৫. মেঘাবৃত চাঁদ – আবু রুশদ
৭৬. প্রতিষেধক – আবু ইসহাক
৭৭. ফাঁদ – আবুল খায়ের মুসলেহউদ্দিন
৭৮. পরী – আলাউদ্দিন আল আজাদ
৭৯. প্রেমের গপ্পো – আখতারুজ্জামান ইলিয়াস
৮০. পানকৌড়ির রক্ত – আল মাহমুদ
৮১. অস্থির অশ্বক্ষুর – আবদুল মান্নান সৈয়দ
৮২. ফুলের বাগানে সাপ – ইমদাদুল হক মিলন
৮৩. আজীবন দিন-রাত্রি – জ্যোতিপ্রকাশ দত্ত
৮৪. পথ, হে পথ – নাসরীন জাহান
৮৫. ধূসর – বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর
৮৬. বেলী – বুলবুল চৌধুরী
৮৭. অস্পষ্ট মুখ – মঈনুল আহসান সাবের
৮৮. যৌথ একাকিত্ব – মঞ্জু সরকার
৮৯. লা পেরুজের সূর্যাস্ত – রাবেয়া খাতুন
৯০. হে আনন্দ – রাহাত খান
৯১. খাঁচার ভিতর সুচিন পাখি কমনে বাঁইচে রয় – শওকত আলী
৯২. অষুধ – শহীদ আখন্দ
৯৩. মানব-মানবী – শিহাব সরকার
৯৪. মতিনউদ্দিনের প্রেম – সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ
৯৫. গন্তব্য, অশোক – সৈয়দ শামসুল হক
৯৬. প্রহসনের মতো – সাইয়িদ আতীকুল্লাহ
৯৭. দুর্নীতি – সেলিনা হোসেন
৯৮. জননী – হাসান আজিজুল হক
৯৯. নিশিকাব্য – হুমায়ূন আহমেদ

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন