জটিলেশ্বর

তারাপদ রায়

জটিলেশ্বর

আমি ভদ্রলোকের নাম দিয়েছি জটিলেশ্বর। অবশ্যই মনে মনে নিজের কাছেই এই গোপন নামকরণ।

জটিলেশ্বর নামে মুখোপাধ্যায় পদবির এক বিখ্যাত গায়কের প্রতি সম্পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখেই এই নামকরণ।

 ভদ্রলোকের অবশ্যই রাম-শ্যাম, আজিজ বা সিরাজ এই রকম কোনও সাধারণ নাম আছে, কিন্তু তাঁর চিন্তা, কথাবার্তা এবং চালচলনের বিচিত্র জটিলতাই আমাকে এই নামকরণে বাধ্য করেছে।

.

এই জটিলেশ্বরবাবুর সঙ্গে খুব ঘনিষ্ঠ পরিচয় এখনও আমার গড়ে ওঠেনি। কখনও গড়ে উঠবে কি না সে বিষয়েও যথেষ্ট সন্দেহ আছে। তাঁর মতো লোকের ঘনিষ্ঠ হওয়া শুধু কঠিন নয়, বিপজ্জনক।

আমি আর জটিলেশ্বরবাবু একই পাড়ার অধিবাসী। বড়জোর বছরখানেক হল তিনি আমাদের এলাকায় এসেছেন। খুব সম্ভব সরকারি চাকুরে, মফসসলের কোথাও থেকে বদলি হয়ে কলকাতায় এসেছেন।

আমরা দুজনে একই এলাকার বাসিন্দা হলেও, জটিলেশ্বরবাবু আমার ঠিক প্রতিবেশী নন।

পাড়ার মধ্যখানে একটা ছোট পার্ক। আমাদের এই নব-উপনগর সল্টলেকে এর নাম গ্রিন ভার্জ (Green Verge)।

এই গ্রিন ভার্জের উত্তর-পূর্ব প্রান্তে আমার বাসা। আর, দক্ষিণ-পশ্চিম কোনায় ফ্ল্যাট বাড়ির একতলায় জটিলেশ্বরবাবুর বসবাস।

আমাদের এই পার্কের ঠিক মধ্যখানে একটা বকুল গাছ, বেশ লম্বা-চওড়া। বয়েস বেশি না হলেও ঝাঁপিয়ে বেড়ে উঠেছে। এই গাছটার নীচে বিশেষ বিশেষ দিনে পতাকা উত্তোলন হয়, দোলে-পঁচিশে বৈশাখে জমায়েত হয়, গানবাজনা হয়। কিন্তু মাঠের ঠিক মধ্যখানে হওয়ায় পাড়ার ছেলে মেয়েদের খেলাধুলার, বিশেষ করে ফুটবল খেলার খুবই অসুবিধে হয়।

 সে যা হোক বড় রাস্তা থেকে পাড়ার মধ্যে প্রবেশ করতে গেলে, যাঁরা পার্কের পাশে থাকেন তাঁরা সাধারণত পার্কের পাশের রাস্তা দিয়ে না হেঁটে পার্কের মধ্য দিয়ে হেঁটে বকুল গাছটার নীচ দিয়ে শর্টকাট করেন। আমাদের বাড়িতে আসতে অবশ্য পার্ক পেরোতে হয়। পার্কের মুখেই আমাদের বাড়ি।

তবে কোনাকুনি গেলে বড় রাস্তা থেকে বাড়িতে যাতায়াতের পথ জটিলেশ্বরবাবুর জন্য কিছুটা শর্টকাটের সুবিধে হয়।

শর্টকাট প্রসঙ্গেই জটিলেশ্বরবাবুর সঙ্গে আমার প্রথম আলাপ। বেশ কয়েকমাস আগের কথা।

 তখন জটিলেশ্বরবাবু সদ্য পাড়ায় এসেছেন। মাত্র দুয়েকবার রাস্তাঘাটে দেখেছি।

লক্ষ করেছি নতুন ভদ্রলোক প্রতিদিনই রাত দশটা-সাড়ে দশটা নাগাদ একটু বেসামাল অবস্থায়। বাড়ি ফেরেন। পা রীতিমতো টলমল করে।

তা আজকাল, বিশেষত আমাদের এই পাড়ায় পানদোষীর কোনও অভাব নেই। আমি নিজেও এ দোষ থেকে সম্পূর্ণ মুক্তি নই। তবে আমার অনেক বেশি আসক্তি গুণ্ডিপানে। প্রতিদিন সন্ধ্যাবেলা ওই গুণ্ডিপান, বাংলাদেশে যাকে বলে দোক্তাপান ফুলবাগানের মোড়ে এসে ওড়িয়া ঠাকুরের দোকান থেকে গোটা চারেক খিলি কিনে নিয়ে যাই।

 চুয়া-চন্দন, ছোট এলাচ দেয়া কড়া তামাকের গুণ্ডি তার মেজাজ-মৌতাত আলাদা।

 নৈশাহার শেষ করে প্রত্যেকদিনই আমি গুণ্ডিপান নিয়ে বাড়ির বাইরের বারান্দায় ঘুমোতে যাই। যাওয়ার আগে বেশ কিছুক্ষণ বসে থাকি। তারিয়ে তারিয়ে দোক্তামিশ্রিত পানরস উপভোগ করি। আমার বাড়ির সামনে দিয়েই পার্কের মধ্য দিয়ে পায়ে চলার পথ বকুল গাছতলা দিয়ে বিপরীত দিকে চলে গেছে। প্রথম যেদিন জটিলেশ্বরবাবুর সঙ্গে পরিচয় হল সেদিন ওই রাত সাড়ে দশটা নাগাদ দেখলাম টালমাতাল অবস্থায় মাঠের মধ্যে নামলেন রাস্তা থেকে। তারপর টলতে টলতে কোনাকুনিভাবে বাড়ির দিকে রওনা হলেন।

তারপর আর খেয়াল করিনি। আমি আপন মনে পানরসে নিমজ্জিত হয়ে পাশের বাড়ির টিভিতে তে ‘আজ জ্যোৎস্না রাতে সবাই গেছে বনে’ শুনছিলাম। সেদিন অবশ্য জ্যোৎস্না মোটেই ছিল না, বেশ অন্ধকার। দূরে চারপাশের চারটি টিমটিমে আলোয় পার্কের ভেতরটা খুব আবছায়া। আমি তন্ময় হয়ে পান চিবোচ্ছিলাম এবং গান শুনছিলাম। এমন সময় হঠাৎ একটা আর্ত চিৎকারে পরিবেশ ভেঙে গেল।

বুঝলাম চিৎকারটা আসছে মাঠের মধ্যখানে বকুল গাছটার নীচ থেকে।

কী জানি কোনও ছিনতাই-টিনতাইয়ের ব্যাপার নাকি! এ পাড়ায় যদিও ব্যাপারটা খুব স্বাভাবিক নয়, তবুও কত কী ঘটতে পারে।

তাড়াতাড়ি মাঠের মধ্যে বকুলতলার দিকে ছুটে গেলাম। এদিক-ওদিক আশপাশের বাড়ি থেকে আরও কয়েকজন ছুটে এলেন।

গিয়ে দেখি বকুলতলায় গড়াগড়ি খাচ্ছেন পাড়ায় নবাগত ওই ভদ্রলোক, তাঁর কপাল ফেটে গেছে, দরদর করে রক্ত পড়ছে।

ধরাধরি করে ভদ্রলোককে, পরবর্তীকালে ব্যক্তিগতভাবে আমি যাঁর গোপন নাম রেখেছি সেই জটিলেশ্বরবাবুকে আমরা সবাই মিলে তাঁর বাড়িতে নিয়ে গেলাম।

কপালে আয়োডিন দিয়ে ব্যান্ডেজ করে ভদ্রলোককে বাসায় বিছানায় শুইয়ে দিলাম।

জটিলেশ্বরবাবু বোধহয় অবিবাহিত কিংবা বিপত্নীক, বাড়ি ঘর দেখে তাই মনে হল। বাড়িতে থাকার মধ্যে এক বৃদ্ধ ভৃত্য, সে লোকটি আবার কালা মানে কানে খাটো।

আমরা ইতোমধ্যে বুঝে গেছি যে জটিলেশ্বরবাবুকে কেউ আক্রমণ করেনি, তা হলে অন্তত। পার্কের মধ্যে দিয়ে দৌড়ে পালাতে তাদের বা তাকে দেখা যেত। রক্তাক্ত জটিলেশ্বরবাবু ভূমিশয্যায় একাই পড়েছিলেন। ধ্বস্তাধ্বস্তির যেসব স্বাভাবিক চিহ্ন থাকে, তাও ছিল না।

সে যা হোক, ব্যাপারটা তিনিই খোলসা করলেন।

জটিলেশ্বরবাবু বললেন, পার্কের মধ্যখানে দুটো বকুলগাছ রয়েছে তো। সেই গাছ দুটোর মধ্য দিয়ে তাড়াতাড়ি হেঁটে আসতে গিয়ে কী করে যে একটা গাছের সঙ্গে মাথায় ঠোক্কর খেয়ে পড়ে গেলাম, কপালটা ফেটে গেল।

আমরা একটু অবাক হলাম।

দুটো বকুল গাছ?

দুটো বকুল গাছ দেখলেন কোথায়?

ওখানে তো একটা গাছ।

আমরা একেকজন একেকরকম বললাম।

 জটিলেশ্বরবাবু অধিক অবাক হয়ে বললেন, সে কী ওখানে দুটো গাছ নেই!

তারপর একটু থেমে, কিঞ্চিৎ চিন্তা করে আপন মনেই বললেন, কাল সকালে পরীক্ষা করে দেখতে হবে। এতটা ভুল দেখলাম!

জটিলেশ্বরবাবুর মুখ দিয়ে মদের গন্ধ বেরোচ্ছিল। আমরা আর বিরক্ত না করে যে যার বাড়িতে ফিরে এলাম।

ফেরার পথে পার্কের মধ্যে হাঁটতে হাঁটতে আমরা ঘটনাটা পর্যালোচনা করছিলাম। আমরা ভালমতোই বুঝে গিয়েছিলাম যে মদে চুরচুর হয়ে বাড়ি ফেরার পথে তিনি আবছায়া অন্ধকারে একটা গাছকে দুটো গাছ দেখেছেন এবং তারই ফাঁক দিয়ে গলতে গিয়ে এই ভয়াবহ বিপত্তি।

বারে-ক্লাবে মাতালদের ওরকম ডবল দেখার ঘটনা অনেক দেখেছি।

আবার এর উলটোটাও দেখেছি।

এক বারে দুই যমজ ভাই মদ খেতে যায়। অন্য টেবিলে এক মদ্যপ এক পেগ মদ টেনে সামনে তাকাতেই ওই দুই ভাইকে দেখতে পায়। অবিকল একরকম দেখতে দুজন মানুষ।

সঙ্গে সঙ্গে প্রাচীন মদ্যপটি বুঝতে পারলেন ডাবল দেখছেন। এক পাত্র পান করে এতটা নেশা হওয়া অনুচিত, কিন্তু তিনি আর মদ্যপান করতে সাহস পেলেন না।

.

ধীরে ধীরে জটিলেশ্বরবাবুর সঙ্গে একটু-আধটু আলাপ পরিচয় হল।

কথায় কথায় জানলাম তিনি দুধের ডেয়ারিতে কাজ করেন। আগে মফসসলে ছিলেন, এখন প্রমোশন পেয়ে কলকাতা-সদরে হেড অফিসে এসেছেন।

জটিলেশ্বরবাবুর মূল কাজ হল দুধে জল মেশানো।

এ অবশ্য চিরাচরিত গোয়ালার দুধে জল মেশানো নয়। বিদেশ থেকে গুঁড়ো দুধ এনে তার মধ্যে পরিমাণমতো জল মেশানো। বলাবাহুল্য জলের মাত্রা বেশি করতে পারলে লাভও বেশি। এই জন্যে অনেক সময়েই প্যাকেটের দুধ গোয়ালার দুধের মতোই পাতলা হয়ে যায়।

একদিন হঠাৎ বিনা কারণেই উপযাচক হয়ে জটিলেশ্বর আমাকে বললেন, জানেন আমাদের কোম্পানির প্যাকেটের দুধে এবার থেকে জলের পরিমাণ একদম কমে যাবে। একেবারে ঘন দুধ পাবেন।

এ তথ্যে আসার কোনও প্রয়োজন ছিল না, জটিলেশ্বরবাবুদের কোম্পানির দুধ আমি খাই না। তবে ভদ্রতার খাতিরে সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন করি, কেন? কী ব্যাপার বুঝতে পারছি না।

জটিলেশ্বর মৃদু হেসে বললেন, আমাদের কোম্পানি বোতলের জলের ব্যবসা শুরু করেছে, নতুন প্ল্যান্ট গতকাল চালু হয়ে গেছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী নিজে উদ্বোধন করেছেন। কাগজে দেখেননি?

এ সব খবর কাগজে আর কে পড়ে! তবু আমি বললাম, কিন্তু দুধে জল কমবে কেন?

জটিলেশ্বরবাবু বললেন, বুঝতে পারছেন না? এক লিটার জলের দাম হচ্ছে বারো টাকা, আর দুধের লিটার হল এগারো টাকা। দুধে জল মেশালে কোম্পানিরই ক্ষতি। এখন জল যত কম দেওয়া যাবে ততই লাভ।

.

ধীরে ধীরে জটিলেশ্বরবাবুর জটিলতা আমি টের পেতে লাগলাম।

এক রবিবার সকালে এলেন, এসে বললেন, আপনি তো লেখা-টেখা করেন। একটা চমৎকার বাক্য রচনা করেছি শুনুন,

খয়াখর্জুর মেয়েরা খুব খাইখুট্টি হয়।

আমি এ ধরনের বাক্যে অভ্যস্ত নই, বললাম, এর মানে?

জটিলেশ্বর বললেন, মানে তো সোজা, ছোটখাটো মেয়েরা বেশি খায়।

তারপর একটু থেমে আমাকে চিন্তা করার সুযোগ দিয়ে বললেন, অনুপ্রাসের এটা একটা চমৎকার নমুনা। সাতটা শব্দের মধ্যে পাঁচটাই খ দিয়ে।

সেদিন এক কাপ চা খেয়ে বিদায় নিলেন। কিন্তু পরের রবিবার আবার এলেন জটিলতর সমস্যা নিয়ে।

দেখলাম দুটো বাংলা প্রবাদ তিনি সম্পূর্ণ গুলিয়ে ফেলেছেন।

আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, আচ্ছা, হাতিমারা কেরানি কথাটার মানে কী? আপনি তো লেখক মানুষ, আপনি তো নিশ্চয় জানেন।

আমি বললাম, হাতিমারা কেরানি এ জাতীয় কোনও কথা কখনও শুনিনি।

জটিলেশ্বর গম্ভীর হয়ে বললেন, এ কথাটা নিশ্চয় শুনেছেন–মরা মাছি লাখ টাকা। সেই মুহূর্তে আমি বুঝতে পারলাম ভদ্রলোক হাতি আর মাছি গোলমাল করে ফেলেছেন। কিন্তু আমি কিছু বলার আগেই তিনি সেদিন চা না খেয়েই চলে গেলেন।

এগুলো রসিকতা না পাগলামি এ বিষয়ে আমার মনে ধন্দ ছিল।

কিন্তু আজ সকালেই সে ধন্দ দূর হয়েছে।

.

সকালবেলা হাঁটতে বেরিয়েছিলাম।

দেখি পার্কের ওপাশে তাঁর ফ্ল্যাট বাড়ির সামনে সিঁড়ির ওপর জটিলেশ্বরবাবু বসে আছেন। আমাকে দেখে হাতজোড় করে নমস্কার করে বললেন, গুড মর্নিং। সুপ্রভাত। তারপর প্রশ্ন করলেন, আচ্ছা আমরা গুড মর্নিং বলি। সুপ্রভাত বলি। গুড ডে বলি কিন্তু সুদিন বলি না কেন?

এই জটিলতা এড়িয়ে আমি বললাম, কিন্তু আপনি সিঁড়ির ওপর বসে আছেন কেন?

কী করব বলুন? জটিলেশ্বর বললেন, বাড়িতে গিয়ে কড়া নাড়ালাম দরজা না খুলে কাজের লোকটা বলল, জটিলেশ্বরবাবু বাড়ি নেই। পরে আসুন।

তারপর মাথা চুলকোতে চুলকোতে বললেন, সকালে হাঁটতে বেরিয়েছিলাম এখন বাড়ি ফিরে এই বিপত্তি।

আমি বললাম, তাহলে এখন কী করবেন?

জটিলেশ্বরবাবু বললেন, কী আর করব! দেখি জটিলেশ্বরবাবু কখন ফেরেন।

 আমি রীতিমতো বিস্মিত হয়ে বললাম, কিন্তু আপনিই তো জটিলেশ্বরবাবু?

ভ্রূ কুঞ্চিত মুখে জটিলেশ্বর বললেন, সেটাই তো প্রশ্ন।

সকল অধ্যায়

১. পঞ্চতন্ত্রের শেষ গল্প
২. খেজুরে গুড়ের সন্দেশ
৩. রেলবাজার স্টেশন
৪. চলন্তিকা
৫. জারিনা বিবি
৬. আরম্ভ
৭. মূল কাহিনি
৮. ব্লটিং পেপার
৯. ছোটসাহেব
১০. হন্তদন্ত
১১. ভাল খবর, খারাপ খবর
১২. হাস্যকর
১৩. সর্বাঙ্গসুন্দরের কবিতা
১৪. চেয়ার
১৫. মার্জার পুরাণ
১৬. কাঁঠালহাটির গল্প
১৭. গয়া-গঙ্গা ভ্যারাইটি
১৮. লালমোহনের বিপদ
১৯. পটললালের বিপদ
২০. চর্মন্তুদ অথবা জুতো ও পটললাল
২১. বিবাহঘটিত
২২. একদা প্রভাতকালে
২৩. ফুটবল
২৪. রাঁধি মাছ না ছুঁই তেল
২৫. ছত্র বর্ধন
২৬. বিপদ ও তারাপদ
২৭. পটললাল, চলচ্চিত্র ও লেখক
২৮. অদূরভাষ
২৯. ধর্মাধর্ম
৩০. চাষির মুখে হাসি
৩১. বেশ-বেশ
৩২. ২৫০%
৩৩. একটি গল্পের নবজন্ম
৩৪. এখনই
৩৫. বইমেলায় পটলবাবু
৩৬. একটি পুস্তক সমালোচনা
৩৭. লক্ষ্মীর প্রত্যাবর্তন
৩৮. জটিলেশ্বর
৩৯. ডবল পটললাল
৪০. রোশনচৌকি
৪১. সুধানাথবাবু মন্ত্রী হলেন
৪২. ভাগলপুরের পাঞ্জাবি
৪৩. শেষ অশ্বারোহী
৪৪. স্বর্গের চাবি
৪৫. আরশোলা এবং নিদারুণ বার্তা
৪৬. একটি অখাদ্য গল্প
৪৭. একটি আদ্যোপান্ত দুর্ঘটনা
৪৮. গোরুর গল্প
৪৯. ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের চিঠি
৫০. আবহাওয়া
৫১. ঘুঘু কাহিনি
৫২. সাক্ষাৎকার
৫৩. ভজহরি চাকলাদার
৫৪. জয়াবতী ও জয়গোপালের কাহিনি
৫৫. নিরুদ্দেশ জানলা
৫৬. খদ্দের
৫৭. ভ্রমণকাহিনি
৫৮. লাথ্যৌষধি
৫৯. বাণেশ্বরের রোগমুক্তি
৬০. জীবনবাবুর পায়রা
৬১. মনোজ সান্যালের গল্প
৬২. ভজগোবিন্দ ভোজনালয়
৬৩. নবারুণবাবু সুখে থাকুন
৬৪. কণ্টকাকীর্ণ
৬৫. বেঁচে আছি
৬৬. সঞ্চয়িতা
৬৭. পুরনো পল্টন
৬৮. রেটটা একটু কমান
৬৯. গেঞ্জি
৭০. ভিখারি বিষয়ে
৭১. বইমেলা
৭২. পাদুকার বদলে
৭৩. নামাবলী
৭৪. পাপি সুইমিং স্কুল
৭৫. টমাটো সস
৭৬. গয়া ১৯২৪
৭৭. টাইপ-রাইটার
৭৮. দুই মাতালের গল্প
৭৯. মহামহিম
৮০. জয়দেবের জীবনযাত্রা
৮১. একদিন রাত্রে
৮২. কালমেঘ
৮৩. চশমা
৮৪. সার্জন সাহেবের বাড়িতে
৮৫. কবিতা ও ফুটবল
৮৬. এন-আর-আই
৮৭. গুপ্তপ্রসঙ্গ
৮৮. দাঁত
৮৯. একশো টাকার ভাঙানি
৯০. সান্যাল স্লিমিং
৯১. হাতে খড়ি
৯২. অন্য এক মাতালের গল্প
৯৩. অবসরের দিনলিপি
৯৪. বিমান কাহিনি
৯৫. শালিক ও শ্যালিকা
৯৬. তরমুজের বীজ
৯৭. টালিগঞ্জে পটললাল
৯৮. পটললাল ও মধুবালা
৯৯. নীল আলো
১০০. পাঁচ-পাঁচ
১০১. বেগুন, মোচা এবং কাফকা
১০২. হৃদয় ঘটিত
১০৩. অবিচ্ছিন্ন
১০৪. চিকিৎসা
১০৫. কে মারা যাচ্ছে?
১০৬. পটললাল ও মিস জুলেখা
১০৭. নিজেকে জানো
১০৮. ভাল-খারাপ
১০৯. ব্যাঙ
১১০. বরাহমিহিরের উপাখ্যান
১১১. বিবি এগারো বারো
১১২. হুঁকো
১১৩. ফুঃ
১১৪. স্বর্গের গল্প
১১৫. হরিনাথ ও হরিমতী
১১৬. জীবনযাপন
১১৭. ফুলকুমারী
১১৮. জতুগৃহ
১১৯. বিষ
১২০. বাঁচার মতো বাঁচা
১২১. নস্যি
১২২. ডিম
১২৩. এক প্রধানের গল্প
১২৪. আবগারীশ্বরী
১২৫. কাণ্ড-কারখানা
১২৬. আধকপালে

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন