“অর্ধেক কল্পনা” (যেদিন জাগেনি বিশ্বে প্রাণস্পন্দে আদিম উৎসব)

বিষ্ণু দে

যেদিন জাগেনি বিশ্বে প্রাণস্পন্দে আদিম উৎসব,
অন্তহীন ঘননীল আকাশের ছিল নাকো নীল,
যেদিন হয়তো ছিল বিশ্ব শুধু সমুদ্রসলিল,
বায়ুহীন তমিস্রায় দিন-রাত্রি হয়নি উদ্ভব,
যেদিন জাল সদ্য অঙ্কুরিত কামনার স্তব,
যেদিন প্রথম এল ভবিষ্য ও অস্তিত্বের মিল,
সেদিন তোমারই স্বপ্ন দেখেনি কি গর্ভস্থ নিখিল?
পুরুষের সৃষ্টিস্বপ্নে ছিল নাকি তোমারই বৈভব?
তোমার দর্পণে আমি দেখেছি তো খণ্ডিত পুরুষ,
তোমাকে তর্পণে দেখি পুরুষের কম্পিত হৃদয়,
যে হৃদয়ে কেঁপেছিল আদি স্বপ্নে সৃষ্টির বিস্ময়।
তোমার দেহের দূর রহস্যের-বদ্ধ মোহদ্বার
আমিই করিনি রুদ্ধ ভেদমুগ্ধ কম্পিত পুরুষ?

১৯২৯

সকল অধ্যায়

১. পলায়ন (শফরী চোখের সরল চাহনি)
২. কাব্যপ্রেম (তোমাকেই ঘিরে চলে রক্তস্রোত)
৩. উদ্যাপন (স্বপ্নে আজ দেখেছি তোমাকে)
৪. প্রেম (ফিরাও তোমার দৃষ্টি ফিরাও আমার চোখ হতে)
৫. “অর্ধেক কল্পনা” (যেদিন জাগেনি বিশ্বে প্রাণস্পন্দে আদিম উৎসব)
৬. প্রত্যক্ষ (সেইদিন দেখেছি তোমাকে)
৭. বজ্রপাণি (কাল রজনীতে এসেছিল যবে বৈশাখী পূর্ণিমা)
৮. অভীপ্সা (এ আকাশ মুছে দাও আজ)
৯. অর্ধনারীশ্বর (সম্মুখে দুঃস্বপ্নরুক্ষ অসিধার কঠিন আকাশ)
১০. সমুদ্র (ভাসিয়েছি প্রেম আজ নীলিমার অন্ধকার জলে)
১১. সাগর উত্থিতা (সবুজ সমুদ্রে ওঠে অগণন ঢেউ)
১২. উর্বশী (আমি নহি পুরূরবা)
১৩. পর্যাপ্তি (যাক, আজ দূরে যাক তারা)
১৪. সন্ধ্যা (বামদিকে গিরিশৃঙ্গ আকাশকে করেছে আহত)
১৫. উর্বশী ও আর্টেমিস (সন্ধ্যার বর্ণের ছটা রয়েছে তো তবু)
১৬. ছেদ (আমার হৃদয় হিম-অবজ্ঞায় করেছি বিকল)
১৭. রাত্রিশেষে (আকাশের দুর্গে নেই পলাতকা অমাবস্যা আজ)
১৮. অতিক্রম (রাত্রির বিশাল মুখ বাতায়নে উঁকি দেয় কালো)
১৯. প্রত্যাবর্তন (আহা ষড়ঋতু! বনভবন!)
২০. প্রজ্ঞাপারমিতা তাকে করে আশীর্বাদ
২১. ভয় (বট আর অশথের ছায়াঘন কালো ভয়গুলি)
২২. এপ্রিল (শুভ্রকেশ ঢেউ ছেড়ে, সমুদ্রের আলিঙ্গন ছিঁড়ে)
২৩. গ্রীষ্ম (ঘন গ্রীষ্মতাপ)
২৪. আলোক ছড়াও (শীতের উন্মুক্ত রৌদ্র কালো তার কেশে)
২৫. সোহবিভেত্তস্মাদেকাকী বিভেতি

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন