কাব্যপ্রেম (তোমাকেই ঘিরে চলে রক্তস্রোত)

বিষ্ণু দে

তোমাকেই ঘিরে চলে রক্তস্রোত আমার মন্থর,
চিত্ত হল পথহারা স্বপ্নের নিবিড় কুয়াশায়।
জীবনের ছন্দ ভেঙে তোমার কেশের গন্ধ হায়
সর্পিল গতিতে টানে অহর্নিশি আমার অন্তর।
তোমাকেই আঁকে স্নায়ু পাকে পাকে দেহের ভিতর,
তোমারই অস্তিত্ব সৌরকেন্দ্র যে আমার চেতনায়।
আমার প্রত্যাশা, প্রেম রাখো তুমি আমার আশায়—
পুরুষ আমার চিত্ত নিত্য হেরে স্বপ্নস্বয়ম্বর।

তোমার সুঠাম দেহ, গোধূলি-রঙিন তনুখানি
যে মায়া বিছায় মনে, জানি আমি সেই মায়া জানি—
চিত্রকর ভাস্করের স্বপ্নমূর্তি আমি হেরিলাম
তোমার দেহের মাঝে। কবিতার হোলিতে রঙিন
আমার মনের বেশ—আবিরে মাতাল রাত্রি দিন
তোমারই প্রতিমা দেখি নগরীর পটে অবিশ্রাম।

১৯২৮

সকল অধ্যায়

১. পলায়ন (শফরী চোখের সরল চাহনি)
২. কাব্যপ্রেম (তোমাকেই ঘিরে চলে রক্তস্রোত)
৩. উদ্যাপন (স্বপ্নে আজ দেখেছি তোমাকে)
৪. প্রেম (ফিরাও তোমার দৃষ্টি ফিরাও আমার চোখ হতে)
৫. “অর্ধেক কল্পনা” (যেদিন জাগেনি বিশ্বে প্রাণস্পন্দে আদিম উৎসব)
৬. প্রত্যক্ষ (সেইদিন দেখেছি তোমাকে)
৭. বজ্রপাণি (কাল রজনীতে এসেছিল যবে বৈশাখী পূর্ণিমা)
৮. অভীপ্সা (এ আকাশ মুছে দাও আজ)
৯. অর্ধনারীশ্বর (সম্মুখে দুঃস্বপ্নরুক্ষ অসিধার কঠিন আকাশ)
১০. সমুদ্র (ভাসিয়েছি প্রেম আজ নীলিমার অন্ধকার জলে)
১১. সাগর উত্থিতা (সবুজ সমুদ্রে ওঠে অগণন ঢেউ)
১২. উর্বশী (আমি নহি পুরূরবা)
১৩. পর্যাপ্তি (যাক, আজ দূরে যাক তারা)
১৪. সন্ধ্যা (বামদিকে গিরিশৃঙ্গ আকাশকে করেছে আহত)
১৫. উর্বশী ও আর্টেমিস (সন্ধ্যার বর্ণের ছটা রয়েছে তো তবু)
১৬. ছেদ (আমার হৃদয় হিম-অবজ্ঞায় করেছি বিকল)
১৭. রাত্রিশেষে (আকাশের দুর্গে নেই পলাতকা অমাবস্যা আজ)
১৮. অতিক্রম (রাত্রির বিশাল মুখ বাতায়নে উঁকি দেয় কালো)
১৯. প্রত্যাবর্তন (আহা ষড়ঋতু! বনভবন!)
২০. প্রজ্ঞাপারমিতা তাকে করে আশীর্বাদ
২১. ভয় (বট আর অশথের ছায়াঘন কালো ভয়গুলি)
২২. এপ্রিল (শুভ্রকেশ ঢেউ ছেড়ে, সমুদ্রের আলিঙ্গন ছিঁড়ে)
২৩. গ্রীষ্ম (ঘন গ্রীষ্মতাপ)
২৪. আলোক ছড়াও (শীতের উন্মুক্ত রৌদ্র কালো তার কেশে)
২৫. সোহবিভেত্তস্মাদেকাকী বিভেতি

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন