পূর্বেই আলোচিত হয়েছে যে, বেনে খামারের পূর্ব-বসতির কয়েকটি প্রাচীন জলাশয় ভিন্ন মানুষের রচিত কোন চিহ্ন বিভিন্ন ভাবে বিলুপ্ত হয়েছে এবং পরবর্তী বসতি পশ্চিম দিকে অর্থাৎ পশ্চিম বেনেখামারে বিস্তার লাভ করে ক্রমাগত পূর্বদিকে সরে এসেছে। এ এলাকার সবচেয়ে পুরান মসজিদ পশ্চিম বেনেয়ামারের মাদ্রাসার উত্তর পাশে মোড়ল বাড়ীর সীমানা মধ্যের মসজিদ। সম্ভবত এই এলাকায় নতুন করে মুসলিম বসতি গড়ে ওঠার সময় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এ পর্যন্ত মসজিদটি কয়েকবার সংস্কার করা হয়েছে বলে জানা যায়।
বেনেখামার পূর্বপাড়া মসজিদটিও অনেক পুরান এবং এ এলাকায় বসতি গড়ে ওঠার সমসাময়িক বলে মনে হয়। মসজিদটি প্রথমে কোথায় স্থাপিত হয়েছিল ঠিক জানা যায়না, তবে ১৯১১ সালে পাকা মসজিদ নির্মাণের আগে দীর্ঘ দিন উত্তর পশ্চিম-দিকের ওনৈক মুজাই গাজীদের বাড়ীর সীমানার মধ্যে ছিল। এই বংশের জনাব মহম্মদ আলির নিকট রক্ষিত ১৮৯_ সালের এক বাটোয়ারা দলিলে দেখা যায় সম্পত্তি ভাগাভাগির সময় মসজিদ মুজাই গাজীর অংশে পড়ে। এরও আগে মসজিদ পশ্চিম দিকে জনৈক আদিল সেখ ও সাদেক সেখদের বাড়ীতে ছিল।
১৯১৯ সালে স্থায়ী পাকা মসজিদ নির্মাণের জন্য জমি দান করেন মনিক মোড়ল ও ছমির মোড়ল। জনৈক সাদেক শেখ (মিস্ত্রি) এর উদ্যোগে মানিক মোড়ল, ছমির মোড়ল, বাদুল্যা শেখ, মুন্সি ধোনাই শেখ প্রমুখ স্থানীয়দের সহযোগিতায় মসজিদ পাকা করা হয়।
পূর্ব ও পশ্চিম বেনেখামারের মসজিদ দুটির অধিক দূরত্বের জন্য মুসল্লীদের যাতায়াত বিশেষকরে বর্ষাকালের অসুবিধার জন্য বর্তমান হাজী বাড়ীর এলাকার মধ্যে মসজিদটি স্থানীয়দের উদ্যোগে বর্তমান শতকের গোড়ার দিকে নির্মিত হয়। মসজিদটির গঠন প্রকৃতি সুন্দর। অপর মসজিদটি পশ্চিম বেনেখামারের উত্তর দিকে (বসু পাড়া) ১৯২১/২২ সালে অনুরূপ প্রয়োজনে জনাব মোজাম শেখ নিজ বাড়ীর সামনে একটি মসজিদ নির্মাণ করেন। এ মসজিদটি বসুপাড়া মসজিদ নামে খ্যাত।
নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন
লগইন