শিববাড়ি গ্রামের দক্ষিণে ও শেখ পাড়ার পশ্চিমে গোবরচাকা মুসলিম প্রধান গ্রাম গোবরচাকা নামটা বিভ্রান্তমূলক ও গ্রামের নাম নিয়ে দ্বিমতের অবকাশ রয়েছে এবং বর্তমান নাম মূল নামের অপভ্রংশ। প্রত্যেক গ্রামের নামের কোন না কোন অর্থ বা অর্থবহ ইঙ্গিত থাকে। গোবরচাকা এরকম কোন অর্থ বহন করে না। অনেকে মনে করেন, পরিত্যক্ত শিববাড়ি গ্রামের দক্ষিণাংশে বিলের পাশে পুনরায় নতুন বসতি গড়ে ওঠার সময় জনৈক গওহর এলাকা বন্দোবস্ত নিয়ে কিছু অনুসারীসহ বসবাস শুরু করেন। তদবধি এ বসতি গওহর চক নামে পরিচিত। এ যুক্তি প্রামান্য তথ্যের অভাবে অনুমান ভিত্তিক মনে হলেও বসতির বিশ্লেষণ পাশের বিল খালের নাম ও নিম্নবর্ণিত ঘটনায় অনুকুল যৌক্তিকতা অনুভূত হয়।
গোবরচাকার ঐতিহ্যবাহী হাজীবাড়ীর ইসমাইল হাজী সাহেবের প্রপিতামহ ফুলতলার বারাকপুর থেকে এখানে এসে বসতি করেন। ইসমাইল হাজী সাহেবের পিতামহ বর্তমান হাজীবাড়ীর বড় পুকুর সংস্কার কালে পুকুর মধ্যে কিছু পুজোর সরঞ্জাম (কুষা—কুষি ইত্যাদি) পেয়েছিলেন এবং পুকুর পাড়ে বাগান মধ্যে একটা উঁচু জায়গাকে আজও দোলবেদী বলে কথিত হয়। এ তথ্যে পূর্বে এখানে কোন ব্রাহ্মণের বাড়ী ছিল এবং পরিত্যাগকালে এগুলো পুকুর মধ্যে নিক্ষিপ্ত হয় বলে অনুমিত হয়। উল্লেখ্য হাজী ইসমাইল সাহেবের প্রপিতামহ থেকে বর্তমান পুরুষ পর্যন্ত এ বংশের ছয়/সাত পুরুষ এখানে বসবাস করছেন। আলোচিত তথ্য ও বসতির বিবর্তন থেকে গোবরচাকা গওহর চকের অপভ্রংশ বলে অনুমিত হয়। টুটপাড়া, বানরগাতী ও গোবরচাকা গ্রামের নাম কখন কিভাবে বিকৃত হয়েছে তা নির্ণয় করা সম্ভব নয়। তবে নামের সঠিক উচ্চারণে অজ্ঞতা, সহজীকরণ ও একশ্রেণীর লোকের অবজ্ঞা প্রসূত কারণে যে বর্তমান পরিণতি ঘটেছে তাতে সন্দেহের অবকাশের কথা নয়।
নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন
লগইন