২৩. দীনের দাওয়াত দেয়ার জন্যে রাসূলুল্লাহ (সা)-এর তাইফ গমন

দীনের দাওয়াত দেয়ার জন্যে রাসূলুল্লাহ (সা)-এর তাইফ গমন

ইবন ইসহাক বলেন, আবু তালিবের ইনতিকালের পর কুরায়শরা রাসূলুল্লাহ্ (সা)-এর প্রতি কঠিন অত্যাচার শুরু করে আবু তালিবের জীবদ্দশায় যা তারা করতে পারত না। তখন রাসূলুল্লাহ্ (সা) তাইফের উদ্দেশ্যে রওনা হলেন। তাঁর আশা ছিল যে, তাইফের অধিবাসীরা তাকে সাহায্য করবে এবং তার আপনি সম্প্রদায়ের অত্যাচার থেকে তারা তাকে রক্ষা করবে। তিনি এও আশা করেছিলেন যে, তিনি আল্লাহর পক্ষ থেকে যা পেয়েছেন তারা তা গ্রহণ করবে। তিনি একাকী তাইফের উদ্দেশ্যে যাত্রা করলেন। বর্ণনাকারী ইয়াখীদ ইবন আবু যিয়াদ মুহাম্মদ ইবন কাআব্ব কুরায়ী থেকে বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ (সা) তাইফে পেঁৗছে ছাকীফ গোত্রের কয়েক জন লোকের নিকট গেলেন। তারা ছাকীফ গোত্রের নেতৃস্থানীয় ও সন্ত্রান্ত ব্যক্তি ছিল। তারা ছিল তিন ভাই। আবদাইয়ালীল, মাসউদ ও হাবীব। তাদের পিতা হল আমার ইবন উমােয়র ইবন আওফ ইবন উকদা ইবন গায়রা ইবন আওফ ইবন ছাকীফ ! তাদের একজনের স্ত্রী ছিল কুরায়শের বনু জুমাহ গোত্রের জনৈক মহিলা। রাসূলুল্লাহ্ (সা) তাদের নিকট বসলেন । তাদেরকে আল্লাহর পথে আসার আহবান জানালেন এবং নিজ সম্প্রদায়ে বিরোধী পক্ষদের মুকাবিলায় ইসলাম রক্ষায় তাকে সাহায্য করার আবেদন জানালেন ।

ওদের একজন বলেছিল, আল্লাহ যদি তোমাকে রাসূল রূপে প্রেরণ করেন, তবে তিনি কা’বা গৃহের গিলাফ ছেড়ার ব্যবস্থা করেছেন। দ্বিতীয়জন বলল, আল্লাহ রাসূল রূপে প্রেরণ করার জন্যে তোমাকে ছাড়া আর কাউকে বুঝি পাননি? তৃতীয়জন বলল, আমি তোমার সাথে কোন কথাই বলব না। কারণ, তুমি যদি প্রকৃতই আল্লাহর রাসূল হয়ে থাক, তবে তোমার কথার প্রতিবাদ করা হবে চরম বিপজ্জনক। আর যদি তুমি মিথ্যাবাদী হও তবে তোমার সাথে কথা বলা আমি উচিত মনে করি না। এরপর রাসূলুল্লাহ্ (সা) ছাকীফ গোত্র থেকে নিরাশ হয়ে ফিরে

আসার জন্যে উঠে দাঁড়ালেন। তিনি তাদেরকে বললেন, আপনারা যে আচরণ করেছেন, তা তো করেছেনই। তবে সেটি গোপন রাখবেন। তিনি চেয়েছিলেন, তার সম্প্রদায়ের লোকজন যেন এ

ঘটনাটা জানতে না পারে। অন্যথায় তারা এটি নিয়ে তাকে আরো ঠাট্টা-বিদ্রুপ করবে।

ওরা তার অনুরোধ রক্ষা করেনি। নিজেদের গুণ্ডা-বদমাশ ও দাস-দাসীদেরকে তার বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়েছিল। এরা তাকে গালি-গালাজ দিতে ও তাকে নিয়ে হৈচৈ করতে শুরু করে দেয়। ফলে বহু লোক জমায়েত হয়ে যায়, শেষ পর্যন্ত তিনি একটি বাগানে আশ্রয় নেন। বাগানের মালিক ছিল রাবী আর দ্য পুত্র উতবা এবং শায়াবা। তারা উভয়ে তখন বাগানের মধ্যে ছিল। ছাকীফ গোত্রের দুৰ্বত্তরা তখন ফিরে আসে। রাসূলুল্লাহ (সা) একটি আঙ্গুর বীথির ছায়ায় গিয়ে বসেন। তাইফের দুৰ্বত্তরা তার সাথে কী নিষ্ঠুর আচরণ করেছে উতবা ও শায়াবা তা প্রত্যক্ষ করছিল। জুমাহ গোত্রের উল্লিখিত মহিলাটি রাসূলুল্লাহর সাথে সাক্ষাত করলে তিনি তাকে বলেছিলেন তোমার শ্বশুর পক্ষ থেকে আমি কী ব্যবহারই না পেলাম!! রাসূলুল্লাহ (সাঃ) যখন কিছুটা শান্ত হলেন, তখন বললেন :

اللَّهُمُ اليك اشگو ضمغف قوتی و هوانی علی الناس یا آرحم الر احتمین آنت رب المستضعفين وانت ربى الى من تكلنى الى بعيد يتجهمونى أم الى عذو ملکته آمری ان لم یکن بلفت عصب علی فلا اجالی و لکن عافیثلت های او سعلی أعوذ بنور وجهك الذی اشلار قتلهٔ الظلمات وصلح عليه أمر الدّنيا والأخرة مرن أن تنزل بى غضبك أو تحل على سخطك لك النبى حتى ترضى لأحول ولا قوة الأ بك –

“হে আল্লাহ! আমি আমার দুর্বলতা, উপায়হীনতা এবং লোকচক্ষে অকিঞ্চিৎকরতা সম্পর্কে তোমারই দরবারে ফরিয়াদ করছি। হে সর্বশ্রেষ্ঠ দয়াময়! তুমিই অবসাদগ্ৰস্ত, অক্ষম ও দুর্বলদের মালিক। আমার মালিকও তুমিই। তুমি ছাড়া আমার তো আর কেউ নেই! আমাকে কার হাতে সমৰ্পণ করছে? তুমি কি আমাকে এমন দূরবতীদের নিকট সমর্পণ করছে, যারা রুক্ষ, কৰ্কশ ভাষায় আমাকে জর্জরিত করবে তাদের হাতে, নাকি এমন কোন শত্রুর নিকট সমর্পণ করছে। যারা আমার সাধনাকে বিপর্যন্ত করার ক্ষমতা রাখে তাদের হাতে? যদি আমার প্রতি তোমার ক্ৰোধ পতিত না হয়, তবে আমি এসব কিছুর কোন পরোয়া করি না! তোমার রহমতই আমার

জন্যে প্রশস্ততম সম্বল। তোমার যে পুণ্য জ্যোতির প্রভাবে সকল অন্ধকার বিদূরিত হয় আমি সেই নূরের আশ্রয় কামনা করছি। আমার ইহকালীন ও পরকালীন কাজকর্ম সুবিন্যস্ত করে দাও যাতে তোমার গযব ও অসন্তুষ্টি আমার উপর পতিত না হয়। আমার দোষ-ত্রুটির কথা তোমার নিকট স্বীকার করছি। তুমি আমার প্রতি সন্তুষ্ট হও! তুমি শক্তি দান না করলে সৎকাজ করার এবং পাপ কাজ থেকে বেঁচে থাকার কোন ক্ষমতা আমার নেই।”

বর্ণনাকারী বলেন, রাবী আর পুত্র উতবা এবং শায়াবা রাসূলুল্লাহ্ (সা)-এর এ করুণ অবস্থা দেখল। তখন তার প্রতি তাদের রক্তের টান মাথা চাড়া দিয়ে উঠল। আদাস নামের তাদের এক খৃস্টান ক্রীতদাসকে ডেকে তারা বলল, এখান থেকে এক থোকা আঙ্গুর নিয়ে এই পাত্রে করে ওই লোকটির নিকট যাও এবং তাকে এসব খেতে বল।

আদাস তাই করল। আঙ্গুরের পাত্র নিয়ে রাসূলুল্লাহ্ (সা)-এর সম্মুখে রেখে তা থেকে খেতে বলল। পাত্ৰে হাত দিয়ে রাসূলুল্লাহ (সা) বিসমিল্লাহ বললেন এবং খেতে শুরু করলেন। আদাস তার চেহারার দিকে তাকিয়ে বলল, এ অঞ্চলের লোকেরা তো এরূপ বাক্য উচ্চারণ করে না। রাসূলুল্লাহ (সা) তাকে বললেন। তোমার দেশ কোথায়? তোমার ধর্ম কী? সে বলল, আমি খৃস্টান, আমার দেশ নিনােভা। রাসূলুল্লাহ (সা) বললেন, তুমি পুণ্যবান ইউনুস ইবন মাত্তার দেশের লোক? আদাস বলল, ইউনুস ইবন মাত্তা সম্পর্কে আপনি কী করে জানলেন? তিনি উত্তর দিলেন, “উনি তো আমার ভাই, উনি নবী ছিলেন আর আমিও নবী। আদাস মাথা ঝুকিয়ে রাসূলুল্লাহ্ (সা)-এর মাথা, হাত ও পা চুম্বন করতে লাগল। এদিকে উতবা ও শায়বা একে অন্যকে বলছিল, তোমার ক্রীতদাসটিকে তো সে বিগড়ে দিয়েছে। আদাস ফিরে এল। তারা তাকে বলল, হতভাগা, তোর হলোটা কী, তুই ওই লোকটির মাথায়, হাতে ও পায়ে চুমু খেলে? সে বলল, মুনীবা! দুনিয়াতে ওঁর চাইতে উত্তম লোক অন্য কেউ নেই। উনি আমাকে এমন একটি কথা বলেছেন যা নবী ছাড়া অন্য কেউ জানে না। তারা বলল, আদাস খবরদার! সে যেন তোকে তোর ধর্ম থেকে ফিরিয়ে নিতে না পারে। কারণ, তার ধর্ম অপেক্ষা তোর ধর্মই উত্তম। মূসা ইবন উকবাও প্রায় এ রকম বর্ণনা করেছেন। তবে দু’আর কথাটি তিনি উল্লেখ করেননি। তিনি এতটুকু অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন, “তাইফের অধিবাসীরা রাসূলুল্লাহ্ (সা)-এর যাত্রাপথে দু’ সারিতে বিভক্ত হয়ে অবস্থান নেয়। পথ অতিক্রমের সময় তাঁর পা রাখা ও পা তোলার সাথে সাখে প্ৰচণ্ড পাথর নিক্ষেপে তারা তার পদদ্বয় রক্তরঞ্জিত করে দিয়েছিল। তিনি তাদেরকে অতিক্রম করে এগিয়ে গেলেন। তখন তাঁর পদদ্বয় থেকে রক্ত গড়িয়ে পড়ছিল। একটি খেজুর বীথির ছায়ায় তিনি আশ্রয় নিলেন। তখন ব্যথা-বেদনায় তিনি জর্জরিত। ওই বাগানের মালিক ছিল রাবী আর দুই পুত্ৰ উতবা ও শায়াবা। ওরা মহান আল্লাহ ও তার রাসূলের শত্রু ছিল বলে সেখানে তাদের উপস্থিতিকে তিনি পসন্দ করলেন না। এরপর পূর্ববতী বৰ্ণনার মত আদাসের ঘটনা বর্ণিত হয়েছে।

| ܠ 8 ܟܠbr . ܠ २. २ སྒྲ་ বলেছেন, আবদুল্লাহ ইবন ইউসুফ। এটিভুল মূলত। তিনি হলেন আবদুল্লাহ ইবন ওয়ােহব ফাহিমী

কুরাশা ৷

ইমাম আহমদ. আবদুর রহমান ইবন খালিদ ইবন আবু জাবাল উদওয়ানী তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি রাসূলুল্লাহ (সা)-কে ছাকীফ গোত্রের পূর্ব প্রান্তে একটি লাঠি কিংবা ধনুকে ভর করে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেছিলেন। তখন তিনি সাহায্য লাভের আশায় তাদের নিকট আগমন করেছিলেন। আমি তাকে বলতে শুনেছি; L1, 11, LL. II, এই সূরা শেষ পর্যন্ত। বর্ণনাকারী বলেন, আমি জাহিলী যুগে এই সূরা মুখস্থ করে ফেলেছিলাম। তখনও আমি মুশরিক ছিলাম। এরপর ইসলাম গ্রহণের পরে আমি তা তিলাওয়াত করি। বর্ণনাকারী বলেন, ছাকীফ গোত্রর লোকেরা তখন আমাকে ডেকে বলেছিল, এই লোকের মুখ থেকে তুমি কী শুনেছ? তার মুখ থেকে শোনা সূরাটি আমি ওদের নিকট তিলাওয়াত করলাম। ওদের সাথে কুরায়শী লোক যারা ছিল তারা বলল, আমাদের এই লোক সম্পর্কে আমরা অধিক অবগত।

সে যা বলছে, আমরা যদি তা সত্য বলে জানতাম, তাহলে আমরা অবশ্যই তার অনুসরণ

করতাম।

সহীহ বুখারী ও মুসলিমে আছে, আবদুল্লাহ ইবন ওয়াহাবের বরাতে… আইশা (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি রাসূলুল্লাহ্ (সা)-কে জিজ্ঞেস করেছিলেন যে, উহুদ দিবস কি অপেক্ষা অধিক কঠিন কোন দিবস আপনার জীবনে এসেছে? উত্তরে তিনি বললেন, তোমার সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে আমি যে নিযািতন ভোগ করেছি। তার চেয়েও কঠিন নির্যাতন ভোগ

নিকট পেশ করেছিলাম। আমি যা চেয়েছিলাম। সে মতে তারা সাড়া দেয়নি। তখন আমি ফিরে আসছিলাম। আমি তখন দুঃখে ব্যথায় জর্জরিত। শ্ৰান্ত-ক্লান্ত। কারণ আল ছাআলিব নামক স্থানে এসে আমি সম্বিৎ ফিরে পাই। আমি আমার মাথা উঠিয়ে দেখলাম, একখণ্ড মেঘ আমাকে ছায়া দিয়ে যাচ্ছিল। তাকিয়ে দেখি, সেখানে জিবরাঈল (আঃ)। তিনি আমাকে ডেকে বললেন, আপনার সম্প্রদায় আপনাকে কী বলেছে এবং কী প্ৰত্যুত্তর দিয়েছে তা আল্লাহ তা’আলা। শুনেছেন। তিনি আপনার সাহায্যে পাহাড়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত ফেরেশতাকে পাঠিয়েছেন। ওদেরকে আপনি যে শাস্তি দিতে চান ফেরেশতাকে তা করার নির্দেশ দিন। সে তা করে দেবে। এরপর পাহাড়ের ফেরেশতা আমাকে সালাম দিয়ে ডেকে বললেন, হে মুহাম্মদ (সা) আল্লাহ তা’আলা। আমাকে পাঠিয়েছেন। আপনার গোত্রের লোকেরা আপনাকে কী উত্তর দিয়েছে তা তিনি শুনেছেন। আমি পাহাড়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত ফেরেশতা। আল্লাহ তা’আলা আমাকে আপনার নিকট প্রেরণ করেছেন। আপনি ওদেরকে যে শাস্তি দিতে চান, সে মতে আপনি আমাকে নির্দেশ দিন। আপনি যদি চান তবে এই দুই পাহাড় দিয়ে তাদেরকে চাপা দেয়া হবে। তখন রাসূলুল্লাহ্ (সা) বললেন, না, তা নয়। আমি বরং আশা করছি যে, তাদের বংশে আল্লাহ তা’আলা এমন লোক দিবেন, যারা আল্লাহর ইবাদত করবে তার সাথে কাউকে শরীক করবে না।

সকল অধ্যায়

১. ০১. রাসূলুল্লাহ্ (সা)-এর প্রতি ওহী নাযিলের সূচনা এবং প্রথম ওহী
২. ০২. ওহী প্ৰাপ্তিকালে রাসূলুল্লাহ (সা)-এর বয়স এবং ওহী নাযিলের তারিখ
৩. ০৩. কুরআন নাযিলকালে জিনদেরকে প্রতিহতকরণ প্রসঙ্গে
৪. ০৪. রাসূলুল্লাহ (সা)-এর নিকট ওহী আসতো কেমন করে?
৫. ০৫. সর্বপ্রথম ঈমান আনয়নকারী সাহাবায়ে কিরাম
৬. ০৬. যিমাদ-এর ইসলাম গ্ৰহণ
৭. ০৭. প্ৰকাশ্যে প্রচারের নির্দেশ
৮. ০৮. ইরাশী-এর বর্ণনা
৯. ০৯. দুর্বল ও অসহায় মুসলমানদের প্রতি বিধর্মীদের সীমাহীন নির্যাতনের বিবরণ
১০. ১০. রাসূলুল্লাহ্ (সা)-কে জব্দ করার উদ্দেশ্যে মুশরিকরা যে সব নিদর্শন ও অলৌকিক ঘটনা প্রদর্শনের দাবী জানিয়েছিল
১১. ১১. রাসূলুল্লাহ (সা)-এর বিরুদ্ধে মুশরিকদের তর্ক-বিতর্ক
১২. ১২. সাহাবায়ে কিরাম (রা)-এর আবিসিনিয়ায় হিজরত
১৩. ১৩. কুরায়শদের বয়কট
১৪. ১৪. আবিসিনিয়ায় হিজরতের জন্যে হযরত আবু বকর (রা)-এর সিদ্ধান্ত
১৫. ১৫. চুক্তিনামা বিনষ্টকরণ
১৬. ১৬. আ’শা ইবন কায়সের ঘটনা
১৭. ১৭. রাসূলুল্লাহ্ (সা)-এর সঙ্গে রুকানার কুস্তি এবং রাসূলুল্লাহ (সা)-এর আহবানে বৃক্ষের আগমন
১৮. ১৮. মক্কা থেকে বায়তুল মুকাদাস পর্যন্ত রাসূলুল্লাহ্ (সা)-এর রাত্রিভ্রমণ
১৯. ১৯. রাসূলুল্লাহ (সা)-এর যামানায় চন্দ্ৰ বিদীর্ণ হওয়া
২০. ২০. রাসূলুল্লাহ (সা)-এর চাচা আবু তালিবের ইনতিকাল
২১. ২১. হযরত খাদীজা (রা) বিনত খুওয়াইলিদ-এর ওফাত
২২. ২২. হযরত খাদীজা (রা)-এর মৃত্যু-উত্তর রাসূলুল্লাহ (সা)-এর বিবাহ
২৩. ২৩. দীনের দাওয়াত দেয়ার জন্যে রাসূলুল্লাহ (সা)-এর তাইফ গমন
২৪. ২৪. জিনদের রাসূলুল্লাহ (সা)-এর কুরআন তিলাওয়াত শ্রবণ
২৫. ২৫. দীনের দাওয়াত নিয়ে রাসূলুল্লাহ্ (সা)–এর আরব গোত্ৰসমূহ গমন
২৬. ২৬. আকাবার দ্বিতীয় শপথ
২৭. ২৭. মক্কা থেকে মদীনায় হিজরত
২৮. ২৮. নবী (সা)-এর মদীনায় প্রবেশ ও তাঁর অবস্থান-স্থল
২৯. ২৯. মদীনা মুনাওওয়ারায় প্রথম জুমুআর নামায
৩০. ৩০. ইবন ইসহাকের আরো একটা বৰ্ণনা
৩১. ৩১. আনসারদের শ্রেষ্ঠত্ব
৩২. ৩২. মক্কা-মদীনার ফযীলত
৩৩. ৩৩. হিজরী প্ৰথম সনের ঘটনাবলী
৩৪. ৩৪. কুবায় অবস্থানের বিবরণ
৩৫. ৩৫. আবদুল্লাহ ইবন সালাম (রা)-এর ইসলাম গ্ৰহণ
৩৬. ৩৬. প্রথম জুমুআর নামায
৩৭. ৩৭. মসজিদে নববী নির্মাণ এবং আবু আইউবের গৃহে অবস্থানকাল
৩৮. ৩৮. মুহাজির-আনসারগণের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব স্থাপন এবং ইয়াহুদীদের সাথে চুক্তি
৩৯. ৩৯. মুহাজির ও আনসারদের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তিপত্ৰ ইয়াহুদীরাও এ চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত
৪০. ৪০. মুহাজির এবং আনসারদের মধ্যে নবী (সা)-এর ভ্রাতৃত্ব স্থাপন
৪১. ৪১. আবু উমামা আসআদ ইবন যুরারার ইনতিকাল
৪২. ৪২. হিজরী সনের শাওয়াল মাসে আবদুল্লাহ ইবন যুবায়র (রা)-এর জন্ম প্রসঙ্গে
৪৩. ৪৩. রাসূলুল্লাহ (সা)-এর হযরত আইশা (রা)-কে ঘরে তোলা প্রসঙ্গে
৪৪. ৪৪. আযান ও আযানের বিধিবদ্ধতা প্রসঙ্গে
৪৫. ৪৫. হামযা ইবন আবদুল মুত্তালিব (রা)-এর অভিযান
৪৬. ৪৬. উবায়দা ইবন হারিছ ইবন আবদুল মুত্তালিব (রা)-এর অভিযান
৪৭. ৪৭. সাআদ ইবন আবু ওয়াক্কাস (রা)-এর অভিযান
৪৮. ৪৮. দ্বিতীয় সনে যেসব ঘটনা ঘটেছে তার আলোচনা
৪৯. ৪৯. কিতাবুল মাগাযী
৫০. ৫০. কোন কোন ইয়াহুদী আলিমের মুনাফিকসুলভ ইসলামগ্ৰহণ প্রসঙ্গে
৫১. ৫১. রাসূলুল্লাহ্ (সা)-এর প্রথম যুদ্ধাভিযান
৫২. ৫২. উবায়দা ইবন হারিছের অভিযান
৫৩. ৫৩. সারিয়্যা হামযা ইবন আবদুল মুত্তালিব প্রসঙ্গে
৫৪. ৫৪. বুওয়াতের যুদ্ধ
৫৫. ৫৫. আশীরার যুদ্ধ
৫৬. ৫৬. প্রথম বদর যুদ্ধ
৫৭. ৫৭. আবদুল্লাহ ইবন জাহাশ-এর সারিয়া
৫৮. ৫৮. হিজরী দ্বিতীয় সনে বদর যুদ্ধের পূর্বে কিবলা পরিবর্তন প্রসঙ্গে
৫৯. ৫৯. দ্বিতীয় হিজরীতে বদর যুদ্ধের পূর্বে রমাযান মাসের রোযা ফরয হওয়া প্রসঙ্গে
৬০. ৬০. ঐতিহাসিক বদর যুদ্ধ
৬১. ৬১. আবুল বুখতারী ইবন হিশামের হত্যার ঘটনা
৬২. ৬২. উমাইয়া ইবন খালফের হত্যার ঘটনা
৬৩. ৬৩. অভিশপ্ত আবু জাহলের হত্যার ঘটনা
৬৪. ৬৪. কাতাদার চক্ষু ফিরিয়ে দেয়ার ঘটনা
৬৫. ৬৫. অনুরূপ আরেকটি ঘটনা
৬৬. ৬৬. বদর কুয়ায় কাফির সর্দারদের লাশ নিক্ষেপ
৬৭. ৬৭. রাসূলুল্লাহ (সা)-এর বদর থেকে মদীনায় প্রত্যাবর্তন
৬৮. ৬৮. বদরের ঘটনায় নাজাশীর আনন্দ প্ৰকাশ
৬৯. ৬৯. বদরের বিপর্যয়ের সংবাদ মক্কায় পৌঁছল
৭০. ৭০. কুরায়শ যুদ্ধবন্দীদের মুক্তিপণ আদায়
৭১. ৭১. বদরী সাহাবীদের নাম
৭২. ৭২. কুনিয়াত বিশিষ্ট বদরী সাহাবীগণের নাম
৭৩. ৭৩. বদর যুদ্ধে অংশ গ্রহণকারীদের সংখ্যা
৭৪. ৭৪. যারা বদর যুদ্ধে না গিয়েও গনীমত পেয়েছিলেন
৭৫. ৭৫. বদর যুদ্ধে যারা শহীদ হয়েছিলেন
৭৬. ৭৬. কুরায়শদের সৈন্য, নিহত, বন্দী সংখ্যা ও মুক্তিপণ
৭৭. ৭৭. বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী মুসলমানদের মর্যাদা
৭৮. ৭৮. মক্কা থেকে হযরত যয়নবের মদীনায় হিজরত
৭৯. ৭৯. বদর যুদ্ধ সম্পর্কে রচিত বিভিন্ন কবিতা
৮০. ৮০. বনু সুলায়মের যুদ্ধ
৮১. ৮১. সাবীক যুদ্ধ বা ছাতুর যুদ্ধ
৮২. ৮২. হযরত আলী ও ফাতিমার বিবাহ
৮৩. ৮৩. হিজরী দ্বিতীয় সালে সংঘটিত কয়েকটি ঘটনা

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন