অজ্ঞেয়বাদ :
যে-চিন্তাধারার মূলসূত্র-ঈশ্বর আছেন কি নেই তা জানা যায় না৷
অভিব্যক্তিবাদ :
পূর্বেকার কোনো জীব থেকেই তৎপরবর্তী জীবের জন্ম হয়েছে; ভিন্ন ভিন্ন ভাবে কেউ তাদের সৃষ্টি করেনি৷
এপিকুরিয়ান ও সিরেনিক :
এপিকুরিয়ান মতের প্রতিষ্ঠাতা এপিকিউরাস্ গ্রিসে জন্মেছিলেন খ্রিস্টপূর্ব ৩৪২সনে৷ তাঁর মতের মর্মকথা, বাস্তব আনন্দই জীবনে সুখের আকর৷ সিরেনিকেরা এদের কিছু পূর্ববর্তী৷ এরাও এই পথেরই পথিক৷ তবে এ দু-দলের মধ্যে একটু প্রভেদ রয়েছে; তা আনন্দের মাত্রার মান নিয়ে৷
দু-দলেরই মাত্রার মান ছিল দুটি; এক, তীব্রতা, দুই, স্থায়িত্ব৷ মোটামুটি সিরেনিকেরা দিত তীব্রতার ওপর জোর, আর এপিকুরিয়ানরা দিত স্থায়িত্বের ওপর৷
কনফুসিয়াস :
(জন্ম খ্রিস্টপূর্ব ৫৫১) চীনের চিন্তাবীর; ইনি মূলত সমাজতন্ত্র-প্রণেতা ও রাজ্যশাসন-সংস্কারক৷ এঁর সৃষ্ট ধর্মতন্ত্র বুদ্ধিবাদের ওপর প্রতিষ্ঠিত৷
কান্ট :
(১৭২৪-১৮০৪) বিখ্যাত জার্মান বিজ্ঞানী ও দার্শনিক৷ অষ্টাদশ ও ঊনবিংশ শতকের পাশ্চাত্যের দার্শনিক ভাবধারা কান্টের মতবাদের দ্বারা বিশেষরূপে প্রভাবিত৷
জরথুস্ট্র :
সম্ভবত খ্রিস্টপূর্ব সপ্তম শতকে ইরানে ধর্মপ্রচার করেন৷ আধুনিক পার্শিদের মধ্যে এই ধর্ম প্রচলিত৷
জাভা, চীন ও উত্তর আফ্রিকার জীবাশ্ম :
বনমানুষ-রূপী আধুনিক মানুষের অতি অস্পষ্ট পূর্বপুরুষ৷ এদের কাল আনুমানিক চার লক্ষ বছর আগে ছিল৷ কিন্তু এ-জীবাশ্মগুলি পাওয়া গেছে মাত্র বছর চল্লিশ-পঞ্চাশের আগে৷ মানুষের অস্পষ্টতম ধারাবাহী জীবাশ্মেরও সন্ধান মিলেছে; তার আনুমানিক বয়স অন্তত দশ লক্ষ বছর৷
ডারুইন :
(১৮০৯-১৮৮২) ইংল্যান্ডের বিশিষ্ট জীববিদ্যাবিশারদ৷ ইনি অভিব্যক্তিবাদ ও প্রাকৃতিক নির্বাচনবাদের দ্বারা সরীসৃপ থেকে ক্রমে মানুষের জন্ম হয়েছে বলে নির্ধারিত করেছেন৷ বিজ্ঞানজগৎ তা মেনে নিয়েছে৷
ড্যালটন :
(১৭৬৬-১৮৪৪) বিখ্যাত রাসায়নিক ও অঙ্কশাস্ত্রবিদ৷ জড়বস্তুর গঠন সম্পর্কে এঁর গবেষণার ফল বিশ্ববিশ্রুত ও সর্ববাদিসম্মত৷
নিউটন :
(১৬৪২-১৭২৭) বিশ্ববিখ্যাত ইংরেজ বিজ্ঞানী৷ অভিকর্ষ, মহাকর্ষ ও ক্যালকুলাসের আবিষ্কর্তা৷ রয়েল সোসাইটির প্রেসিডেন্ট৷
নিও-প্ল্যাটোনিজ্ম :
এর মূলসূত্র-আত্মা স্বাধীন বটে কিন্তু দেহের মধ্যে বদ্ধ হয়ে একে ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য ব্যাপারে লিপ্ত হতে হয়৷ ফলে তার স্বাধীনতা লোপ পায়৷
পিথাগোরাস :
(খ্রিস্টপূর্ব ৫৮২-৫০৭) বিখ্যাত গ্রিক দার্শনিক৷
প্রাকৃতিক নির্বাচন :
জীবনযুদ্ধে প্রাকৃতিক প্রতিবেশ যে-সকল রূপান্তরিত জীব ও উদ্ভিদের অনুকূলে থাকে তারা বেঁচে যায়; আর তা যাদের প্রতিকূলে যায় তারা লোপ পায়৷ এর ফলেই নূতন নূতন প্রাণিজ ও উদ্ভিজ্জ-ধারার সৃষ্টি হয়৷
প্রোটোপ্ল্যাজ্ম :
উদ্ভিদ ও জীবের প্রাণের প্রধান উপাদান৷
ভলটেয়ার :
(১৬৯৪-১৭৭৮) ফরাসি দেশের প্রখ্যাত দার্শনিক ও লেখকদের অন্যতম৷
মহম্মদ :
(৫৭০-৬৩২) মুসলমান ধর্ম বা ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা৷
লাওৎসে :
চীনের প্রাচীনকালের দার্শনিক; সম্ভবত খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকের৷ “তাও’ ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা, তবে ইনি ঐতিহাসিক মানুষ কিনা সে-বিষয়ে যথেষ্ট সন্দেহ বর্তমান৷
শোপেনহাওয়ার :
(১৭৮৮-১৮৬০) প্রখ্যাত দুঃখবাদী জার্মান দার্শনিক৷
সুফিপন্থা :
মোটামুটিভাবে মূলত নীতিবাদী মুসলমান ধর্মের অতীন্দ্রিয়বাদ-যার ফলে সে ধর্মে ফকিরির স্থান হয়েছে৷ এ-পন্থার উৎপত্তি নিয়ে বহু তর্ক-বিতর্ক; মোটামুটি এ-সম্পর্কে চারটি মত রয়েছে; ১ এটি হজরত মহম্মদেরই নিজস্ব অতীন্দ্রিয়বাদ৷ ২ এ-পন্থাটি আর্যধমের সঙ্গে ইসলামের সংঘাতে গড়ে উঠেছে৷ পরে বেদান্তের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে; ৩ এর মূল রয়েছে নিও-প্ল্যাটোনিজ্মে৷ ৪ এটি গড়ে উঠেছে স্বাধীনভাবেই৷
হেগেল :
(১৭৭০-১৮৩১) বিখ্যাত জার্মান দার্শনিক৷
হোমো সেপিয়েন্স :
আধুনিক মানুষের স্পষ্টতম আদি পূর্বপুরুষ৷ এদের কাল আনুমানিক বত্রিশ হাজার বছর আগে অর্থাৎ খ্রিস্টপূর্ব ৩০,০০০ সনে৷
নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন
লগইন