অস্তসখী

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

রজনী একাদশী পোহায় ধীরে ধীরে, রঙিন মেঘমালা উষারে বাঁধে ঘিরে। আকাশে ক্ষীণ শশী আড়ালে যেতে চায়, দাঁড়ায়ে মাঝখানে কিনারা নাহি পায়। এ-হেন কালে যেন মায়ের পানে মেয়ে রয়েছে শুকতারা চাঁদের মুখে চেয়ে। কে তুমি মরি মরি একটুখানি প্রাণ। এনেছ কী না জানি করিতে ওরে দান। মহিমা যত ছিল উদয়-বেলাকার যতেক সুখসাথি এখনি যাবে যার, পুরানো সব গেল— নূতন তুমি একা বিদায়-কালে তারে হাসিয়া দিলে দেখা। ও চাঁদ যামিনীর হাসির অবশেষ, ও শুধু অতীতের সুখের স্মৃতিলেশ। তারারা দ্রুতপদে কোথায় গেছে সরে— পারে নি সাথে যেতে, পিছিয়ে আছে পড়ে। তাদেরই পানে ও যে নয়ন ছিল মেলি, তাদেরই পথে ও যে চরণ ছিল ফেলি, এমন সময়ে কে ডাকিলে পিছু-পানে একটি আলোকেরই একটু মৃদু গানে। গভীর রজনীর রিক্ত ভিখারিকে ভোরের বেলাকার কী লিপি দিলে লিখে। সোনার-আভা-মাখা কী নব আশাখানি শিশির-জলে ধুয়ে তাহারে দিলে আনি। অস্ত-উদয়ের মাঝেতে তুমি এসে প্রাচীন নবীনেরে টানিছ ভালোবেসে— বধূ ও বর-রূপে করিলে এক-হিয়া করুণ কিরণের গ্রন্থি বাঁধি দিয়া। 

সকল অধ্যায়

১. জন্মকথা
২. খেলা
৩. খোকা
৪. ঘুমচোরা
৫. অপযশ
৬. বিচার
৭. চাতুরী
৮. নির্লিপ্ত
৯. কেন মধুর
১০. খোকার রাজ্য
১১. ভিতরে ও বাহিরে
১২. প্রশ্ন
১৩. সমব্যথী
১৪. বিচিত্র সাধ
১৫. মাস্টারবাবু
১৬. বিজ্ঞ
১৭. ব্যাকুল
১৮. ছোটোবড়ো
১৯. সমালোচক
২০. বীরপুরুষ
২১. রাজার বাড়ি
২২. মাঝি
২৩. নৌকাযাত্রা
২৪. ছুটির দিনে
২৫. বনবাস
২৬. জ্যোতিষ-শাস্ত্র
২৭. বৈজ্ঞানিক
২৮. মাতৃবৎসল
২৯. লুকোচুরি
৩০. দুঃখহারী
৩১. বিদায়
৩২. বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর
৩৩. সাত ভাই চম্পা
৩৪. নবীন অতিথি
৩৫. অস্তসখী
৩৬. হাসিরাশি
৩৭. পরিচয়
৩৮. বিচ্ছেদ
৩৯. উপহার
৪০. পাখির পালক
৪১. পূজার সাজ
৪২. মা-লক্ষ্মী
৪৩. কাগজের নৌকা
৪৪. শীত
৪৫. শীতের বিদায়
৪৬. ফুলের ইতিহাস
৪৭. আকুল আহ্বান
৪৮. পুরোনো বট
৪৯. আশীর্বাদ

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন