২০।৫ বিংশ কাণ্ড : পঞ্চম অনুবাক

দিলীপ মুখোপাধ্যায়

পঞ্চম অনুবাক
প্রথম সূক্ত
[ঋষি : ইরিম্বিঠি, মধুছন্দা দেবতা : ইন্দ্র ছন্দ : গায়ত্রী]

 আ যাহি সুষুমা হি ত ইন্দ্র সোমং পিবা ইমম্। এদং বহিঃ সদো মম॥১॥ আ ত্বা ব্রহ্মযুজা হরী বহতামিন্দ্র কেশিনা। উপ ব্ৰহ্মাণি নঃ শৃণু ॥ ২॥ ব্ৰহ্মাণস্তা বয়ং যুজা সোমপামিন্দ্র সোমিনঃ। সুবন্তো হবামহে ॥ ৩॥ ইন্দ্ৰমিদ গাথিনো বৃহদিন্দ্রমর্কেভিরর্কিণঃ। ইন্দ্রং বাণীরনূষত ॥৪॥ ইন্দ্র ইদ্ধৰ্যোঃ সচা সম্মিম্ন আ বচোযুজা। ইন্দ্রো বজী হিরণ্যয়ঃ ॥৫৷৷ ইন্দ্রো দীর্ঘায় চক্ষস আ সূর্যং রোহয়ৎ দিবি। বি গোভিরদ্রিমৈরয়ৎ ॥৬॥

সূক্তসার— হে ইন্দ্রদেব! মন্ত্রের দ্বারা রথে যযাজিত অশ্বের সহযোগে আপন অভিলষিত স্থানে গমনাগমনে সক্ষম, বজ্রধারী, উপাসকগণের হিতৈষী, স্বয়ং সূর্যরূপী আপনি। আপনি সোমাগকারী আমাদের দ্বারা সংস্কারিত সসাম পানের নিমিত্ত এই যজ্ঞে আগমন করুন এবং কুশাস্তীর্ণ আসনে। উপবিষ্ট হয়ে সোম পান করুন।

সূক্তস্য বিনিয়োগঃ –অভিপ্লবে ষড়হে আ যাহি সুষুমা হি তে ইত্যাদয়ো যথাক্ৰমং ষড়, আজ্যস্তোত্রিয়া ভবন্তি। তং উক্তং বৈতানে।…ইত্যাদি। (২০কা, ৫অ. ১সূ.)।

টীকা –অভিপ্লবে ষড়হে এই সূক্তমন্ত্রগুলি যথাক্রমে ছয়টি আজ্যস্তোত্রিয় হয়ে থাকে; অর্থাৎ বৈনিক সূত্রানুসারে (৬।১).এই অনুবাকের ১ম থেকে ৬ষ্ঠ সূক্ত অবধি ষ স্তোত্রিয়াঃ ॥ (২০কা, ৫অ. ১)।

.

দ্বিতীয় সূক্ত

 [ঋষি : মধুচ্ছন্দা, (গোষূক্ত্যশ্বসূক্তিনৌ) দেবতা : ইন্দ্র ছন্দ : গায়ত্রী]

ব্যন্তরিক্ষমতিরন্মদে সোমস্য রোচনা। ইন্দ্রো যদভিন বল ২॥ উদ গা আজঙ্গিরোভ্য আবিষ্কৃথন্ গুহা সতীঃ। অর্বাঞ্চং নুনুদে বলম্ ৷৩৷ ইন্দ্ৰেণ রোচনা দিবো দৃানি দৃংহিতানি চ। স্থিরাণি ন পরাণুদে ৷ ৪৷ অপামূর্মিমদগ্নিব স্তোম ইন্দ্রাজিরায়তে। বি তে মদা অরাজিঃ ॥৫৷

সূক্তসার –আমরা সমগ্র বিশ্বের প্রাণীগণের পক্ষে সেই ইন্দ্রকে আহূত করছি যিনি সোমের দ্বারা হষপ্রাপ্ত হয়ে অন্তরিক্ষলোককে বৃষ্টির জলে প্রবৃদ্ধ করেছেন এবং আপন বলে মেঘকে বিদীর্ণ করেছেন। যে ইন্দ্র অঙ্গিরাবর্গের নিমিত্ত পর্বত কন্দরস্থিত গাভীগুলিকে প্রকট করে বাহিরে আনয়ন করেছেন, তিনি বল নামক দৈত্যকে অধোমুখী করে নিপাতিত করেছেন।

সূক্তস্য বিনিয়োগঃ— গবাময়নাদৌ সম্বৎসরে প্রাতঃসবনে অনুরূপাৎ অনন্তরং ইন্দ্রং বো বিশ্বতস্পরি (২০।৩৯।১) ইতি ঋগ্ আরম্ভণীয়া। তত্রৈব ব্যন্তরিক্ষং অভিবৎ (২০।৩৯।২) ইতি পর্যাসো ভবতি। তৎ উক্তং বৈতানে। আরভ্যতে উথমুখং ইত্যারম্ভণীয়া। পর্যস্যতে পরিসমাপ্যতে অনেন শস্ত্রমিতি পর্যাসঃ। তথা গোসববিবধবৈশ্যস্তোমেষু ত্ৰিষু একাহেষু ইন্দ্রং বো বিশ্বতস্পরি (২০।৩৯) আনো বিশ্বাসু হব্যঃ (২০।১০।৪৩) এতৌ আজ্যপৃষ্ঠস্তোত্রিয়ৌ ভবতঃ। তৎ উক্তং বৈতানে।–ইত্যাদি। (২০কা, ৫অ. ২সূ.)।

টীকা –গবাময়ন ইত্যাদি সম্বৎসরে প্রাতঃসবনে অনুরূপের পর উপযুক্ত সূক্তের প্রথম ঋটি আরম্ভণীয়া এবং সেই ক্ষেত্রে দ্বিতীয় ঋটি পর্যাস হয়ে থাকে। যে মন্ত্রের দ্বারা উৰ্থ-মুখ আরম্ভ হয়, তা আরম্ভণীয়া নামে উক্ত হয়। যে মন্ত্রের দ্বারা পরিসমাপ্তি করা হয়, সেই শস্ত্র পর্যাস নামে কথিত হয়। প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখ্য এই যে উপযুক্ত সূক্তটি ও ৯ম অনুবাকের ৮ম সূক্তের ৩য় মন্ত্রস্থ (আ নো বিশ্বাসু হব্য) আজ্যপৃষ্ঠস্ত্রোত্রিয় হয়ে থাকে। (বৈতনিক, ৮।১)। (২০কা.-৫অ. ২সূ.)।

.

তৃতীয় সূক্ত

[ঋষি : মধুচ্ছন্দা দেবতা : ইন্দ্র, মরুৎদেবতাবর্গ ছন্দ : গায়ত্রী]

ইন্দ্রেণ সং হি দৃক্ষসে সঞ্জগানো অবিভূষা। মন্দু সমানবচসা ॥১॥ অনবদ্যৈরভিভিমখঃ সহস্বদৰ্চতি। গণৈরিন্দ্রস্য কামৈঃ ॥ ২॥ আদহ স্বধামনু পুনর্গৰ্ভত্বমেরিরে। দধানা নাম যজ্ঞিয় ৷৩৷

সূক্তসার — হে ইন্দ্রদেব! আপনি আপনার ন্যায় অভয়প্রদানশীল মরুৎ নামক দেবতাগণের সাথে বিরাজিত থাকেন। পাপরহিত ও তেজস্বী ইন্দ্রকে কামনাকারী যজমানের যজ্ঞ অত্যন্ত সুশোভিত হয়ে থাকে। হবিঃপ্রাপ্ত হয়ে ইন্দ্রদেব প্রবৃদ্ধ হয়ে ওঠেন।

সূক্তস্য বিনিয়োগঃ –ইন্দ্রেণ সং হি দৃক্ষসে ইত্যস্য আ যাহি সুষুমা হি তে (২০।৩৮) ইত্যত্র বিনিয়োগ উক্তঃ। তথা পৃষ্ঠ্যিস্য তৃতীয়েহনি ইন্দ্ৰেন সং হি দৃক্ষসে (২০।৪০) বয়ং ঘ ত্বা সুতাবন্তঃ (২০।৫২) ত্বং ন ইন্দ্রা ভর (২০।১০।৮) ইত্যেতে আজ্যপৃষ্ঠোথস্তোত্রিয়া ভবন্তি। তৎ উক্তং বৈতানে।–ইত্যাদি৷৷ (২০কা, ৫অ. ৩সূ)।

টীকা –উপযুক্ত সূক্তিটির বিনিয়োগ ১ম সূক্তটির অনুরূপ। পৃষ্ঠ্যের তৃতীয় দিবসে উপযুক্ত। সূক্তমন্ত্রগুলি, এই অনুবাকের ১৫শ সূক্তমন্ত্রগুলি এবং ৯ম অনুবাকের ১২শ সূক্তমন্ত্রগুলি যথাক্রমে আজ্যপৃষ্ঠ্য, উথস্তোত্রিয় হয়ে থাকে। (বৈতান, ৮৪)। (২০কা, ৫অ. ৩সূ.)।

.

 চতুর্থ সূক্ত

 [ঋষি : গোতম দেবতা : ইন্দ্র ছন্দ : গায়ত্রী]

 ইন্দ্রো দধীচো অস্থভিবৃত্ৰাণ্যপ্রতিদ্ভুতঃ। জঘান নবতীর্নব ॥১॥ ইচ্ছন্নশ্বস্য যচ্ছিরঃ পর্বতেম্বপশ্রিত। তদ বিদচ্ছণাবতি ॥ ২॥ অত্ৰাহ গোরমন্বত নাম স্বরপীচ্য। ইখা চন্দ্রমসসা গৃহে ৷৷ ৩৷৷

সূক্তসার— যুদ্ধে অপশ্চাদপদ ইন্দ্রদেব বৃত্রের নিরানব্বই সংখ্যক নগরীকে ধ্বংস করে দিয়েছিলেন। তিনি পর্বতসমূহের মস্তক ছেদন করেছিলেন এবং চন্দ্রমণ্ডলে সূর্যরূপে তিনিই এক রশ্মিরূপে বিদ্যমান।

সূক্তস্য বিনিয়োগঃ –ইন্দ্রো দধীচো অস্থভিঃ ইত্যস্য আ যাহি সুষুমা হি তে (২০।৩৮) ইত্যত্র বিনিয়োগ উক্তঃ। তথা পৃষ্ঠ্যষড়হস্য একবিংশস্তোমকে চতুর্থেহনি একাহৈকীভূতে ইন্দ্রো দধীচে অস্থভিঃ ইত্যাদয়ঃ আজ্যপৃষ্ঠোথস্তোত্রিয়া ভবন্তি। তৎ উক্তং বৈতানে।–ইত্যাদি। (২০কা, ৫অ. ৪সূ.) ৷৷

টীকা –উপযুক্ত সূক্তটির বিনিয়োগ ১ম সূক্তের অনুরূপ। পৃষ্ঠ্য ষষ্ঠ দিবসের একবিংশ স্তোমকে চতুর্থ I দিবসে একাহে উপযুক্ত সূক্তমন্ত্র যথাক্রমে আজ্যপৃষ্ঠ্য ও উথস্তোত্রিয় হয়ে থাকে। (বৈতান, ৮।২) ইত্যাদি। (২০কা, ৫৩. ৪সূ.)।.

.

পঞ্চম সূক্ত

 [ঋষি : কুরুস্তুতি দেবতা : ইন্দ্র ছন্দ : গায়ত্রী]

বাচমষ্টাপদীমহং নবস্ৰক্তিমৃতস্পশম। ইন্দ্রাৎ পরি তন্বং মমে॥১॥ অনু বা রোদসী উভে ক্ষমাণমকৃপেতাম। ইন্দ্র যদ দস্যুহাভবঃ ॥ ২॥ উত্তিষ্ঠমোজসা সহ পীত্বী শিপে অবেপয়ঃ। সোমমি চমূ সুতম্ ৷৷ ৩৷৷

সূক্তসার –আমি ইন্দ্রের দ্বারাই সত্যকে স্পর্শশালিনী অষ্ট-পদী বাণীকে উচ্চারণ করছি (বা আপন শরীরে ধারণ করছি)। হে ইন্দ্র! যখন আপনি অসুরগণকে বিনষ্ট করেছিলেন তখন আপনার নির্বলতা দর্শনে দ্যাব-পৃথিবী আপনাকে কৃপা করেছিলেন। আপনি সুসংস্কারিত সোম পান করুন।

সূক্তস্য বিনিয়োগঃ –বাচমষ্টাপদীমহং ইত্যস্য বিনিয়োগঃ আ যাহি সুষুমা হি তে (২০।৩৮) ইত্যনেন সহ উক্তঃ। তথা অশ্বমেধস্য এ্যহস্য দ্বিতীয়েহহনি বাচমষ্টাপদীমহং (২০।৪২) স্বাদোরিখা বিষুবতঃ (২০।১০।৯) ইত্যেতৌ আজ্যপৃষ্ঠস্তোত্রিয়ো ভবতঃ। তৎ উক্তং বৈতানে।–ইত্যাদি৷৷ (২০কা. ৫অ. ৫সূ.)।

টীকা— উপযুক্ত সূক্তটির বিনিয়োগ ১ম সূক্তের অনুরূপ। তথা অশ্বমেধ যজ্ঞের তিনদিনের মধ্যে দ্বিতীয় দিনে উপযুক্ত সূক্তমন্ত্রগুলি ও ৯ম অনুবাকের ১৩শ সূক্তের মন্ত্রগুলির দ্বারা যথাক্রমে আজ্যপৃষ্ঠ ও স্তোত্রিয় হয়ে থাকে। (বৈতান. ৮।৩)। ইত্যাদি। (২০কা, ৫অ, ৫সূ.)।

.

ষষ্ঠ সূক্ত

[ঋষি : ত্রিশোক দেবতা : ইন্দ্র ছন্দ : গায়ত্রী]

ভিন্ধি বিশ্বা অপ দ্বিষঃ পরি বাধো জহী মৃধঃ। বসু স্পাহং তদা ভর ॥১॥ যদ বীলাবিন্দ্র যৎ স্থিরে যৎ পৰ্শানে পরাভূতম্। বসু স্পাহং তদা ভর ৷৷ ২. যস্য তে বিশ্বমানুষো ভূরেদত্তস্য বেদতি। বসু স্পাহং তদা ভর ॥৩৷৷ সূক্তসার হে ইন্দ্রদেব! আপনি আমাদের শত্রুগণকে বিধ্বংস করুন, রণের প্রতিবন্ধকতা বিদূরিত করুন এবং আমাদের পক্ষে গ্রহণীয় সেই ধন প্রদান করুন, যা স্থির ব্যক্তির নিকট বর্তমান থাকে এবং সকল উপাসকের পক্ষে প্রাপ্তব্য হয়ে থাকে।

সূক্তস্য বিনিয়োগঃ— ভিন্ধি বিশ্বা অপ দ্বিষ ইত্যস্য বিনিয়োগঃ আ যাহি (২০৩৮) ইত্যত্র উক্তঃ। তথা অপ্পোর্যামণি ক্রতৌ উপরিষ্টান্মাধ্যন্দিনবচনাৎ প্রাতঃসবনে ভিন্দি বিশ্বা অপ দ্বিষঃ (২০।৪৩) ইত্যনুরূপং অভিতঃ আ নো যাহি (২০।১৪) ইত্যনুরূপপা ভবতি। তৎ উক্তং বৈতানে। ইত্যাদি। (২০কা, ৫অ. ৬সূ:)।

টীকা –উপযুক্ত সূক্তের বিনিয়োগ ১ম সূক্তের অনুরূপ। তথা আপ্তর্যাম ক্রতুসমূহে উপরিষ্টা মাধ্যন্দিন বচন হতে প্রাতঃসবনে উপযুক্ত সূজানুরূপ সমীপার্থগত ১ম অনুবাকের ৪র্থ সূক্ত এই সূক্তের অনুরূপ হবে। বৈতানে এটি উক্ত হয় (বৈ. ৪।৩)। ইত্যাদি। (২০কা, ৫ম, ৬সূ.)।

.

সপ্তম সূক্ত

[ঋষি : ইরিম্বিঠি দেবতা : ইন্দ্র ছন্দ : গায়ত্রী]

প্র সম্রাজং চর্ষণীনামিং স্তোতা নব্যং গীর্ভিঃ। নরং নৃহং মংহিম ॥১॥ যস্মিন্যুথানি রণ্যন্তি বিশ্বানি চ শ্ৰবস্যা। অপামবো ন সমুদ্রে। ২৷৷ তং সুষ্ঠুত্যা বিবাসে জ্যেষ্ঠরাজং ভরে কৃতু। মহো বাজিং সনিভ্যঃ ॥ ৩৷৷

সূক্তসার –সহনশীল, অগ্রগণ্য, নিত্য নবীন, পূজনীয়, মনুষ্যবর্গের প্রভু, তেজস্বী, স্তোতৃবর্গকে অন্ন ও যশ দানশীল ইন্দ্রের স্তুতি করছি। আমি সেই ইন্দ্রের উদ্দেশে হবিঃ নির্বপণ পূর্বক তার প্রসন্নতা কামনা করি।

টীকা –উপযুক্ত সূক্তটির বিনিয়োগ ইত্যাদি পূর্ববর্তী সূক্তের অনুরূপ ৷ (২০কা, ৫অ, ৭সূ.)।

.

অষ্টম সূক্ত

[ঋষি : শুনঃশেপ দেবরাতাপরনামা দেবতা : ইন্দ্র ছন্দ : গায়ত্রী]

অয়মু তে সমতসি কপোত ইব গর্ভধি। বচস্তচ্চিন্ন ওহসে॥১॥ স্তোত্রং রাধানাং পতে গির্বাহে বীর যস্য তে। বিভূতিরস্তু সুনৃতা। ২। ঊধ্বস্তিষ্ঠা ন উতয়েহস্মিন্ বাজে শতক্রতো। সমন্যেষু ব্ৰবহৈ ৷ ৩৷

 সূক্তসার –হে ইন্দ্র! গর্ভধারণক্ষমা কবুতরীর সকাশে কবুতরের মতো আমাদের যুক্তিগ্রাহ্য রাণী বা স্তোত্রমন্ত্রের অভিমুখে আপনি আগত হোন। সত্যময় বিভূতিসম্পন্ন ধনেশ্বররূপী আপনাকে স্তুতিসমূহই প্রাপ্ত করাতে সমর্থ। হে শতকর্মা! আপনি আমাদের রক্ষা করুন। আমরা আপনার স্তবন করছি।

সূক্তস্য বিনিয়োগঃ— তীব্ৰসুদুপশদোপহব্যাখ্যেযু ত্ৰিযু একাহেযু অয়মু তে সমতসি (২০।৪৫)। ইমা উ ত্বা পুরূবসো (২০,১০।৪) এতৌ আজ্যপৃষ্ঠস্তোত্রিয়ৌ যথাক্ৰমং ভবতঃ। তথা ঝুষ্টিদ্বহে এতৌ আজ্যপৃষ্ঠস্তোত্রিয়ৌ ভবতঃ তৎ উক্তং বৈতানে।… ইত্যাদি৷৷ (২০কা, ৫অ, ৮সূ.)।

টীকা— তীব্ৰসুৎ, উপশৎ ও উপহব্য আখ্যাত তিনটি একাহ যাগে উপযুক্ত সূক্তমন্ত্রগুলি এবং ৯ম অনুবাকের ৮ম সূক্তের মন্ত্রগুলি (ইমা উ ত্বা পুরূবসো ইত্যাদি) যথাক্রমে আজ্যপৃষ্ঠ ও স্তোত্রিয় হবে। (বৈতান (৮।১, ৮।৩) ৷ (২০কা, ৫অ. ৮সূ.)।

.

 নবম সূক্ত

 [ঋষি : ইরিম্বিঠি দেবতা : ইন্দ্র ছন্দ : গায়ত্রী]

প্রণেতারং বসস্যা অচ্ছা কর্তারং জ্যোতিঃ সমৎসু। সাসংসং যুধামিত্রা ॥১॥ স নঃ পপ্রিঃ পারয়াতি স্বস্তি নাবা পুরুহুতঃ। ইন্দ্রো বিশ্বা অতি দ্বিষঃ ॥ ২॥ স ত্বং ন ইন্দ্র বাজেভিশস্যা চ গাতুয়া চ। অচ্ছা চ নঃ সুম্নং নেষি॥৩৷৷ সূক্তসার –নেতা, রণস্থলে শত্রুবশকর্তা, যজ্ঞস্থলে জ্যোতির কর্তা, হে ইন্দ্রদেব! আপনার কল্যাণময়ী তরণীর দ্বারা আমাদের উত্তীর্ণ করুন। আমাদের পশুধন বৃদ্ধি করুন এবং অন্ন ইত্যাদি সম্পন্ন বিপুল সুখ প্রদান করুন।

সূক্তস্য বিনিয়োগঃ –স্বরসমাখ্যেষু ত্রিভৃহঃসু অভিপ্লবে চ সং চোদ্দয় চিত্রমবা (২০।৭১।১১)। প্রণেতারং বস্যো অচ্ছা (২০।৪৬) এতৌ আজ্যপৃষ্ঠস্তোত্রিয়ৌ পর্যায়েণ ভবতঃ। তৎ উক্তং বৈতানে ইত্যাদি। (২০কা, ৫অ. সূ)।

টীকা –স্বরসাম নামে অভিহিত তিনটি দিবসে ও অভিপ্লবে উপযুক্ত সূক্তটি ও ৬ষ্ঠ অনুবাকের ৫ম  সূক্তের ১১শ মন্ত্র পর্যায়ক্রমে আজ্যপৃষ্ঠস্তোত্রিয় হবে। (বৈ. ৮/৪)। (২০কা, ৫অ, ৯সূ.)।

.

দশম সূক্ত

 [ঋষি : সুকক্ষ (১-৩), ইরিম্বিঠি (), মধুচ্ছন্দা (, ১০১২), প্রস্কণ্ব (১৩২১) দেবতা : ইন্দ্র, সূর্য (১৩২১) ছন্দ : গায়ত্রী]

তমিং বাজয়ামসি মহে বৃত্রায় হন্তবে। স বৃষা বৃষভো ভুবৎ ॥১॥ ইন্দ্রঃ স দামনে কৃত ওজিষ্ঠঃ স মদে হিতঃ। দ্যুম্নী শ্লোকী স সোম্যঃ ॥২॥ গিরা বজো ন সভৃতঃ সবল অনপচ্যুতঃ। ববক্ষ ঋধ্যে অস্তৃতঃ ॥ ৩ ইন্দ্ৰমিদ গাথিনো বৃহদিন্দ্রমর্কেভিরর্কিণঃ। ইন্দ্রং বাণীরনূষত ॥৪৷৷ ইন্দ্র ইদ্ধর্যোঃ সচা সম্মি আ বচোযুজা। ইন্দ্রো বজ্ৰী হিরণ্যয়ঃ ॥ ৫৷৷ ইন্দ্রো দীর্ঘায় চক্ষস আ সূর্যং রোহয়ৎ দিবি। বি গোভিরদ্রিমৈরয়ৎ ॥৬॥ আ যাহি সুষুমা হি ত ইন্দ্র সোমং পিবা ইমম। এদং বহিঃ সদো মম ॥৭॥ আ ত্বা ব্রহ্মযুজা হরী বহতামিন্দ্র কেশিনা। উপ ব্ৰহ্মাণিঃ নঃ শৃণু ॥৮॥ ব্ৰহ্মাণস্তুা বয়ং যুজা সোমপামিন্দ্র সোমিনঃ। সুবন্তো হবামহে ॥ ৯। যুঞ্জন্তি ব্ৰধমরুষং চরন্তং পরি তস্তুষঃ। রোচন্তে রোচনা দিবি ॥১০৷ যুঞ্জন্ত্যস্য কাম্যা হরী বিপক্ষসা রথে। শোণা ধৃষ্ণু নৃবাহসা॥১১৷ কেতুং কৃথন্নকেতবে পেশো মর‍্যা অপেশসে। সমুষঙিরজায়থাঃ ॥১২৷৷ উদুত্যং জাতরেদসং দেবং বহন্তি কেতবঃ। দৃশে বিশ্বায় সূর্যম্ ॥ ১৩ অপ ত্যে তায়বো যথা নক্ষত্রা যন্ত্যক্তভিঃ। সূরায় বিশ্বচক্ষসে॥১৪৷৷ অদৃশস্য কেতবো বি রশ্ময়ো জন অনু। ভ্রাজন্তো অগ্নয়ো যথা ॥১৫তরণিবিশ্বদর্শতে জ্যোতিষ্কৃদসি সূর্য। বিশ্বমা ভাসি রোচন ॥ ১৬। প্রত্যঙ দেবানাং বিশঃ প্রত্যঙঙুদেষি মানুষীঃ। প্রত্যঙ বিশ্বং স্বর্দশে ॥১৭ ৷৷ যেনা পাবক চক্ষসা ভুরণ্যন্তং জনা অনু। ত্বং বরুণ পশ্যসি ॥১৮বি দ্যামেষি রজস্পৃহর্মিমানো অদ্ভুভিঃ। পশ্যং জন্মানি সূর্য ॥ ১৯৷৷ সপ্ত ত্বা হরিতো রথে বহন্তি দেব সূর্য। শোচিঙ্কেশং বিচক্ষণম্ ৷৷ ২০। অযুক্ত সপ্ত শুন্ধুবঃ সূরো রথস্য প্ত্যঃ। তাভির্যাতি স্বযুক্তিভিঃ ॥ ২১।

 সূক্তসার— অভীষ্টবর্ষক ইন্দ্র সকলের মধ্যে উৎকৃষ্ট। বৃত্র-বিনাশার্থে আমরা তাকে পুষ্ট করছি। ইন্দ্র প্রশংসনীয়, তেজস্বী ও বলবান। গায়ক, বাণী, পূজামন্ত্র সকলেই তাঁর স্তুতি করে থাকে। সূর্যকে ইন্দ্রই আকাশস্থ করেছেন। সূর্যরূপে ইন্দ্ৰই মেঘসমূহকে বিদীর্ণ করেছেন। হে ইন্দ্র! আপনার রথে যোজিত অশ্বসকল আপনাকে আমাদের নিকটে আনয়ন করুক। আমরা সোমপান করার নিমিত্ত আপনাকে আহূত করছি। আপনার রথ সকল প্রাণীকে লঙ্ঘন করে চলে এবং সেই রথে যোজিত হরি নামক অশ্ব আকাশ মার্গে দীপ্তমান হয়ে ওঠে। হে মনুষ্য! সূর্যরূপী ইন্দ্র অন্ধকার এবং অজ্ঞানকে বিদূরিত করার জন্য উদিত হচ্ছেন, তোমরা দর্শন করো। রাত্রির অবসানে চোরের মতো সূর্যের উদয়ে নক্ষত্রগুলি পলায়ন করে থাকে। হে সূর্যাত্মক ইন্দ্র! আপনি ভবের নৌকাস্বরূপ, আপনি সর্বদ্রষ্টা, আপনি সর্বপ্রকাশক। যাঁরা পুণ্যমার্গ অবলম্বন করে চলেন, তাদের আপনি কৃপা করে থাকেন। আপনি ত্রৈলোক্যবিহারী, আপনার রশ্মিরূপ সপ্ত অশ্ব আপনাকে বহন করে থাকে।

সূক্তস্য বিনিয়োগঃ— অতিরাত্রে অতিরিক্তোক্‌থেষু তমিং বাজামসি (২০।৪৭) মহা ইন্দ্রো য ওজসা (২০।১৩।৮) ইত্যেতৌ স্তোত্রিয়ানুরূপৌ ভবতঃ। তৎ উক্তং বৈতানে।–ইআদি৷৷ (২০কা, ৫অ. ১০সূ.)।

টীকা— অতিরাত্রে অতিরিক্ত উথে উপযুক্ত সূক্তমন্ত্রগুলি ৯ম অনুবাকের ৪২শ সূক্তের স্তোত্রিয়ানুরূপ বিনিযুক্ত হবে। (বৈ. ৪।৩)। তথা ছন্দোমা নামে অভিহিত তিন দিবসীয় যজ্ঞের প্রাতঃসবনে ৭ম অনুবাকের ১৩শ সূক্ত (ইন্দ্রা যাহি চিত্রভানো), উপযুক্ত সূক্ত, এবং উল্লিখিত মহা ইন্দ্রো য ওজসা এইগুলি যথাক্রমে আজ্য স্তোত্রিয় হয়ে থাকে। (বৈ. ৬।৩)। এইভাবে উপযুক্ত সূক্তের সাথে সম্বন্ধিত আজ্যপৃষ্ঠোথস্তোত্রিয়া কিংবা আজ্যপৃষ্ঠস্তোত্রিয়ৌ সম্পর্কে বৈতানিকে সবিস্তার বিনিয়োগ দেওয়া আছে। যেমন–সাকমেধ যজ্ঞের তৃতীয় দিবসে উপযুক্ত সূক্তটি ও শ্রায়ন্ত ইব সূর্য (২০কা, ৫অ. ২১ সূক্ত) ইত্যাদি, আজ্যপৃষ্ঠস্তোত্রিয়। বৈতানে (৮।৩) বলা হয়েছে-সাকমেধস্য তমিং বাজয়ামসি শ্রায়ন্ত ইব সূর্যমিতি।, ইত্যাদি। (২০কা, ৫অ, ১০সূ)।

.

একাদশ সূক্ত

 [ঋষি : উপরিবভ্রব (মতান্তরে খিল’) এবং সর্পরাজ্ঞী দেবতা : সূর্য গাভী ছন্দ : গায়ত্রী]

অভি ত্বা বচসা গিরঃ সিঞ্চন্তীরাচরণ্যবঃ। অভি বৎসং ন ধেনবঃ ॥১॥ তা অর্ষন্তি শুভিয়ঃ পুঞ্চন্তীৰ্বৰ্চসা প্রিয়। জাতং জাত্রীর্যথা হৃদা ॥ ২॥ বজ্ৰাপবসাধ্যঃ কীৰ্তির্ষিয়মাণমাবহ। মহ্যমায়ুঘৃতং পয়ঃ ॥৩ অয়ং গৌঃ পৃশ্মিরক্রমীদসদন্মাতরং পুরঃ। পিতরং চ প্রয়স্বঃ ॥৪৷৷ অন্তশ্চরতি বোচনা অস্য প্রাণাদপানতঃ। ব্যখ্যম্মহিষঃ স্বঃ ॥৫৷৷ ত্রিংশদ ধামা বি রাজতি বা পতঙ্গো অশিশিয়ৎ। প্রতি বস্তারহভিঃ ॥ ৬৷৷

সূক্তসার— বিচরণশীল গাভী যেমন আপন বৎসের প্রতি ধাবিত হয় এবং মাতা যেমন আপন সন্তানের প্রতি গমন করে, তেমনই আমাদের স্তুতিসমূহ ইন্দ্রের নিকটে গমন করছে। সেই বজ্রধারী ইন্দ্র আমাকে যশ-আয়ু-ঘৃত-দুগ্ধ দান করবেন। সূর্যাত্মক ইন্দ্র পূর্বদিকস্থায়ী উদয়াচলে উদিত হয়ে বর্ষাজলে অন্তরিক্ষকে ব্যাপ্ত করছেন। বর্ষাজলরূপ অমৃত দোহনের কারণে এগুলিকে গাভীও বলা হয়। সূর্য সর্বপ্রকাশক এবং প্রাণ ও অপানরূপে শরীরসমূহে স্থিত হয়ে থাকেন। সূর্যের অনুকম্পাতেই দিবা ও রাত্রির সৃষ্টি হয়। বেদবাণী সূর্যেরই আশ্রয়ে অবস্থিত।

সূক্তস্য বিনিয়োগঃ বিষুবতি সৌর্যপৃষ্ঠে অভি ত্বা বৰ্চসা গিরঃ ইতি চতুর্থঃ স্তোত্রিয়ঃ। (২০কা, ৫অ. ১১সূ.)।

টীকা –বিষুবে সৌর্যপৃষ্ঠে উপযুক্ত সূক্তটি চতুর্থ স্তোত্রিয়রূপে বিনিযুক্ত হয়ে থাকে। (২০কা, ৫অ. ১১সূ)।

.

দ্বাদশ সূক্ত

[ঋষি : খিল, নোধা, মেধ্যাতিথি দেবতা : ইন্দ্র ছন্দ : গায়ত্রী, প্রগাথ]

যচ্ছা বামারুহঃন্তরিক্ষং সিসথঃ। সং দেবা অমদ বৃষা ॥১॥ শক্রো বাচমধৃষ্টায়োরুবাচো অধৃষ্ণুহি। মংহিষ্ঠ আ মদর্দিবি। ২৷৷ শক্রো বাচমধৃহি ধামধর্ম বি রাজতি। বিমদ বহ্রাসর৷৩৷৷ তং বো দস্মমৃতীষহং বসোর্মন্দানমন্ধসঃ। অভি বৎসং ন স্বসরেষু ধেনব ইন্দ্রং গীর্ভিনর্বমহে৷৷ ৪৷ দ্যুক্ষং সুদানুং তবিষীভিরাবৃতং গিরিং ন পুরুভোজস। ক্ষুমন্তং বাজং শতিনং সহস্ৰিণং মক্কু গোমমীমহে ॥৫॥ তৎ ত্বা যামি সুবীর্যং তদ ব্ৰহ্ম পূর্বচিত্তয়ে। যেনা যতিভ্যো ভূগবে ধনে হিতে যেন প্রস্কঞ্চমাবিথ ৷৬৷ যেনা সমুদ্রমসৃজো মহীরপস্তদিন্দ্র বৃষ্ণি তে শবঃ। সদ্যঃ সো অস্য মহিমা ন সন্নশে যং ক্ষোণীরনুচক্রদে॥৭

সূক্তসার— দেবতা স্তুতিবাণীতে প্রসন্ন হয়ে থাকেন। হে মহিষ্ঠ (মহত্তম)! হে শক্র! আপনি আকাশকে হর্ষপূর্ণ করুন এবং কারো প্রতি কঠোর বাক্য উচ্চারণ করবেন না। হে যজমানগণ! দুঃখনাশক, দর্শনীয়, সোমপ্রিয় ইন্দ্রকে আমরা আপনাদের যজ্ঞপুষ্টয়র্থে স্তুতি করছি। আমরা আমাদের আপন স্তুতিসমূহের সাথে ইন্দ্রের দিকে গমন করছি। দুর্ভিক্ষকালে সকল জীব যেমন কন্দ মূল-ফল সম্পন্ন পর্বতকে স্তুতি করে, আমরাও তেমনই স্তুত্য, পোষক, দানী ও তেজস্বী ইন্দ্রকে স্তুতি করছি। হে ইন্দ্র! যে ধনের দ্বারা ভৃগু শান্তিলাভ করেছিলেন এবং প্রকথ রক্ষালাভ করেছিলেন, আমরা সেই ধন প্রার্থনা করছি। সকলের অভীষ্টফলদায়ক আপনার সেই বল আমরা যাচনা করছি; তা যেন শত্রুর লভ্য না হয়!

সূক্তস্য বিনিয়োগঃ –বিষুবতি সৌর্যপৃষ্ঠে যচ্ছা বাচমারুহন ইতি ষষ্ঠঃ স্তোত্রিয়। (২০কা. ৫অ. ১২সূ.)।

টীকা –পূর্বর্তী সূক্তের মতো এই সূক্তটি বিষুবে সৌর্যপৃষ্ঠে বিনিযুক্ত হয়ে থাকে, তবে ষষ্ঠ স্তোত্রিয়রূপে। (২০কা, ৫অ. ১২সূ.)।

.

ত্রয়োদশ সূক্ত

 [ঋষি : মেধ্যাতিথি দেবতা : ইন্দ্র ছন্দ : প্রগাথ]

 কন্নবো অতসীনাং তুরো গৃণীত মর্তঃ। নহী ম্বস্য মহিমানমিয়িং স্বর্গণন্ত আনশুঃ ॥১॥ কদু স্তুবন্ত ঋতয়ন্ত দেবত ঋষিঃ কো. বিপ্র ওহতে। কদা হবং মঘবন্নি সুন্বতঃ কদু স্তুবত আ গমঃ ॥ ২॥

সূক্তসার –নিত্যনবীন, মনুষ্যের আকারধারী, বলবা ইন্দ্রের স্তুতি করো; তার অল্প স্তুতিতেও স্বর্গপ্রাপ্তি হয়ে থাকে। হে ইন্দ্র! কোন্ ঋষি আপনার বিষয়ে তর্ক করেন? কোন কারণেই বা আপনি স্তোতার আহ্বানে আগমন করেন?

সূক্তস্য বিনিয়োগ –বাজপেয়ে ক্ৰতৌ কন্নব্যো অতসীনাং ইতি সামপ্রগাথো ভবতি। তৎ উক্ত বৈতানে।..ইত্যাদি৷৷ (২০কা. ৫অ. ১৩সূ.)।

টীকা— বাজপেয় যজ্ঞে উপযুক্ত সূক্তটি সামপ্রগাথ হবে।-(বৈ.৪৩)। তথা গবাময়ন ইত্যাদি সম্বৎসরে মাধ্যন্দিন সবনেও এই সূক্তমন্ত্রগুলি সামপ্রগাথ হয়ে থাকে। (বৈ.৬৫)। (২০কা, ৫অ. ১৩সূ.)।

.

চতুর্দশ সূক্ত

 [ঋষি : প্রস্কণ্ব (), পুষ্টিগু () দেবতা : ইন্দ্র ছন্দ : প্রগাথ]

অভি প্র বঃ সুরাধসমিমর্চ যথা বিদে। যো জরিতৃভ্যো মঘবা পুরূবসুঃ সহস্রেণব শিক্ষতি ॥১॥ শতানীকে প্র জিগাতি ধৃষ্ণুয়া হন্তি বৃত্ৰাণি দাশুষে। গিরেরিব প্র রসা অস্য পিন্বিরে দত্ৰাণি পুরভোজসঃ ॥ ২॥ প্র সু তং সুরাধসমর্চা শক্ৰমভিষ্টয়ে। যঃ সুন্বতে স্তুবতে কাম্যং বসু সহস্রেণব মংহতে ॥ ৩ শতানীকা হেতয়ো অস্য দুষ্টরা ইন্দ্রস্য সমিযো মহীঃ। গিরির্ন ভুক্স মঘবৎসু পিন্বতে যদীং সুতা অমন্দিষুঃ॥৪৷৷

সূক্তসার –হে স্তোতৃগণ! সহস্ৰ সংখ্যক ধনের ও অন্নের দাতা ইন্দ্রের স্তুতি ধ্বনিত করুন। হবিদাতা যজমানের নিমিত্ত ইন্দ্র স্বর্গ হতে ধন বর্ষণ করে থাকেন। ইন্দ্রকে সংস্করিত সোম নিবেদন করলে তিনি প্রসন্ন হয়ে অন্ন-ধন দান করেন।

সূক্তস্য বিনিয়োগঃ— চতুর্বিংশে মাধ্যন্দিনে সবনে অভি প্র বঃ সুরাধসং (২০।৫১) প্র সু তং সুরাধসং (২০।৫১।৩) ইতি পৃষ্ঠস্তোত্রিয়ানুরূপৌ বাহঁতৌ প্রগাথৌ ভবতঃ। তৎ উক্তং বৈতানে।… ইত্যাদি৷ (২০কা, ৫অ. ১৪সূ.)।

টীকা— চতুর্বিংশ মাধ্যন্দিন সবনে উপযুক্ত সূক্তটি বাহত প্রগাথ হয়ে থাকে।–(বৈ.৬।১)। তথা অভিপ্লবে যুগ্মদিবসে অর্থাল ২য়, ৪র্থ ও ষষ্ঠ দিবসে উপযুক্ত অভি প্র বঃ সুরাধসং (১) ও প্র সু তং সুরাধসং বাহত প্রগাথের পৃষ্ঠস্তোত্রিয়ানুরূপ হয়ে থাকে।–(বৈ.৬।১)। এইভাবে বৈতানে (৬।৩, ৮।৩) আরও অন্যান্য সূক্তের সাথে উপযুক্ত সূক্তটির সম্বন্ধিত বিনিয়োগ পাওয়া যায়। (২০কা, ৫অ. ১৪সূ.) ৷৷

.

পঞ্চদশ সূক্ত

 [ঋষি : মেধ্যাতিথি দেবতা : ইন্দ্র ছন্দ : বৃহতী]

বয়ং ঘ ত্বা সুতাবন্ত আপোন বৃক্তবহিষঃ। পবিত্রস্য প্রস্রবণেষু বৃহ পরি স্তোতার আসতে ॥১॥ স্বরন্তি ত্বা সুতে নরো বসো নিরেক উথিনঃ। কদা সুতং তৃষাণ ওক আ গম ইন্দ্র স্বীব বংসগঃ ॥ ২ ৷৷ কথেভিধৃষ্ণবা ধৃষদ বাজং দর্ষি সহণিম্। পিশঙ্গরূপং মঘব বিচৰ্ষণে মক্ষু গোমমীমহে॥ ৩॥

সূক্তসার –হে ইন্দ্র! সংস্কারিত সোম গ্রহণের উদ্দেশে ঋত্বিকগণ আপনাকে আহ্বান করছেন; আপনি সোমপানার্থে আগমন করুন। আমরা আপনার নিকট ধন যাজ্ঞা করছি।

সূক্তস্য বিনিয়োগঃ –বয়ং ঘ ত্বা সুতাবন্তঃ ইত্যস্য বিনিয়োগঃ ইন্দ্ৰেণ সং হি দৃক্ষসে (২০।৪০) ইত্যত্রোক্তঃ।–ইত্যাদি৷৷ (২০কা. ৫অ. ১৫সূ.)।

টীকা –উপযুক্ত সূক্তটির বিনিয়োগ এই অনুবাকের তৃতীয় সূক্তের মতো হবে। বৈতানিকে (৬।২, ৬।৩) আরও বিস্তৃতভাবে বিনিয়োগের উল্লেখ পাওয়া যায়। যেমন–বয়ং ঘ ত্ব (২০।৫২) ক ঈং বেদ (২০।৫৩) ইত্যাদি তৃতীয় অহনে পৃষ্ঠ্যের স্তোত্রিয়ানুরূপ হবে। বিশ্বা পৃতনাঃ (২০।৫৪) তমিং (২০।৫৫) ইত্যাদি চতুর্থে। ইন্দ্রো মদায় (২০।৫৬) মদেমদে হি (২০।৫৬।৪) ইতি পঞ্চমে। সুরূপকৃতুং (২০।৫৭) শুষ্মিন্তমং নঃ (২০।৫৭।৪) ইতি ষষ্ঠ অহনে পৃষ্ঠ্যের স্তোত্রিয়ানুরূপ হবে। ইত্যাদি। (২০কা. ৫অ. ১৫সূ.)।

.

ষোড় সূক্ত

[ঋষি : মেধ্যাতিথি দেবতা : ইন্দ্র ছন্দ : বৃহতী]

 ক ঈং বেদ সুতে সচা পিবন্তং ক বয়ো দধে। অয়ং যঃ পুরো বিভিনত্তোজসা মন্দানঃ শিপ্রন্ধসঃ ॥১॥ দানা মৃগোন বারণঃ পুরুত্ৰা চরথং দধে। নকিষ্টা নি যমদা সুতে গমো মহাংশ্চরস্যোজসা ॥ ২॥ য উগ্রঃ সন্ননিষ্টত স্থিররা রণায় সংস্কৃতঃ। যদি স্তোতুর্মঘবা শৃণবদ্ধবং নেন্দ্রো যোষত্যা গমৎ ॥ ৩৷৷

 সূক্তসার –(পূর্ব সূক্তের বক্তব্যানুসারে–ঋত্বিকগণের আহ্বানবাণী শ্রবণ করে, অর্থাৎ) হরির দ্বারা প্রসন্ন ইন্দ্ৰ শত্ৰু-নগরকে ধ্বংস করছেন। হে ইন্দ্র! আপনার রথ ও আপনার গতি অপ্রতিরোধনীয়। আপনার বল মহান্। আপনি আমাদের আহ্বান শ্রবণ পূর্বক সোমপানার্থে এই স্থানে আগত হোন।

সূক্তস্য বিনিয়োগঃ –ত্রিককুদ্দশাহস্যাহীনস্য নবস্বহঃসু.ক ঈং বেদ সুতে সচা (২০ ।৫৩)… ইত্যেতে নব পৃষ্ঠস্তোত্রিয়া যথাক্ৰমং ভবন্তি। তৎ উক্তং বৈতানে।…ইত্যাদি৷ (২০কা, ৫অ. ১৬সূ.)।

টীকা –ত্রিককুন্দ দশাহ অহীনের নয়দিনে শগ্ধষু শচীপত (২০কা. ৯অ.২২সূ.), অভি প্র গোপতিং গিরা (২০কা, ৮অ.২সূ), তং বো দস্মমৃতীষহং (২০কা, ৫অ, ১২সূ. ৪মন্ত্র), বয়মেনমিদা হ্যঃ (২০ কা. ৯অ. ১সূ.), ইন্দ্ৰমিৎ গাথিনো বৃহৎ (২০।৫।১।১), শ্রায়ন্ত ইব সূর্যং (২০কা, ৫অ. ২১সূ), উপযুক্ত সূক্ত–ক ঈং বেদ সুতে সচা (২০।৫।১৬), বিশ্বাঃ পৃতনা অবিভূতরং নরং (২০।৫।১৭), যদিন্দ্র প্রাগপাগুদক (২০কা, ৯অ, ২৪সূ.) ইত্যাদি নয়টি পৃষ্ঠিস্তোত্রিয় যথাক্রমে হবে।–(বৈ. ৮।৪)। ইত্যাদি। (২০কা, ৫অ. ১৬সূ.)।

.

সপ্তদশ সূক্ত

[ঋষি : রেভ দেবতা : ইন্দ্র ছন্দ : জগতী, বৃহতী]

 বিশ্বাঃ পৃতনা অভিভূতরং নরং সজুস্ততক্ষুরিং জজনুশ্চ রাজসে। ক্ৰত্বা বরিষ্ঠং বর আমুরিমুভোগ্ৰমোজিং তবসং তরস্বিনম্ ॥১॥ সমীং রেভাসো অস্বরন্নিং সোমস্য পীতয়ে। স্বৰ্পতিং যদীং বৃধে ধৃতব্রতো হ্যোজমা সমূতিভিঃ ॥ ২॥ নেমিং নমন্তি চক্ষ মেষং বিপ্ৰা অভিস্বরা। সুদীতয়ো বো অহোহপি কর্ণে তরস্বিনঃ সমৃভিঃ ॥ ৩৷

 সূক্তসার— সকল সেনানী শত্রুকে মূৰ্ছিত করণশালী, অতি বলশালী ও উগ্র ইন্দ্রকে বরণ করেছেন। স্তুতিকরণশীল সকলে সোমপানের নিমিত্ত ইন্দ্রকে স্তুতি করে থাকেন। ইন্দ্রের বজ্ৰাস্ত্রের ধ্বনি যেন স্তোতৃগণের কর্ণকে ব্যথিত না করে।

সূক্তস্য বিনিয়োগঃ— পৃষ্ঠাষড়হস্য একবিংশস্তোমকে চতুর্থেহহনি একাহৈকীভূতে…বিশ্বাঃ পৃতনা অভিভূতরং নরং (২০।৫৪)…ইতি আজ্যপৃষ্ঠোথস্তোত্রিয়া ভবন্তি। তৎ উক্তং বৈতানে।–ইত্যাদি। (২০কা, ৫অ, ১৭সূ.)।

টীকা— পৃষ্ঠ্যষড়হের একবিংশ স্তোমে চতুর্থ দিবসে ইন্দ্রো দধীচে অস্থভিঃ (২০৪০ অর্থাৎ ২০কা. ৫অ. ৪সূ), উপযুক্ত সূক্ত, এবা হ্যসি বীরয়ুঃ (২০।৬০ অর্থাৎ ২০ কা. ৫অ, ২৩সূ.) ইত্যাদি যথাক্রমে আজ্যপৃষ্ঠ, উথ ও স্তোত্রিয় হবে। বৈতানিকে (৮।২, ৮।৩) এই প্রসঙ্গে আরও বিশদ বিনিয়োগের উল্লেখ আছে ॥ (২০কা, ৫অ. ১৭)।

.

অষ্টাদশ সূক্ত

[ঋষি : রেভ দেবতা : ইন্দ্র ছন্দ : বৃহতী]

তুমিং জোহবীমি মঘবানমুগ্ৰং সত্ৰা দধানমপ্রতিদ্ভুতং শবাংসি। মংহিষ্ঠা গীৰ্ভিরা চ যজ্ঞিয়ো ববর্ত রায়ে নো বিশ্বা সুপথা কৃপোতু বজ্ৰী ॥১॥ যা ইন্দ্র ভুজ আভরঃ স্ববা অসুরেভ্যঃ। স্তোতারমিন্মঘবন্নস্য বর্ধয় যে চ ত্বে বৃক্তবহিষঃ ॥ ২॥ যমিন্দ্র দধিষে ত্বমশ্বং গাং ভাগমব্যয়ম্। যজমানে সুন্বতি দক্ষিণাবতি তস্মিন্ তং ধেহি মা পণৌ ॥ ৩৷৷ সূক্তসার– ধনবান, বজ্রধারী, যুদ্ধে অগ্রবর্তী, বলধারক, স্তুত্য, ধনমার্গ-প্রদর্শনকারী, স্বর্গাধিপতি ইন্দ্রদেবকে আমি আহ্বান করছি। তিনি স্তোতা ও যজমানের শ্রীবৃদ্ধি-সাধক; দক্ষিণাদাতা যজমানকে গাভী-অশ্ব ইত্যাদি প্রদান করেন, পণি নামক অসুরদের নয়।

সূক্তস্য বিনিয়োগঃ –তমিং জোহবীমি ইত্যস্য বিনিয়োগঃ বয়ং ঘ ত্বা সুতাবন্তঃ (২০।৫২) ইতি সূক্তে উক্তঃ৷৷ (২০কা, ৫অ. ১৮সূ.) ৷৷

টীকা –উপযুক্ত সূক্তটির বিনিয়োগ পূর্ববর্তী ১৫শ সূক্তের অনুরূপ। (২০কা, ৫অ. ১৮সূ.)।

.

ঊনবিংশ সূক্ত

[ঋষি : গোতম দেবতা : ইন্দ্র ছন্দ : পংক্তি]

 ইন্দ্রো মদায় বাবৃধে শবসে বৃত্ৰহা নৃভিঃ। তমিন্মহত্যজিমূতেমর্ভে হবামহে স বাজে প্র নোহবিষৎ ॥১॥ অসি বি বীর সেন্যোহসি ভূরি পরাদদিঃ। অসি দস্য চিদ বৃধো যজমানায় শিক্ষসি সুম্বতে ভূরি তে বসু ॥ ২॥ যদুদীরত আজয়ো ধৃষ্ণবে ধীয়তে ধনা। যুক্ষা মদ্যুতা হরী কং হনঃ কং বসৌ দধোহল্ম ইন্দ্র বসৌ দধঃ ॥৩৷ মদেমদে হি নো দদিযূথা গবাম্‌জুক্রতুঃ। সং গৃভায় পুরূ শতোভয়াহস্ত্যা বসু শিশীহি রায় আ ভর॥ ৪৷৷ মাদয়স্বসূতে সচা শবসে শূর রাধসে। বিদ্যা হি ত্বা পুরূসুমুপ কামাসসৃজমহেথা নোহবি ভব ॥ ৫॥ এতে ত ইন্দ্র জন্তবো বিশ্বং পুষ্যন্তি বার্ম। অন্তৰ্হি খ্যো জনানামর্যো বেদো অদাশুষাং তেষাং নো বেদ আ ভর ॥৬॥

সূক্তসার –বৃহন্তা ইন্দ্রকে আমরা আহূত করছি। তিনি সামান্য বা বিরাট যুদ্ধে আমাদের বল ও হর্ষ প্রদান করুন। সেই বীরেন্দ্র দুষ্টের খণ্ডনকর্তা, শত্রুর দণ্ডদাতা এবং সোমাভিষবকারীগণের ঐশ্বর্যদাতা। তাঁর নিমিত্ত সম্পন্নকৃত যজ্ঞের ফলস্বরূপ তিনি আমাদের গাভী ইত্যাদি ধন প্রদান করুন। তিনি সংস্কারিত সোম পান করে বল ও হর্ষ প্রাপ্ত হয়ে আমাদের রক্ষা করুন। যারা হবিঃ নিবপন করে না, সেই নিন্দকগণের ধন আমাদের দান করুন।

সূক্তস্য বিনিয়োগঃ –পৃষ্ঠ্যপঞ্চাহস্য পঞ্চমেহহনি উত্তিষ্ঠন্নেজসা সহ (২০।৪২।৩) ইন্দ্রো মদায় বাবৃধে (২০৫৬) ইন্দ্রায় সাম গায়ত (২০।৬২ ৫-৭) ইত্যেতে আজ্যপৃষ্ঠোথস্তোত্রিয়া ভবন্তি। তৎ উক্তং বৈতানে।–ইত্যাদি৷৷ (২০কা, ৫. ১৯সূ.)।

টীকা— পৃষ্ঠ পঞ্চার্হ যাগের পঞ্চম দিনে উত্তিষ্ঠন্নোজসা সহ (২০কা, ৫অ. ৫সূ. ৩মন্ত্র) ইন্দ্রো মদায় বাবৃধে (২০কা, ১৯সূ.) ইন্দ্রায় সাম গায়ত (২০কা, ২৫সূ. ৫-৭মন্ত্র) ইত্যাদি আজ্যপৃষ্ঠ, উথ ও স্তোত্রিয় হবে। এই প্রসঙ্গে বৈতানে (৮।৩) উল্লিখিত আছে–পঞ্চম উত্তিষ্ঠন্নোজসা সহেন্দ্রো মদায় বাবৃধ ইন্দ্রায় সাম গায়তেতিঃ ॥ (২০কা, ৫. ১৯সূ.)।

.

 বিংশ সূক্ত

 [ঋষি : মধুচ্ছন্দা (), বিশ্বামিত্র (), গৃৎসমদ (১০), মেধ্যাতিথি (১১১৬) দেবতা : ইন্দ্র ছন্দ : গায়ত্রী]

 সুরূপকৃতুমূতয়ে সুদুঘামিব গোদুহে। জুহুমসি দ্যবিদ্যবি॥১॥ উপ নঃ সবনা গহি সোমস্য সোমপাঃ পিব। গোদা ইদ রেবতো মদঃ ॥ ২॥ অথা তে অনুমানাং বিদ্যাম সুমতীনা। মা নো অতি খ্য আ গহি৷৩৷৷ শুষ্মিন্তং ন উতয়ে দ্যুনিং পাহি জাগৃবি। ইন্দ্র সোমং শতক্রতো॥ ৪৷৷ ইন্দ্রিয়াণি শতক্রতো যা তে জনেষু পঞ্চসু। ইন্দ্র তানি ত আ বৃণে ॥৫৷৷ অগন্নিন্দ্ৰ শ্ৰবো বৃহদ দ্যুম্নং দধিম্ব দুষ্টর। উৎ তে শুষ্মং তিরামসি ॥ ৬৷৷ অর্বাবতো ন আ গহ্যথো শক্র পরাবতঃ। উ লোকো যস্তে অদ্রিব ইন্দ্ৰেহ তত আ গহি।৭৷৷ ইন্দ্রো অঙ্গ মহদ ভয়মভী ষদপ চুচ্যৎ। স হি স্থিরো বিচৰ্ষণিঃ ॥ ৮৷৷ ইন্দ্ৰশ্চ মৃলয়াতি নো ন নঃ পশ্চাদঘং নশৎ। ভদ্রং ভবাতি নঃ পুরঃ ॥৯৷ ইন্দ্র আশাভ্যস্পরি সর্বাভ্যো অভয়ং করৎ। জেতা শক্ৰ বিচৰ্ষণিঃ ॥১০. ক ঈং বেদ সূতে সচা পিবন্তং কদ বয়ো দধে। অয়ং যঃ পুরো বিভিনত্ত্যোজসা মন্দানঃ শিপ্রহ্মসঃ ॥১১। দানা মৃগো ন বারণঃ পুরুত্ৰা চরথং দধে। নকিম্বা নি যমদা সুতে গমো মহাংশ্চরস্যোজসা ॥১২৷৷ য উগ্রঃ সঃনিষ্টত স্থিরো রণায় সংস্কৃতঃ। যদি স্তোতুর্মঘবা শৃণবদ্ধবং নেড্রো যোষত্যা গমৎ ॥ ১৩৷৷ বয়ং ঘ ত্বা সুতাবন্ত আপোন বৃক্তবহিষঃ। পবিত্রস্য প্রস্রবণেষু বৃত্ৰহ পরি স্তোতার আসতে ॥১৪৷ স্বরন্তি ত্বা সুতে নরো বসো নিরেক উথিনঃ। কদা সুতং তৃষাণ ওক আ গম ইন্দ্র স্বীব বংসগঃ ॥১৫৷৷ কম্বোভিধৃষ্ণবা ধৃষদ বাজং দর্ষি সহণিম্। পিশঙ্গরূপং মঘব বিচৰ্ষণে মক্ষু গোমমীমহে৷ ১৬৷৷

সূক্তসার –প্রত্যেক অবসরের পর রক্ষার নিমিত্ত আমরা ইন্দ্রকে আহ্বান করছি। সদা হর্ষিত, ধনবান্ ইন্দ্র সোম-সত্রে আগমন পূর্বক সোম পান করুন। ইন্দ্রদেব আমাদের নিন্দিতরূপে গ্রহণ না করে, এই স্থানে আগমন করুন। বহুকর্মকারী ইন্দ্রদেব আপন অপরিমিত ধনবল আমাদের প্রদান করুন এবং শত্রুদের কবল হতে আমাদের রক্ষা করুন। ইন্দ্রদেব দূর বা নিকট যেস্থানেই অবস্থান করুন, এই স্থলে সোমপানার্থে আগত হোন। হে ঋত্বিকগণ! ইন্দ্রদেব ভয়াপহারী, সর্বদ্রষ্টা, অপ্রতিরোধ্যগতিক, দুঃখনাশক ও মঙ্গলকারী। হবির দ্বারা তুষ্টান্তর ইন্দ্রদেব শত্রুনগরীকে বিধ্বস্ত করে থাকেন। হে ইন্দ্রদেব! আপনি আপন বলে মহা। সোম অভিযুত হওয়ার পর এই স্থলে আগমন করুন।–আহ্বান করলে তিনি অবশ্যই স্তোতার নিকট আগমন করে থাকেন। সম্পন্ন সোম পানের নিমিত্ত উথ-গায়ক ঋত্বিক ইন্দ্রকে আহ্বান করছেন। হে ইন্দ্র! বৃষভতুল্য পিপাসার্ত হয়ে কখন আপনি আগত হবেন?

সূক্তস্য বিনিয়োগঃ –আপ্তোৰ্যামনি ক্ৰতৌ তৃতীয়সবনে সুরূপকৃতুমূতয়ে (২০।৫৭) শুষ্মিন্তমং ন উতয়ে (২০।৫৭।৪ মন্ত্র) ইতি স্তোত্রিয়ানুরূপৌ ভবতঃ। তত্র সুরূপকৃতুমূতয়ে ইতি স্তোত্রিয়মভিতঃ চ প্রাকৃতঃ স্তোত্রিয়ো ভবতি। শুষ্মিন্তমং ন উতয়ে ইত্যনুরূপমভিত প্রাকৃতোহনুরূপো ভবতি। তৎ উক্তং বৈতানে।…তথা মহাব্রতে প্রাতঃসবনে সুরূপকৃতুমূতয়ে ইত্যাজ্যস্তোত্রিয়ো ভবতি। তৎ উক্তং বৈতানে।..ইত্যাদি। (২০কা, ৫অ. ২০সূ.)।

টীকা –আপ্তর্যাম ক্রতুদ্বয়ে তৃতীয় সবনে উপযুক্ত সূক্তের ১ম মন্ত্রের সুরূপকৃতুমূতয়ে এবং ৪র্থ মন্ত্রের শুষ্মিমন্ত্রং ন ঊতয়ে ইত্যাদি স্তোত্রিয় ও অনুরূপ হয়ে থাকে। এই স্তোত্রিয় ও অনুরূপ সাফল্যে যথাক্রমে প্রাকৃত স্তোত্রিয় ও প্রাকৃত অনুরূপ রূপে চিহ্নিত হয়। বৈতানে (৪।৩) উল্লিখিত আছে তৃতীয়সবনে সুরূপকৃতুমূতয়ে শুষ্মিন্তমং ন উতয় ইতি স্তোত্রিয়ানুরূপাবভিতঃ স্তোত্রিয়ানুরূপৌ ইতি। তথা মহাব্রতে প্রাতঃসবনে উপযুক্ত সূক্তের দ্বারা আজ্য-স্তোত্রিয় হয়। বৈতানে (৬।৪) উল্লিখিত আছে–মহাব্রতে সুরূপকৃতুমূতয় ইত্যাজ্যস্তোত্রিয়ঃ ইতি। বৈতানে (৮।১) আরও উল্লিখিত আছে যে, উপযুক্ত সূক্তটি ও উত্বা মন্তু স্তোমাঃ (২০কা, ৮অ. ৩সূ.) ইত্যাদি বিকল্পিত আজ্য-স্তোত্রিয়। ত্বামিদ্ধি হবামহে (২০কা, ৯অ ২সূ, ) ইত্যাদি এর পৃষ্ঠ-স্তোত্রিয় ॥ (২০কা, ৫অ. ২০সূ.)।

.

একবিংশ সূক্ত

 [ঋষি : নৃমেধ (), জমদগ্নি () দেবতা : ইন্দ্র (), সূর্য () ছন্দ : প্রগাথ]

শ্রায়ন্ত ইব সূর্যং বিশ্বেদিন্দ্রস্য ভক্ষত। বসূনি জাতে জনমান ওজসা প্রতি ভাগং ন দীধিম ॥১॥ অনশরাতিং বসুদামুপ স্তুহি ভদ্রা ইন্দ্রস্য রাতয়ঃ। সো অস্য কামং বিধতো ন রোষতি মনো দানায় চোদ্দয় ৷৷ ২.. বহ অসি সূর্য বডাদিত্য মহা অসি। মহস্তে সততা মহিমা পনস্যতেইদ্ধা দেব মহা অসি৷৩৷৷ বটু সূর্য এবসা মহা অসি সত্রা দেব মহা অসি। মহ্না দেবানামসূর্যঃ পুরোহিত বিভু জ্যোতিরদাভ্যম্ ॥৪॥

সূক্তসার— রশ্মিরাশি যেমন নিয়ত সূর্যের সাথে অবস্থান করে, তেমনই ইন্দ্রের সাথেও অবস্থান করে। ইন্দ্র ত্রিকালব্যাপী জলরূপ ধনকে বন্টন করেন। মঙ্গলময় দানসমূহের দাতা, উপাসকগণের কামনাপূরক ইন্দ্রকে, হে স্তুতিকারক! তোমরা স্তুতি করো। হে সূর্যরূপ ইন্দ্র! হে আদিত্য! আপনি সত্যই মহিমাবান, আপনি হবিঃরূপ অন্ন অপেক্ষাও মহান। আপনি আপন মহিমায় রাক্ষসগণকে সংহার করে থাকেন। আপনি অহিংসিত ও ব্যাপক রূপ।

সূক্তস্য বিনিয়োগঃ –বিষুবতি সৌর্যপৃষ্ঠে বহাঁ অসি সূর্য (২০।৫৮।৩ মন্ত্র) শ্রায়ন্ত ইব সূর্যং (২০।৫৮।১মন্ত্র) ইতি বিকল্পিতৌ পৃষ্ঠস্তোত্রিয়ানুরূপৌ ভবতঃ। তৎ উক্তং বৈতানে।…তথা সাকমেধস্য তৃতীয়েহহনি অস্য সূক্তস্য বিনিয়োগ উক্তঃ।…ইত্যাদি৷ (২০কা, ৫অ. ২১সূ.)।

টীকা –বিষুবে সৌর্যপৃষ্ঠে বহাঁ অসি সূর্য (উপযুক্ত সূক্তের ৩য় মন্ত্র) ও শ্রায়ন্ত ইব সূর্যং (উপযুক্ত সূক্তের ১ম মন্ত্র) ইত্যদি বিকল্পিত পৃষ্ঠস্তোত্রিয় ও অনুরূপ হয়। বৈতানে বলা হয়েছে–বহাঁ অসি সূর্য শ্রায়ন্ত ইব সূর্যমিতি বা ইতি (বৈ. ৬।৩)। অহমিদ্ধি পিতুস্পরি (২০কা, ৯অ. ১৯সূ) ও উপযুক্ত সূক্ত আজ্য-স্তোত্রিয়। (বৈ. ৮।২)। সাকমেধ যজ্ঞে তৃতীয় দিবসে এই সূক্তের বিনিয়োগ হয়ে থাকে। এই সম্পর্কে তমিং বাজয়ামসি (২০কা, ৫অ. ১০সূ.) ইত্যাদি সূক্তের বিনিয়োগের টীকা দ্রষ্টব্য। তথা উপযুক্ত সূক্তটি ও ত্বং ন ইন্দ্রা ভর (২০কা, ৯অ. ১২সূ.) ইত্যাদি সূক্ত পৃষ্ঠ, উথ ও স্তোত্রিয় হবে।-বৈ. ৮।৩)। এতদ্ব্যতীত ত্রিককুৎ-দশাহে উপযুক্ত সূক্তটি অহীনের নয়দিনে নয়টি পৃষ্ঠস্তোত্রিয়ের অন্যতমরূপে বিনিযুক্ত হয়ে থাকে। বৈতানিকের (৮।৪) এই উক্তি ২০ কাণ্ডের ৫ অনুবাকের ১৬ সূক্তের বিনিয়োগের টীকায় উল্লিখিত আছে ৷ (২০কা, ৫অ. ২১সূ)।

.

দ্বাবিংশ সূক্ত

 [ঋষি : মেধ্যাতিথি (), বসিষ্ঠ () দেবতা : ইন্দ্র ছন্দ : প্রগাথ]

উদু ত্যে মধুমত্তমা গির স্তোমাস ঈরতে। সত্রাজিতো ধনসা অক্ষিতোতয়ো বাজয়ন্তো রথা ইব॥১॥ কথা ইব ভৃগবঃ সূর‍্যা ইব বিশ্বমিদ্দীতমানুশুর। ইন্দ্রং স্তোমেভিমহয়ন্ত আয়বঃ প্রিয়মেধাসো অস্বরন ॥ ২॥ উদিস্য রিচ্যতেইংশো ধনং ন জিণ্ড্যষঃ। য ইন্দ্রো হরিবান্ন ভন্তি তং রিপো দক্ষং দধাতি সোমিনি ৷ ৩৷৷ মন্ত্রমখর্বং সুধিতং সুপেশসং দধাত যজ্ঞিয়েম্বা। পূর্বীশ্চন প্রসিতয়স্তরন্তি তং য ইন্দ্রে কর্মণা ভুবৎ ॥ ৪৷৷

 সূক্তসার –স্তোত্র ও গায়নযোগ্য বাণীসমূহ ইন্দ্রকে সন্তুষ্ট করে চলে। যেমন ধাতা, অর্যমা ইত্যাদি সূর্য আপন প্রেরক ত্রৈলোক্যাধিপতি ইন্দ্রকে প্রাপ্ত হন, যেমন ভৃগুবংশীয় ঋষি ইন্দ্রের আশ্রয় গ্রহণ করেন, যেমন কথবংশীয় ঋষিগণের স্তুতি সমুদায় ইন্দ্রকে প্রাপ্ত হয়, তেমনই বুদ্ধিমান জনগণের স্তুতিগুলিও ইন্দ্রেরই সমীপগত হয়। পাপ কর্তৃক অহিংসিত হযশ্বরা ইন্দ্র সোমপ্রদাতা যজমানকে বল প্রদান করে থাকেন। হে ঋত্বিকগণ! আপনারা সুন্দর মন্ত্র উচ্চারণ করুন। ইন্দ্রের সেবক পূর্ব বন্ধন হতে মুক্ত হন।

সূক্তস্য বিনিয়োগঃ –দশরাস্য দশমেহনি মাধ্যন্দিনে সবনে উদু ত্যে মধুমত্তমাঃ (১) উদিস্য রিচ্যতে (৩) ইতি পৃষ্ঠস্তোত্রিয়ানুরূপৌ ভবতঃ। তৎ উক্তং বৈতানে।–ইত্যাদি। (২০কা, ৫অ. ২২সূ.)।

টীকা –দশরাত্র যাগের দশম দিবসে মাধ্যন্দিন সবনে উপযুক্ত সূক্তের ১ম মন্ত্র (উদু ত্যে মধুমত্তমা), ও ৩য় মন্ত্র (উদিস্য রিচ্যতে) যথাক্রমে পৃষ্ঠস্তোত্রিয় ও অনুরূপ হয়ে থাকে। বৈতানে উক্ত আছে-উদু ত্যে মধুমত্তমা উদিস্য রিচ্যত ইতি পৃষ্ঠস্তোত্রিয়ানুরূপৌ ইতি।–(বৈ. ৬।৩)। প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ্য–উপযুক্ত সূক্তের ২য় মন্ত্রে ইন্দ্রাশ্রয়ী দ্বাদশ সূর্যের মধ্যে দুটি নামের উল্লেখ করা হয়েছে। অবশিষ্ট নামগুলি–বিবস্বান,, পূষা, ত্বষ্টা, সবিতা, ভগ, বিধাতা, বরুণ, মিত্র, শত্রু, উরুক্রম। বলা বাহুল্য সূর্যের এই বারোটি মূর্তি এবং এই নামগুলির মধ্যেই সূর্য ও ইন্দ্রের অভিন্ন প্রকটিত হয়। (২০কা, ৫অ, ২২সূ.)।

.

 ত্রয়োবিংশ সূক্ত

[ঋষি : সুকক্ষ বা সুতকক্ষ (), মধুচ্ছন্দা () দেবতা : ইন্দ্র ছন্দ : গায়ত্রী]

এবা হ্যসি বীরয়ুরেবা শূর উত স্থিরঃ। এবা তে রাধ্যং মনঃ ॥১॥ এবা রাতিস্তুবীমঘ বিশ্বেভিধায়ি ধাতৃভিঃ। অধা চিদিন্দ্র মে সচা ॥ ২॥ মো যু ব্রহ্মের তন্দ্রয়ুঙুৰৰ বাজানাং পতে। মৎস্বা সুতস্য গোমতঃ ॥৩॥ এবা হ্যস্য সূতা বিরপশী গোমতী মহী। পা শাখা ন দাশুষে ॥৪॥ এবা হি তে বিভূতয় উতয় ইন্দ্র মাবতে। সদ্যশ্চিৎ সন্তি দাশুষে ॥ ৫এবা হ্যস্য কাম্যা স্তোম উকথং চ শংস্যা। ইন্দ্রায় সোমপীতয়ে ॥৬৷৷

সূক্তসার :- হে ইন্দ্রদেব! আপনি বীর, স্থির, অসীম ধনশালী, অন্নেশ্বর ও দুষ্টনাশক। আপনি অভিযুত সোম পান পূর্বক আনন্দিত হোন। আপনি যজমানকে ভূমি, পরিপক্ক শস্য ও গাভী প্রদান করুন। হবিদাতা যজমানকে রক্ষার নিমিত্ত আপনার শিক্ষা-সাধন সম্ভবিত হোক। ইন্দ্রের সোমপান করণের কালে স্তোম ও উথ সমুদায় রমণীয় হয়ে ওঠে।

সূক্তস্য বিনিয়োগঃ –অভিপ্লবমধ্যমেম্বহঃসু দ্বিতীয়তৃতীয়চতুর্থপঞ্চমেষু। এবা হ্যসি বীরয়ুঃ ইত্যাদয়োহষ্টেী তৃচ্যস্তৃতীয়সবনে উথ স্তোত্রিয়ানুরূপা যথাক্ৰমং ভবন্তি।–ইত্যাদি৷৷ (২০কা, ৫অ. ২৩সূ.)।

টীকা –অভিপ্লবের মধ্যগত দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম দিবসে উপযুক্ত সূক্তের আটটি তৃচ তৃতীয় সবনে উথ, স্তোত্রিয় ও অনুরূপ যথাক্রমে হবে। এবং এইরূপে এবা হ্যসি বীরয়ুঃ (উপযুক্ত সূক্ত), এবা হ্যস্য সুনৃতা (উপযুক্ত সূক্তের ৪-৬ মন্ত্র) ইত্যাদি দ্বিতীয়ে স্তোত্রিয় ও অনুরূপ হবে। তং তেমদং গৃণীমসী (২৪ সূক্ত) ও তম্বভি প্র গায়ত (২৪ সূক্তের ৪-৬ মন্ত্র) ইত্যাদি তৃতীয়ে স্তোত্রিয় ও অনুরূপ হবে। বয়মু স্বামপূর্ব (২৫সূক্তের ১মন্ত্র) ও যো ন ইদমিদং পুরা (২৫সূক্তের ৩মন্ত্র) ইত্যাদি চতুর্থে স্তোত্রিয় ও অনুরূপ হবে। ইন্দ্রায় সাম গায়ত (২৫ সূক্তের ৫-৭ মন্ত্র) ও তম্বভি প্র গায়ত (২৪ সূক্তের ৪-৬ মন্ত্র) ইত্যাদি পঞ্চমে স্তোত্রিয় ও অনুরূপ হবে।–(বৈতান ৬।১)। এইভাবে বৈতানে (৮।৩, ৮।৪) বিশদে আরও বিনিয়োগের নির্দেশ উক্ত আছে ৷ (২০কা, ৫অ. ২৩সূ.)।

.

চতুর্বিংশ সূক্ত

 [ঋষি : গোষূক্তি অশ্বসূক্তি দেবতা : ইন্দ্র ছন্দ : উষ্ণিক]

তং তে মদং গৃণীমসি বৃষণং পৃৎসু সাসহি। উ লোককৃতুমদ্রিবো হরিস্রিয়ম্ ॥১॥ যেন জ্যোতীংষ্যায়বে মনবে চ বিবেদিথ। মন্দাননা অস্য বহিষো বি রাজসি ॥২॥ তদদ্যা চিত্ত উথিনোহনু ষ্টুবন্তি পূর্বৰ্থা। বৃষপত্নীরপো জয়া দিবেদিবে ৷৩৷৷ তম্বভি প্র গায়ত পুরুহুতং পুরুতম্। ইন্দ্রং গীর্ভিস্তবিষমা বিবাসত ॥৪৷৷ যস্য দ্বিবসো বৃহৎ সহো দাধার বরাদসী। গিরীর অপঃ স্বৰ্বৰ্ষত্বনা ॥৫॥ স রাজসি পুরুষ্টু একো বৃত্ৰাণি জিঘসে। ইন্দ্র জৈত্রা শবস্যা চ যন্তবে॥৬

সূক্তসার –অভীষ্টদাতা, শত্রুনাশক হে ইন্দ্র! আপনার হর্ষকে আমরা পূজা করছি। সোমের দ্বারা পুষ্ট হয়ে আপনি যজমানের এই কুশ-আসনের উপর বিরাজমান হোন। উথ-গায়ক আপনার মহিমা গান করছেন, আপনি বিজয় লাভ করুন। বহুস্তুত ও আহূত ইন্দ্রকে, হে স্তোতৃবৃন্দ! আপনারা স্তুতি করুন। ইন্দ্রের সেই মহান্ বলপৌরূষ ও বজ্র, যা দ্যাবাপৃথিবী ধারণ করে আছেন, তার পূজা করুন। হে ইন্দ্রদেব! আপনি একাকীই শত্রুনাশ-করণে সমর্থ।

সূক্তস্য বিনিয়োগঃ –অভিপ্লবে তং তে মদং গৃণীমসী ইত্যস্য বিনিয়োগঃ পুর্বেণ (২০।৬০) সহ উক্তঃ ইত্যাদি৷৷ (২০কা, ৫অ. ২৪).।

টীকা— অভিপ্লবে উপযুক্ত সূক্তটির বিনিয়োগ পূর্ববর্তী এবা হ্যসি বীর্যু ইত্যাদি সূক্তের টীকা অংশে বিধৃত। বৈতানে উক্ত হয়েছে–তমিং বাজয়ামসি (২০কা,.৫অ. ১০), অস্তাবি মন্ম পূর্বাং (২০কা, ৯অ. ২৩সূ) ও তং তে মদং গৃণীমসি–এগুলি আজ্যপৃষ্ঠ, উৰ্থ ও স্তোত্রিয় হবে। (বৈ. ৮।৩) (২০কা, ৫অ. ২৪সূ)।

পঞ্চবিংশ সূক্ত

 [ঋষি : সোভরি (), নৃমেধ (), গোযুক্ত্যশ্বসূক্তি (১০) দেবতা : ইন্দ্র ছন্দ : উষ্ণিক, প্রগাথ ()]

 বয়মু ত্বামপূর্ব রং ন কঞ্চিৎ ভরন্তোহবস্যবঃ। বাজে চিত্রং হবামহে॥১॥ উপ ত্বা কর্ময়ূতয়ে স নো যুবোগ্রশ্চক্রাম যো ধৃষৎ। ত্বামিদ্ধ্যবিতারং ববৃমহে সখায় ইন্দ্র সানসিম্ ॥ ২॥ যো ন ইদমিদং পুরা প্র বস্য আনিনায় তমু ব স্তষে। সখায় ইন্দ্রমূতয়ে ॥৩৷৷ হশ্বং সৎপতিং চর্ষণীসহং স হি স্মা যো অমন্দত। আ তু নঃ স বয়তি গব্যমশ্বং স্তোতৃভভ্যা মঘবা শত। ৪ইন্দ্রায় সাম গায়ত বিপ্ৰায় বৃহতে বৃহৎ। ধর্মকৃতে বিপশ্চিতে পনস্যবে॥৫॥ মিন্দ্রাভিভূরসি ত্বং সূর্যমরোচয়ঃ। বিশ্বকর্মা বিশ্বদেবো মহাঁ অসি॥ ৬৷৷ বিভ্রাজং জ্যোতিষা স্বরগচ্ছো নোচনং দিবঃ। দেবাস্ত ইন্দ্র সুখ্যায় যেমিরে ॥৭৷৷ তম্বভি প্র গায়ত পুরুতং পুরুষ্টুত। ইন্দ্রং গীর্ভিস্তবিষমা বিবাসত ॥ ৮যস্য দ্বিবৰ্হসো বৃহৎ সহহ দাধার রোদসী। গিরীর অপঃ স্বৰ্বৰ্ষত্বনা ॥৯॥ স রাজসি পুরুষ্টু একো বৃত্রাণি জিহ্বসে। ইন্দ্র জৈত্রা এবস্যা চ যন্তবে॥১০।

 সূক্তসার— হে ইন্দ্রদেব! আপনি সদা নবীন। আমরা আপনাকে আহ্বান করছি; আমাদের রক্ষার নিমিত্ত আগমন করুন। কর্মাবসরের পর আমরা আপনারই আশ্রয় গ্রহণ করছি; আপনি আমাদের রক্ষার্থে সখারূপে আগত হোন। প্রথমে যিনি আমাদের গো-ইত্যাদি অভীষ্ট ধন প্রদান করেছেন, আমি সেই ইন্দ্রের স্তুতি করছি। জনরক্ষক, হরিত-অশ্ববান, সর্বনিয়ামক ইন্দ্রকে আমি স্তুতি করছি। তিনি আমাদের ধন প্রদান করুন। হে স্তোতৃবর্গ! আপনারা সামগানের মাধ্যমে ইন্দ্রের স্তুতি করুন। হে ইন্দ্রদেব! আপনি সূর্যের প্রকাশক, শত্রু-তিরস্কারক। আপনি বিশ্বকর্মা এবং দেবতাগণ আপনার মিত্র। হে স্তোতাগণ! আপনারা বহুস্তুত ইন্দ্রের স্তুতি করুন। যাঁর মহিমার দ্বারা দ্যাব-পৃথিবী জল-পর্বত-বজ্র-বল ও স্বৰ্গকে ধারণ করে থাকে, আপনার সেই হেন ইন্দ্রের স্তুতি করুন।

সূক্তস্য বিনিয়োগঃ –বয়মু দ্বামপূর্ব ইত্যাদ্যতৃচস্য বিনিয়োগঃ (২০।১৪) ইত্যত্র উক্তঃ। তথা ইন্দ্রায় সাম গায়ত (২০।৬২।৫) ইত্যস্য বিনিয়োগঃ ইন্দ্রো মদায় বাবৃধে (২০।৫৬) ইত্যনেন সহ উক্তঃ। (২০কা, ৫অ. ২৫সূ.)।

টীকা –উপযুক্ত সূক্তের আদ্য তিনটি ঋকের বিনিয়োগ (অর্থাৎ বয়মু ত্বামপূর্ব ইত্যাদি থেকে সখায় ইন্দ্রমূতয়ে পর্যন্ত ঋকের ব্যাখ্যা) বয়মু স্বামপূর্ব (২০কা, ২অ. ১সূ.) ইত্যাদির সাথে উক্ত হয়েছে। তথা ৫ম ঋক্ হতে (অর্থাৎ ইন্দ্রায় সাম গায়ত ইত্যাদি) অবশিষ্ট অংশ পর্যন্তের বিনিয়োগ ইন্দ্রো মদায় বাবৃধে (২০কা. ৫অ. ১৯সূ.) ইত্যাদি সূক্তের সাথে উক্ত হয়েছে। (২০কা, ৫অ. ২৫সূ.)।

.

ষড়বিংশ সূক্ত

 [ঋষি : ভুবন বা সাধন (), ভরদ্বাজ ( উত্তরার্ধ), গোতম (), পর্বত () দেবতা : ইন্দ্র ছন্দ : ত্রিষ্টুপ, উষ্ণিক]

 ইমা নু কং ভুবনা সীধামেন্দ্রস্ট বিশ্বে চ দেবাঃ। যজ্ঞং চ নস্তং চ প্রজাং চাদিত্যৈরিন্দ্রঃ সহ চীকৃপাতি। ১৷৷ আদিতৈরিন্দ্রঃ সগণণা মরুদ্ভিরস্মাকং ভুত্ববিতা তন্না। গত্বায় দেবা অসুরা যদায় দেবা দেবত্বমভিরক্ষমাণাঃ ॥ ২॥ প্রত্যঞ্চমৰ্কৰ্মনয়ং ছচীভিরাদিৎ স্বধামিষিরাং পর্যপশ্যন। অয়া বাজং দেবহিতং সনেম মদেম শতহিমাঃ সুবীরাঃ ॥৩॥ য এক ইৎ বিদয়তে বসু মর্তায় দাশুষে। ঈশানো অপ্রতিদ্ভুত ইন্দ্রো অঙ্গ ॥৪॥ কদা মর্তমরাধসং পদা ক্ষুম্পমিব ফুরৎ। কদা নঃ শুশ্রবৎ ইন্দ্রো অঙ্গ ॥৫৷৷ যশ্চিদ্ধি ত্বা বহুভ্য আ সুতাবা আধিবাসতি। উগ্রং তৎ পত্যতে শব ইন্দ্রো অঙ্গ ৷৷ ৬ ৷৷ য ইন্দ্র সোমোতমো মদঃ শবিষ্ঠ চেততি। যেনা হংসি ন্যত্ৰিণং তমীমহে॥৭॥ যেনা দশমণ্ডিং বেপয়ন্তং স্বর্ণর। যেনা সমুদ্রমাবিথা তমীমহে ॥৮॥ যেন সিন্ধুং মহীরপোরখা ই প্রচোদ্দয়ঃ। পন্থামৃতস্য যাতবে মীমহে॥৯॥

সূক্তসার –ইন্দ্রদেব সকল বিশ্বদেব ও আদিত্যগণের সাথে আমাদের সর্ব-সামর্থ্য প্রদান করুন। আদিত্যবান ও মরুত্বান ইন্দ্রদেব আমাদের দেহকে রক্ষা করুন। আপন শক্তিতে সূর্যকে প্রত্যক্ষকর্তা, পৃথিবীকে অন্নবতী করণশালী ইন্দ্রের কৃপাতেই আমরা দেবহিতকারী অন্ন ও শত সম্বৎসর পরিমিত আয়ু লাভ করবো। হবিদাতা যজমানের অনন্য ধনদাতা হলেন ইন্দ্রদেব! হে ইন্দ্র। সোমবান্ স্তোতা বল-ঐশ্বর্যসম্পন্ন হয়ে ওঠেন; আপনি আমাদের অসুর-নাশক বল প্রদান করুন। অমৃতমার্গে অগ্রসর হবার নিমিত্ত আপনার সেই বল আমরা যাচনা করছি, যে বলের দ্বারা আপনি স্বর্গকে রক্ষা করেছিলেন এবং সমুদ্র ও জলরাশিকে গতিসম্পন্ন করেছিলেন।

সূক্তস্য বিনিয়োগঃ –পৃষ্ঠ্যস্য ষষ্ঠেহনি ইমা নু কং ভুবনা সীষধাম (২০।৬৩।১) হত্বায় দেবা অসুরা যদায়(২০।৬৩।২) ইতি দ্বৈপদৌ পচ্ছঃ শংসতি। তৎ উক্তং বৈতানে।-ইত্যাদি৷৷ (২০কা. ৫অ. ২৬সূ.)।

টীকা — পৃষ্ঠ্য যাগের ষষ্ঠ দিবসে উপযুক্ত সুক্তের ১ম মন্ত্রের অংশ বিশেষের সাথে ২য় মন্ত্রের অংশ বিশেষের বিনিয়োগের নির্দেশ বৈতানে (৬।২) উল্লিখিত আছে। তেমনই বাজপেয় যাগে তৃতীয় সবনে য এক ইৎ বিদয়তে (২০।৬৩।৪) ও য ইন্দ্র সোমপাতমো (২০।৬৩।৭) ইত্যাদি উথ-স্তোত্রিয়-অনুরূপ হবে।-বৈ. ৪।৩। এইরকম বৈতান সূত্রানুসারে (৮।২, ৮।৩, ৮।৪) এই সূক্তটির অপরাপর বিনিয়োগের নির্দেশ পাওয়া যায়। যেমন বলা হয়েছে-মহাঁ ইন্দ্রো য ওজসা (২০।১৩।৮), য এক ইৎ বিদয়তে (উপযুক্ত সূক্তের ৪র্থ মন্ত্র) এগুলি আজ্য-উথ-স্তোত্রিয়। আবার, অভিপ্লবের ষষ্ঠ দিবসে য এক ইৎ বিদয়ত (উপযুক্ত সূক্তের ৪র্থ মন্ত্র) ও যৎ সসামমিন্দ্র বিষ্ণবি (২০।১১।১) বিকল্পিত উথ স্তোত্রিয় হবে। এইরকমেই ত্বং ন ইন্দ্রা ভর (২০।১০।৮) য এক ইৎ বিদয়তে এগুলি উথ স্তোত্রিয় যথাক্রমে হবে। (২০কা, ৫অ. ২৬সূ.)।

.

 সপ্তবিংশ সূক্ত

[ঋষি : নৃমেধ (), বিশ্বমনা () দেবতা : ইন্দ্র ছন্দ : উষ্ণিক]

এন্দ্র নো গধি প্রিয়ঃ সত্ৰাজিদগোহ্যঃ। গিরির্ন বিশ্বতস্পৃথুঃ পতির্দিবঃ ॥১॥ অভি হি সত্য সোপমা উভে বভূথ রোদসী। ইন্দ্রাসি সুন্বততা বৃধঃ পতিদিবঃ ॥ ২॥ ত্বং হি শশ্বতীনামিন্দ্ৰ দৰ্তা পুরামসি। হন্তা দস্যোমনোবৃধঃ পতির্দিবঃ ॥ ৩॥ এদু মধ্বো মদিন্তরং সিঞ্চ বাধ্বৰ্যো অন্ধসঃ। এবা হি বীর স্তবতে সদাবৃধঃ ॥৪॥ ইন্দ্র স্থাতরীণাং নকিষ্টে পূর্বস্তুতিম্। উদানংশ শবসা ন ভন্দনা ॥৫৷ তং বো বাজানাং পতিমহুমহি শ্ৰবস্যবঃ। অপ্ৰায়ুভিজ্ঞেভিবাবৃধেন্যম ৷৷ ৬।

সূক্তসার— সত্যের দ্বারা বিজয়-লাভকারী, আমাদের প্রিয়, বিস্তৃত স্বর্গের অধিপতি, হে ইন্দ্রদেব! আপনি আমাদের আপন প্রিয় রূপে গণ্য করুন। আপনি সোমপায়ী, দ্যাবাপৃথিবীতে প্রকটিত সত্তাশালী, সোমাভিষবকর্তা তথা মনুষ্যগণের বর্ধনকারী ও অসুরনাশক। হে অধ্বর্যগণ! মধুরতম অন্নের দ্বারা ইন্দ্রকে তুষ্ট করুন। হর্যশ্বের উপরে আরূঢ়, হে ইন্দ্রদেব! আপনার দ্বারা কৃত বা বর্ষিত কল্যাণরাশির সমানতা অন্য কেউ করতে পারে না। অন্নকামী আমরা অন্নার্থে ইন্দ্রদেবকে আহূত করছি।

সূক্তস্য বিনিয়োগঃ –অভিপ্লবস্য পঞ্চমেহনি এন্দ্র নো গধি প্রিয়ঃ ইতি উথস্তোত্রিয়ো ভবতি।  তৎ উক্তং বৈতানে।…ইত্যাদি। (২০কা, ৫অ. ২৭সূ.)।

টীকা— অভিপ্লবের পঞ্চম দিবসে উপযুক্ত সূক্তটি উথ-স্তোত্রিয় হয়ে থাকে। বৈতানে (৮৩) উল্লিখিত আছে-পঞ্চম এন্দ্র নো গধি প্রিয় ইতি। (২০কা, ৫অ, ২৭সূ.)।

.

অষ্টাবিংশ সূক্ত

 [ঋষি : বিশ্বমনা দেবতা : ইন্দ্র ছন্দ : উষ্ণিক]

এতত ৰিন্দ্ৰং স্তবাম সখায় স্তোম্যং নরম্। কৃষ্টীর্যো বিশ্বা অভ্যস্ত্যেক ইৎ ॥১॥ অগোরুধায় গবিষে দুক্ষায় দস্ম্যং বচঃ। ঘৃতাৎ স্বাদীয়ো মধুনশ্চ বোচত ॥ ২॥ যস্যামিতানি বীর‍্যা ন রাধঃ পযেতবে। জ্যোতির্ন বিশ্বমভ্যস্তি দক্ষিণা ॥ ৩৷৷

 সূক্তসার— আমরা সখারূপ ও স্তুত্য ইন্দ্রকে স্তুতিদ্বারা আহ্বান করছি; তিনি সর্ব কর্মফলের প্রেরক। হে স্তোতৃবর্গ! ইন্দ্রের উদ্দেশে মধুরতম বাণী উচ্চারণ করুন। দীপ্তিমতী দক্ষিণারূপিণী এই বাণী কার্যসাধনার্থ অপরিমিত বলবতী।

সূক্তস্য বিনিয়োগঃ— দশাহস্য নবমেহনি এত ৰিন্দ্ৰং স্তবাম ইতি উথস্তোত্রিয় ভবতি। তৎ উক্তং বৈতানে।…ইত্যাদি৷৷ (২০কা, ৫অ. ২৮সূ.)।

টীকা— দশ দিবস ব্যাপী যাগের (দশাহের) নবম দিবসে উপযুক্ত সূক্তটি উথ-স্তোত্রিয় হয়। বৈনে (৮৪) উল্লিখিত আছে-নবম এত ৰিন্দ্ৰং স্তবামেতি ॥ (২০কা, ৫অ. ২৮সূ.)।

.

ঊনত্রিংশ সূক্ত

 [ঋষি : বিশ্বমনা দেবতা : ইন্দ্র ছন্দ : উষ্ণিক]

স্তহীন্দ্রং ব্যশ্ববদমূর্মিং বাজিনং যম।  অর্যো গয়ং মংহমানং বি দাশুষে ॥১॥ এবা নূনমুপ স্তুহি বৈয়শ্ব দশমং নবম্। সুবিদ্বাংসং চকৃত্যং চরণীনাম্ ॥২৷৷ বেঙ্খ হি নিঋতীনাং বজ্রহস্ত পরিবৃজ। অহরহঃ শুক্কুঃ পরিপদামিব ॥৩॥

 সূক্তসার –হে ঋত্বিকবৃন্দ! যে ইন্দ্র যজমানের মঙ্গলের নিমিত্ত যজ্ঞস্থলে অবিচলিত ভাবে স্ব উপস্থিত আছেন, সেই নবীন ও মেধাবী ইন্দ্রের স্তুতি করুন। হে বজ্রধারী ইন্দ্র! আপনি সশক্ত অসুরদের জ্ঞাত আছেন।

টীকা— ঋষি, দেবতা ও ছন্দ–সবই পূর্ববতী সূক্তের অনুরূপ। এই সূক্তের বক্তব্যও পূর্ব সূক্তের দীর্ঘীকরণ মাত্র। সুতরাং এই সূক্তের বিনিয়োগও পূর্ব সূক্তের অনুরূপ ॥ (২০কা, ৫অ. ২৯সূ.)–

সকল অধ্যায়

১. ০০. সম্পাদকের নিবেদন / ভূমিকা
২. ০১।১ প্রথম কাণ্ড : প্রথম অনুবাক
৩. ০১।২ প্রথম কাণ্ড : দ্বিতীয় অনুবাক
৪. ০১।৩ প্রথম কাণ্ড : তৃতীয় অনুবাক
৫. ০১।৪ প্রথম কাণ্ড : চতুর্থ অনুবাক
৬. ০১।৫ প্রথম কাণ্ড : পঞ্চম অনুবাক
৭. ০১।৬ প্রথম কাণ্ড : ষষ্ঠ অনুবাক
৮. ০২।১ দ্বিতীয় কাণ্ড : প্রথম অনুবাক
৯. ০২।২ দ্বিতীয় কাণ্ড : দ্বিতীয় অনুবাক
১০. ০২।৩ দ্বিতীয় কাণ্ড : তৃতীয় অনুবাক
১১. ০২।৪ দ্বিতীয় কাণ্ড : চতুর্থ অনুবাক
১২. ০২।৫ দ্বিতীয় কাণ্ড : পঞ্চম অনুবাক
১৩. ০২।৬ দ্বিতীয় কাণ্ড : ষষ্ঠ অনুবাক
১৪. ০৩।১ তৃতীয় কাণ্ড : প্রথম অনুবাক
১৫. ০৩।২ তৃতীয় কাণ্ড : দ্বিতীয় অনুবাক
১৬. ০৩।৩ তৃতীয় কাণ্ড : তৃতীয় অনুবাক
১৭. ০৩।৪ তৃতীয় কাণ্ড : চতুর্থ অনুবাক
১৮. ০৩।৫ তৃতীয় কাণ্ড : পঞ্চম অনুবাক
১৯. ০৩।৬ তৃতীয় কাণ্ড : ষষ্ঠ অনুবাক
২০. ০৪।১ চতুর্থ কাণ্ড : প্রথম অনুবাক
২১. ০৪।২ চতুর্থ কাণ্ড : দ্বিতীয় অনুবাক
২২. ০৪।৩ চতুর্থ কাণ্ড : তৃতীয় অনুবাক
২৩. ০৪।৪ চতুর্থ কাণ্ড : চতুর্থ অনুবাক
২৪. ০৪।৫ চতুর্থ কাণ্ড : পঞ্চম অনুবাক
২৫. ০৪।৬ চতুর্থ কাণ্ড : ষষ্ঠ অনুবাক
২৬. ০৪।৭ চতুর্থ কাণ্ড : সপ্তম অনুবাক
২৭. ০৪।৮ চতুর্থ কাণ্ড : অষ্টম অনুবাক
২৮. ০৫।১ পঞ্চম কাণ্ড : প্রথম অনুবাক
২৯. ০৫।২ পঞ্চম কাণ্ড : দ্বিতীয় অনুবাক
৩০. ০৫।৩ পঞ্চম কাণ্ড : তৃতীয় অনুবাক
৩১. ০৫।৪ পঞ্চম কাণ্ড : চতুর্থ অনুবাক
৩২. ০৫।৫ পঞ্চম কাণ্ড : পঞ্চম অনুবাক
৩৩. ০৫।৬ পঞ্চম কাণ্ড : ষষ্ঠ অনুবাক
৩৪. ০৬।০১ ষষ্ঠ কাণ্ড : প্রথম অনুবাক
৩৫. ০৬।০২ ষষ্ঠ কাণ্ড : দ্বিতীয় অনুবাক
৩৬. ০৬।০৩ ষষ্ঠ কাণ্ড : তৃতীয় অনুবাক
৩৭. ০৬।০৪ ষষ্ঠ কাণ্ড : চতুর্থ অনুবাক
৩৮. ০৬।০৫ ষষ্ঠ কাণ্ড : পঞ্চম অনুবাক
৩৯. ০৬।০৬ ষষ্ঠ কাণ্ড : ষষ্ঠ অনুবাক
৪০. ০৬।০৭ ষষ্ঠ কাণ্ড : সপ্তম অনুবাক
৪১. ০৬।০৮ ষষ্ঠ কাণ্ড : অষ্টম অনুবাক
৪২. ০৬।০৯ ষষ্ঠ কাণ্ড : নবম অনুবাক
৪৩. ০৬।১০ ষষ্ঠ কাণ্ড : দশম অনুবাক
৪৪. ০৬।১১ ষষ্ঠ কাণ্ড : একাদশ অনুবাক
৪৫. ০৬।১২ ষষ্ঠ কাণ্ড : দ্বাদশ অনুবাক
৪৬. ০৬।১৩ ষষ্ঠ কাণ্ড : ত্রয়োদশ অনুবাক
৪৭. ০৭।০১ সপ্তম কাণ্ড : প্রথম অনুবাক
৪৮. ০৭।০২ সপ্তম কাণ্ড : দ্বিতীয় অনুবাক
৪৯. ০৭।০৩ সপ্তম কাণ্ড : তৃতীয় অনুবাক
৫০. ০৭।০৪ সপ্তম কাণ্ড : চতুর্থ অনুবাক
৫১. ০৭।০৫ সপ্তম কাণ্ড : পঞ্চম অনুবাক
৫২. ০৭।০৬ সপ্তম কাণ্ড : ষষ্ঠ অনুবাক
৫৩. ০৭।০৭ সপ্তম কাণ্ড : সপ্তম অনুবাক
৫৪. ০৭।০৮ সপ্তম কাণ্ড : অষ্টম অনুবাক
৫৫. ০৭।০৯ সপ্তম কাণ্ড : নবম অনুবাক
৫৬. ০৭।১০ সপ্তম কাণ্ড : দশম অনুবাক
৫৭. ০৮।১ অষ্টম কাণ্ড : প্রথম অনুবাক
৫৮. ০৮।২ অষ্টম কাণ্ড : দ্বিতীয় অনুবাক
৫৯. ০৮।৩ অষ্টম কাণ্ড : তৃতীয় অনুবাক
৬০. ০৮।৪ অষ্টম কাণ্ড : চতুর্থ অনুবাক
৬১. ০৮।৫ অষ্টম কাণ্ড : পঞ্চম অনুবাক
৬২. ০৯।১ নবম কাণ্ড : প্রথম অনুবাক
৬৩. ০৯।২ নবম কাণ্ড : দ্বিতীয় অনুবাক
৬৪. ০৯।৩ নবম কাণ্ড : তৃতীয় অনুবাক
৬৫. ০৯।৪ নবম কাণ্ড : চতুর্থ অনুবাক
৬৬. ০৯।৫ নবম কাণ্ড : পঞ্চম অনুবাক
৬৭. ১০।১ দশম কাণ্ড : প্রথম অনুবাক
৬৮. ১০।২ দশম কাণ্ড : দ্বিতীয় অনুবাক
৬৯. ১০।৩ দশম কাণ্ড : তৃতীয় অনুবাক
৭০. ১০।৪ দশম কাণ্ড : চতুর্থ অনুবাক
৭১. ১০।৫ দশম কাণ্ড : পঞ্চম অনুবাক
৭২. ১১।১ একাদশ কাণ্ড : প্রথম অনুবাক
৭৩. ১১।২ একাদশ কাণ্ড : দ্বিতীয় অনুবাক
৭৪. ১১।৩ একাদশ কাণ্ড : তৃতীয় অনুবাক
৭৫. ১১।৪ একাদশ কাণ্ড : চতুর্থ অনুবাক
৭৬. ১১।৫ একাদশ কাণ্ড : পঞ্চম অনুবাক
৭৭. ১২।১ দ্বাদশ কাণ্ড : প্রথম অনুবাক
৭৮. ১২।২ দ্বাদশ কাণ্ড : দ্বিতীয় অনুবাক
৭৯. ১২।৩ দ্বাদশ কাণ্ড : তৃতীয় অনুবাক
৮০. ১২।৪ দ্বাদশ কাণ্ড : চতুর্থ অনুবাক
৮১. ১২।৫ দ্বাদশ কাণ্ড : পঞ্চম অনুবাক
৮২. ১৩।১ ত্রয়োদশ কাণ্ড : প্রথম অনুবাক
৮৩. ১৩।২ ত্রয়োদশ কাণ্ড : দ্বিতীয় অনুবাক
৮৪. ১৩।৩ ত্রয়োদশ কাণ্ড : তৃতীয় অনুবাক
৮৫. ১৩।৪ ত্রয়োদশ কাণ্ড : চতুর্থ অনুবাক
৮৬. ১৪।১ চতুর্দশ কাণ্ড : প্রথম অনুবাক
৮৭. ১৪।২ চতুর্দশ কাণ্ড : দ্বিতীয় অনুবাক
৮৮. ১৫।১ পঞ্চদশ কাণ্ড : প্রথম অনুবাক
৮৯. ১৫।২ পঞ্চদশ কাণ্ড : দ্বিতীয় অনুবাক
৯০. ১৬।১ ষোড়শ কাণ্ড : প্রথম অনুবাক
৯১. ১৬।২ ষোড়শ কাণ্ড : দ্বিতীয় অনুবাক
৯২. ১৭।১ সপ্তদশ কাণ্ড : প্রথম অনুবাক
৯৩. ১৮।১ অষ্টাদশ কাণ্ড : প্রথম অনুবাক
৯৪. ১৮।২ অষ্টাদশ কাণ্ড : দ্বিতীয় অনুবাক
৯৫. ১৮।৩ অষ্টাদশ কাণ্ড : তৃতীয় অনুবাক
৯৬. ১৮।৪ অষ্টাদশ কাণ্ড : চতুর্থ অনুবাক
৯৭. ১৯।১ ঊনবিংশ কাণ্ড : প্রথম অনুবাক
৯৮. ১৯।২ ঊনবিংশ কাণ্ড : দ্বিতীয় অনুবাক
৯৯. ১৯।৩ ঊনবিংশ কাণ্ড : তৃতীয় অনুবাক
১০০. ১৯।৪ ঊনবিংশ কাণ্ড : চতুর্থ অনুবাক
১০১. ১৯।৫ ঊনবিংশ কাণ্ড : পঞ্চম অনুবাক
১০২. ১৯।৬ ঊনবিংশ কাণ্ড : ষষ্ঠ অনুবাক
১০৩. ১৯।৭ ঊনবিংশ কাণ্ড : সপ্তম অনুবাক
১০৪. ২০।১ বিংশ কাণ্ড : প্রথম অনুবাক
১০৫. ২০।২ বিংশ কাণ্ড : দ্বিতীয় অনুবাক
১০৬. ২০।৩ বিংশ কাণ্ড : তৃতীয় অনুবাক
১০৭. ২০।৪ বিংশ কাণ্ড : চতুর্থ অনুবাক
১০৮. ২০।৫ বিংশ কাণ্ড : পঞ্চম অনুবাক
১০৯. ২০।৬ বিংশ কাণ্ড : ষষ্ঠ অনুবাক
১১০. ২০।৭ বিংশ কাণ্ড : সপ্তম অনুবাক
১১১. ২০।৮ বিংশ কাণ্ড : অষ্টম অনুবাক
১১২. ২০।৯ বিংশ কাণ্ড : নবম অনুবাক

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন