অর্ধবৃত্ত – ২৩

সাদাত হোসাইন

দিপুর ধারণা ছিল সেদিনের ঘটনার জন্য সুমি অনুতপ্ত হবে। রাগের মাথায় উল্টাপাল্টা যে কথাগুলো সে দিপুকে বলেছে তার জন্য ক্ষমা চাইবে। কিন্তু অদ্ভুত ব্যাপার হলো, সুমি তার কিছুই করল না। এমনকি দিপুকে ফোনও করল না। ঘটনার দিন কয়েক বাদে দিপু ফোন করতেই সুমি বলল, ‘আমার ক্লাস টেস্ট চলছে দিপু, আপাতত কয়েকদিন ফোন দিও না।’

‘ক্লাস টেস্ট চললে ফোন দেয়া যাবে না?’

‘না যাবে না।’

‘কেন?’

‘কারণ লাস্ট কতগুলো পরীক্ষায় আমার রেজাল্ট খারাপ হয়েছে। এই নিয়ে বাবার সাথে খুব ঝগড়া হয়েছে। বাবার খুব মন খারাপ। তার ধারণা আমি টিউশন করছি বলে আমার রেজাল্ট খারাপ হচ্ছে। কিন্তু আসল ঘটনাতো তা নয়।’

‘আসল ঘটনা তা হলে কী?’

‘আসল ঘটনা এখন বলা যাবে না।

‘কেন? বলা যাবে না কেন?’

‘বললে সমস্যা আরো বাড়বে। পড়াশোনায় কনসার্ট্রেট করতে পারব না। রেজাল্ট আবারো খারাপ হবে। মন খারাপ হবে।’

‘তোমার বাবার মন খারাপটাই তোমার কাছে সব? আর আমার মন খারাপ কিছু না? তোমার জীবনে আমারতো কোনো মূল্যই নেই।’

‘মূল্য না থাকাই ভালো।’

মূল্য না থাকাই ভালো মানে?’

‘মূল্য থাকলে যেমন মূল্যস্ফীতি হয়, তেমনি আবার মূল্যহ্রাসও হয়। দেখবে খুব দামি জিনিসেরও হঠাৎ হঠাৎ ভয়াবহ দরপতন হয়ে যায়। তখন বিপদ।’

সুমির কথায় দিপু ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেল। সে বলল, ‘এতকিছুর পরও তুমি আমার সাথে এভাবেই কথা বলবে?’

‘নাহ।’

‘তাহলে?’

‘তাহলে, আমি তোমার সাথে কোনোভাবেই কথা বলব না।’

‘মানে?’

‘মানে এখন আমি ফোনটা রাখব। কাল সকাল দশটায় আমার পরীক্ষা। আজ সারারাত আমি পড়ব। তারপর কাল সকালে পরীক্ষা দিয়ে এসে লম্বা ঘুম দেব। ঘুম থেকে উঠে তোমাকে ফোন করব। সেজেগুজে তোমার সাথে বাইরে ঘুরতে বের হব। চটপটি, ফুচকা খাব। হুডতোলা রিকশায় ঘুরব। তখন একসাথে সব কথা বলব।’

‘তার মানে তুমি এখন আমার সাথে কথা বলবে না?’

সুমি বলল, ‘নাহ। এখনো আমার অনেক পড়া বাকি দিপু। আমি শেষ করতে পারব না। এখন রাখছি…।’ দিপু কিছু বলতে যাচ্ছিল, কিন্তু তার আগেই ফোন কেটে দিল সুমি। দিপু ফোন হাতে হতভম্ব হয়ে বসে রইলো। তার বিশ্বাস হচ্ছে না এতদিন পরে ফোন করার পরও সুমি এভাবে তার ফোন কেটে দিতে পারে, এমন ভঙ্গিতে কথা বলতে পারে। সেই সারাটা দিন সে থম মেরে বসে রইলো ঘরে। প্রচণ্ড রাগে, অভিমানে, কষ্টে হতবিহ্বল হয়ে রইলো সে। এই দীর্ঘ সময়ে দিপু অসংখ্যবার সিদ্ধান্ত নিয়ে নিল যে সে আর কখনোই নিজ থেকে সুমিকে ফোন করবে না। সুমি ফোন করলেও যতটা সম্ভব উপেক্ষা করার চেষ্টা করবে। কিন্তু দিপু তার সিদ্ধান্তে স্থির থাকতে পারল না। সন্ধ্যার পরপরই সে সুমিকে ফোন করল। দিপু ভেবেছিল সুমি এবার ফোন ধরে নিশ্চয়ই তার সাথে ভালোভাবে কথা বলবে। তখন সে সুমিকে বুঝিয়ে বলবে যে সুমির আচরণগুলো তাকে কষ্ট দিচ্ছে।

বিস্ময়কর ব্যাপার হলো সুমির ফোন বন্ধ। দিপু বারবার চেষ্টা করেও তাকে পেল না। সেই সারাটা রাত প্রবল অস্থিরতায় কাটল দিপুর। ভোরের দিকে ঘুমিয়ে পড়ল সে। মছিদা বেগম তাকে বারকয়েক খেতে ডাকলেন। কিন্তু সে উঠল না। তার ঘুম ভাঙল দুপুরে। একটা মিহি সুরের একটানা সঙ্গিত তার ঘুম ভাঙিয়ে দিল। সে চোখ মেলে তাকাল। ফোনটা বাজছে। সুমি ফোন করেছে। দিপু ফোন ধরল না। একবার ফোন বন্ধ করে দেয়ার কথাও ভাবল সে। তারপর কী মনে করে আর সেটা করল না। উঠে বাথরুমে গেল। সময় নিয়ে গোসল করল। অনেকটাই ঝরঝরে লাগছে তার। সবচেয়ে বেশি ঝরঝরে লাগছে সুমির ফোন দেখে। কোনোভাবেই সে সুমির ফোন ধরবে না। অপেক্ষা আর উপেক্ষা জীবনের সবচেয়ে ভয়াবহ দুই যন্ত্রণা। এই দুই যন্ত্রণা পেতে যতটা কষ্ট, ফিরিয়ে দিতে ঠিক ততটাই আনন্দ। সুমি এখন বুঝুক, ফোন না ধরার কী কষ্ট!

সুমির ফোন বেজেই চলছে। দিপুর মনে হচ্ছে গতকাল সারাদিন, সারারাত যে পাথরভার কষ্ট জমেছিল তার বুকে, তা ফোনের ওই রিংটোনের শব্দে ক্রমশই হাওয়ায় ভেসে ভেসে মিলিয়ে যাচ্ছে। সে এখন আয়েশ করে ভাত খাবে। গত প্রায় চব্বিশ ঘণ্টা কিছু খায়নি সে। তারপর টিভিতে খেলা দেখবে। খেলা দেখার সময় ফোন অফ করে রাখবে। পুরো বিষয়টা ভাবতেই দিপুর কেমন ফুরফুরে লাগতে লাগল। কিন্তু এতবার একনাগাড়ে ফোন দিচ্ছে কেন সুমি? এক মিনিটের জন্যও থামছে না। কোনো সমস্যা নয়তো?

দিপু ফোনটা হাতে নিল। তেতাল্লিশ বার ফোন করেছে সুমি। মাঝখানে মেসেজও করেছে অসংখ্য। মেসেজ দেখে দিপু চকিতে বারান্দায় উঁকি দিল। বারান্দার ঠিক উল্টো দিকে রাস্তার ওপাশে রিকশায় বসে আছে সুমি। সে হালকা নীল শাড়ি পরেছে। তার হাতে ফোন। সে নিবিষ্টচিত্তে ফোনের দিকে তাকিয়ে আছে। দিপুর বুকটা হঠাৎ ধক করে উঠল। এই এতক্ষণে মনে মনে যে কঠিন সংকল্প সে করেছিল তা সুমির মেসেজ দেখেই টলোমলো হয়ে গেছে। দিপুকে ফোনে না পেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে তার বাসার সামনে অপেক্ষা করছে সুমি। এখন এই অবস্থায় দিপু যদি ফোন না ধরে তবে পরিস্থিতি খারাপই হবে। সুমি যেকোনো সময় বাসায়ও চলে আসতে পারে। তাহলেই সেরেছে! সেলিনা নির্ঘাৎ একটা কেলেংকারি কাণ্ডই ঘটিয়ে ছাড়বে। দিপু সবই বুঝতে পারছে। সে আর ভাত খেতে বসল না। হাতের কাছে থাকা শার্টটা গায়ে চড়িয়ে দ্রুত বের হয়ে গেল। রিকশায় দুজন চুপচাপ বসে রইলো দীর্ঘ সময়। কেউ কারো দিকে তাকাল না অবধি। অনেকক্ষণ বাদে সুমি বলল, ‘আমার খুব ক্ষিদে পেয়েছে, মাথাটাও ধরেছে। কিছু একটা না খেলে দুম করে পড়ে যাব।’

দিপু কথা বলছে না। যেমন নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে বসে ছিল তেমন বসেই রইলো। সুমি আবারো বলল, ‘এই চলন্ত রিকশায় রাস্তার মাঝখানে এরকম সাজগোজ করা কোনো মেয়ে ফিট হয়ে পড়ে গেলে দৃশ্যটা দেখতে কিন্তু মোটেই ভাল্লাগবে না দিপু।’

দিপু এবার কথা বলল, ‘আমি না হয় সারাদিন কিছু খাইনি। তুমিতো খেয়েদেয়ে সেজেগুজে এসেছো। তোমার কেন এত ক্ষিদে পেল?’

‘আমিও খাইনি।’

‘খাওনি মানে? তুমি সারাদিনে কিছু খাওনি?’

‘উহু।’

‘কেন?’

‘কারণ আমি এক্সাম হল থেকে সরাসরি এখানে চলে এসেছি।’

‘মানে?’

‘মানে আমি এই শাড়ি-টাড়ি পরেই পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলাম। পরীক্ষা শেষে হল থেকে সোজা এখানে চলে এসেছি।’

‘তুমি না সারারাত জেগে ছিলে?’ দিপু অবাক গলায় বলল।

‘হুম।’

‘তাহলে?’

‘তাহলে কী?’

‘তুমি না বলেছিলে পরীক্ষা শেষ হলে গিয়ে খানিক ঘুমিয়ে নেবে, তারপর বের হবে।’

‘হ্যাঁ, বলেছিলাম। কিন্তু সারাক্ষণ মাথার ভেতর ঘুরঘুর করছিল যে তোমার সাথে খুব বাজে আচরণ করে ফেলেছি। এটা নিয়ে মনটা খচখচ করছিল। এখন পরীক্ষা শেষে হলে গেলেও আর ঘুম হতো না। তোমার সাথে দেখা না হওয়া পর্যন্ত অস্থির লাগছিল।’

রিকশাওয়ালা টুং শব্দে বেল চাপল। দিপুর মনে হলো ওই শব্দটুকু তার বুকের ভেতর টুংটাং প্রতিধ্বনি তুলে বাজতেই লাগল। বাজতেই লাগল। সে বলল, ‘তুমি গত দুদিন একটানা পড়ে, সারারাত না ঘুমিয়ে পরীক্ষা দিয়ে, কিছু না খেয়ে সরাসরি এখানে চলে এসেছো?

সুমি মৃদু হাসল, ‘আগে কিছু খাওয়াবে প্লিজ, তারপর বলি? না হলে কিন্তু আমি সত্যি সত্যিই পড়ে যাব। তখন বুঝবে কত ধানে কত চাল।’

দিপু কী বলবে জানে না। সে হাত বাড়িয়ে সুমির হাতখানা শক্ত করে ধরলো। তারপর বলল, ‘তাহলে গতকয়েক দিন অমন করছিলে কেন?’

সুমি বলল, ‘আগে কিছু খেতে দাও প্লিজ। মৃত মানুষ কিন্তু কথা বলতে পারে না।’

চারুকলার উল্টো দিকে ছবির হাটে, খোলা আকাশের নিচে ভাঙা বেঞ্চির ওপর বসে বসেই ভাত খেল দুজন। যেন কতকাল ক্ষিদে পুষে রেখেছিল আজ খাবে বলে। একটা দুটো চড়ুই পাখি এসে গা ঘেঁষে বসল। একটা দুটো কাক। সুমি ভাতের গ্রাস মুখে পুড়তে পুড়তে হাভাতের মতো বলল, ‘ডিয়ার ক্রোজ অ্যান্ড স্প্যারোজ, আই এম রিয়েলি রিয়েলি সরি। ক্যান্ট ওয়েস্ট এ পিস অফ রাইস টুডে।’

সুমির অবস্থা দেখে হো হো করে হাসল দিপু। গতকাল রাত, সারাটা দিন, আজকের দুপুর অবধি সেই অসহ্য যন্ত্রণাকাতর সময়টুকু হঠাৎ কোথায় যে মিলিয়ে গেল কে জানে!

দুপুর থেকে বিকেল টইটই করে ঘুরল তারা। কতদিন পর আবার এমন হাওয়ায় ভেসে ভেসে রঙিন প্রজাপতির ডানায় কেটে গেল মুগ্ধ সময়! সেই সময়ে দিপু বলল, ‘এখন বলো, তুমি আমার সাথে অমন করছিলে কেন?’

সুমি ভ্রু উঁচিয়ে হাসল, ‘কেমন?’

‘ওই যে সেদিন হলে ঢুকবার আগে, তারপর আর ফোন করলে না, তারপর আমি নিজ থেকে ফোন করার পরও কী যাচ্ছেতাই আচরণটাই করলে।’

‘সত্যি কথা বলব?’

‘মিথ্যে কেন বলবে?’

‘আবার যদি বেশি লাই পেয়ে মাথায় চড়ে বসো?’

‘বসলে বসব।’

‘উহু, তা হবে না। মাথায় চড়া যাবে না।’

‘আচ্ছা, বলো।’

সুমি সামান্য সময় নিলো। তারপর হঠাৎ গম্ভীর গলায় বলল, ‘তুমি হয়তো বিশ্বাস করবে না, কিন্তু তোমার সাথে ঝগড়া হলে আমার খুব মন খারাপ হয়ে যায়। ওই সময়টায় আমি কিচ্ছু করতে পারি না। পড়াশোনাতো না-ই। সারাক্ষণ কেমন অস্থির লাগে। এইজন্য পরীক্ষার সময়গুলোতে যতটা সম্ভব কম কথা বলতে চাই আমি।’

দিপু বার দুই কাশলো। তারপর বলল, ‘আর?’

‘আর আমার রেজাল্ট খুব খারাপ হচ্ছে। এই নিয়ে বাবার প্রচণ্ড মন খারাপ। যে করেই হোক আমি রেজাল্টটা ভালো করতে চাই। কিন্তু তোমার সাথে এমন কথায় কথায় ঝগড়া হলে আমার ভালো লাগে না দিপু।’

‘আর?’

‘আর কী?’

‘এই যে আরেকটা পূর্ণিমা চলে এলো! অথচ আমাদের এখনো সমুদ্র দেখা হলো না। পাহাড় দেখা হলো না। সেটা নিয়ে কিছু বলবে না?’

‘মানে?’

‘মানে প্লিজ, চলোনা নীলগিরি যাই, প্লিজ। পাহাড়ের ওপর মেঘের ভেতর বসে আস্ত কাঁসার থালার মতো একটা চাঁদ দেখব। তারপর…

দিপু আরো কিছু বলতে যাচ্ছিল। তার আগেই সুমি ডান হাতে তার কান চেপে ধরে বলল, ‘তোমার না কোনো কিছুতেই শিক্ষা হবে না, বুঝলে?’

দিপু একঘেয়ে গলায় দ্বিরুক্তি করতে থাকল, ‘প্লিজ, একবার চলো না, প্লিজ। জাস্ট একটা রাত। তারপর আর কখনো কোনোদিন বলব না। এমনকি বিয়ের পরও না।’

সুমি রেগে যেতে গিয়েও রাগল না। তবে সামান্য গম্ভীর হলো, ‘গেলে শুধু বিয়ের পরেই যাব, তার আগে না।’

‘তুমি এমন কেন?’

‘কেমন?’

‘প্রাগৈতিহাসিক কালের প্রেমিকাদের মতো।’

‘কারণ আমি পুরনো, আমি আটপৌরে।’

‘গেলে কী হয়?’

‘না গেলে কী হয়?’

দিপু এই প্রশ্নের জবাব দিল না। সুমি বলল, ‘প্রিয়তম মানুষ কাছে থাকলে পৃথিবীর সব জায়গাই সুন্দর মনে হওয়া উচিত। প্রতিটি মুহূর্তই আরাধ্য মনে হওয়া উচিত। তাই না? সে জন্য জোছনা হতে হয় না বা নীলগিরিও যেতে হয় না।’

দিপু আবারও মুখ ভার করে রইলো। সন্ধ্যার আগে আগে টিএসসির সামনে রাফির সাথে দেখা হয়ে গেল তাদের। রাফির গায়ে সেই বুক খোলা কালো শার্ট আর তার ভেতরে সাদা টিশার্ট। কিছু একটা তাড়া ছিল রাফির। দিপুর সাথে এটাসেটা নিয়ে সামান্য কথাও হলো। চলে যাওয়ার আগে সুমির দিকে তাকিয়ে হাই বলল সে। সুমিও জবাব দিল। তবে কিছু একটা খচখচ করছিল তার মনে। রাফি চলে যেতেই সুমি দিপুকে ডেকে বলল, ‘একটা মজার বিষয় কি জানো?’

‘কী?’

‘এই ছেলেটার শার্টের ভেতরের টিশার্টে একটা লাইন লেখা আছে, খেয়াল করেছো?’

‘নাতো! কী লাইন?’

‘আমাকে হারাতে দিলে নিখোঁজ বিজ্ঞপ্তিতে ছেয়ে যাবে তোমার শহর।’

‘খেয়াল করিনি তো।’

‘সুন্দর না কথাটা?’

‘হুম সুন্দর।’

‘কিন্তু অদ্ভুত ব্যাপার কি জানো?’

‘কী?’

ঠিক এই কথাটিই আমি তোমাদের বাড়ির উল্টোদিকের ফুটপাত ঘেঁষে রাস্তার দেয়ালে লেখা দেখেছি।’

‘কী বলো!’

‘হুম। আমিতো ওখানে অনেকক্ষণ ধরে তোমার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। তখন হঠাৎ খেয়াল করলাম লেখাটা। সাদা দেয়ালে লাল রঙে ছোট ছোট করে লেখা। এই দেখো, আমি ফোনে ছবিও তুলে এনেছিলাম। চট করে খুব ভালো লেগে গিয়েছিল কথাটা।’

সুমি ফোন বের করে ছবিটা দেখাল। দিপু অবশ্য তেমন কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাল না। বরং খানিকটা আনমনাই লাগল তাকে।

সকল অধ্যায়

১. অর্ধবৃত্ত – ১
২. অর্ধবৃত্ত – ২
৩. অর্ধবৃত্ত – ৩
৪. অর্ধবৃত্ত – ৪
৫. অর্ধবৃত্ত – ৫
৬. অর্ধবৃত্ত – ৬
৭. অর্ধবৃত্ত – ৭
৮. অর্ধবৃত্ত – ৮
৯. অর্ধবৃত্ত – ৯
১০. অর্ধবৃত্ত – ১০
১১. অর্ধবৃত্ত – ১১
১২. অর্ধবৃত্ত – ১২
১৩. অর্ধবৃত্ত – ১৩
১৪. অর্ধবৃত্ত – ১৪
১৫. অর্ধবৃত্ত – ১৫
১৬. অর্ধবৃত্ত – ১৬
১৭. অর্ধবৃত্ত – ১৭
১৮. অর্ধবৃত্ত – ১৮
১৯. অর্ধবৃত্ত – ১৯
২০. অর্ধবৃত্ত – ২০
২১. অর্ধবৃত্ত – ২১
২২. অর্ধবৃত্ত – ২২
২৩. অর্ধবৃত্ত – ২৩
২৪. অর্ধবৃত্ত – ২৪
২৫. অর্ধবৃত্ত – ২৫
২৬. অর্ধবৃত্ত – ২৬
২৭. অর্ধবৃত্ত – ২৭
২৮. অর্ধবৃত্ত – ২৮
২৯. অর্ধবৃত্ত – ২৯
৩০. অর্ধবৃত্ত – ৩০
৩১. অর্ধবৃত্ত – ৩১
৩২. অর্ধবৃত্ত – ৩২
৩৩. অর্ধবৃত্ত – ৩৩
৩৪. অর্ধবৃত্ত – ৩৪
৩৫. অর্ধবৃত্ত – ৩৫
৩৬. অর্ধবৃত্ত – ৩৬
৩৭. অর্ধবৃত্ত – ৩৭
৩৮. অর্ধবৃত্ত – ৩৮
৩৯. অর্ধবৃত্ত – ৩৯
৪০. অর্ধবৃত্ত – ৪০
৪১. অর্ধবৃত্ত – ৪১
৪২. অর্ধবৃত্ত – ৪২
৪৩. অর্ধবৃত্ত – ৪৩
৪৪. অর্ধবৃত্ত – ৪৪
৪৫. অর্ধবৃত্ত – ৪৫
৪৬. অর্ধবৃত্ত – ৪৬
৪৭. অর্ধবৃত্ত – ৪৭
৪৮. অর্ধবৃত্ত – ৪৮
৪৯. অর্ধবৃত্ত – ৪৯
৫০. অর্ধবৃত্ত – ৫০
৫১. অর্ধবৃত্ত – ৫১
৫২. অর্ধবৃত্ত – ৫২
৫৩. অর্ধবৃত্ত – ৫৩

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন