মধ্যযুগে শাসক হতে গেলে আবেগ দমন করে রাখতে হতো। শাসকের রোজকার জগৎ ছিল রক্ত আর আগুন নিয়ে। শাসক প্রেম, বন্ধুত্ব, স্নেহ, শ্রদ্ধা, কবিতা, সংগীত, নৃত্য, আবেগ-অনুভূতির যাবতীয় ব্যাপার উপভোগ করতেন, কিন্তু তাতে বেশি জড়িয়ে পড়তে পারতেন না।
কিন্তু বিচিত্র জীবন অদ্ভুত সব ঘটনা ঘটাতে পছন্দ করে। সেই রকম অদ্ভুত কিছু ঘটনার পরম্পরা এক আবেগপ্রবণ রাজকুমারকে বাংলার সিংহাসনে এনে বসাল। তাঁর নাম গিয়াসউদ্দিন।
গিয়াসউদ্দিনের দাদা ইলিয়াস শাহ এবং বাবা সিকান্দর শাহের সঙ্গে আপনাদের আগেই পরিচয় হয়েছে। ইলিয়াস শাহের মৃত্যুর পর ১৩৫৮ খ্রিষ্টাব্দে সিকান্দর শাহ সিংহাসনে বসেন। পরের বছর দিল্লির সুলতান ফিরোজ শাহ বিশাল সৈন্যবাহিনী নিয়ে আবার বাংলায় এসে হাজির হলেন। সিকান্দর শাহ বাবার দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে রাজধানী পান্ডুয়া ছেড়ে একডালা দুর্গে গিয়ে আশ্রয় নিলেন। ফিরোজ শাহ এবারও দীর্ঘদিন দুর্গ অবরোধ করে রেখে বিফল হয়ে বাংলা থেকে ফেরত গেলেন। এরপর থেকে সিকান্দর শাহ পুরোপুরি স্বাধীনভাবে রাজ্য চালিয়েছেন, দিল্লির সুলতানকে দুই-তিন বছর পরপর উপঢৌকন পাঠানোর যে প্রথা ছিল, তাও আর মেনে চলতেন না।
সিকান্দর শাহ ১৩৯১ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত রাজত্ব করেছিলেন। তিনি ‘ইমাম-উল-আজম’ উপাধি নিয়েছিলেন, এটি নিজেকে মুসলমানদের খলিফা হিসেবে ঘোষণা করার শামিল। দিল্লির সুলতান ফিরোজ শাহ মিসরের আব্বাসীয় খলিফার কাছ থেকে স্বীকৃতির সনদ আনিয়েছিলেন। নিজেকে প্রকারান্তরে খলিফা হিসেবে ঘোষণা করে সিকান্দর শাহ খোলাখুলি নিজেকে দিল্লির সুলতানের চেয়ে বেশি ক্ষমতাধর বলে দাবি করলেন। এই শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ রাখতেই বোধ হয় তিনি ১৩৬৪ খ্রিষ্টাব্দে আদিনা মসজিদের কাজ শুরু করেন। তাঁর ইচ্ছা ছিল, এই মসজিদ দামাস্কাসের মসজিদের চেয়েও বড় হবে এবং পান্ডুয়ার সব সমর্থ মুসলমান এই এক মসজিদে নামাজ পড়তে পারবেন। দশ বছর ধরে কাজ চালিয়ে তিনি এই দুই শ গজ দীর্ঘ, নব্বই গজ প্রশস্ত মসজিদ তৈরি করেন। মসজিদের অলংকরণে আমদানি করে আনা দামি পাথর ব্যবহার করা হয়েছিল, ভাঙা মন্দিরের কারুকাজ ব্যবহারের দৃষ্টান্তও দেখা যায়। মসজিদটি ভগ্নদশায় এখনো টিকে আছে।
এই রকম প্রবল সুলতানের অনেক সন্তানের মধ্যে গিয়াসউদ্দিন ছিলেন সবার ছোট। কিন্তু ছোট হলেও গিয়াসউদ্দিনের বিদ্যাবুদ্ধি-যোগ্যতা সম্পর্কে সিকান্দর শাহের আস্থা ছিল, তিনি তাঁকে সুবর্ণগ্রাম শাসনের দায়িত্ব দেন। তাঁর এই সিদ্ধান্তে অন্য রাজপুত্ররা অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন।
সুবর্ণগ্রামে গিয়াসউদ্দিন সৈন্য ও নাগরিকদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। এই খবর পেয়ে পান্ডুয়ায় অন্য রাজপুত্ররা সিকান্দর শাহের কাছে অভিযোগ করেন, গিয়াসউদ্দিন সিংহাসন দখলের পাঁয়তারা করছেন। সিকান্দর শাহ শান্তভাবে তাঁদের বললেন, কনিষ্ঠ রাজপুত্র যদি যোগ্য হয়, তবে সিংহাসনের অধিকার তার কাছেই যাবে।
কিন্তু এই খবর সম্ভবত বিকৃত হয়ে গিয়াসউদ্দিনের কাছে পৌঁছাল। ৩৩ বছর শাসন করার পর সিকান্দর শাহ তখন বৃদ্ধ হয়েছেন। গিয়াসউদ্দিন বোধ হয় ভেবেছিলেন, বাবা তাঁর বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামবেন। তিনি আগেই আক্রমণ করার সিদ্ধান্ত নিলেন। সুবর্ণগ্রাম থেকে অনুগত সৈন্যের দল নিয়ে তিনি পান্ডুয়ার কিছুদূর উত্তরে নাগরি নদীর তীরে গোয়ালপাড়া এলাকায় এসে ছাউনি ফেললেন। গিয়াসউদ্দিন যুদ্ধের আঁচ থেকে তাঁর ছোটবেলার শহরকে বাঁচাতে চেয়েছিলেন।
সিকান্দর শাহ প্রিয় ছেলের বিদ্রোহের খবরে হতভম্ব হয়ে সসৈন্য গোয়ালপাড়ায় গেলেন। তিনি পুরো সামর্থ্য নিয়ে যুদ্ধে নামেননি, ভেবেছিলেন অনায়াসেই বিদ্রোহী ছেলেকে পরাজিত করতে পারবেন। কিন্তু গিয়াসউদ্দিনের বাহিনী সুলতান সিকান্দরের বাহিনীকে পরাজিত করল।
গিয়াসউদ্দিন সৈন্যদের নির্দেশ দিয়েছিলেন, সিকান্দর শাহকে হত্যা করা চলবে না। কিন্তু যুদ্ধের ময়দানে, লড়াইয়ের ঘনঘটার মধ্যে সৈন্যরা সে কথা রাখতে পারল না। সিকান্দর শাহ মারাত্মক আহত হলেন। খবর পেয়ে গিয়াসউদ্দিন যখন বাবার কাছে গিয়ে পৌঁছালেন, সিকান্দর তখনো সজ্ঞানে আছেন। তিনি ছেলেকে বললেন, ‘তুমি রাজ্য চেয়েছিলে, রাজ্য পেয়েছ। এখন রাজ্য রক্ষা করো!’
গিয়াসউদ্দিনের ভাইদের কেউ কেউ যুদ্ধক্ষেত্রে মারা পড়েছিলেন। বাকিদের তিনি অন্ধ করে দিলেন, মধ্যযুগে সিংহাসন নিষ্কণ্টক রাখার জন্য অনেকেই এই নিষ্ঠুর কাজ করেছেন। আদিনা মসজিদ প্রাঙ্গণে বাবার মৃতদেহ সমাহিত করে গিয়াসউদ্দিন পান্ডুয়ায় আর থাকেননি। পিতৃঘাতী পরিচয়ে চেনা পান্ডুয়া শহরে বাস করতে সংকোচ বোধ করেছেন।
গিয়াসউদ্দিন আজম শাহ উপাধি নিয়ে তিনি সুবর্ণগ্রামকেই রাজধানী বানিয়ে বসবাস করতে লাগলেন। বাবা-ভাইদের হত্যার অনুতাপ বোধ হয় তাঁকে কখনো ছেড়ে যায়নি। রাজ্যবিস্তারের জন্য খুব বেশি যুদ্ধ করেননি তিনি। তাঁর পররাষ্ট্রনীতির মূলনীতি ছিল ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব। জৌনপুরের সুলতানের সঙ্গে তিনি বন্ধুত্ব করেছিলেন, ১৪০৫ সাল থেকে নিয়মিত চীনের সম্রাট ইউং লির সঙ্গে দূত ও উপহার বিনিময় করতে শুরু করেন। পশ্চিমে যার শত্রু, পূর্বে তাকে বন্ধু বাড়াতে হবে, গিয়াসউদ্দিন পররাষ্ট্রনীতির এই সরল সত্য বুঝেছিলেন।
দেশের ভেতর আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় তিনি খুব তৎপর ছিলেন। একটি ঘটনা তো বাংলার প্রায় কিংবদন্তি হিসেবে গণ্য। শিকার করতে গিয়ে দূর থেকে না বুঝে এক বিধবার ছেলেকে তিনি তির মেরে আহত করেন। বিধবা সুবর্ণগ্রামের বিচারকের কাছে অভিযোগ করেন। বিচারক যখন খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারেন, সুলতান গিয়াসউদ্দিনই অভিযুক্ত ব্যক্তি, তিনি সুলতানকে বিচারালয়ে তলব করে পাঠালেন। বিচারে সুলতানের দায় সাব্যস্ত হলো। সুলতান বিধবার কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করে ক্ষতিপূরণ দিতে রাজি হন। বিধবা, ভয়ে না সুলতানের উদারতায় বিস্মিত হয়ে কে জানে, ক্ষতিপূরণের প্রস্তাব মেনে নেন। সুলতান গিয়াসউদ্দিন বিচারক বা কাজিকে ধন্যবাদ জানালেন, আর পোশাকের আড়াল থেকে তরবারি বের করে বললেন, ‘আজকে আপনি আমার প্রতি পক্ষপাত করলে আপনার মাথা কাটা যেত!’ কাজি হেসে তাঁর পোশাকের আড়াল থেকে চাবুক বের করে বললেন, ‘আপনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিচার এড়িয়ে যেতে চাইলে আমি আপনাকে শাস্তি দিতে ছাড়তাম না!’
এই ঘটনার সত্যতা সম্পর্কে মনে সন্দেহ জাগে। তবে কিংবদন্তি বিনা কারণে তৈরি হয় না। গিয়াসউদ্দিন যে ন্যায়পরায়ণ শাসক ছিলেন, তাতে সন্দেহ নেই। না হলে এই কিংবদন্তি তাঁকে ঘিরে জন্ম নিত না।
তরুণ বয়সে গিয়াসউদ্দিন অন্দরমহলে তাঁর সুন্দরী পত্নী-উপপত্নীদের নিয়ে কিছু বেশি সময় কাটাতেন। তিনি তাঁদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করতেন। নিজেই আরবি-ফারসিতে কবিতা লিখে তাঁদের শোনাতেন। একবার গিয়াসউদ্দিন অসুস্থ হয়ে পড়লেন। তাঁর ধারণা হলো, তিনি কিছুদিন পরেই মারা যাবেন। অন্দরমহলের তিন প্রিয় উপপত্নীকে তিনি যথাক্রমে সার্ভ (সাইপ্রেস), গুল (গোলাপ) আর লালা (পদ্ম) নামে ডাকতেন। তিনি ইচ্ছাপ্রকাশ করলেন, তাঁর মৃত্যুর পর এই তিনজন তাঁর মৃতদেহের গোসল করাবে। এই বিরল সম্মানের অধিকারী হয়ে সার্ভ, গুল আর লালা খুশি হয়েছিলেন কি না, বলা শক্ত। তবে গিয়াসউদ্দিন সেরে উঠলেন। অন্দরমহলের অন্য মহিলারা, যাঁরা আগে এই তিন সুন্দরীর সৌভাগ্যে ঈর্ষাকাতর হয়েছিলেন কিন্তু কিছু বলতে পারেননি, গিয়াসউদ্দিনের অসুখ সেরে যাওয়ার পর সার্ভ-গুল-লালাকে লাশ-ধোয়ানি বলে ঠাট্টা করতে থাকেন। সুন্দরী-ত্রয়ী এ ব্যাপারে সুলতানকে অভিযোগ করলেন। গিয়াসউদ্দিন তাঁদের মনোবেদনা দূর করার জন্য একটি কবিতা লিখতে চেষ্টা করলেন। প্রথম চরণ সহজেই লেখা হলো :
সাকি, এ কাহিনি সার্ভ, গুল আর লালাকে নিয়ে।
কিন্তু তারপর কবিতা আর এগোয় না। গিয়াসউদ্দিনের সভাকবিরাও বিফল হলেন, কিংবা গর্দান বাঁচাতে বিফল হওয়ার ভান করলেন। বিব্রত গিয়াসউদ্দিন বহুমূল্য উপহারসহ পারস্যের শিরাজ শহরে বিখ্যাত কবি হাফিজের কাছে দূত পাঠালেন, কবি যেন কবিতাটি সম্পূর্ণ করে দেন, আর বাংলায় একবার বেড়িয়ে যান। তিনি যে কবি হাফিজের খোঁজখবর রাখতেন, তা থেকেই বোঝা যায় কবিতায় তাঁর বিপুল আগ্রহ ছিল। বৃদ্ধ কবি হাফিজ গিয়াসউদ্দিনের প্রথম অনুরোধ রক্ষা করলেন, দ্বিতীয় অনুরোধ রক্ষা করার সুযোগ সে বয়সে তাঁর আর ছিল না। হাফিজের লেখা এই গজলটিকে তাঁর কাব্য-সংগ্রহে আছে। হাফিজের গজলের প্রথম চার চরণ এ রকম :
সাকি, এ কাহিনি সার্ভ, গুল আর লালাকে নিয়ে,
রূপ-মদিরার তিন পাত্রীর মধুর বিরোধ নিয়ে,
ডোবো মদিরায়, রূপ যেন আজ অসির তীক্ষ্ণ ধার,
ও সওদাগর, ফিরে যাও এই কাহিনি-কাব্য নিয়ে।
গিয়াসউদ্দিনের বাংলা ভ্রমণের আমন্ত্রণ বিনীতভাবে প্রত্যাখ্যান করে হাফিজ যে চরণগুলো লেখেন, সেগুলোও খুব উল্লেখযোগ্য :
ভারতের সব তোতাই গাইবে মিষ্টি-মধুর গান,
তাদের জন্য পাঠাই ইরানি মিষ্টান্নের এ দান,
গিয়াসুদ্দিন শাহের সভায় যাবার বাসনা, ও হাফিজ,
ছেড়ো না কখনো, যত দিন এই দেহে থেকে যায় প্রাণ!
বয়স যতই বাড়ল, গিয়াসউদ্দিন ধর্মকে সবলে আঁকড়ে ধরলেন। উজির আজম খান আর ইয়াহিয়ার পরামর্শে তিনি বিপুল ব্যয় করে মক্কা আর মদিনায় মাদ্রাসা স্থাপন করালেন, কুয়া আর খাল খোঁড়ালেন, দরিদ্র আরবদের জন্য ত্রাণের ব্যবস্থা করলেন। দাদা এবং বাবার মতো তিনিও সুফি-সাধকদের খুব ভক্তি করতেন। পান্ডুয়ার নূর কুতব-ই-আলম আর বিহারের মুজাফফর শামস বলখি নানা বিষয়ে গিয়াসউদ্দিন আজম শাহকে পরামর্শ দিতেন। তাঁদের পরামর্শে গিয়াসউদ্দিন আজম শাহ রাষ্ট্রের উঁচু পদ থেকে হিন্দু কর্মকর্তাদের অপসারণ করতে থাকেন। হিন্দু জমিদারদের কাছ থেকে পাওনা আদায়ের ব্যাপারে আরও কঠোর হন।
ভাতুড়িয়ার জমিদার গণেশ সিকান্দর শাহের আমলে বাংলা সালতানাতের গুরুত্বপূর্ণ ক্ষমতাধর ব্যক্তিতে পরিণত হন। গণেশের পূর্বপুরুষ দীর্ঘদিন জমিদারি পরিচালনা করেছেন। দিল্লির সুলতানের আক্রমণের সময় থেকেই তাঁর বংশের প্রতিপত্তি বেড়েছে বলে মনে হয়। গিয়াসউদ্দিন তাঁকেও সালতানাতের মন্ত্রীর পদ থেকে অপসারণ করেছিলেন। রাষ্ট্রক্ষমতা থেকে নির্বাসিত হিন্দু কর্মকর্তা ও জমিদারেরা গণেশকে এর প্রতিশোধ নিতে উৎসাহিত করেন। গণেশ সরাসরি সামরিক সংঘর্ষে গেলেন না। তিনি গিয়াসউদ্দিনের কিছু ক্ষুব্ধ সৈন্যকে উৎকোচ দিলেন, তারাই অতর্কিত হামলা চালিয়ে ১৪১১ খ্রিষ্টাব্দে গিয়াসউদ্দিনের প্রাণ সংহার করল।
গিয়াসউদ্দিনের মৃত্যুর পর তাঁর ছেলে সাইফউদ্দিন হামজা শাহ সিংহাসনে বসেন। তিনি দুই বছরের বেশি রাজত্ব করতে পারেননি। তবে সে সময়ের মধ্যেই তিনি তাঁর বাবার জন্য সুবর্ণগ্রামের কাছেই মোগরাপাড়ায় সুন্দর এক কালো পাথরের সমাধি তৈরি করে দিয়েছিলেন। এই আবেগপ্রবণ শাসকের সমাধিতে এখনো বহু পর্যটক আসেন, জেনে কিংবা না-জেনে তাঁর জন্য সৃষ্টিকর্তার করুণা প্রার্থনা করেন।
গিয়াসউদ্দিন দিগ্বিজয়ী বীর ছিলেন না। তবু তিনি মধ্যযুগের এক বিরল দৃষ্টান্ত। চীনা রাজদূতদের বিবরণ থেকে জানা যায়, তিনি দেশের মানুষকে শান্তি উপহার দিয়েছিলেন, তাঁর শাসনামলে বাংলার সমৃদ্ধি উত্তরোত্তর বেড়েছে। আর তাঁর ন্যায়পরায়ণতার গল্পগুলো কিংবদন্তি হয়ে আছে।
ইতিহাসবিদ সুখময় মুখোপাধ্যায়ের উদ্ধৃতি দিয়েই এই আবেগপ্রবণ শাসকের জীবন নিয়ে আলোচনা শেষ করি, ‘কোনো কোনো ক্ষেত্রে ত্রুটিবিচ্যুতি ও ব্যর্থতা সত্ত্বেও তিনি যে বাংলার শ্রেষ্ঠ সুলতানদের অন্যতম, এবং চিত্তাকর্ষক ও সুমধুর চরিত্রের দিক দিয়ে তিনি সবার অগ্রগণ্য, সে সম্বন্ধে কোনো সন্দেহ নেই।
নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন
লগইন