০৬. দ্য পোর্টকি

জে. কে. রাওলিং

০৬. দ্য পোর্টকি

হ্যারিকে মিসেস উইসলি ওর গায়ে হাল্কা ধাক্কা দিয়ে ঘুম ভাঙালে ওর মনে হল যেন সবেমাত্র ঘুমিয়েছে। হ্যারি বুঝতেই পারছে না কোথায় ঘুমিয়েছে, প্রিভেট ড্রাইভে না রনের ঘরে।

–ওঠ, ওঠ আর দেরি নয় মিসেস উইসলি আদর করে বললেন।

হ্যারি হাত বাড়িয়ে ওর চশমাটা নিয়ে চোখে লাগিয়ে বসে পড়ল। তখনও বেশ অন্ধকার। ভোর হতে দেরি আছে। মায়ের ধাক্কা খেয়ে রন ওঁই গাই করতে লাগল। হ্যারি বিছানার পায়ের দিকে তাকাল। কম্বল চাদর পাট করে রাখা আছে।

ফ্রেড হাই তুলতে তুলতে বলল–সময় হয়ে গেছে?

ওরা তাড়াতাড়ি ড্রেস বদলে ঘুমজড়িত কণ্ঠে কথা বলতে বলতে কিচেনে ঢুকল। মি. উইসলি অনেক আগে এসে বসে আছেন। সামনে বড় কেতলি–চা ভর্তি। ছেলেদের আসতে দেখে মি. উইসলি দুহাত বাড়িয়ে বললেন, দেখ কেমন ড্রেস পড়েছি। মি. উইসলি পরেছেন একটা জাম্পার, দেখে মনে হয় গলফিং জাম্পার। বহু পুরনো একটা জিনস, বেশ বড় মাপের সেটা কোমড়ে বেঁধে রেখেছেন মোটা বেল্ট দিয়ে।

কী মনে হচ্ছে? আমাদের ছদ্মবেশে যেতে হবে–হ্যারি আমাকে দেখে কি তোমার মাগল মনে হয়?

হ্যারি হেসে বলল–হ্যাঁ, আপনাকে দারুণ দেখাচ্ছে।

বিল, চার্লস, পার্সি সব গেল কোথায়? জর্জ বলল।

মিসেস উইসলি বললেন, আপনি কি ভাবছেন তারা অপারেটিং করছে বা তৈরি হচ্ছে? টেবিলে একটা বিরাট পাত্র রেখে তাতে ল্যাডল পরিজ ঢালতে ঢালতে বললেন, ওরা এখন আরেকটু শুয়ে নিতে পারে।

হ্যারি জানে যে, সবকিছু গোছগাছ করে নেয়াটা খুব কঠিন কাজ, মানে এক জায়গা থেকে অদৃশ্য হয়ে অন্য এক জায়গায় দৃশ্যমান হওয়া… বলতে গেলে এক মুহূর্তের মধ্যে। ফ্রেড বলল, ভালই, তাহলে বেশ মজা করে ঘুমুচ্ছে। কথাটা বলে পরিজের পাত্রটা সামনে টেনে আনল। আমরা কেন অ্যাপারেট করতে পারব না?

–কারণ, তোমাদের বয়স হয়নি, ট্রেনিং পাওনি–মিসেস উইসলি বললেন, মেয়েরা কোথায়? কথাটা বলে কিচেন থেকে বেরিয়ে গেলেন। ওরা সিঁড়ি দিয়ে ওঠার পদশব্দ শুনতে পেল….

হ্যারি বলল–তাহলে তোমাকে এপারেট টেস্টে পাস করতে হবে।

–অবশ্যই মি. উইসলি বললেন, খেলা দেখার টিকিটগুলো প্যান্টের পেছনের পকেটে রাখতে রাখতে, গত বছর ডিপার্টমেন্ট অফ ম্যাজিক্যাল ট্রান্সপোর্টেসন বিনা লাইসেন্স এপারেটিং করার জন্য তিনজনকে ফাইন করেছিল। এপারেটিং করা খুব সহজ ব্যাপার নয়, ঠিকমত না করলে নানা দূর্ভোগ, গোলমেলে ব্যাপার হতে পারে।

হ্যারি ছাড়া সকলেই একটু ভয় পেল।

–তারা শরীরের অর্ধেকটা এক জায়গায় অন্যটা আরেক জায়গায় রেখে গিয়েছিল। যেতেও পারে না, ফিরতেও পারে না। তাই ওদের রিভার্সাল স্কোয়াডের অপেক্ষা করতে হল ওদের ঠিক করার জন্য।

–শেষ পর্যন্ত বেঁচে গিয়েছিল?

–হ্যাঁ হ্যাঁ উইসলি বললেন–কিন্তু তাদের বিরাট অঙ্কের জরিমানা দিতে হয়েছিল। আমার মনে হয় ওরা জীবনে আর ট্রেনিং না নিয়ে আর লাইসেন্স ছাড়া এপারেটিং করবে না। তবে অনেক বয়স্ক জাদুকর আছে তারা এপারেটিং-এর ধার ধারে না। ওরা ঝাড়ু… ধীরে হলেও বিপদ নেই। মি. উইসলির কথা শুনে হ্যারির চোখের সামনে ভেসে উঠল প্রিভেট ড্রাইভের সামনে এক জোড়া চোখ, পা পড়ে আছে।

কিন্তু বিল, চার্লি–পার্সি জানে এপারেটিং

ফ্রেড বলল–লাইসেন্স পাবার আগে চার্লিকে দুদুবার পরীক্ষা দিতে হয়েছিল, হাসতে হাসতে বলল–প্রথমবার ফেল করেছিল।

মিসেস উইসলি ঘরে ঢুকতে ঢুকতে বললেন, দ্বিতীয়বার পাস করেছিল।

জর্জ বলল–পার্সিতে মাত্র দুসপ্তাহ আগে পাস করেছে।

রোজ দুবেলা প্র্যাকটিস করে দেখে পারবে কিনা।

এমন সময় হারমিওন আর জিন্নি ঘরে ঢুকল। দুজনের চোখে ঘুম। একটু রোগা রোগা লাগছে। মিসেস উইসলি হঠাৎ জর্জের দিকে তাকিয়ে বললেন–জর্জ জেকেটে ওটা কি?

–কিছু না তো!

–মিথ্যে বলবে না।

মিসেস উইসলি হাতের জাদুদণ্ডটা জর্জের দিকে তাক করে বললেন অ্যাকিও!

জর্জের পকেট থেকে নানা রঙ-এর ছোট ছোট উজ্জ্বল পদার্থ এসে মিসেস উইসলির প্রসারিত হাতে এসে পড়ল।

–আমি তোমাকে বলেছিলাম না এগুলো ধ্বংস করতে? ভাল চায়তো টন টাংগ টফিগুলো ফেলে দাও! হ্যাঁ, দুজনেই পকেট থেকে ফেলে দাও।

ওরা দুভাই যতটা পেরেছিল টফিগুলো পকেটে রেখেছিল। দুর্ভাগ্য! ধরা পড়ে গেল। মিসেস উইসলি তার সামনিং চার্ম দিয়ে সেগুলো আটক করলেন।

–অ্যাকিও, অ্যাকিও, অ্যাকিও বিভিন্ন জায়গায় যে টন–টাংগ টফি বেরিয়ে আসতে লাগল। এমন কি জর্জের জ্যাকেটের লাইনিং থেকে।…. ফ্রেডের রংচটা জীনস থেকেও।

ফ্রেড বলতে গেলে একরকম কেঁদে উঠল, ছটা মাস কষ্ট করে এগুলো আমরা বানিয়েছিলাম।… ওগুলো ছুঁড়ে ছুঁড়ে ফেলে দিতে লাগল।

–চমৎকার… চমৎকার। ছটা মাস কাটাবার সুন্দর কাজ! মিসেস উইসলি চিৎকার করে উঠলেন-এই কারণেই এবার বেশি পেচা পাওনি।

ওরা সকলেই বাড়ি থেকে বেরোল। মিসেস উইসলি বললেন, বিল আর চার্লিকে দুপুরের দিকে পাঠাব।

হ্যারি, রন, জিন্নি, হারমিওন ওদের পেছনে ফ্রেড আর জর্জ।

ভোর তখনও হয়নি। আকাশে চাঁদ… কনকনে ঠাণ্ডা বাতাস বইছে। একটু পরে ভোর হবে তারই আভাস। হ্যারি ভাবে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিভিন্ন স্তরের জাদুকর–জাদুকরী দল বেঁধে চলেছে কিডিচ প্রতিযোগিতা দেখতে। মি. উইসলি সবাইকে জোর কদমে হাঁটতে বললেন।–যদি তাড়াতাড়ি না হাঁট তাহলে মাগলদের নজরে পড়ে যাবে। হ্যারি বলল,–মাগলদের চোখ এড়িয়ে ওখানে সকলে যাবে কেমন করে?

মি. উইসলি বড় করে নিঃশ্বাস ফেলে বললেন, দারুণ সাংগঠনিক সমস্যা। ওয়ার্ল্ডকাপ দেখতে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার জাদুকররা আসছে… বুঝতেই পারছ ওদের থাকতে দেবার মতো ম্যাজিক্যাল জায়গা আমাদের নেই। কিছু জায়গা আছে সেখানে মাগলরা ঢুকতে পারে না। বুঝতেই পারছ ওদের ডায়গন অ্যালে, নয় নম্বর প্লাটফর্মে রাখতে পারি না। তাই আমাদের একটা বিরাট বিস্তীর্ণ পতিত জমি ঠিক করতে হয়েছে। তাছাড়া বিভিন্ন জায়গায় অ্যান্টি মাগল শিবির খোলা হয়েছে। অবশ্য যতটা সম্ভব। সমস্ত মন্ত্রণালয়ের কর্মীরা মাসের পর মাস ওই কাজ করে চলেছে।

প্রথমত, আমাদের যারা আসছে তাদের থাকার ব্যবস্থা করা। যারা কম দামের টিকিট কিনেছে তারা দুসপ্তাহ আগে এসে পৌঁছেছে। মাগল ট্রান্সপোর্ট প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম… বাস বা ট্রেনের সংখ্যায় সীমিত। মনে রাখবে সারা পৃথিবী থেকে জাদুকররা আসছে। কেউ কেউ এপারেট করতে পারে… তাহলেও তাদের সুরক্ষিত কেন্দ্র করতে হয়েছে… মাগলদের কাছে পিঠে নয়। যারা এপারেট করতে পারে না, লাইসেন্স নেই… তারা অ্যাপারসন কেন্দ্রে সমবেত হচ্ছে। তাদের জন্য পোর্ট–কীর ব্যবস্থা। পোর্ট–কী হচ্ছে কোনও নির্ধারিত সময়ে, এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় জাদুকর নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা, এক সঙ্গে অনেককে পোর্ট–কীতে নিয়ে যাওয়া চলে। নির্দিষ্ট ও স্ট্যাটিজিক পয়েন্টে কম করে দুশ পোর্ট–কীর ব্যবস্থা করে রাখা হয়েছে। আমাদের এখান থেকে সবচেয়ে নিকটে স্টোটশেড হিল, আমরা এখন যেখানেই যাচ্ছি। অটেরি সেন্ট ক্যাচপোল গ্রামের শেষ প্রান্তে একটা জায়গা দেখালেন মি. উইসলি।

হ্যারি কৌতূহলী স্বরে বলল–পোর্ট–কী জিনিসটা কী?

–সে এক অদ্ভুত জিনিস, উইসলি বললেন–সব রকম বাধা অতিক্রম করে চলে… মাগলরা সেই পোর্ট–কী আটকাতে পারে না।

ওরা সকলে গ্রামের দিকে চলল। ওদের পদ শব্দে নিঃস্তব্ধ থাকে না গ্রামের পথ। ধীরে ধীরে অন্ধকার আকাশে আলো দেখা দেয়। ঠাণ্ডা বাতাসে হ্যারির হাত পা যেন বরফের মতো জমে গেছে। মি. উইসলি মাঝে মাঝে হাতঘড়িতে সময় দেখতে থাকেন।

পাহাড়ে চড়তে চড়তে ওরা হাঁফাতে থাকে। রাস্তায় মাঝে মাঝে চোখে পড়ে খরগোস–পুরু ঘাসের আচ্ছাদনে ওদের থাকার গর্ত। হ্যারি যেন আর হাঁটতে পারে না। কিন্তু পৌঁছাতে তো হবেই। মি. উইসলি বললেন, আমরা ঠিক সময়ে চলেছি। হাতে আরও দশ মিনিট সময় আছে। কথাটা বলে সোয়েটারের কোনা দিয়ে চশমা পরিষ্কার করলেন। সবশেষে এসে পৌঁছল হারমিওন। মি. উইসলি একজন রুগ্ন মুখের জাদুকরের সঙ্গে হ্যান্ডশেক করলেন। তার একগাদা খোঁচা খোঁচা বাদামী দাড়ি। অন্য হাতে একটা সেকেলে পুরনো বুট জুতো।

মি. উইসলি পরিচয় করিয়ে দিলেন সকলকে।

–ইনি মি. আমোস ডিগরি। আমাদের ডিপার্টমেন্ট ফর দ্যা রেগুলেশন অ্যান্ড কাউন্সিল অফ ম্যাজিক্যাল ক্রিয়েচারসে কাজ করেন। তোমরা নিশ্চয়ই ওর ছেলে সেডরিককে চেন? বাবার সঙ্গে সেডরিক ডিগরি অনেক আগে পৌঁছেছে। সেডরিকের বয়স মাত্র সতের বছর। অতি সুদর্শন ছেলে। ও হোগার্টের হাফল পথে ছাত্রাবাসের কিডিচ টিমে খেলে।

সেডরিক ওদের দেখে খুব খুশি। হাত বাড়িয়ে সকলকে অভিনন্দন করল হাই!

ফ্রেড আর জর্জ ছাড়া সকলেই সমস্বরে বলল, হাই। ওরা শুধু মাথা নত করল। গত বছর গ্রিফিন্ডর টিমকে সেডরিকের টিম হারিয়ে দেয়ার জন্য ওরা মনে মনে খুশি নয়।

সেডরিকের বাবা বললেন–অনেকটা হাঁটতে হয়েছে, তাই না? উইসলি বললেন–হ্যাঁ তা খুব বেশি নয়।… আমরা গ্রামের ওধারটায় থাকি।… আপনি?

–আমরা রাত দুটোর সময় উঠেছি, তাই না সেড? অ্যাপারিয়ল পাস করলে আমি খুব খুশি হব। কিছু গ্যালিওনসের (জাদুকরের টাকা) জন্য ওয়াল্ডকাপ দেখতে পাবো না হতেই পারে না, টিকিটের দাম খুব চড়া। আমোস ডিগরি উইসলির সঙ্গে দাঁড়িয়ে থাকা হ্যারী, হারমিওন আর জিনিকে দেখে বললেন-এরা তোমার ছেলে মেয়ে আর্থার?

–না না সবাই নয়, যাদের মাথায় লাল চুল, মি. উইসলি নিজের ছেলে মেয়েদের দেখিয়ে বললেন। আর হারমিওন আমার ছেলে রনের বন্ধু, হ্যারি আর এক বন্ধু।

আমোস ডিগরি বলল–মারলিনের পুত্র; চোখ দুটো বড় বড় হয়ে গেল, হ্যারি? তুমি হ্যারি পটার?

–হ্যাঁ, হ্যারি বলল।

লোকেরা ওকে দেখলে কৌতূহলী দৃষ্টিতে তাকায় হ্যারি জানে। ওর এতে অভ্যাস হয়ে গেছে। শুধু তাই নয়…. ওর কপালের কাটা দাগের দিকেও তাকায়।… কিন্তু অভ্যাস হয়ে গেলেও অস্বস্তি হয়।

আমোস ডিগরি বলল, সেড অবশ্য তোমার কথা আমাকে বলে। তোমার টিমের বিরুদ্ধে খেলার কথাও বলেছে। আমি ওকে বলেছিলাম, তুমি হ্যারি পটারকে খেলায় হারিয়েছ সেটা তোমার নাতি–নাতনীকে বলবে।

হ্যারি সে কথার কোনও জবাব খুঁজে পায় না। তাই চুপ করে রইল। ফ্রেড আর জর্জ আবার মুখ বেঁকাল। সেডরিক একটু হতবুদ্ধি হয়ে তাকাল।

–হ্যারি খেলার সময় ঝাড়ু থেকে পড়ে গিয়েছিল, ড্যাড–সেডরিক আস্তে আস্তে বলল–আমি তো বলেছিলাম, ওটা অ্যাকসিডেন্ট…। আমোস অমায়িকভাবে হলেও জোরে জোরে বলল–তুমি পড়ে যাওনি তো? আমোস ছেলের পিঠ চাপড়ে বলল–আমার ছেলে খুব লাজুক–দ্র… তবে ভাল খেলে বলেই জিতেছে। তোমরা নিশ্চয়ই আমার সঙ্গে একমত হবে–তাই না? একজন ঝাড়ু থেকে পড়ে যায়, অন্যজন পড়ে না… তো এর মধ্যে কে ভাল তা বিচার করার জন্য কোনও পণ্ডিত দরকার হয় না।

মি. উইসলি বলল–মনে হয় সময় হয়ে গেছে।… ঘড়িটা বার করে আবার সময় দেখলেন। তোমার কি মনে হয় আমাদের আরও অপেক্ষা করতে হবে আমোস?

ডিগরি বলল–না, লাভগুড সাতদিন ধরে ওখানেই বসে আছে… ফসেট টিকিট পায়নি। মনে হয় আমরা ছাড়া খুব একটা বেশি লোক নেই এখানে।

–আমি খুব একটা জানি না। থাকগে এক মিনিট সময় আছে আমাদের, যেতে হবে, উইসলি বললেন।

ডিগরি হ্যারি আর হারমিওনকে দেখে বলল–তোমাদের শুধু পোর্ট–কীতে আঙ্গুল ছোঁয়াতে হবে। ব্যাস… তাতেই হবে।

পাহাড়ের ওপর বরফের ঠাণ্ডা হাওয়া বইছে, ওরা সকলে গোল হয়ে খুব কাছাকাছি বসল। দারুণ ঠাণ্ডায় ওদের সারা শরীর কাঁপছে। কারও মুখে কোনও কথা নেই। হঠাৎ হ্যারির মনে হল মাগলরা যদি আসে তাহলে দেখবে সাতজন ছেলে–মেয়ে, দুজন বয়স্ক মানুষ পুরনো বুট পরে অন্ধকারে বসে রয়েছে।

তিন… উইসলি বলতে শুরু করলেন, ঘড়ির দিকে তার চোখ, দুই… এক।

পোর্ট–কী স্পর্শ করার সাথে সাথেই যা হবার তাই হল, হ্যারির মনে হয় তীক্ষ্ণ একটা হুক ওর পিঠে গেথে ভীষণ বেগে ওকে উড়িয়ে নিয়ে চলল। ও দেখল রন আর হারমিওন ওর দুধারে এক সাথে চলেছে। ওদের দুজনের কাঁধ ওর কাঁধের সঙ্গে জোরা লেগে গেছে। ভীষণ হাওয়াতে ওরা উড়তে উড়তে চলেছে। ওর হাতের একটা আঙ্গুল দিয়ে পুরনো বুট জুতোটায় আটকে আছে। পোর্ট–কী মাটিতে নামতেই ওরা তিনজনে ছিটকে পড়ল। হ্যারি দেখল মি. উইসলি, মি. ডিগরি, সেডরিক দাঁড়িয়ে চলছে দূড়ন্ত হওয়াতে।

কে যেন বলল, স্টোটসহেড হিল থেকে সাতটা বেজে পাঁচ মিনিট।

সকল অধ্যায়

১. ০১. দ্য রিডল হাউজ
২. ০২. দ্য স্কার
৩. ০৩. ইনভিটেসন
৪. ০৪. ব্যাক টু দ্য বারও
৫. ০৫. উইসলি’র উইজার্ড হুইজেস
৬. ০৬. দ্য পোর্টকি
৭. ০৭. বেগম্যান এবং ক্রাউচ
৮. ০৮. দ্য কিডিচ ওয়ার্ল্ড কাপ
৯. ০৯. দ্য ডার্ক মার্ক
১০. ১০. মেহেম অ্যাট দ্য মিনিস্ট্রি
১১. ১১. অ্যাবোর্ড দ্য হোগার্টস এক্সপ্রেস
১২. ১২. দ্য ট্রিউইজার্ড টুর্নামেন্ট
১৩. ১৩. ম্যাড–আই মুডি
১৪. ১৪. আনফরগিভেবল কার্সেস
১৫. ১৫. বক্সবেটন এবং ডার্মস্ট্র্যাংগ
১৬. ১৬. দ্য গবলেট অব ফায়ার
১৭. ১৭. দ্য ফোর চ্যাম্পিয়নস
১৮. ১৮. দ্য ওয়েইং অব দ্য ওয়ান্ডস
১৯. ১৯. দ্য হাংগেরিয়ান হর্নটেল
২০. ২০. দ্য ফার্স্ট টাস্ক
২১. ২১. দ্য হাউজ-এলফ লিবারেশন ফ্রন্ট
২২. ২২. দ্য আনএক্সপেকটেড টাস্ক
২৩. ২৩. ইউল বল
২৪. ২৪. রিটা স্কীটারের স্কুপ
২৫. ২৫. দ্য এগ অ্যান্ড দ্য আই
২৬. ২৬. দ্য সেকেন্ড টাস্ক
২৭. ২৭. প্যাডফুট রিটার্নস
২৮. ২৮. দ্য ম্যাডনেস্ অব মিস্টার ক্রাউচ
২৯. ২৯. দ্য ড্রিম
৩০. ৩০. দ্য পেনসিভ
৩১. ৩১. দি থার্ড টাস্ক
৩২. ৩২. ফ্লেশ, ব্লাড অ্যান্ড বোন
৩৩. ৩৩. দ্য ডেথ ইটারস
৩৪. ৩৪. প্রিওরি ইনক্যানটাটেম
৩৫. ৩৫. ভেরিটাসেরাম
৩৬. ৩৬. দ্য পার্টিং অব দ্য ওয়েজ
৩৭. ৩৭. দ্য বিগিনিং

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন