১.১১ জাগ্ৰদবস্থায় সম্মোহিত পাত্রকে প্রকৃতিস্থ করণ

রাজেন্দ্রনাথ রুদ্র

একাদশ পাঠ
জাগ্ৰদবস্থায় সম্মোহিত পাত্রকে প্রকৃতিস্থ করণ

যখন শিক্ষার্থী বুঝিতে পারিয়াছে যে, পাত্রের হাত, চক্ষু ইত্যাদি দৃঢ়রূপে জোড়া লাগিয়া বন্ধ হইয়া গিয়াছে এবং সে সাধ্যমত চেষ্টা করিয়াও উহাদিগকে খুলিতে পারিনা, তখন তাহাকে নিম্নোক্ত নিয়মে প্রকৃতিস্থ করিয়া দিবে। পাত্রের নাসিকা-মূলে স্থির ও প্রখর দৃষ্টি স্থাপন পূর্বক, উভয় হাত দ্বারা জোরে দুই-তিন বার করতালি দিবে এবং তৎসঙ্গে আদেশ সূচক স্বরে “সেরে গেছে—জাগ-জাগ-জেগে উঠ—জাগ” ইত্যাদি বলিলেই তাহার হাত, চক্ষু ইত্যাদি খুলিয়া যাইবে। যদি অত্যন্ত দৃঢ়রূপে বন্ধ হইয়া থাকে এবং ঐরূপ করিবার পর খুলিয়া না যায়, তাহা হইলে সে হাত দুইখানা ফাঁক করিবার নিমিত্ত, উভয় হাত দ্বারা জোরের সহিত হঠাৎ দুই-একবার টা দিবে এবং তৎসঙ্গে সেরে গেছে -সেরে গেছে-জাগ—জেগে উঠ” ইত্যাদি বলিবে। এই নিয়মে সে জাগ্ৰদবস্থায় মোহিত সকল পাত্রকেই প্রকৃতিস্থ করিতে সমর্থ হইবে। তথাপি যদি না যোলে, তবে তাহাকে হাত খুলিতে আর অধিক চেষ্টা করিতে নিষেধ করিয়া ৪৫ মিনিটের জন্য তাহাকে পরিত্যাগ করিবে। তৎপরে পুনরায় তাহার দিকে অত্যন্ত স্থির ও তীক্ষ দৃষ্টিতে তাকাইয়া একাগ্রতার সহিত আদেশ সূচক স্বরে “সেরে গেছে-সেরে গেছে জাগ—জাগ” ইত্যাদি বলিলেই সে নিশ্চয় প্রকৃতিস্থ হইবে।

জাগ্ৰদবস্থায় সম্মোহিত পাত্র অধিকক্ষণ সম্মোহন শক্তির আয়ত্তাধীন থাকেনা। সুতরাং কাৰ্যকারক তাহাকে প্রকৃতিস্থ করিতে না পারিলেও (যাহা কখনও হয় না) তাহার আশঙ্কার কোন কারণ নাই। যেহেতু উক্তবস্থা হইতে কিয়ৎক্ষণ পরে সে স্বতঃই প্রকৃতিস্থ হইয়া উঠে।

সকল অধ্যায়

১. ১.০১ সংজ্ঞা ও পরিভাষা
২. ১.০২ সিদ্ধির মূল কারণ
৩. ১.০৩ আহার-বিহার
৪. ১.০৪ মনের দ্বিত্বভাব
৫. ১.০৫ সম্মোহন আদেশ
৬. ১.০৬ চক্ষুর মোহিনী শক্তি
৭. ১.০৭ পাস করণ বা হাত বুলান
৮. ১.০৮ শরীরে শিথিলতা উৎপাদন
৯. ১.০৯ শিক্ষার প্রণালী
১০. ১.১০ জাগ্ৰদবস্থায় মোহিত করণ
১১. ১.১১ জাগ্ৰদবস্থায় সম্মোহিত পাত্রকে প্রকৃতিস্থ করণ
১২. ১.১২ জাগ্ৰদবস্থায় মোহিত করা সম্বন্ধে বিশেষ উপদেশ
১৩. ১.১৩ মোহিতাবস্থা কাহাকে বলে?
১৪. ১.১৪ পাত্রের মনের সংবেদনা
১৫. ১.১৫ পাত্রকে সম্মোহিত করিবার প্রাথমিক উপদেশ
১৬. ১.১৬ পাত্রকে নিদ্রিত করণ
১৭. ১.১৭ পাত্রকে নিদ্রিত করা সম্বন্ধে বিশেষ উপদেশ
১৮. ১.১৮ মোহিতাবস্থা পরীক্ষা করণ
১৯. ১.১৯ মোহিত ব্যক্তির মনে মায়া জন্মান
২০. ১.২০ মোহিত ব্যক্তির মনে ভ্ৰম জন্মান
২১. ১.২১ মায়া ও ভ্রম উৎপাদনার্থ বিশেষ উপদেশ
২২. ১.২২ মোহিত ব্যক্তিকে প্রকৃতিস্থ করণ
২৩. ১.২৩ পাত্রের শরীরে ক্যাটালেপ্‌সী উৎপাদন
২৪. ১.২৪ পাত্রের শরীরে বোধরহিতাবস্থা উৎপাদন
২৫. ১.২৫ আদেশের প্রতি মোহিত ব্যক্তিগণের সাড়া
২৬. ১.২৬ কঠিন পাত্র মোহিত করণ
২৭. ১.২৭ স্বাভাবিক নিদ্রা মোহিতাবস্থায় পরিবর্তিত করণ
২৮. ১.২৮ আত্ম-সম্মোহন
২৯. ১.২৯ পত্র দ্বারা বা টেলিফোণে মোহিত করণ
৩০. ১.৩০ দেখামাত্র মোহিত করণ
৩১. ১.৩১ পরবর্তী সম্মোহন আদেশ
৩২. ১.৩২ কাহারও অজ্ঞাতসারে মন পরিবর্তিত করণ
৩৩. ১.৩৩ অপরের মোহিত পাত্রকে প্রকৃতিস্থ করণ
৩৪. ১.৩৪ সম্মোহন ক্রীড়া
৩৫. ২.০১ মেসমেরিজম্ বা জৈব আকর্ষণী বিদ্যা
৩৬. ২.০২ আহার-বিহার, মানসিক গুণাগুণ ইত্যাদি
৩৭. ২.০৩ কিরূপ লোক মোহ নিদ্রায় অভিভূত হয়
৩৮. ২.০৪ মেস্‌মেরিজমে ব্যবহৃত বিশেষ পাস
৩৯. ২.০৫ মোহ নিদ্রার বিভিন্ন স্তর
৪০. ২.০৬ মেসমেরাইজ করা সম্বন্ধে প্রাথমিক উপদেশ
৪১. ২.০৭ পাত্রকে জাগ্ৰদবস্থায় মেস্‌মেরাইজ করণ
৪২. ২.০৭ পাত্রের মোহ নিদ্রা উৎপাদন
৪৩. ২.০৯ মোহ নিদ্রায় মায়া ও ভ্রম উৎপাদন
৪৪. ২.১০ পাত্রের আত্মিক শক্তি বিকাশ করণ
৪৫. ২.১১ মোহ নিদ্রা দূরীভূত করণ
৪৬. ৩.০১ আত্মিক চিকিৎসা
৪৭. ৩.০২ মন্ত্রপূত জল বা জল-পড়া
৪৮. ৩.০৩ মনুষ্যেতর প্রাণী মোহিত করণ
৪৯. ৩.০৪ ক্রিষ্টেল গেইজিং
৫০. ৩.০৫ সম্মোহন-শক্তির আরোপিত অনিষ্টকারিতা
৫১. ৩.০৬ উপসংহার ও পরিশিষ্ট

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন