ফিয়ার্স লেনের ‘গল্প হলেও সত্যি’

সুজিত রায়

ফিয়ার্স লেনের ‘গল্প হলেও সত্যি’

বাঙালি মুসলমান মাত্রেই বঙ্গভঙ্গের সমর্থক ছিলেন না। কিন্তু বাঙালি মুসলমানের একটা বিরাট অংশ কেন বঙ্গভঙ্গের মধ্যে আশার আলো দেখিয়েছিলেন, সে বিষয়ে কলকাতার ‘স্বদেশী সমাজ’ ছিল যারপরনাই নিস্পৃহ। যে বাঙালি ভদ্রলোক সমাজে তাদের প্রতিনিয়ত অস্পৃশ্য, বহিরাগত হয়ে থাকতে হয়, শিক্ষা সংস্কৃতি সব কিছুতেই দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হয়ে থাকতে হয়, তাদের কেন মনে হতে পারে আলাদা প্রদেশের মাধ্যমে সামাজিক উন্নতির একটা পথ পাওয়া সম্ভব, কোনো স্বদেশী নেতাই তখন তা সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করেছিলেন? কেবলই সাম্প্রদায়িকতার অজুহাতে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল সমস্ত প্রশ্ন ও সংশয়কে, যেন স্বদেশী তথা হিন্দু জাতীয়তাবাদীর সুরে সুর না মেলালেই কেউ সাম্প্রদায়িক-জাতীয়তাবাদ বিরোধী হয়ে পড়েন, যেন সম্প্রদায়ের উন্নয়নের কথা মাথায় রেখেও কারও পক্ষে ভারতের জাতীয়তাবাদের বৃহত্তর লক্ষ্যে উদ্‌বুদ্ধ হওয়া সম্ভব নয়।

[সূত্র: ‘এক হউক এক হউক’– সেমন্তী ঘোষ, আনন্দবাজার পত্রিকা, ১৮.১০.২০০৫, পৃষ্ঠা ৪]

.

…The riots at the initial stage were spontaneous and by way of reaction to the situation but later the riots developed into a set type. The change in the pattern… was the outcome of the take-over of the command of the situation by anti-social elements. It is said that the Satan too has a process and when taken to satanic activities the anti-social elements took to their organised process.

[Source: Documents 7 of Documents on Communal Riots from Anustup, 1993]

.

১৬ অগাস্টের পরদিন মেডিক্যাল কলেজের পশ্চিমের রাস্তা সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউর বউবাজারের দিকের ফিয়ার্স লেন থেকে বাঁশ জুড়ে ছাদ পেরিয়ে নানা বিপজ্জনক অবস্থার ভেতর দিয়ে মেডিক্যাল কলেজের খোলা মাঠে আশ্রয় নিয়ে দু-দিন থাকতে বাধ্য হয়েছিল মীজানুর রহমান। রাজাবাজারের অদূরে গড়পারের হিন্দু পাড়ায় সপরিবার ভাড়াবাড়িতে থাকা বালক মীজানুর রহমনের বাবা চাকরি করতেন অধুনা মেডিক্যালের ক্যাম্পাস অন্তর্গত স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিন-এ। পাশের অন্য হাসপাতালে ভরতি তার বাবাকে দেখতে ঢুকে পড়ে মীজানুর আর বেরোতে পারেনি পরের তিনদিন। সেখানে এই চূড়ান্ত উত্তেজনার দিনে হঠাৎ কিশোর পুত্রকে আত্মীয়-দাদাদের সঙ্গে আসতে দেখে পরিপার্শ্ব সম্পর্কে অবহিত তার আব্বা বলেন, ‘জানো, আজ ফজরের নমাজের সময় ওধারের ওই মসজিদে কি ভয়ংকর ঘটনা ঘটে গেছে? নমাজ পড়তে আসা মুসলিমদের কিভাবে কচুকাটা করেছে, তা যদি দেখতে, ওদের প্রাণে বাঁচার আকুতি যদি শুনতে।” [সূত্র: ফিয়ার্স লেন : নবেন্দু ঘোষ, শারদীয়া আজকাল ১৩৫৩, অরূপকুমার দাসের ‘খড়ির গণ্ডি পেরিয়ে, কারুলিপি, ১৪৩০ থেকে সংগৃহীত]

ফিয়ার্স লেন থেকে যেসব গলি বেরিয়ে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউতে পড়েছে, তারই একটার মোড়ে তার দোকান।… দোকানের ওপরতলাতে থাকে আজমল। এই আজমলের বাড়ির পাশে ছিল বনেদি হিন্দুদেরও পুরুষ- পরম্পরার ভদ্রাসন; আজমলের বাড়ির দক্ষিণ দিকে, আরও চার-পাঁচ ঘর মুসলমান বাসিন্দার পরে বিশ্বনাথ পাইনের দোতলা বাড়ি। তার পাশেই গুরুসদয় বড়ালের বাড়ি। সেটাও দোতলা।

বৃদ্ধ হাজি আজমল প্রতিবেশী পরেশ আর নিবারণের পরিবারকে আশ্রয় দিয়েছিল দাঙ্গাবাজ গুন্ডা আর লুঠেরারা যখন উন্মত্ত বর্বরতায় একের পর এক হিন্দু বাড়িতে ঢুকে খুন, ধর্ষণ, লুঠ ও ভাঙচুর চালাচ্ছিল। তখন, সেই ১৬ অগাস্ট দুপুরের পর আজমলের বাড়িতে আশ্রিতদের গোপন করার সর্ববিধ চেষ্টা ব্যর্থ হয় গুন্ডাদের কৌশলে। রাত গভীর হলে আজমল বাড়ির পিছনের দরজা দিয়ে নোংরা পরিত্যক্ত চোরাগলির পথ পেরিয়ে যাতে এই দুই হিন্দু পরিবারের সকলে মেডিক্যাল কলেজের দিকে চলে যেতে পারে, ছেলে হুসেনকে সঙ্গে পাঠিয়ে সেই ব্যবস্থা করে। একই সময়ে ঘাতক দাঙ্গাবাজ গুন্ডাবাহিনী উপস্থিত হয় আজমলের সদর দরজায়। ‘আল্লা-হু-আকবর’… ওরা এসে পড়েছে। মশালের আলোতে ফিয়ার্স লেন আরও আলোকিত হয়ে উঠল।

‘কী চাই? কাহে দিক করতে হো ভাই?’

নীচের থেকে সগর্জনে তাজ মহম্মদ বলল, ‘পহল্লে দরওয়াজা খোলো হাজি সাহেব, পিছে বাতলায়েঙ্গে।’

‘কিন্তু কেন— বলতে দোষ কী?’

‘তুমি পাশের বাড়ির হিন্দুদের লুকিয়ে রেখেছ।’

‘সময় চাই। ওদের হাসপাতালে পৌঁছোনো পর্যন্ত এদের আটকাতে হবে।’ এই সুঅভিসন্ধি নিয়ে হাজি আজমল গুন্ডা তাজ মহম্মদের বাহিনীর সঙ্গে কপট সংলাপ চালাতে থাকে। কিছুক্ষণ পরে ক্রুদ্ধ তাজ মহম্মদের উত্তোলিত তরবারি আজমলের ঘাড়ের ওপর থেকে কণ্ঠনালি স্পর্শ করে পঞ্জরে আটকে যায়। মৃত্যু হয় বৃদ্ধ আজমলের।

তলোয়ারটা সজোরে টেনে বের করে তাজ মহম্মদ হকুম দিল, “অন্দরমে যাও আধা, অওর বাকি সব পিছেকো রাস্তাসে আগে বাড়ো…’

আজমলের ছেলে হোসেন যখন তাজ মহম্মদ বাহিনীর দ্বারা রক্তাক্ত ও আহত হয়ে বাড়ির সামনে ফেরে, ততক্ষণে আজমল মৃত। হোসেনের সান্ত্বনা।… অতি সন্তর্পণে সে পিতার দেহে হাত রেখে ফিসফিস করে বলল, “শুনেছেন? জনাব, এ বান্দা আপনার হুকুম তামিল করেছে।’ [সূত্র: ফিয়ার্স লেন: নবেন্দু ঘোষ, শারদীয়া আজকাল ১৩৫৩, অরূপকুমার দাসের ‘খড়ির গণ্ডি পেরিয়ে, কারুলিপি, ১৪৩০ থেকে সংগৃহীত]

১৪৪৬-এর কলকাতা দাঙ্গা নিয়ে লেখালেখি হয়েছে বিস্তর। খবরের কাগজ ছাড়াও বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে অনেক প্রবন্ধ, কবিতাও। কিন্তু, উপন্যাস রচিত হয়েছে খুবই কম। বিরল বললেও অতিরিক্ত হয় না। তারই মধ্যে উল্লেখযোগ্য দুটি উপন্যাস হল: অভিশপ্ত ‘৪৬ এবং ‘ফিয়ার্স লেন’।

‘অভিশপ্ত ৪৬’ উপন্যাসটি লিখেছিলেন মনোরঞ্জন হাজরা।

‘ফিয়ার্স লেন’-এর ঔপন্যাসিক নবেন্দু ঘোষ।

এটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল শারদীয়া আজকাল ১৩৫৩ সংখ্যায় বড়ো গল্পের আসরে।

আর ‘অভিশপ্ত ৪৬’ দাঙ্গার অব্যবহিত পরেই সরাসরি বই হিসেবে প্রকাশিত হয়েছিল।

দুটি উপন্যাসের পটভূমিকাই কলকাতা দাঙ্গার বাস্তব চিত্র। লেখকদের নিজেদের অভিজ্ঞতা-সম্পৃক্ত, স্থান, কাল, ঘটনাবলি একই— শুধু বদলে গেছে পাত্র অর্থাৎ চরিত্রগুলির নাম। এমন বাস্তবতার প্রতিফলন উপন্যাসে তেমনভাবে ঘটে না। কারণ, ঔপন্যাসিক উপন্যাসের সাধারণ ব্যাকরণ মেনে রং ও রূপের তুলিতে বাস্তবতার অনেকটাই ঢেকে দেন। আলোচ্য উপন্যাস দুটির ক্ষেত্রে সেটা হয়নি।

‘অভিশপ্ত ৪৬’ উপন্যাসটি যখন লেখা হয়েছিল, তখনও কলকাতা দাঙ্গার ভয়াবহতা এবং কলঙ্ক মোচন করে স্বাভাবিক হয়ে ওঠেনি। তখনও শহর জুড়ে পচা লাশ আর শুকনো রক্তের গন্ধ বাতাসে মিশে গিয়ে আমন্ত্রণ জানায় চিল-শকুনদের।

এহেন পরিস্থিতিতে বই লেখা যদিও সম্ভব হয়, তা প্রকাশ করা ছিল একটা বিশাল চ্যালেঞ্জ। কারণ, ভ্রাতৃমেধ যজ্ঞে কোন প্রেসের কম্পোজিটর কোথায় আছে, প্রকাশকরাই-বা কোথায়— কে বেঁচে আছে, কে বেঁচে নেই— কেউ জানে না। তবুও লেখকের ঐকান্তিক চেষ্টায় কলকাতা দাঙ্গার আঁখো দেখা হাল বইটি দ্রুতই প্রকাশিত হয়েছিল। মাত্র দিন পনেরোর মধ্যেই ছাপা সব কপি বিক্রি হয়ে যায়। তারপর দীর্ঘকালের বিরতি। কারণ, দ্বিতীয় মুদ্রণ প্রকাশ করার জন্য প্রয়োজনীয় একটি কপিও বইটির পাওয়া যাচ্ছিল না। অবশেষে বহুদিন পরে একটি কপি পাওয়া যায় এবং দ্বিতীয় মুদ্রণ প্রকাশিত হয়। কিন্তু, ওখানেই ইতি। ইতিহাস-বিস্মৃত বাঙালির সিংহভাগই জানেন না কোন ভয়াবহ পরিস্থিতিতে ‘৪৬-এর সত্যকে কলমের নিবে এঁকে দিয়ে গিয়েছিলেন মনোরঞ্জন হাজরা যেখানে লেখা হয়েছে: ‘মুসলিম লিগের নেতারা প্রত্যক্ষ সংগ্রামের নামে নিরীহ, শান্ত মুসলমানকে ক্ষেপিয়ে নিজেরা আড়ালে থেকে ছেড়ে দিয়েছে তাদের পথে পথে। মারাত্মক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তারা হিন্দুর ধনপ্রাণ ধ্বংস করে বেড়াচ্ছে।’

এ কাহিনি ১৬ অগাস্টের পরবর্তী কয়েক দিনের পথের কাহিনি। অরূপকুমার দাসের “খড়ির গণ্ডি পেরিয়ে’ গ্রন্থে তারই টুকরো টুকরো ছবি যা কোলাজের মতো তৈরি করেছে একটি সম্পূর্ণ বাস্তবতাকে ইতিহাসসঞ্জাত তথ্য হিসেবে। একটু উদ্ধৃতি দিই :

মুসলমান সংখ্যাগুরু এমন একটা মহল্লায় অবস্থিত মেসবাড়িতে দাঙ্গাকারীরা তাণ্ডবলীলা চালানোর পরেও তার তিনতলার একটা তছনছ হয়ে যাওয়া ঘরে প্রাণে বেঁচে যুবক প্রবীর অক্ষত শরীরে অভুক্ত অবস্থায় অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছিল। তার বন্ধু ওসমান নানা কৌশলে দুই সম্প্রদায়ের দাঙ্গাকারীদের হল্লায় ভিড়ে থেকে থেকে সর্বত্র মিথ্যা পরিচয় দিতে দিতে এসে পৌঁছায় বন্ধু প্রবীরের সেই মেসের তেতলায়। প্রবীর এবং ওসমান ছেলেবেলায় চট্টগ্রামে একসঙ্গে পড়াশোনা করেছিল, সেই পরিচয়ই তাদের পরবর্তী জীবনে নিবিড় বন্ধুত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করে। ছ-মাস আগে ‘রশিদ আলি দিবস’-এ (১২ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৬) এসে ওসমান বন্ধু প্রবীরকে খুঁজে পেলে প্রাথমিক বিহ্বলতার পর দুজনে এই মর্মে সিদ্ধান্ত নেয় যে, তারা একসঙ্গে মৃত্যুর বিরুদ্ধে সংগ্রাম করবে। [খড়ির গণ্ডি পেরিয়ে, পৃষ্ঠা ৪২]

আর উপন্যাসের পাতায় আঁকা সেই রক্তপাত আর মানবতার আলপনা

এই প্রলয়ে হিন্দু আর মুসলমান যারা দাঁড়িয়েছে মৃত্যুর মুখোমুখি, তাদের বাঁচাবার চেষ্টা করি আয়।… মরতে যখন হবে তখন মানুষ বাঁচিয়েই যাই।’ এই আত্মদানের শপথ নিয়ে পথে বেরিয়ে পড়ে দুই ভিন্ন ধর্মাবলম্বী বাল্যবন্ধু। খণ্ডহর মেস থেকে বেরিয়ে বড়ো রাস্তা থেকে পশ্চিমমুখী আর একটা বড়গোছের রাস্তায় পৌঁছে দুই সম্প্রদায়ের মুখোমুখি সংঘর্ষ চলা অকুস্থলে পৌঁছাতে উদ্যোগী হে তারা মিলিটারির রাইফেলের উদ্যত নিশানা থেকে বাঁচতে তীব্র বেগে ছুটে অল্পের জন্য প্রাণ বাঁচায়। সংঘর্ষস্থলের প্রায় কাছে এসে প্রবীর এবং ওসমান পশ্চিম দিকের একটা গলিতে ঢুকে পড়ে।

কিছুক্ষণ ত্রস্তে বিচরণ ও গা ঢাকা দিয়ে অবলোকন করতে করতে গলির দুই মুখে দুজন দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় গলির মুখ থেকে দু- একটা লোককে ছুটতে ছুটতে বেরোতে দেখে প্রবীর বোঝে এটা হিন্দু মহল্লা। নিজেদের প্রাণ থাকা পর্যন্ত যে ব্রত পালনের শপথ নিয়ে এরা বেরিয়েছিল, এবার শুরু করে তার উদ্যাপন। আক্রমণমুখী মুসলমান দাঙ্গাবাহিনীর মধ্যে মিশে গিয়ে ওসমান তাদের বিভ্রান্ত করতে বলে, “আরে ভাই, রাস্তার ওপাশে বড়ো জোর দাঙ্গা হচ্ছে— মুসলমান ভাইদের ঘিরে ধরেছে একদল লোক। তোমরা এসো আমার সঙ্গে— আগে তাদের বাঁচাই। আ যাও ভাই— আ যাও।’ গলির অন্যদিকে আগুয়ান হিন্দু দাঙ্গাবাজ জনতাযুথের সামনে দাঁড়িয়ে প্রবীর বলে, ‘শত্রুদের আমরা তাড়িয়ে দিয়েছি। [খড়ির গণ্ডি পেরিয়ে: পৃষ্ঠা ৪৩] প্রবীর-ওসমানের কাহিনি এখানেই শেষ হয়নি। এবার দুই বন্ধুই মিলিটারির গুলি থেকে বাঁচতে ঢুকে পড়ে এক হিন্দু বাড়ির দরজায়। দরজার পাশেই ছোরা হাতে দাঁড়িয়ে ছিল এক যুবক। সে যখন জানতে পারে, প্রবীর হিন্দু আর তার বন্ধু ওসমান একটা মুসলমান তখনই সেই যুবক বলে ওঠে— ‘ও মুসলমান আর কমিউনিস্ট… দ্যাখো আর কচুকাটা করো।’

না, সে-সুযোগ ছেলেটি পায়নি। রাস্তায় নেমে আসে প্রবীর আর ওসমান। এলাকায় একটি রেসকিউ ভ্যানকে দাঁড় করিয়ে বাড়ি বাড়ি থেকে হিন্দুদের ডেকে আনে। তাদের ওই ভ্যানে তুলে দিয়ে মুক্তির নিশ্বাস ফেলে দুই বন্ধু একজন হিন্দু– একজন মুসলমান। কংগ্রেসি নয়। লিগপন্থীও নয়। মানবপন্থী।

’৪৬-এর কলকাতা দাঙ্গার এমন অনেক সত্যি ছবি লুকিয়ে আছে ইতিহাসের অন্তরালে। কিন্তু, রাজনীতির ঘোলা জলে সেই ছবিগুলো হয়ে গেছে ফ্যাকাশে, তবু ইতিহাস কথা বলে। বলেই যায় ফিসফিস করে।

ইতি অয়নায়

অধ্যায় ১৪ / ১৪

সকল অধ্যায়

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন