রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
স্তব্ধ হল দশ দিক নত করি আঁখি—
 বন্ধ করি দিল গান যত ছিল পাখি।
 শান্ত হয়ে গেল বায়ু, জলকলস্বর
 মুহূর্তে থামিয়া গেল, বনের মর্মর
 বনের মর্মের মাঝে মিলাইল ধীরে।
 নিস্তরঙ্গ তটিনীর জনশূন্য তীরে
 নিঃশব্দে নামিল আসি সায়াহ্নচ্ছায়ায়
 নিস্তব্ধ গগনপ্রান্ত নির্বাক্ ধরায়।
 সেইক্ষণে বাতায়নে নীরব নির্জন
 আমাদের দুজনের প্রথম চুম্বন।
 দিক্-দিগন্তরে বাজি উঠিল তখনি
 দেবালয়ে আরতির শঙ্খঘণ্টাধ্বনি।
 অনন্ত নক্ষত্রলোক উঠিল শিহরি,
 আমাদের চক্ষে এল অশ্রুজল ভরি।
নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন
লগইন