মুখমণ্ডলের পর্দার ব্যাপারে ওলামায়ে কেরামের ঐক্যমত্য

মুখমণ্ডলের পর্দার ব্যাপারে ওলামায়ে কেরামের ঐক্যমত্য

সারা পড়া শুরু করল– মুখমণ্ডলের পর্দার ব্যাপারে ওলামায়ে কেরামের ঐক্যমত্য।

হানাফী ওলামায়ে কেরামের অভিমত

হানাফী ওলামায়ে কেরামের অভিমত হলো, নারীদের জন্য পরপুরুষের সামনে মুখমণ্ডল খোলা রাখা জায়েয নেই। কারণ, নারীদের উন্মুক্ত মুখমণ্ডল থেকেই ফেতনার আবির্ভাব ঘটে। তারা বলেন, সমস্ত মুসলমানেরা এ বিষয়ে একমত যে, নারীদের জন্য মুখ খোলা রেখে ঘরের বাইরে বের হওয়া বৈধ নয়।

ফুকাহায়ে আহনাফের কয়েকটি অভিমত নিম্নরূপ :

ইমাম আবু বকর জাস্‌সাস রাহিমাহুল্লাহ বলেন– যুবতী নারীদের ব্যাপারে বিধান হলো, তারা পরপুরুষের সামনে চেহারা ঢেকে রাখবে এবং ঘর থেকে বের হতে হলে পূর্ণ পর্দার সাথে বের হবে। যেন দুষ্ট লোকের কুদৃষ্টি তাদের ওপর না পড়ে। (আহকামুল কোরআন, ৩/৪৫৮)

শামছুল আয়িম্মাহ সারাখসী রাহিমাহুল্লাহ বলেন– বেগানা নারীদের দেখা হারাম হওয়ার কারণ হলো তাদেরকে দেখলে পুরুষের মনে ফেতনার উদ্রেক হয়। চেহারা ও তার রূপ-লাবণ্য দেখা দেহের অপরাপর অঙ্গ দেখা থেকে অধিকতর ফেতনার কারণ হয়ে থাকে। (আল মাবসূত, ১০/১৫২)

ইমাম আলাউদ্দিন রাহিমাহুল্লাহ-এর অভিমত হলো– যুবতী নারীদের মুখাবয়ব অনাবৃত রেখে পরপুরুষের সামনে যেতে নিষেধ করা হবে।

ইবনে আবিদীন রাহিমাহুল্লাহ এই অভিমতের ব্যাখ্যায় লিখেছেন–নারীদের জন্য খোলা মুখে পরপুরুষের সামনে যেতে বারণ করার কারণ হলো। পুরুষেরা তাদের দিকে কামনার চোখে তাকাতে পারে, পরিণামে যা মহা ফেতনার ক্ষেত্র হয়ে দাঁড়াবে। (হাশিয়ায়ে ইবনে আবেদিন, ২/৪৮৮)

ওলামায়ে আহনাফ থেকে এই অভিমতও পাওয়া যায় যে, এহরাম্যবস্থায় কোনো গায়রে মাহরাম পুরুষ সামনে এসে গেলে নারীদের জন্য চেহারার পর্দা করা ফরজ। (হাশিয়ায়ে ইবনে আবেদিন, ২/৫২৮)

ইমাম তাহাবী রাহিমাহুল্লাহ বলেন– যুবতী নারীরা পরপুরুষের সামনে খোলা মুখে যেতে পারবে না। (রদ্দুল মুখতার, ১/২৭২)

ফুকাহায়ে আহনাফের আরো অভিমত জানতে হলে হাশিয়া ইবনে আবেদিন (১/৪০৬-৪০৮) ও ইবনে নুজাইমের আল বাহরুর রায়েক (১/২৮৪ ও ২/৩৮১) এবং আল্লামা আনোয়ার শাহ কাশ্মিরী রাহিমাহুল্লাহ রচিত ফয়জুল বারী (৪/২৪ ও ৩০৮) কিতাবটি অধ্যয়ন করতে হবে।

পাকিস্তানের মুফতিয়ে আজম মাওলানা মুহাম্মাদ শফী রাহিমাহুল্লাহ একজন হানাফী আলেম ও ফকীহ। তিনি লিখেছেন– সব মাযহাবের ফকীহগণ এবং অধিকাংশ উম্মতে মুহাম্মাদী এ কথার উপর একমত যে, যুবতী নারীরা পরপুরুষের সামনে চেহারা ও হস্তদ্বয় অবমুক্ত রেখে গমন করা জায়েয নেই। তবে বৃদ্ধা নারীগণ এ হুকুমের আওতাভূক্ত নন। (আল-মারআতুল মুসলিমাহ, পৃষ্ঠা : ২০২)

এতটুকু পড়ার পর সারা একটু থেমে বলল, হানাফী ওলামায়ে কেরামের একটা উক্তি আমার মধ্যে ভীষণ দাগ কেটেছে। সেটা হলো– নারীরা বেপর্দা হয়ে চেহারা খোলা রেখে চলাফেরা করলে ইতর প্রকৃতির পুরুষদের কুদৃষ্টি থেকে রেহাই পাবে না। একথার ওপর আমার এক মহিলার ঘটনা মনে পড়ে গেল। মহিলার স্বামীকে জীবিকার তাগিদে অন্য শহরে পাড়ি জমাতে হয়েছিল। তিনি তার স্ত্রী-সন্তানদেরকে একটা ফ্ল্যাটে রেখে যাবার সময় তার বড় ভাইকে দেখাশোনার দায়িত্ব দিয়ে গেল।

মহিলাটি বলেন– প্রায় প্রতিদিনই বড় ভাই আমাদের ফ্ল্যাটে আসত। আমি তাকে আমার ঘরেরই একজন সদস্য মনে করতাম এবং তার সামনে পর্দা করতাম না। প্রথম প্রথম তার আচার-আচরণ স্বাভাবিকই ছিল। কিন্তু কিছুদিন পর তিনি বিভিন্ন বাহানায় বারবার আমাদের ফ্ল্যাটে আসতে শুরু করল। আমার কাছে আমার ছোট ছোট বাচ্চারা ছাড়া অন্য কোনো মাহরাম পুরুষ ছিল না। সহসা বড় ভাইয়ের আচরণে অস্বাভাবিক পরিবর্তন অনুভব করলাম। তিনি মাত্রাতিরিক্ত হাসি-ঠাট্টা করতে লাগলেন।

আমার স্বামী ছুটিতে বাড়ী এলো। আমি দাম্পত্য কলহের ভয়ে তার কাছে এ ব্যাপারে কিছুই বললাম না। ছুটি শেষে তিনি তার চাকুরীতে ফিরে গেল। তিনি চলে যাবার পরই বড় ভাই আবার আগের মতো আচরণ শুরু করল।

আমি আমার স্বামীর কাছে কিছুই বলিনি বলে সে আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠল। এমনকি মাঝে মাঝে দুষ্টুমীর বাহানায় আমার শরীরে স্পর্শ করতে লাগল। যখন তখন হুট করে ঘরে চলে আসত। তার জ্বালায় প্রাণ আমার ওষ্ঠাগত প্রায়। একদিন বসে বসে এ যন্ত্রণা থেকে মুক্তির উপায় নিয়ে ভাবছিলাম। হঠাৎ আমার মাথায় এলো আমি যদি বড় ভাই ও অপরাপর পরপুরুষদের সাথে পর্দা করা শুরু করি তাহলে কেমন হয়? আমি স্বামীর কাছে অনুমতি চেয়ে পত্র লিখলাম। তিনি সম্মতি জানিয়ে প্রতিউত্তর পাঠালেন। আমি হিজাব পরা শুরু করলাম। পরের দিন বড় ভাই সাহেব যথারীতি ঘরে এসে আমাকে পর্দাবৃত দেখে চমকে ওঠলেন। দূরে দাঁড়িয়েই জিজ্ঞেস করলেন, আরে, এসব কি?

আমি বললাম, আমি আর পরপুরুষের সামনে চেহারা দেখাব না। আমার সাথে কোনো কথা বলতে হলে দয়া করে পর্দার আড়াল থেকেই বলবেন।

বড় ভাই মাথা নিচু করে কিছু সময় দাঁড়িয়ে থেকে নিরবে চলে গেলেন। এভাবেই পর্দার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা আমাকে সম্ভাব্য এক বড় বিপদ থেকে বাঁচিয়েছেন।

সুবহানাল্লাহ! উরাইয বলল, আল্লাহ তাআলা তো সত্যিই বলেছেন–

وَ اِذَا سَاَلۡتُمُوۡہُنَّ مَتَاعًا فَسۡـَٔلُوۡہُنَّ مِنۡ وَّرَآءِ حِجَابٍ ؕ ذٰلِکُمۡ اَطۡہَرُ لِقُلُوۡبِکُمۡ وَ قُلُوۡبِہِنَّ

‘তোমরা তার (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের) পত্নীগণের কাছে কিছু চাইলে পর্দার আড়াল থেকে চাইবে। এটা তোমাদের অন্তরের জন্যে এবং তাদের অন্তরের জন্যে অধিকতর পবিত্রতার কারণ।’ (সূরা আহযাব, আয়াত : ৫৩)

সারা পুনরায় পড়া শুরু করল….

মালেকী ওলামায়ে কেরামের অভিমত

মালেকী মাযহাবের ফকীহদের মতে নারীদের জন্য পরপুরুষের সামনে চেহারা খোলা রাখা জায়েয নেই। কারণ, খোলা চেহারাই ফেতনা-ফাসাদের সুতিকাগার। এ জন্যেই মালেকি মাযহাব মতে মুখমণ্ডল অনাচ্ছাদিত রেখে যে নারী ঘরের বাইরে বেরুতে চায় তাকে বাধা দেওয়া জায়েয আছে।

মালেকী মাযহাবের অন্যতম দুজন ফকীহ-কাযী আবু বকর ইবনুল আরাবী এবং ইমাম কুরতুবী রাহিমাহুল্লাহ বলেন, কেবল অতিশয় প্রয়োজনের সময়ই নারীদের জন্য চেহারা খোলা রাখা জায়েয আছে। আর সেই অতিশয় প্রয়োজনটি এরূপ হতে পারে যে, তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তাকে চেহারা খুলে আত্মপক্ষ সমর্থন করতে হবে কিংবা অসুস্থতার কারণে ডাক্তারের সামনে মুখাবয়ব খুলতে হবে। (আহকামুল কোরআন, ৩/১৫৭৮)

মালেকী মাযহাবের সম্মানিত ইমাম ইবনে আবদুল বার রাহিমাহুল্লাহ বলেন, এ ব্যাপারে ওলামায়ে কেরাম ঐক্যমত্যে পৌঁছেছে যে, নারীদের জন্য চেহারার পর্দা ওয়াজিব।

মালেকী মাযহাবের আরেক ইমাম বলেন, ইবনে মারযুক অত্যন্ত সুস্পষ্ট শব্দে বর্ণনা করেছেন যে, মালেকী মাযহাবের প্রশিদ্ধ অভিমত হলো–ফেতনার আশংকা থাকলে নারীদের জন্য তাদের চেহারা ও হাত ঢেকে রাখা জরুরী। (জাওয়াহিরুল আকলিল : ১/৪১)

এই মাসআলা সম্পর্কিত মালেকী মাযহাবের ওলামায়ে কেরামের আরো অভিমত জানতে হলে নিম্নোক্ত কিতাবগুলো অধ্যয়ন করা যেতে পারে–

আল মিয়ারুল মারাব (২২৯ এবং ১১/২২৬ এবং ১০/১৬৫), হাত্তাব রচিত মাওয়াহিবুল জালিল (৩/১৪১), আদ দাখিরাতুল কারাফি (৩/৩০৭), মুবারক রচিত আত তাসহিল ৩/৯৩২), হাশিয়াতুদ দুসুকি আলাল শরহিল কাবির (২/৫৫), কালামু মুহাম্মদ আল কাফি আত তিউনিসি কামা ফিস সারিমিল মাসহুর (পৃ. ১০৩) এবং আবি রচিত জাওয়াহিরুল ইকলিল (১/১৮৬)

শাফেয়ী ওলামায়ে কেরামের অভিমত

শাফেয়ী মাযহাবের ফকীহদের অভিমত হলো– ফেতনার আশংকা থাকুক বা না থাকুক নারীদের জন্য পরপুরুষের সামনে চেহারা খোলা রাখা জায়েয নেই।

শাফেয়ী মাযহাবের অন্যতম ইমাম ইমামুল হারামাইন জুওয়াইনী বলেন, নারীদের জন্য চেহারা খোলা রেখে ঘরের বাইরে যাওয়ার নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে সমস্ত মুসলমানদের মতৈক্য রয়েছে। কারণ, দৃষ্টিই ফেতনার প্রধান উৎস। (রওজাতুত তালিবিন ৭/২৪)

ইবনে রাসলান আশ-শাফেয়ী বলেন– মুসলিম নারীদেরকে মুখ খোলা রেখে বাইরে বেরুতে নিষেধ করা হবে, বিশেষ করে যখন সমাজে অসৎ লোকের আধিক্য থাকে। (আউনুল মাবুদ : ১১/১৬২)

শাফেয়ী মাযহাবেরই আরেক ইমাম হযরত মাওযেঈ বলেন–আবহমান কাল ধরে মুসলিম সমাজের চলে আসা রীতি হলো,

তারা বৃদ্ধা নারীদেরকে চেহারা খোলা রাখার অনুমতি দিয়ে থাকে। কিন্তু যুবতী নারীদেরকে এরূপ করতে দেয় না। তারা এটাকে ভালো মনে করে না। সম্ভবত কোনো নারীর জন্যেই অপ্রয়োজনে চেহারা খোলা রাখার বৈধতা নেই এবং কোনো যুবকের জন্যেও তার দিকে তাকানো দুরস্ত রাখা হয়নি। (তাইসিরুল বয়ান লি আহকামিল কুরআন : ২/১০০১)

ফুকাহায়ে শাফেয়ীর অন্যান্য অভিমত সম্পর্কে জানার জন্য নিম্নোক্ত কিতাবগুলো দ্রষ্টব্য–

এহইয়াউ উলুমুদ্দিন (২/৪৯), রওজাতুত তালিবিন (৭/২৪), হাশিয়াতুল জামাল আলা শরহিল মানহাজ (১/৪১১), হাশিয়াতুল কালয়ুউবি আলাল মিনহাজ (১/১৭৭), জারদানির ফাতহুল আলাম (২/১৭৮), বাগাভির শরহুস সুন্নাহ (৭/২৪০)

হাম্বলী ওলামায়ে কেরামের অভিমত

হাম্বলী ওলামায়ে কেরামের অভিমতও অনুরূপ যে, নারীদের জন্য পরপুরুষের সামনে চেহারা খোলা রাখা জায়েয নয়। এ ব্যাপারে ইমাম আহমদ রাহিমাহুল্লাহ এর অভিমত হলো, নারীরা ঘর থেকে বের হবার সময় তাদের শরীরের কোন অংশই যেন পরিদৃষ্ট না হয়। (আল ফুরু: ১/৬০১)

ফলাফল

ইসলাম ধর্মের অধিকাংশ আলেমদের বক্তব্য হলো– নারীদের পরপুরুষের সামনে চেহারা অনাবৃত রাখা জায়েয নেই। এ মাসআলার ব্যাপারে যে সকল ইমামগণ ওলামায়ে কেরামের ঐক্যমত্যের কথা বর্ণনা করেছেন, তারা প্রত্যেকেই অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য।

ইবনে আবদুল বার রাহিমাহুল্লাহ যাকে পাশ্চাত্যের মালেকী মাযহাবের অন্যতম আলেম হিসেবে গণ্য করা হয়। তিনি বলেছেন, ফেতনা-ফাসাদের যুগে নারীদের জন্য চেহারার পর্দা করা ওয়াজিব।

আর এ ব্যাপারে মুসলিম আলেমদের ঐক্যমত্যও রয়েছে।

শাফেয়ী মাযহাবের প্রাচ্যের ওলামায়ে কেরামের মধ্যে ইমাম নববী রাহিমাহুল্লাহও একই অভিমত ব্যক্ত করেছেন।

এ ব্যাপারে হাম্বলী মাযহাবের ইমাম ইবনে তাইমিয়া রাহিমাহুল্লাহ এর অভিমতও অভিন্ন।

হানাফী মাযহাবের খলীল আহমদ সাহারানপুরী এবং মুফতী শফী রাহিমাহুল্লাহও এ ব্যাপারে উম্মতের ঐক্যমত্যের কথা লিখেছেন।

এখন বলো, যারা বলে অধিকাংশ ওলামায়ে কেরামের অভিমত চেহারা খোলা রাখার পক্ষে–তাদের বিরুদ্ধে পেশ করার মতো আর কি দলিল বাকী আছে?

ইমামদের অভিমতগুলো খুবই তাৎপূর্ণ ছিল। মিহা তো বারবার নিজের বোরকার দিকে তাকাচ্ছিল আর কি যেন ভাবছিল। মনে হচ্ছে সে কোনো সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। কিন্তু উরাইযকে দেখে মনে হচ্ছে সে এখনো পুরোপুরি সন্তুষ্ট হতে পারেনি।

সে সারার দিকে তাকিয়ে বলল, দেখো সারা! তোমার সাথে একমত হতে পারলে ভালো লাগত। কিন্তু আমার মনে দুটি কথা ঘুরপাক খাচ্ছে, যেগুলো নিয়ে আমার অধ্যয়নও নেহায়েত কম নয়।

আচ্ছা। তো সেই দুটি কথা কি? প্রশ্ন সারার।

উরাইয বলল, প্রথম কথা হলো আজকাল চেহারার পর্দার কথা কেবল সৌদি আলেমরাই বলে থাকেন। আর দ্বিতীয় কথা হলো, চেহারার পর্দার ব্যাপারটি হলো একটি চলে আসা রীতি ও অনুবর্তনীয় বিষয়। ধর্মীয় বিধানাবলির সাথে এর কোনো সম্পর্ক নেই।

হ্যাঁ, এটা ঠিক যে, তুমি যেসব দলিল পেশ করেছ তা যথেষ্ট শক্তিশালী এবং চেহারা ঢেকে রাখার আবশ্যিকতার ব্যাপারে সুস্পষ্ট। কিন্তু সৌদি মাশায়েখ ব্যতিত পৃথিবীর অন্যান্য দেশের ওলামাগণ কি মুখমণ্ডলের ঢেকে রাখার পক্ষে ফতোয়া দিয়েছেন?

উরাইযের কথায় সারা মৃদু হেসে বলল, এই কিতাবের আরেকটি অধ্যায়ে তোমার এ প্রশ্নের সুন্দর জবাব রয়েছে। আমি তোমাকে সে অধ্যায়টি পাঠ করে শোনাচ্ছি।

সকল অধ্যায়

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন