ডিএসপির কেবিনের জানালায় হালকা রোদ পড়ছিল। টেবিলের ওপরে কিছু রিপোর্ট, একটা পেন, আর অবিনাশের সামনে বসে আছে অনুপম দারোগা।
দারোগাবাবু একটু কুঁজো হয়ে বসেছেন, হাতদুটো জড়ো করে রাখা।
ঘরে টানটান নীরবতা।
অবিনাশ চুপচাপ কফির কাপে চুমুক দিল। তার চোখ থেমে নেই — গা ছুঁয়ে না গেলেও ভিতরে ঢুকছে।
অনুপম দারোগা গলা খাঁকারি দিলেন হালকা,
“স্যার… মানে… ওই দিন ঘটনাস্থলে… আপনাকে চিনতে পারিনি, জানেন তো।
আর আপনি কিছু বললেনও না যে আপনি… ডিএসপি।
না জানলে তো কিছু কথা… এভাবে হয়েই যায়, তাই না স্যার?”
অবিনাশ মুখে মৃদু হাসির মতো কিছু আনলেও চোখে কোনও হাসি ছিল না।
তিনি ঠান্ডা গলায় বললেন,
“ঠিক আছে। আগের কথা নিয়ে মাথা ঘামাতে চাই না।
আমি শুধু জানতে চাই, আপনি কি সত্যি করে এই কেসটা তদন্ত করেছিলেন?”
দারোগা কাঁধ একটু ঝাঁকিয়ে বললেন,
“করেছি তো স্যার!
যতটুকু পারা যায়, খুব ভালোভাবে করেছি। গ্রামের মেয়েরা এমনিতেই কখনো কোথাও চলে যায়, প্রেমে পড়ে যায়, পরে ফিরে আসে… এমন তো অনেক সময় হয়!”
অবিনাশ এবার চেয়ারে হেলান দিয়ে বলল,
“তাই নাকি?
তা কি কি লিড পেয়েছেন এই কেসে?”
দারোগাবাবু একটু থামলেন।
“আসলে, সত্যি বলতে… তেমন কিছু লিড তো নেই, স্যার।
একটা মেয়েও কোনো ক্লু ফেলে যায়নি, কেউ কিছু দেখেনি…”
অবিনাশ এবার কাগজের একটা পৃষ্ঠা তুলে রাখল সামনে।
“আপনাকে তো স্পেশাল ব্রাঞ্চ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল —
রাতে কেউ একজন গা ঢাকা দিয়ে নজর রাখবে গ্রামের ওপর।
আপনি কি কাউকে নিয়োগ করেছিলেন সেই কাজে?”
অনুপমবাবু মুখ ঘুরিয়ে জানালার বাইরে তাকালেন।
“স্যার, গ্রাম জায়গা… রাতে একটু শীত শীত করে।
এইসব নজরদারি করতে লোক পাওয়াও মুশকিল হয়।
এতবড় বড় কেস হলে লোকজন তবু কাজ নেয়।
এই গ্রামে তো বললেই হয় না…”
অবিনাশ হেসে বলল,
“অসাধারণ।
আর রিমির খাতার কথা?
তার দিদি আপনাকে সেটা দেখাতে চেয়েছিল। আপনি কি সেটা দেখেছেন?”
“হ্যাঁ স্যার, একবার দেখেছিলাম।
সেরকম কিছু ছিল না — ওই ছোট মেয়ের হাতের কয়েকটা অংক ছিল, মাস্টারমশাই লাল কালি দিয়ে ভুলগুলো ঠিক করে দিয়েছেন।
ছোটদের এমন খাতা তো…”
“সেই খাতায় একটা শব্দ লেখা ছিল —
সাবজেক্ট ফাইভ ই
আপনি সেটা দেখেছিলেন কি?”
দারোগা এবার একটু গম্ভীর হয়ে গেলেন।
“দেখেছিলাম…
কিন্তু সেটা দিয়ে কী করব স্যার?
বাচ্চারা তো অনেক কিছু লিখে রাখে… কখনও খেলা, কখনও সিনেমা দেখে…”
অবিনাশ চেয়ারে একটু এগিয়ে এল, চোখে চাপা আঘাতের রেখা।
“একটা কথা বলুন তো —
রিমি নিখোঁজ হওয়ার আগে ঠিক কয়জন মেয়ে নিখোঁজ হয়েছিল এই গ্রামে?”
অনুপমবাবু মাথা চুলকে বললেন,
“চারজন।”
অবিনাশ বলল,
“তাহলে রিমি কত নম্বর হলো?”
দারোগাবাবু থেমে গেলেন।
তার চোখে ছায়া। ধীরে বললেন,
“পাঁচ নম্বর…”
অবিনাশ ঠাণ্ডা চোখে দারোগার দিকে তাকালো,
“এবার কিছু লিংক মনে হচ্ছে?”
দারোগাবাবু যেন কিছুক্ষণ কিছু চিন্তা করলেন। তারপরে কিছু বলার জন্য ঠোট ফাক করলেন কিন্তু কথাটা যেন আটকে গেল মুখে।
অবিনাশ তখন চুপচাপ বসে রইল।
মাথা না নাড়াল, হাসল না, জিজ্ঞাসাও করল না।
শুধু তাকিয়ে রইল অনুপমবাবুর চোখের দিকে।
দারোগা তখনো ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে রইলেন।
“স্যার ওই পাগলটাকে অ্যারেস্ট করলে হয় না?”
“কোন পাগলটা?”
“কয়েকদিন থেকে গ্রাম চত্বরে যেটা ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমার মনে হয় ওর এই কেসের সাথে কিছু একটা যোগ আছে স্যার।“
অবিনাশ চেয়ারে গা এলিয়ে দিয়ে বলল, “তা কেসের সাথে যোগাযোগটা বুঝে যেতে পারতেন যদি আপনি রাতে একজন আন্ডার কভার পুলিশ কর্মী নিয়োগ করে রাখতেন।“
ঠিক তখনই দরজায় একটা ধীর, কিন্তু স্পষ্ট শব্দ।
নুপুর।
তার চোখে ক্লান্তি স্পষ্ট, কিন্তু আগের সেই অগোছালো কান্নার ছাপ এখন কিছুটা স্থিরতায় বদলেছে।
সে আস্তে ঘরে ঢুকতেই দারোগা উঠে দাঁড়িয়ে এক পা এগিয়ে এল, মুখে একপ্রকার বানানো আন্তরিকতা এনে বলল,
“আরে ম্যাডাম, আপনি… আপনাদের জন্য কি এক কাপ চা আনানো যায়? কিম্বা ঠান্ডা জল কিছু…?”
অবিনাশ চেয়ারে বসে থাকা অবস্থাতেই দারোগার দিকে তাকাল —
একটা ঠাণ্ডা, কড়াভাবে বোঝানো দৃষ্টি।
একটি কথাও বলেনি, কিন্তু চোখের ভাষা ছিল
“এখানে এখন আর তোমার থাকার দরকার নেই।”
দারোগা বুঝে ফেলল।
কিছু না বলে মাথা নুইয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে গেল।
অবিনাশ এবার চেয়ার থেকে উঠে এসে পাশে রাখা আরেকটা বসার জায়গা দেখিয়ে বলল,
“বসুন… আপনি এখন কেমন আছেন?”
নুপুর ধীরে বসল। মুখটা শক্ত, চোখে আলো কম — যেন ভিতরের কিছু নিভে গেছে।
“অনেকটাই শান্ত,” সে বলল, “আমার চোখ শুকিয়ে গেছে… হয়তো কাঁদার আর কিছু বাকি নেই।”
অবিনাশ কিছু বলার জন্য শব্দ খুঁজছিল,
“তবু আমি বলতে চাই, আপনি যে শক্ত থেকেছেন—তার জন্য আমি আপনাকে সম্মান করি।
এই কেসটা ধীরে ধীরে…”
নুপুর কথার মধ্যে বলল,
“স্যার, তাহলে এই কেসটা আর হিউম্যান ট্রাফিকিং-এর কেস রইল না, তাই তো?”
অবিনাশ একটু থেমে গেল।
চোখে এক মুহূর্ত বিস্ময়, তারপর ধীরে বলল,
“আপনি বেশ বুদ্ধিমতী মেয়ে…
তবে আমি বলব, এবার আপনার নিজের জীবনে ফিরে যাওয়া উচিত।
এই যন্ত্রণার সঙ্গে সারা জীবন লড়াই করা… সহজ নয়।”
নুপুর মাথা তুলে তাকাল। তার মুখে রাগ নয়, অভিমান নয় —
একটা তীব্র চ্যালেঞ্জ যেন ভেসে উঠল।
“আমার বোনের সঙ্গে যা করেছে, তার বিচার হবে না?”
অবিনাশ মাথা নিচু করলো।
“আমরা তদন্ত করছি। সিস্টেম এর উপর একটু ভরসা রাখুন।“
নুপুর তার দিকে তাকিয়ে ছিল এমনভাবে, যেন সিস্টেম শব্দটা ওর কানে বুলেটের মতো লাগল।
“আপনিও তো দেখছি দারোগাবাবুর ভাষায় কথা বলছেন।“
অবিনাশ মুখ ফিরিয়ে নিল, কিছু বলল না।
নুপুর চুপ করে কিছুক্ষণ বসে থেকে আবার বলল,
“আপনি আমাকে অনেক ভাবে সাহায্য করেছেন।
আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা আমি ভুলব না।”
তারপর একটু থেমে, গলায় চাপা সুর এনে বলল,
“কিন্তু আমার দৃঢ় বিশ্বাস — আপনি মুখে যতটুকু বলেন, তার চেয়ে অনেক বেশি কিছু জানেন।
দয়া করে… অপরাধী যেন উপযুক্ত শাস্তি পায় — আমি সেই আশাতেই থাকব।”
সে আস্তে উঠে দাঁড়াল।
চেয়ারটায় তার ওজনের ছাপ মাত্র কয়েক সেকেন্ড রইল।
তারপর ঘরের দরজা খুলে চলে গেল —
একটা নিরব, অথচ বজ্ররুদ্ধ সিদ্ধান্ত রেখে।
অবিনাশ একা বসে রইল।
হাওয়ার দোলায় জানালার পর্দা একবার উঠল…
আর নেমে এলো — যেন একটা ক্লান্ত চেহারায় চোখ ঢেকে দিল।
ঘর, টেবিল, এবং পরিকল্পনার নিচে পাঁজরচেরা ভয়।
জেলা সদর অফিসের বড় কনফারেন্স কক্ষে এসপি সাহেবের ঘরটায় ঢোকার সময় অবিনাশ একবার ঘাড় ঘুরিয়ে নিল।
ঘরের ভিতর একটা চাপা নীরবতা।
মাঝখানে টেবিল, এসপি সাহেব নিজে বসে আছেন।
বাঁ দিকে বসে এক অচেনা, গম্ভীর মুখ — ধূসর পাঞ্জাবি, হালকা পাটের চুল। চোখে ঠান্ডা, তীক্ষ্ণতা।
স্পেশাল ব্রাঞ্চের অফিসার তন্ময় দত্ত।
অবিনাশ নমস্কার জানিয়ে চুপচাপ বসে পড়ল।
তন্ময় সোজাসুজি বললেন,
“হ্যাঁ ডিএসপি সাহেব, এখন বলুন তো… কেসের কতদূর পৌঁছেছেন? আপনি তো ঘটনাস্থলেই ছিলেন।
কী করলেন এতদিনে?”
অবিনাশ মাথা সোজা রেখে বলল,
“স্যার, সত্যি বলতে… এতদিন আমরা ভুল দিকেই ঘুরছিলাম।
আমরা ধরে নিয়েছিলাম এটা হিউম্যান ট্রাফিকিং কেস, এবং সেই অ্যাঙ্গেল থেকেই তদন্ত করে চলছিলাম।
কিন্তু যেদিন পচে যাওয়া মৃতদেহগুলো আবিষ্কৃত হল, সেদিনই স্পষ্ট হয়ে গেল —
এখানে পাচার নয়, এখানে পরিকল্পিত খুন হচ্ছে।”
এসপি সাহেব ঠোঁট চেপে বললেন,
“হুঁ… ফরেনসিক রিপোর্টে কিছু পেলেন?”
অবিনাশ ফাইল খুলে এক পৃষ্ঠা সামনে রাখল।
“সবার মৃত্যুই ঘটেছে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে।
কোনও গলায় দাগ নেই, বাহ্যিক আঘাতের চিহ্ন নেই।
একটু অদ্ভুত নয়?”
তনময় দত্ত তৎক্ষণাৎ বললেন,
“অদ্ভুত? বিষয়টা গোলমেলে, ডিএসপি সাহেব।
সবার মৃত্যুর প্যাটার্ন এক!
একই বয়সের বাচ্চা মেয়ে, কোনও শরীরী নির্যাতন নেই, অথচ হার্ট ফেল করে মারা যাচ্ছে!”
অবিনাশ এবার কাঁধ সোজা করে বলল,
“তদন্ত করতে গিয়ে আমি একটা শব্দ পেয়েছি—
‘সাবজেক্ট ফাইভ ই’
একটি বাচ্চা মেয়ের খাতার পেছনে লেখা ছিল এই শব্দটা।”
এসপি সাহেব ভ্রু কুঁচকে বললেন,
“তা থেকে কি তুমি কিছু উদ্ধার করতে পেরেছ?”
অবিনাশ গলা নিচু করে বলল,
“স্যার, কাউকে ‘সাবজেক্ট’ তখনই বলা হয়,
যখন তার উপর কোনো পরীক্ষা বা পর্যবেক্ষণ চালানো হয়।”
এইবার তনময় দত্ত ঠোঁট চেপে, সামান্য হেলে বসে বললেন,
“ঠিক তাই।
আমরা কাউকে সাবজেক্ট বলি যখন সে পরীক্ষাগারের বা গবেষণার বস্তু।
এবং এটা যদি বাচ্চা হয়… তাহলে সেটা ভয়াবহ।”
এসপি সাহেব কণ্ঠ শক্ত করে বললেন,
“তার মানে এই বাচ্চাগুলোর উপর কোনোভাবে গবেষণা চলছিল?”
অবিনাশ দৃঢ় গলায় বলল,
“হ্যাঁ, স্যার।
আমার বিশ্বাস এখানে কোন গ্যাং নয় শুধু একজন মাত্র ব্যক্তি আছে যা পুরো গ্যাংয়ের থেকেও ভয়ঙ্কর।“
তনময় দত্ত এবার চুপ করে রইলেন কিছুক্ষণ।
তারপর ধীরে বললেন,
“তুমি এখন কী করতে চাইছ?
কোনো পরিকল্পনা তো করেছ নিশ্চয়?”
অবিনাশ তাকাল জানালার বাইরে।
সূর্যটা ঠিক মাথার ওপরে। আলো আছে, কিন্তু বাতাস গরম।
“প্ল্যান করেছি, স্যার।
কিন্তু চিন্তায় আছি —
এই পরিকল্পনার ভুলচুকে কারও জীবন-মরণ হয়ে যেতে পারে।
কারওর, যে নিরীহ… অথবা… হয়তো সে নিজেই জানে না, সে কতটা বিপদে জড়িয়েছে।”
টেবিলে তখন আর কেউ কলম চালায় না।
চুপচাপ তিনজন — শুধু কথার নিচে জমতে থাকে
এক অজানা মৃত্যুর পূর্বাভাস।
রাত নামার আগেই গ্রামের রাস্তাগুলো নিঃসাড় হয়ে যায়।
নুপুর সেদিন বাড়ি ফিরছিল একা।
চারদিকে পাতার হালকা সাঁই-সাঁই শব্দ, দূরে শিয়ালের ডাক, মাথার ওপর দগদগে অন্ধকার।
হাতে ফোন ছিল, কিন্তু নেটওয়ার্ক নেই।
আকাশ মেঘে ঢাকা, আর আশেপাশে কোনও মানুষের শব্দ নেই —
শুধু পায়ের ছাপ আর নিজের নিঃশ্বাস।
ঠিক তখন…
পেছন থেকে ধপ করে একটা ঝাঁকুনি।
সে কিছু বুঝে উঠতে পারে না — মুখে কাপড় চেপে ধরা, চোখের সামনে সবকিছু ঘোলা হয়ে আসে, বুক ধড়ফড় করে ওঠে।
আর তারপর…
আলো নিভে যায়।
…
নুপুরের চোখ ধীরে ধীরে খুলছে।
ঘাড়ে ব্যথা, মাথায় যেন কেউ হাজার সূচ ফুটিয়েছে।
একটা কাঁচা কংক্রিট ঘর। ছাদের কোণে ছোট একটা কাঁচের ফুঁটো দিয়ে সামান্য আলো পড়ছে।
মেঝে স্যাঁতসেঁতে। ঘরের ভেতর একটা গন্ধ — পুরনো, ধুলো, আর পচে যাওয়া কিছু একটা।
সে নড়তে যায়… পারে না।
হাত আর পা দরজা ছাড়া লোহার চেয়ারে শক্ত করে বাঁধা।
দড়ি নয় — মোটা স্ট্র্যাপ, যেগুলো ল্যাব বা হাসপাতালে বাউন্ড পেশেন্টদের জন্য ব্যবহার করা হয়।
তার শ্বাস ধীরে ধীরে ঘন হতে থাকে।
ঠিক তখনই ঘরের এক কোণ থেকে একটা স্ফটিকের মতো গলা ভেসে এল—
“হ্যালো, নুপুর।”
ঘরের অন্ধকার একদিক থেকে একজন এগিয়ে এল।
ধীরে… নিঃশব্দ পায়ে… যেন অনেক আগে থেকেই সে এখানে ছিল, কেবল সময়ের অপেক্ষায়।
আলোতে ধীরে ধীরে মুখটা ফুটে উঠল।
পরিমল ঘোষ।
সাদা পাঞ্জাবি, চোখে একরাশ অস্বাভাবিক শান্তি —
যে শান্তি সবকিছু জানে, সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করে।
নুপুর ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে আছে।
“স্যার আপনি!”
চিৎকার করতে চায়, কিন্তু গলা যেন পাথর বেঁধে গেছে।
পরিমল একটা পুরনো কাঠের ডেস্কের পাশে গিয়ে বসলো।
হাত বাড়িয়ে একটা ডায়েরি খুলল।
ডায়েরির পৃষ্ঠার ওপরে একটা মলিন পেন চালিয়ে লিখল—
SUBJECT – 6F
তার নিচে লিখল—
Name: NUPUR BANERJEE
তারপর সে মুখ তুলে আবার তাকাল, চোখে সেই একই অবিচল শীতলতা।
“এখন থেকে তুমি, আমার পরীক্ষার ষষ্ঠ নম্বর সাবজেক্ট।”
পেছনের অন্ধকার যেন গা ঘেঁষে আসছে।
নুপুরের দৃষ্টির সামনে তখন শুধু তিনটে শব্দ ভাসছে—
Subject. 6F. Herself.
নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন
লগইন