তিন খণ্ড হাড় – বীরু চট্টোপাধ্যায়

রঞ্জিত চট্টোপাধ্যায়

তিন খণ্ড হাড় – বীরু চট্টোপাধ্যায়

বলেন কি স্যার?

বিশ্বাস করুন আর নাই করুন, ঘটনাটা প্রকৃতই তাই।

এতটা উন্নতি হয়েছে ফোরেনসিক সায়েন্সের?

মিরাকল্‌ করছে উক্ত বিজ্ঞান অপরাধী সন্ধানে।—বললেন এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোরেনসিক ডিসিনের প্রফেসর স্যার স্মিথ।

এই বলে তিনি সেই অদ্ভুত কাহিনীটি বললেন:

সীল করা পার্শেলের মধ্যে পুলিশের নোট সহ তিনটি হাড় পাঠানো হয়েছে আমার কাছে।

পুলিশ-নোটে বলা হয়েছে: এই তিনটি হাড় কায়রো নগরীর বহুদিন অব্যবহারের পর সদ্যখোলা একটি কুয়োর মধ্যে পাওয়া গেছে। হঠাৎ আবিষ্কৃত হয়েছে, পুলিশের মনে এগুলো সম্পর্কে তেমন কোন সন্দেহের উদ্রেকও হয়নি। আমার ল্যাবরেটরিতে হাড়গুলো পাঠানো হয়েছে রুটিন-পরীক্ষার জন্যে।

এগুলো কুয়োর মধ্যে পড়ে যাওয়া কোন জন্তুজানোয়ারের কঙ্কালের অবশেষ হতে পারে। পুলিশ-কর্তৃপক্ষ আমায় অনুরোধ জানিয়েছে এই বলে যে আমি যেন পরীক্ষা করে জানাই ওই হাড় তিনটি কোন জানোয়ারের, না মানুষের।

হাড় তিনটিকে ভালভাবে দেখে আমি কিন্তু পুলিশ যা জানতে চেয়েছিল, তার চেয়ে অনেক—অনেক বেশি তথ্য তাদের জানিয়ে দিলাম।

শুনলে অবাক হবেন, কত কিছু সংবাদ আমি ওই বোবা হাড় তিনটি দেখে ওদের বলেছিলাম।

বলেন কি স্যার!

তবে আর বলছি কি!—স্যার সিডনী স্মিথ মৃদু রহস্যময় হেসে বললেন, তবে বলি শুনুন।

হাড় তিনটে হল জনৈকা যুবতী নারীর।—রিপোর্টে আমি জানালাম, মেয়েটি কিছুটা বেঁটে, তন্বঙ্গী। মৃত্যুর সময় মেয়েটির বয়স ছিল তেইশ থেকে পঁচিশের মধ্যে এবং এ মৃত্যু প্রায় মাস তিনেক আগে হয়েছে।

বলেন কি স্যার! এত সংবাদ উদ্ঘাটিত হল তিনটে হাড় দেখে?

আরো আছে, শুনুন। মেয়েটি একবার কি দু’বার গর্ভবতী হয়েছিল। ওর ডান পায়ের চেয়ে বাঁ পা কিছুটা ছোট ছিল; অতএব সে একটু খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলত। শৈশবে সম্ভবত মেয়েটি পোলিও রোগাক্রান্ত হয়েছিল।

একটা শটগানের গুলিতে নিহত হয়েছিল যুবতীটি। সে গুলি মনে হয় বাড়িতে তৈরি করা গুলি। তিন গজ দূরত্ব থেকে ওপর দিকে সে-গুলি ছোঁড়া হয়েছিল। খুনী নিশ্চয়ই মেয়েটির সামনে—কিছুটা তার বাঁদিকে দাঁড়িয়েছিল বা বসেছিল।

সঙ্গে সঙ্গে মেয়েটির মৃত্যু হয়নি। সাত থেকে দশ দিন বাদে গুলি লাগা স্থান সেপটিক হয়ে মারা যায়!

এ তো অকল্পনীয় অবিশ্বাস্য মনে হয় স্যার!

স্বাভাবিক।—স্যার সিডনী স্মিথ বললেন: আমি ওই হাড় তিনটি দেখে পরীক্ষা করে উপরোক্ত কাহিনীগুলো নির্ধারণ করেছিলাম। ফলে পুলিশের টনক নড়ে, তারা তৎক্ষণাৎ সূত্র সন্ধান পেয়ে কাজে নেমে যায়।

কায়রোর পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে কুয়োর কাছাকাছি অঞ্চলে খোঁজ-খবর নিতে থাকে—এমন কোন মেয়ে নিরুদ্দিষ্ট হয়েছে কিনা যে খুঁড়িয়ে হাঁটত।

অচিরেই তারা সংবাদ পেল, একটি বেঁটে তন্বী খুঁড়িয়ে চলা বছর চব্বিশ বয়সের যুবতী কয়েক মাস আগে থেকে বেপাত্তা হয়েছে।

মেয়েটি বিবাহিতা, পরে ডাইভোর্সড হয়। একটি সন্তানের জননী। নিরুদ্দিষ্ট হবার পূর্ব পর্যন্ত নিজের পিতার কাছে বসবাস করছিল।

পিতাকে পুলিশ জেরা করে। উত্তর সন্দেহজনক হওয়াতে তাকে গ্রেপ্তার করে কন্যার হত্যাপরাধে অভিযুক্ত করে চালান দেয়।

তখন লোকটা ভেঙে পড়ে সব কথা খুলে বলে। তবে খুনের অভিযোগ অস্বীকার করে। সে জানায় যে অনিচ্ছাকৃত ভাবে দুর্ঘটনাবশত তারই গুলিতে মেয়ে প্রাণ হারায়।

বাপ বলে, আমার কুটিরের সামনে মাটিতে বসে আমার বন্দুকটা খাড়া ভাবে রেখে পরিষ্কার করছিলাম। আমার মেয়ে দাঁড়িয়েছিল দরজা ধরে। আমি জানতাম না যে বন্দুকে গুলি ভরা আছে। অকস্মাৎ চাপ পড়ে গুলি ছুটে গিয়ে ওপর পায়ে লাগে এবং ও মাটিতে পড়ে যায় রক্তাক্ত হয়ে। আমি ওকে সঙ্গে সঙ্গে বিছানায় নিয়ে শুইয়ে দিয়ে ক’দিন ধরে নার্স করি। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত হপ্তাখানেক পরে মেয়ে আমার মারা যায়।

তুমি ডাক্তার ডাকোনি কেন?—পুলিশরা তাকে প্রশ্ন করে।

ভয়ে ডাক্তার ডাকিনি স্যার। আমার শটগানের ভয়ে। ওটার জন্য আমার আশঙ্কা এই জন্যে যে শটগানের কোন লাইসেন্স ছিল না। বেআইনী আগ্নেয়াস্ত্র। মেয়ে যখন মারা গেল, তখন আরো ভয় পেয়ে গেলাম। এবার না ধরা পড়ে যাই! তাই ওর মৃতদেহটা কুয়োর মধ্যে ফেলে দিলাম। বহুদিন কুয়োটা পরিত্যক্ত ও অব্যবহার্য পড়েছিল আর ব্যবহারের সম্ভাবনাও ছিল না। শুনলাম এবার নাকি ওটাকে পরিষ্কার করে চালু করা হবে ফের। প্রমাদ গণলাম! তখন আমি ফের····

বলে লোকটা কান্নায় ভেঙে পড়ল। ভেঙে পড়বার.কথাই। গুলি চালনার ব্যাপার সম্বন্ধে সন্দেহ থাকলেও ঘটনার শেষাংশ সত্যি ছিল। এটা অবিশ্বাস করবার কোন কারণ ছিল না।

গভীর রাত্রে সে সেই কুয়োয় নেমে কন্যার শবের অবশিষ্টাংশ তুলে নিয়ে আসে। কী করুণ আর ভয়ঙ্কর কাজ এটা তা সহজেই অনুমেয়।

গ্রীষ্মপ্রধান উষ্ণমণ্ডলের দরুন শবটি সম্পূর্ণ গলিত খণ্ডবিখণ্ড হয়ে গেছিল। দুর্গন্ধে কাছে যাওয়া দায়! নাকে রুমাল দিয়ে সেই পিণ্ডাকৃতি মৃতদেহের যা পাওয়া গেল, নিয়ে গিয়ে নীল নদে বিসর্জন দিয়ে এল। সে ভেবেছিল, সমস্ত কিছু সূত্র ও চিহ্নাদি বুঝি নিশ্চিহ্ন করে ফেলেছে। কিন্তু তার অজ্ঞাতসারে সেই কুয়োর জলে পড়ে ছিল তিনখণ্ড ছোট্ট হাড়। দুর্ভাগ্য বেচারার, সেই তিনটি হাড়ই কিনা তার এই কৃতকর্মের সবকিছু উন্মোচিত করে দিল।

কোন রহস্য উন্মোচিত হলে তখন মনে হয় সেটা খুবই সহজ সরল। আরে, এই নাকি রহস্য!

এখন বলুন কিভাবে. ওই ক্ষুদ্র তিনখানা বোবা হাড় দেখে আপনি এত স্পষ্ট অপরাধ-কাহিনী উন্মোচন করে দিলেন? এ যেন মনে হয় অতীত-ভবিষ্যৎদ্রষ্টা এক প্রখ্যাত জ্যোতিষী আপনি!

না, না, জ্যোতিষবিদ্যা নয়, এ স্রেফ এই বিস্ময়কর ফোরেনসিক বিজ্ঞান, যা সাহায্য করেছে এ খুনের কিনারা করতে। তাহলে শুনুন ঘটনা:

দুটি হাড় ছিল নিতম্বের (Hip bones), তৃতীয়টি নিতম্বের একটি ত্রিকোণাকার অস্থিবিশেষ (Sacrum)। এই তিনটে যোগ করলে শ্রোণীপ্রদেশ (Pelvis) সম্পূর্ণ হয়। এই অংশের দ্বারাই নর কি নারী সবচেয়ে সহজে বোঝা যায়। এক্ষেত্রে ছিল এক নারীর হাড়। এরপর নারীটির আকৃতি ও গঠন বলা সহজ হয়ে পড়ে।

হাড়গুলো ক্ষুদ্রাকার ও হালকা, ফলে বোঝা গেল নারীটি বেঁটে এবং তম্বঙ্গী ছিল। কোন শিশুরও হতে পারত এটা, কিন্তু বয়েসটা নির্ধারিত হওয়ায় সে সিদ্ধান্ত বাতিল করা গেল।

সাধারণভাবে নিতম্ব-হাড়ের শীর্ষদেশ সংযুক্ত হয় বাইশ থেকে পঁচিশ বয়সের মধ্যে। এখানে দেখা গেল সংযুক্তিকরণ প্রায় সম্পূর্ণ হয়েছে, কিছুটা অবশ্য এখনো বাকি, অতএব আমি ওর বয়েস নির্ভুলভাবে অনুমান করে বলেছিলাম তেইশ থেকে পঁচিশের মধ্যে।

হাড়ের মধ্যে তখনও নরম কোষের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশ লেগেছিল এবং তার অবস্থা দেখে আমার অনুমান করতে অসুবিধে হল না যে, মেয়েটির মৃত্যু হয়েছে অন্তত তিন মাস পূর্বে।

হাড়ের সেই খাঁজ-কাটা অবস্থা দেখে আমি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হই যে, যুবতী অন্তত একবার গর্ভবতী হয়েছিল।

মেয়েটির খঞ্জতা বুঝতে অসুবিধে হল না। ডান দিকের হিপ-বোন (নিতম্বের হাড়) বাম দিকের চেয়ে বড় এবং ভারী ছিল। আর হাঁটুর হাড়ের মাথার গহ্বর ডান দিকে বড় ছিল। এর অর্থ হল ডান দিকের হিপ-বোনই দেহের অধিকাংশ ওজন বহন করেছে বহুদিন ধরে। ফলে বুঝতে কষ্ট হয় না যে, মেয়েটির শৈশব থেকে বাঁ পা খোঁড়া ছিল। সম্ভাব্য কারণ হল পোলিও রোগ।

মেয়েটিকে যে গুলি করা হয়েছিল, তার প্রমাণ পেলাম ডান দিকের হিপ-বোন’এর মধ্যে একটি সীসার গুলি বিদ্ধ অবস্থায় দেখে। গুলিটা এবড়ো-খেবড়ো হওয়ায় মনে হল ওটা ঘরে বানানো গুলি। খাঁজ-কাটা অবস্থার আরেকটি আঘাত দেখা গেল উক্ত হাড়েরই অপর পার্শ্বে এবং একটা ত্রিকোণাকার ফ্র্যাকচারও দেখা গেল। এতে মনে হয়, একই ধরণের গুলির আঘাতে হয়েছে তা। তাই যদি হয়, তবে আগ্নেয়াস্ত্রটি অবশ্যই হবে একটি শটগান।

আঘাতগুলোর ব্যবধান দেখে মনে হল, তিন গজ দূরত্ব থেকে গুলি করা হয়েছে। খাঁজ-কাটা অবস্থার আঘাত দেখে বুঝতে পারলাম, কোন দিক থেকে এবং কোন কোণ থেকে গুলির আঘাত এসে লাগে তার গায়ে। স্পষ্ট বোঝা গেল, গুলি সামনে, পেছনে, ওপরে এবং বাঁ দিক থেকে ডান দিক বরাবর দেহে প্রবেশ করেছে।

ওই খাঁজ-কাটা চিহ্নের আঘাত আরও একটি বস্তু প্রমাণ করল যে, মেয়েটির সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যু হয়নি। হাড়ের আঘাতের উপান্তে ক্ষয় দেখে মনে হয়, পেকে পুঁজ হয়ে গিয়েছিল। আর এই ক্ষয়ের মাত্রা দেখে মনে হয় যে, ওর প্রাণসঞ্জীবনী শক্তি সাত থেকে দশ দিন পর্যন্ত কার্যকরী ছিল। অর্থাৎ মেয়েটি গুলি লাগবার সাত-আট দিন বাদে মারা গেছে।

আঘাতের কায়দা ও অবস্থা দেখে মনে হয়, অন্ততপক্ষে একটি গুলি মেয়েটির উদরে প্রবেশ করেছিল। এই ব্যাপার এবং বীজানু সংক্রমণ দেখে মনে হয়, শেষ পর্যন্ত সেপটিক হয়ে যুবতীটি মারা যায়।

আমার এই রিপোর্ট আংশিক অনুমান দ্বারা চালিত সন্দেহ নেই। আর অনুমান ছাড়া কোন অনুসন্ধানই চলে না। পুলিশের হাতে কিছু ছিল না। তারা হাড় তিনটে পেয়ে আমার কাছে পাঠিয়েছে। আমার কর্তব্য ছিল পরীক্ষা করে এদের নির্দিষ্ট পথে পরিচালনা করা, যাতে ওরা সম্ভব হলে অনুসন্ধানকার্যে ব্রতী হতে পারে।

এক্ষেত্রে আমার অনুমান কল্পনা এবং সিদ্ধান্ত প্রায় সবই যথাযথ হয়েছে। একটিমাত্র ব্যাপারে কিছুটা ব্যতিক্রম ছিল। সেটা হল, মেয়েটির দু’পা’ই খোঁড়া ছিল। পোলিও ব্যাধি তার ডান পা’কে সম্পূর্ণ এবং বাঁ পা’কে আংশিক খোঁড়া করে দিয়েছিল।

আশ্চর্য! কি অদ্ভুত!

প্রকৃতই অদ্ভুত!—স্যার সিডনী স্মিথ স্মিতহাস্যে বলে গেলেন, ফোরেনসিক মেডিসিন হল পক্ষপাতশূন্য। আমার রিপোর্ট অপরাধী সন্ধানে ও গ্রেপ্তারে সাহায্য করেছে সন্দেহ নেই, তবে লোকটার অনিচ্ছাকৃত এ অপরাধের কথাও প্রমাণিত হয়েছে আমারই পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং রিপোর্টের দ্বারা, যার ফলে হতভাগ্য পিতা কন্যা-হত্যার অভিযোগ থেকে মুক্তি পায়।

সকল অধ্যায়

১. এই এক নূতন! – সুকুমার সেন
২. হরিদাসের গুপ্তকথা – ভুবনচন্দ্র মুখোপাধ্যায়
৩. চুরি না বাহাদুরি – নগেন্দ্রনাথ গুপ্ত
৪. হত্যাকারী কে? – হরিসাধন মুখোপাধ্যায়
৫. কৃত্রিম মুদ্রা – প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়
৬. হত্যারহস্য – দীনেন্দ্রকুমার রায়
৭. দিনে ডাকাতি
৮. বহুরূপী (বাঁকাউল্লার দপ্তর) – কালীপ্রসন্ন চট্টোপাধ্যায়
৯. চিঠিচুরি – পাঁচকড়ি দে
১০. বঙ্গের গুপ্তকথা – অম্বিকাচরণ গুপ্ত
১১. শোণিত-লেখা – অমূল্যচরণ সেন
১২. অদ্ভুত হত্যা – রজনীচন্দ্র দত্ত
১৩. গহনার বাক্স – জগদানন্দ রায়
১৪. ঘড়িচুরি – সরলাবালা দাসী (সরকার)
১৫. সখের ডিটেকটিভ – প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়
১৬. শঠে শাঠ্যং – চারু বন্দ্যোপাধ্যায়
১৭. অগাধ জলের রুই-কাতলা – হেমেন্দ্রকুমার রায়
১৮. চণ্ডেশ্বরপুরের রহস্য – মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য
১৯. কল্কেকাশির কাণ্ড – শিবরাম চক্রবর্তী
২০. সবুজ রঙের গাড়ি – মৃত্যুঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়
২১. অচিন পাখি – শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়
২২. শেষ দৃশ্য – প্রণব রায়
২৩. জরাসন্ধ-বধ – মণি বর্মা
২৪. সার্জেন্ট মুখার্জি – হেমেন্দ্র মল্লিক
২৫. একটি চলে যাওয়া দিনের গুরুতর কাহিনী – সুকুমার দে সরকার
২৬. সঙ্কেত – নীহাররঞ্জন গুপ্ত
২৭. রহস্যভেদ – আশালতা সিংহ
২৮. সন্দেহ – গজেন্দ্রকুমার মিত্র
২৯. ভয়ঙ্কর ভাড়াটে ও পরাশর বর্মা – প্রেমেন্দ্র মিত্র
৩০. স্বামীজী আর অনুকূল বর্মা – কামাক্ষীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়
৩১. একটি খুন – বিধায়ক ভট্টাচার্য
৩২. ষড়যন্ত্র – গোবিন্দলাল বন্দ্যোপাধ্যায়
৩৩. ঝাউবীথি—বেলা তিনটে – যজ্ঞেশ্বর রায়
৩৪. নীল তারা – পরশুরাম
৩৫. দুই ডিটেকটিভ, দুই রহস্য – পরিমল গোস্বামী
৩৬. নিরুদ্দিষ্ট – সুধাংশুকুমার গুপ্ত
৩৭. আর এক ছায়া – সমরেশ বসু
৩৮. আমার প্রিয়সখী – সন্তোষকুমার ঘোষ
৩৯. প্রেমলতার হাসি – নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী
৪০. ভোম্বলদাস অ্যান্ড কোম্পানি – মোহিতমোহন চট্টোপাধ্যায়
৪১. চিহ্ন – শ্রীধর সেনাপতি
৪২. নিহত একজন – আনন্দ বাগচী
৪৩. ছিপ – অদ্রীশ বর্ধন
৪৪. লাজ আবরণ – কৃশানু বন্দ্যোপাধ্যায়
৪৫. হাওয়াই চটির সন্ধানে – হিমানীশ গোস্বামী
৪৬. গোলোকধাম রহস্য – সত্যজিৎ রায়
৪৭. তদন্ত – নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়
৪৮. একটি লক্ষ্য, তিনটি খুন – আশুতোষ মুখোপাধ্যায়
৪৯. অন্তর্ধান – অমিত চট্টোপাধ্যায়
৫০. গুরুদাস খাসনবিশের মৃত্যু – তারাপদ রায়
৫১. আক্কেল দাঁত – গুরণেক সিং
৫২. গোয়েন্দা ও প্রেতাত্মা – হরিনারায়ণ চট্টোপাধ্যায়
৫৩. তিন খণ্ড হাড় – বীরু চট্টোপাধ্যায়
৫৪. মাণিকজোড় – শোভন সোম
৫৫. ত্রিশূলে রক্তের দাগ – সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ
৫৬. রত্নাকরের রক্ত চাই – প্রবীরগোপাল রায়
৫৭. কুয়াংকারের মৃত্যু – মিহির দাশগুপ্ত
৫৮. রিপুসংহার – হীরেন চট্টোপাধ্যায়
৫৯. রহস্যভেদী সদাশিব – মঞ্জিল সেন
৬০. গুরুবিদায় – নারায়ণ সান্যাল
৬১. প্রেম – মনোজ সেন
৬২. ডেডবডি – ইন্দ্রজিৎ রায়
৬৩. জানোয়ার – অমল রায়
৬৪. বিরাট ধোঁকা – কালীকিঙ্কর কর্মকার
৬৫. জগদ্দলের জগাপিসি – প্রদীপ্ত রায়
৬৬. খণ্ডপানা – সুকুমার সেন
৬৭. সদুঠাকুমার পিস্তল – প্রতুলচন্দ্র গুপ্ত
৬৮. ছারপোকা – হিমাংশু সরকার
৬৯. বাঘের ঘরে – শেখর বসু
৭০. গোয়েন্দা বরদাচরণ – শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
৭১. অনিন্দ্যসুন্দরের অপমৃত্যু – অনীশ দেব
৭২. পোড়া মোমবাতির রহস্য – সুভদ্রকুমার সেন
৭৩. হাবুল দারোগার গল্প – অত্রদীপ চট্টোপাধ্যায়
৭৪. দরজার ওপারে মৃত্যু – সিদ্ধার্থ ঘোষ
৭৫. রীতিমত নাটক – রঞ্জিত চট্টোপাধ্যায়

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন