শেষকথা

শুরুতেই অসুর উৎসব নিয়ে এত কথা বলবার কারণ যাঁরা এই উৎসব সংগঠিত করছেন তাঁরা তাদের রাজনৈতিক অবস্থান থেকেই করছেন সেই অবস্থানের ভুলত্রুটিবিচার আমার কাজ নয়, কিন্তু ২০১৭-এর একটি মামলা যেটি আবার নতুন করে সংবাদমাধ্যমে ফিরে এসেছিল, ওয়ার এন্ড পিস নামক বইটির সম্পর্কে মাননীয় বিচারপতির করা মন্তব্যের কারণে, সেই মামলার অভিযুক্ত ভেরনান গঞ্জালেস-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির পক্ষে তপশিলি জাতিভুক্ত ‘মাহার’ সৈন্যদের বামুন পেশোয়াদের বিরুদ্ধে ভীমা-কোরেগাঁও- এর যুদ্ধে জয়লাভের দ্বিশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে দাঙ্গা এবং মৃত্যুর ঘটনায় উস্কানিমূলক বক্তৃতা দেওয়া। দলিত জাতের উপর ব্রাহ্মণ্য অত্যাচার অবিসংবাদী যা আজও ভারতের পশ্চিম ও উত্তরাঞ্চলে বিভিন্ন মব লিঞ্চিং-এর ঘটনায় বারংবার সামনে আসছে। কিন্তু যেহেতু ‘মাহার’-রা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির পক্ষে ছিল তাই তারা দেশদ্রোহী আর পেশোয়ারা বামুন বলে মহান দেশপ্রেমিক, স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস গল্পের অংশ হয়ে যান। বর্তমানে উভয় পক্ষীয় রাজনীতি কিন্তু একই উদ্দেশ্য মূলক অবস্থান থেকে সংগঠিত, ‘লোক খ্যাপানো’, ‘রাজনীতি করা’ এবং ‘প্রোগ্রাম নেওয়া’ (অতীতে এই দল-দুটির পূর্বপুরুষেরা সরাসরি ওই স্বাধীনতা সংগ্রামের বিরুদ্ধাচারী ছিলেন সেকথা বাদ দিলেও)। তাই অসুর উৎসব যে-কোনো মুহূর্তে ‘হিন্দু বিরোধী’, ‘আমাদের ঘরের মেয়ে উমার সম্মান নিয়ে টানাটানি’ হিসাবে দাঁড় করানো হতে পারে। সাধারণ হেঁদু বাঙালি কোন পক্ষের কিছুই না জেনে-বুঝে পক্ষাবলম্বন করে ফেলবে। বাঙালি বামুনদের যদি দলিত শবর-পুলিন্দ-অভিপূজিতা দুর্গাকে নিয়ে যা খুশি তাই অং-বং-চংস্তুতি করে, অসুরদের শয়তান প্রতিপন্ন করে, পুজো সৃষ্টি করে জাতীয় উৎসব বানিয়ে তুলবার অধিকার থাকে, তাহলে অসুর উপজাতি বা অন্যান্য মূলনিবাসীদের-ও সেই গণতান্ত্রিক অধিকার আছে এবং সে অধিকার সাংবিধানিক অধিকার (নিজ ধর্মাচরণের স্বাধীনতা) সেটা সকলকে মেনে নিতে হবে। আমার একটা পাতি বিশ্বাসে আঘাত লাগল বলে মারমুখী হয়ে উঠলাম অথচ অন্যের বেলায় কথায় কাজে সে খেয়াল রাখি না, এটা শিক্ষা নয় বিশেষত যেখানে ভারতবর্ষের হিন্দুগিরি অবর্ণনীয় হয়ে উঠেছে, বাঙালির হিন্দুগিরি হিন্দুস্থানিরা কোনোদিন মানেনি, আজও মানবে না, নিম্নশ্রেণির পাখপাখালি অপবিত্র প্রাণী বলে ভাবত বেদের সময়, আজও সেরকমই ভাবে শুধু আমাদের অন্তর্লীন অশিক্ষাকে উসকে ‘গুড্ডু’ স্বার্থ-পূরণ হবে। যেমন গত ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ কৃষ্ণনগর শহরের উপকণ্ঠে হঠাৎ করে বলরামপুজো চালু করা হল, ফেসবুকে উদ্যোক্তা একজনের পোশাক ও বাতেলা শুনে বুঝলাম তিনি সংঘের কেউ, কৃষকদের সম্মান জানাতে নাকি এই পুজো হচ্ছে! ওদিকে গুজরাত রাজস্থানের বলভদ্র পূজা যা তাঁর জন্মতিথিতে হয়, সেটি পেরিয়ে গেছে মাসখানেক আগেই! কেষ্টার শহরে রাম তেমন কল্কে পাচ্ছে না হয়তো, তাই দাদা বলরাম, এক ঢিলে দুই পাখি, এক দিকে ‘বলো রাম’, অন্যদিকে বলরাম তো সর্বদা ‘মাতাল’ দেবতা। এই রাস্তার ধারে চুলকানির ওষুধ কিংবা মাদুলি বেচতে মজমায় ভূত-পিশাচ নামানোর মতো রাজনীতি করতে হলে দেবতা নামানো আদি ভারতীয় ঐতিহ্য, অন্তত ইতিহাস সেকথাই বলে। তাই বর্তমানের এসব ইতিহাস পরিচ্ছন্নভাবে উল্লিখিত থাকা প্রয়োজন।

একটা কথা বাঙালিকে খুব পরিষ্কার করে বুঝে নিতে হবে, আমরা ভারতবাসী, আমাদের দেশের নাম ভারতবর্ষ—হিন্দুস্তান নয়, আমরা ‘হিন্দুস্থানি’ নই। হিন্দুস্থানি একটি উত্তর-ভারতীয় ভাষা বা ভাষাগোষ্ঠী, চিরকাল আমাদের কথোপকথনে এই অর্থেই ব্যবহৃত হয়েছে, এখনো হয়। আমাদের দেশ ভারতবর্ষ, বিভাষায় ‘হিন্দ’ কিংবা ‘ইন্দ’ থেকে ইন্ডিয়া, কিন্তু পাকিস্তান-এর বিপরীত, এই অর্থ-প্ৰযুক্ত হিন্দুস্তান নয়। আমাদের দেশপ্রেম ভারতবর্ষের প্রতি (প্রাচীন ও আধুনিক) হওয়াই বাঞ্ছনীয়, হিন্দুস্থান নামক হিন্দি ভাষাভিত্তিক বা শুধুমাত্র সাম্প্রদায়িক হিন্দুদের বাসস্থান হিন্দুস্থানের প্রতি নয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিয়ো দেখে আর প্রোপাগান্ডা পড়ে যেসব বাঙালি হঠাৎ মহাজ্ঞানী হিন্দু দেশপ্রেমিক হয়ে উঠেছে তাদের নিরস্ত করা এখনো যারা বইপত্র ও পত্র-পত্রিকা পড়েন তাঁদেরই কর্তব্য। আমাদের ভারতবর্ষীয় সভ্যতা অজস্ৰ জাতি আর ধর্মীয় সম্প্রদায়ের সমাহার। লক্ষ লক্ষ ধর্মীয় সম্প্রদায়কে বিদেশিদের দৃষ্টিভঙ্গি অনুকরণ করে একই ‘হিন্দু’ নামে ডেকে নোংরা রাজনীতি বন্ধ হোক। আমরা বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষ প্রচুর শাস্ত্রীয় বাকবিতণ্ডা হাজার হাজার বছর ধরে করে আসছি, করব—একে অপরের চেয়ে উন্নত প্রমাণ করার জন্য হাস্যরসাত্মক তার্কিক প্রকাশ চালু রাখব। কিন্তু সেইসব জয়ী-পরাজিত-বিজয়ী-বিজিত একসঙ্গে সম্মিলিতভাবে ভারতবাসী হয়ে থাকব, সেটাই আমাদের প্রাচীন ও আধুনিক সংবিধানের ফেডারাল স্ট্রাকচার। নব্য হিন্দু দেশপ্রেমিক দাঙ্গাবাজরা হয়তো ভুলে যান ভারতীয় সভ্যতার পুরাতনত্ব যে সিন্ধু-নগরীগুলি দ্বারা প্রত্নতাত্ত্বিকভাবে প্রমাণিত হয়, সেগুলির অধিকাংশ পাকিস্তানে ও আফগানিস্তানে অবস্থিত। ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতার নোংরা রাজনৈতিক প্রচারে অন্ধভাবে সেই রাষ্ট্রগুলিকে বাচিক আক্রমণে নীচু দেখানোর প্রচেষ্টা বা শূন্যগর্ভ পরমাণু বোমার ভয় দেখানোর একটাই অর্থ এই সভ্যতার আদি ভূখণ্ড বা দেশকে অপমান, সেটা দেশপ্রেম তো নয়ই, ঐতিহাসিক দেশদ্রোহিতা। এই দেশদ্রোহীদের শিক্ষার প্রয়োজন, যে-শিক্ষা শিক্ষকের ছড়ির-ঘা-সহ ঘটতে পারে, একবিংশ শতাব্দীর আধুনিক শিক্ষা পদ্ধতির ন্যাকামো দিয়ে নয়। সেই আধুনিক ন্যাকামির ফসল হল এই বৈজেপিক দেশপ্রেম। হ্যাঁ ফসল, আগাছা নয়। এটা যত দ্রুত তথাকথিত বিজ্ঞানমনস্ক বিজ্ঞানপন্থী, বাজার অর্থনীতি বাহিত আধুনিক ঔপনিবেশিকতার দাস, মুখেন মারিতং জগৎ, ফেসবুকিয়া বিরোধী বুদ্ধিজীবীরা বুঝবেন ততই মঙ্গল। বেদ উপনিষদ পুরাণ ইতিহাস কিছুই না বুঝে, না-জেনে, ‘ধর্ম হল আফিম মার্কা’ হিন্দুত্ববাদের সমালোচনায় কার্যকরী কিছুই সম্ভব নয়, চাড্ডি-মাকু-ছাগু ইত্যাদি বিশেষণে পারস্পরিক খিস্তিবাজিতে ধর্মবিদ্বেষে ইন্ধন জোগানো ছাড়া। পৃথিবীকে বদলাবার চেষ্টা করতে গেলে আগে তাকে বুঝতে হবে উনিশ- বিশ শতকি নির্বোধের মতো স্লোগানবাজিতে কাজ হবে না। অপরপক্ষীয় বা বর্তমানের ক্ষমতাসীনদের, নীচতা-ছলনা-কাপট্য অবিকল দেবতাদের ক্ষমতা ধরে রাখবার চক্রান্তের মতোই তার ফলে সাময়িক সাফল্য আসতেই পারে, কিন্তু সেই গল্প ছলনা কাপট্য হিসেবেই রয়ে যাবে সনাতন ভারতবর্ষীয় অধিকাংশ মানুষের কালেক্টিভ আনকনসাসে এবং তার প্রয়োগ ঘটবে ভবিষ্যতে যথাসময়ে পুরাকাহিনি বিশ্লেষণের নবতর তত্ত্বের আলোকে। এমনকি এঁদের গুরুদেব সাভারকার পরিষ্কারভাবে হিন্দুত্ব ও হিন্দু ধর্মের ফারাক বুঝিয়ে গেছেন লিখিতভাবে, হিন্দুত্বকে তিনি বলেছেন (not Hinduism-Hinduness) কালচার বা কুলাচার বা সভ্যতা এবং তিনি ভারতীয় সভ্যতার উৎস সিন্ধু সভ্যতা ধরেই হিন্দু সভ্যতায় উপনীত হন, অতএব সাধু সাবধান। বাঙালি হিন্দু, সাধারণ ধর্ম বা ঠাকুর-দেবতা বিশ্বাসী তথাকথিত সাধারণমানুষ, যাঁরা আছেন তাঁদের মানতে হবে ভদ্রকালীর আশীর্বাদে মহিষাসুর আমাদের পূজনীয়। যতদিন মহিষাসুরমর্দিনী পুজো থাকবে ততদিন তাঁর পূজা থাকবে। আপনি যখন মূর্তিকে প্রণাম করেন, মহিষাসুরকেও করেন দেবীর আদেশে। সনাতন ধর্মের মধ্যে ভালো/ মন্দ, আলো/কালো, ঈশ্বর/শয়তান এই বাইনারি অপোজিট, একপেশেমির কোনো জায়গা নেই। আমরা মহিষাসুরকে প্রণাম করি, ‘দসেরা’য় রাবণ পোড়ানো আমাদের আচার নয়। কৃত্তিবাসী রামায়ণ-এ রাবণ রামের ভক্ত শুধু নন, যুদ্ধ পর্যন্ত করতে চাননি। শেষ যুদ্ধে যখন রাম মৃত্যুবাণ প্রয়োগ করতে যাবেন, তখন নিজ ভক্তরূপ রাম সমক্ষে প্রকাশ করে সীতাকে ফেরত দিতে সম্মত হন। দেবতাদের চক্রান্তকে শেষ রূপ দিতে পবন উন্মাদ-বায়ু হিসেবে তাঁর উদরে প্রবেশ করেন, ফলে আবার ঘুরে রামকে গালাগালি দিতে দিতে ফিরে আসেন। “আজি যদি রাবণ রাজা না হইল সংহার। কোটি রাম কালি কি করিবে উহার।। রামের ঠাঁঞি রাবণের রহিলো জীবন। স্বর্গবাসে থাকিতে নারিবে দেবগন।। সীতা আনিতে যায় রাজা লঙ্কার ভিতর। উন্মাদ বায়ু যাহ রাবণের উদর।। ফিরিয়া রামেরে তবে ভৎসুক রাবণ। তবে সে লইবে রাম তাহার জীবন।।” যারা আজও রাবণ পোড়ায়, তারাই মডার্নিস্ট ফ্যাসিস্ট কায়দায় সেই ধর্মকে ব্যবহার করে ‘দ্য বানালিটি অভ ইভিল’ উৎপাদন করে, সেরা যোদ্ধা অর্জুন কৃষ্ণের ‘নিমিত্তমাত্র’ হতে পারেন, আপনার আমার মতো ‘আত্মাকল্যাণে’রা নয়, তাই কারণে অকারণে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিদ্বেষপ্রসূত বাত্তেলা লাইক শেয়ার বন্ধ করুন।

মনে রাখতে হবে মহিষাসুর প্রণম্য, তিনি বীর, বারংবার বিজয়ী এবং যথাযথ যোগ্যতায়। কোনো দেবতা একক বা সম্মিলিতভাবে তাঁর সমকক্ষ ছিলেন না, তাঁর জন্ম হয়েছিল দেবরাজ ইন্দ্রের অন্যায় আচরণের প্রতিশোধ নিতে (তপস্যারত জ্যেষ্ঠতাত-কে ছদ্মবেশে খুনের বদলা) এবং সেই বীরত্বেরও কৃতিত্ব নিয়ে রেখেছেন অগ্নি অথবা ব্রহ্মা এবং অবশ্যই শিব। মনে রাখবেন আপনি যখন দুর্গামূর্তিকে প্রণাম করেন, মহিষাসুরকেও করেন দেবীর আদেশে, কেননা কিছু পুরাণ অনুসারে তিনিই স্বয়ং শিব। অতএব মহিষাসুরকে আব্রাহামিক ধর্মের প্রভাবে ‘শয়তান’ ঠাওরাবেন না, অশুভ-শক্তির উপর শুভ-শক্তির বিজয় জাতীয় ভক্তিবাদী নিম্ন মেধার কেরেস্তানি-বেম্ম-বামুনে তত্ত্বে কান দেবেন না। বাস্তবে দেখুন বিজয়ী হলেই শুভ হয় না, মহিষাসুর সতেরো বার দেবতাদের পরাজিত করেছেন তাহলে তো তিনিই বেশি শুভকর প্রমাণিত হতেই পারেন। আরও আশ্চর্যের বিষয় তিনি সতেরো বার দেবতাদের পরাজিত করেও প্রধান দেবতা কাউকে হত্যা করেননি। দেবতারা অমর নন, তাঁদের জন্ম আছে, যৌবন আছে, মৃত্যু আছে। অমৃতের প্রভাবে জরা নেই মাত্র, এটি শাস্ত্র বাক্য। হয়তো যুদ্ধের ধরন অন্য ছিল, স্বর্গ শাসনের অধিকার পাওয়া যেত ভোটযুদ্ধের মাধ্যমে, নইলে সবাই দিব্যি বেঁচে রইল কীভাবে! ঋগ্বেদে বারংবার অসুরদের প্রণাম জানানো হয়েছে নেতা হিসেবে। পরাজিত হলেও যোগ্য প্রতিস্পর্ধী বিরোধী, গণতন্ত্রের সম্পদ। তিনি এক বৃহৎ অংশের মতামতের প্রতিনিধিত্ব করেন, তাঁকে সম্মান দিন, প্রণাম করুন। সাধারণ মানুষ তো আমরা, আমাদের উপকার হবে, স্রেফ ভোটার বা আধার কার্ডের নম্বর নয়, মানুষ হয়ে উঠতে পারব, যা আমাদের পিতামহগণ হয়ে উঠতে বলেছিলেন, আশীর্বাদ করেছিলেন। শিবমস্ত। শুভমস্ত।।

.

এই লেখার শেষে গ্রন্থপঞ্জি ও তথ্যসূত্র নির্দেশ করতে গেলে সম্ভবত লেখার চেয়ে দীর্ঘ হয়ে যাবে, যাঁদের উদ্ধৃতি রয়েছে তাঁদের বইয়ের নাম সেখানেই উল্লেখ করা হয়েছে। তাই অক্লেশে লিখে দেওয়া যেতে পারে, “যোগবলে প্রাপ্ত অধীত বিদ্যা তথা যেমত ‘দর্শন’ করিয়াছি তাহা লিপিবদ্ধকরণের পাপপ্রচেষ্টা, রৌরবে পতন অবধারিত জানিয়াও ভরসা এই যে ব্রহ্ম নির্বিকার।”

একথা গোপন থাকুক, শ্রাবণ মাসের শেষ সোমবার ইদুজ্জোহার দিন বিকারী বর্ষ বালব করণে তৈতিল যোগে স্বপ্নে স্বয়ং ভোলেবাবা এসে ‘লেখ লেখ দরকার আছে’ বলে বাড় খাইয়ে গেছিলেন!

***

অধ্যায় ৯ / ৯

সকল অধ্যায়

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন