উদাসী রাজকুমার – ১.৮

সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়

মহারাজ মহাচূড়ামণিকে কেউ জাগাল না, তিনি নিশ্চিন্তে মহা আরামে একটানা ঘুমোলেন বাইশ ঘণ্টা। তিনি জাগলেন অনেক রাতে। 

জাগার কিছুক্ষণ আগে তাঁর ছটফটানি দেখেই দাসদাসীদের মধ্যে সাড়া পড়ে গিয়েছিল। রান্নাবান্না সব তৈরি হয়ে গেল তাড়াতাড়ি। মস্ত বড় এক ঘটি জল নিয়ে একজন দাসী দাঁড়িয়ে রইল তাঁর শয্যার কাছে। 

মহারাজ উঠে বসে সবটা জল খেয়ে নিয়ে তৃপ্তির সঙ্গে বললেন, “আঃ!” 

বেশ ভাল ঘুম হয়েছে, তাঁর মনটা প্রসন্ন আছে। খিদেও পেয়েছে বেশ। হাত-মুখ ধুয়ে তিনি আহারে বসে গেলেন। অন্য দিনের চেয়ে বেশিই খেলেন অনেকটা। 

খাওয়া শেষ করার পর তিনি প্রকাণ্ড একটা ঢেকুর তুললেন। তাতে বোঝা গেল, আজকের খাওয়াদাওয়া বেশ পছন্দ হয়েছে তাঁর। ঠিক বাঘের গর্জনের মতন হাউ-উ-হাউ-উ করে তিনি ঢেকুর তুললেন আরও কয়েকবার। 

এবার তাঁর স্নান করার পালা। 

কিন্তু সন্ধেবেলা খুব একচোট বৃষ্টি হয়ে গেছে বলে বাতাস ঠাণ্ডা হয়ে গেছে। একটু যেন শীত-শীত ভাব। মহারাজ স্নান করার খুব একটা গরজ অনুভব করলেন না। 

হঠাৎ তাঁর খেয়াল হল, প্রাসাদটি বড় বেশি নিঃশব্দ। দাসদাসীরা ঘোরাফেরা করছে, কিন্তু তাদের মুখগুলো থমথমে। কেউ কোনও কথা বলছে না। শুধু নীরবে আদেশ পালন করে যাচ্ছে। অবশ্য মহারাজ নিজে কিছু জিজ্ঞেস না করলে কারও কিছু বলার কথাও নয়। কিন্তু কারও মুখে একটু হাসিও নেই। 

রাজ্যে আবার কোনও বিপদ হল নাকি? 

মহারাজ মহাচূড়ামণি হাঁক দিলেন, “মহামন্ত্রী!” 

একজন দৌবারিক দরজা দিয়ে উঁকি মারতেই মহাচূড়ামণি আবার বললেন, “মহামন্ত্রী কোথায়? তাঁকে ডেকে আনো! তিনি ঘুমিয়ে থাকলেও তাঁকে তুলে আনবে।” 

দৌবারিক মাথা চুলকে কিছু বলতে গেল। তারপর কিছু না বলেই দৌড়ে গেল পেছন ফিরে। একটুক্ষণের মধ্যেই সে ডেকে আনল নগর কোটাল বীরবাহুকে। 

মহাচূড়ামণি তখন তাঁর হিরণ্যক নামে বিশাল তরবারিখানা খাপ থেকে খুলে ধরে ধার পরীক্ষা করছেন। বীরবাহুকে দেখে ভুরু কুঁচকে বললেন, “তুমি এলে কেন?” তোমাকে তো ডাকিনি। মহামন্ত্রী জীবককে খবর দিতে বলেছি।” 

বীরবাহু আমতা-আমতা করে বলল, “মহারাজ, তিনি তো নেই!” 

মহাচূড়ামণি বললেন, “নেই মানে? কোথায় গেছেন? আমার হুকুম ছাড়া মহামন্ত্রী অন্য কোথায় গেলেন?” 

বীরবাহু বলল, “আজ্ঞে মহারাজ, তিনি কোথাও যাননি। আপনিই আদেশ দিয়েছিলেন যে তাঁকে…” 

মহাচূড়ামণির এবার মনে পড়ল। তিনি মুচকি হেসে বললেন, “ওঃ হো, আমি আদেশ দিয়েছিলাম তাঁকে কারাগারে নিক্ষেপ করতে। তিনি একজন মিথ্যুক! তা কারাগারে অখাদ্য খেয়ে তাঁর যথেষ্ট শাস্তি হয়েছে। এবার তাঁকে ছেড়ে দাও। এখানে নিয়ে এসো!” 

বীরবাহু বলল, “মহারাজ, তিনি বেঁচে নেই!” 

মহাচূড়ামণি এবার খুব বিরক্ত হয়ে বললেন, “বেঁচে নেই মানে? এক রাত্তির কারাবাস করেই তিনি মরে গেলেন? তাঁকে আমি শূলে চড়াবার ভয় দেখিয়েছিলাম। শুধু ভয়ই দেখিয়েছিলাম, সত্যি-সত্যি কি আর মারতাম! এর মধ্যেই তিনি ভয়ে মরে গেলেন? তিনি এত কাপুরুষ! ছিঃ!” 

বীরবাহু বলল, “তিনি এমনি-এমনি মরে যাননি। নিহত হয়েছেন!”

“নিহত হয়েছেন? জীবককে. কে হত্যা করল? এক্ষুনি সেই হত্যাকারীকে ধরে আনো আমার কাছে!” 

“মহারাজ, কে খুন করেছে তা এখনও ধরা যায়নি।” 

“তুমি নগর কোটাল, তুমি একটা খুনিকে ধরতে পারোনি। তুমি অপদার্থ! তুমি নিষ্কর্মার ঢেঁকি! তোমাকেই শাস্তি দেওয়া উচিত! তোমাকে আমি…তোমাকে আমি…” 

মহারাজ উঠে দাঁড়িয়ে তলোয়ারখানা তুললেন। মনে হল যেন তিনিই এখুনি এক কোপে বীরবাহুর মুণ্ডুটা কেটে ফেলবেন! 

এদিক-ওদিক তাকাতে তাকাতে মহাচূড়ামণি বলতে লাগলেন, “তোমাকে আমি এমন শাস্তি দেব, এমন শাস্তি,… যাও, আজ থেকে তুমি মহামন্ত্রী হয়ে গেলে! তুমি নগর কোটাল থাকার যোগ্যই নও!” 

বীরবাহু হাসবে না কাঁদবে ভেবে পেল না। এই নাকি শাস্তি? নগর কোটালের থেকে মহামন্ত্রী পদ অনেক উঁচুতে! 

মহাচূড়ামণি বললেন, “বীরবাহু, এই মুহূর্ত থেকে তুমি মহামন্ত্রী হলে! এবার বলো তো রাজ্যের অন্যান্য খবর?” 

বীরবাহু গদ্‌গদ কণ্ঠে বলল, “মহারাজ, আপনাকে শতকোটি প্রণাম। আপনি আমাকে যে গুরু দায়িত্ব দিলেন তা আমি যথাসাধ্য পালন করব। আপনি জেগে উঠলেই রাজপুরোহিত ছম্ভী একবার দেখা করতে চেয়েছেন।” 

মহাচূড়ামণি বললেন, “প্রথম দায়িত্বটাই তো পালন করোনি দেখছি! আমি অনেকক্ষণ জেগে উঠেছি, তবু রাজপুরোহিতকে খবর দাওনি? যাও!” 

বীরবাহু দৌড়ে চলে গেল, আবার ফিরে এল একটু পরেই। হাঁফাতে হাঁফাতে বলল, “মহারাজ, রাজপুরোহিত ছম্ভী এখন যজ্ঞে বসেছেন!” 

মহারাজ মহাচূড়ামণি একবার দাঁত কিড়মিড় করলেন, রাজপুরোহিত যখন যজ্ঞ করতে বসেন, তখন কেউ তাঁকে ডাকতে পারে না। এমনকী রাজার আদেশেও তিনি যজ্ঞ ছেড়ে উঠে আসতে বাধ্য নন। এ-রাজ্যে এরকমই নিয়ম। 

একটুক্ষণ চিন্তা করে মহারাজ বললেন, “চলো, আমি যজ্ঞশালায় যাব!”

লম্বা-লম্বা পা ফেলে তিনি প্রাসাদ থেকে নেমে এলেন। রাজসভার পাশেই যজ্ঞশালা। এই সময় কোন যজ্ঞ হবার কথা, তা মহাচূড়ামণির মনে পড়ল না। অবশ্য রাজপুরোহিত যখন-তখন যজ্ঞের ব্যবস্থা করতে পারেন। 

যজ্ঞশালায় একটি কুণ্ডের মধ্যে দাউ-দাউ করে আগুন জ্বলছে। সেখানে আর কোনও পুরোহিত নেই, বিশেষ কিছু আয়োজনও নেই, শুধু ছম্ভী একা মন্ত্ৰ পাঠ করে চলেছেন। 

রাজা এসে বসলেন ছম্ভীর পাশে। বীরবাহু একটু দূরে হাত জোড় করে দাঁড়িয়ে রইল। 

ছম্ভী ঘাড় ঘুরিয়ে দেখলেন রাজাকে, কিন্তু মন্ত্রপাঠ থামালেন না। অনেকক্ষণ ধরে চলল সেই যজ্ঞ। তারপর এক সময় তিনি ভূমিতে মাথা ঠেকিয়ে প্রণাম করলেন। 

মহারাজ একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললেন, “ওঃ! কী লম্বা-লম্বা শ্লোক আপনি মুখস্থ রাখতে পারেন। মনে হচ্ছিল যেন সারা রাত্রিতেও আপনার যজ্ঞ শেষ হবে না!” 

ছম্ভী গম্ভীর কণ্ঠে বললেন, “এ রাজ্যের মঙ্গলের জন্যই আমি যজ্ঞ করছিলাম। মহাবাজ, এ-রাজ্যে আবার বিপদ ঘনিয়ে এসেছে।” 

মহাচূড়ামণি বললেন, “রাজ্য চালাতে গেলে পদে পদে বিপদ ঘটবেই। আমার মাথায় এই যে স্বর্ণ মুকুট, তা আসলে কাঁটার মুকুট, তাই না! তবে, কোনও বিপদকেই আমি ভয় পাই না। মহারানি তলতাদেবীর বুদ্ধি আর আমার বাহুবলে সব বিপদকেই জয় করতে পারি। রাজপুরোহিত, আপনি শুনেছেন কি, এ-রাজ্যের ভূতপূর্ব মহামন্ত্রী জীবককে কেউ খুন করেছে?” 

ছম্ভী বললেন, “হ্যাঁ শুনেছি। তিনি গুপ্ত ঘাতকের হাতে নিহত হয়েছেন।” মহারাজ বললেন, “কে তাঁকে খুন করল? কার আদেশে মারল? আমি মহামন্ত্রীকে শূলে চড়াবার ভয় দেখিয়েছিলাম মাত্র। আমি জেগে ওঠার আগে তো তাঁকে মারার কোনও কথা ছিল না!”

ছম্ভী বললেন, “জীবক নিশ্চয়ই কোনও গোপন কথা জানতেন। সেই জন্যই কেউ তাঁকে সরিয়ে দিয়েছে।” 

মহারাজ বললেন, “বীরবাহু, কাল দুপুরের আগেই আমি সেই হত্যাকারীকে দেখতে চাই।” 

তারপর তিনি ছম্ভীর দিকে ফিরে জিজ্ঞেস করলেন, “আপনি রাজ্যের কোন্ বিপদের কথা বলছেন?” 

ছম্ভী হাতের ইঙ্গিতে বীরবাহুকে সেখান থেকে চলে যেতে বললেন। তারপর একটা প্রসাদের ফল রাজার হাতে তুলে দিলেন। 

মহারাজ বললেন, “আমি আজ এত ভোজন করেছি যে আর একটা ফল খাওয়ারও জায়গা নেই পেটে। এটা আমি মাথায় ঠেকিয়ে রাখলাম। এবার আপনার বিপদের খবর বলুন।” 

ছম্ভী ধীর গম্ভীর স্বরে বললেন, “মহারাজ, বিপদের সংবাদ দুটি। প্ৰথমটাই আগে বলি। চম্পক বিদ্রোহ করেছে।” 

মহারাজ খুবই অবাক হয়ে বললেন, “চম্পক? সে আবার কে?” 

ছম্ভী বললেন, “চম্পককে চিনতে পারছেন না? আপনার সেনাপতি। যাকে আপনি সেনাপতির পদ থেকে ছাড়িয়ে আপনার জুতো পরাবার কাজ দিয়েছিলেন!” 

মহারাজ ভুরু নাচিয়ে বললেন, “সেই চম্পক?” 

সঙ্গে-সঙ্গে তিনি আকাশ ফাটিয়ে হা-হা করে হেসে উঠলেন। এমন মজার কথা যেন তিনি জীবনে শোনেননি। হাসির দমকে তাঁর সারা শরীর কাঁপতে লাগল। 

তারপর তিনি বললেন, “ওই ননীর পুতুল চম্পক! সে তো যুদ্ধ করতেই জানে না! সে আবার বিদ্রোহ করবে কি?” 

ছম্ভী বললেন, “সে অনেক পাহাড়ি সৈন্য সংগ্রহ করেছে। তাদের নিয়ে উত্তর দিকের জঙ্গলে ঘাঁটি গেড়ে বসেছে।” 

মহারাজ বললেন, “ওই ছুঁচোটার বুঝি মরার সাধ হয়েছে? আমার নামে উত্তরে সব ক’টি রাজ্য ভয়ে কাঁপে, আমার সঙ্গে লড়াই করবে ওই ছুঁচোটা? ওকে আমি কচু-কাটা করব। ওর মুণ্ডুটা কেটে ফেলে তা নিয়ে আমি গেণ্ডুয়া খেলব। ওর হাত-পা টুকরো টুকরো করে চিতাবাঘ দিয়ে খাওয়াব। না, না, এতেও ওর ঠিক শাস্তি হবে না, ওই ফর্সা মর্কটটাকে ধরে গলায় শিকল বেঁধে নিয়ে আসব, ওকে দিয়ে আমার জুতো পরাবার কাজটাই করাব। প্রত্যেকদিন ও জিভ দিয়ে আমার জুতো চাটবে।” 

ছম্ভী বললেন, “মহারাজ, তার বেশ কিছু দুর্ধর্ষ সৈন্য আছে। আপনি তো জানেন, পাহাড়ি জাতির যোদ্ধারা যুদ্ধক্ষেত্রে প্রাণ দিতেও রাজি, তবু তারা কখনও ভয়ে পালায় না!” 

মহারাজ বললেন, “তারা আমাকে দেখে ভয় পাবে। কত সৈন্য সংগ্রহ করেছে চম্পক? এক হাজার, দু’ হাজার! বীরবাহু কোথায় গেল! এক্ষুনি আমার সৈন্য সাজাতে বলো! এই দণ্ডেই আমি যুদ্ধযাত্রা করব!” 

মহাচূড়ামণি তাঁর বুকে চাপড় মারতে মারতে বললেন, “যুদ্ধ করতেই আমার ভাল লাগে! একবার বেরোলে চম্পকটাকে তো শেষ করবই, আরও দু’-একটা রাজ্য জয় করে আসব। মহারানিকে একটা খবর দিতে হবে। তিনি নিশ্চয়ই এখন ঘুমিয়ে আছেন। একবার তাঁকে বলে না গেলে দুঃখ পাবেন।” 

ছম্ভী বললেন, “মহারাজ, এখনও আপনি দ্বিতীয় বিপদের সংবাদটা শোনেননি!” 

মহাচূড়ামণি বললেন, “ও, আর একটাও আছে নাকি! আর কেউ বিদ্রোহ করেছে? বলুন, বলুন, তার কথাও বলুন!”

ছম্ভী তাঁর উত্তরীয়ের তলা থেকে একটা রেশমের কাপড়ের পত্র বার করলেন। তারপর একটা বিষণ্ণ দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললেন, “এটা পড়ে দেখুন, মহারাজ।” 

মহাচূড়ামণি অস্থির ভাবে বললেন, “ও-সব লেখাপড়ার ব্যাপার তো আপনাদেরই। আমি কি পড়তে জানি! আপনিই পড়ে শোনান!”

ছম্ভী বললেন, “মহারাজ, এটা পড়তে আমার খুবই সঙ্কোচ হচ্ছে। আপনি আমার ওপর ক্রুদ্ধ হবেন না! এই পত্র পাঠিয়েছে চম্পক। সে লিখেছে যে সে এই রাজ্যের লক্ষ্মী, প্রজাদের পরম শ্রদ্ধার মহারানি তলতাদেবীকে বন্দী করেছে!” 

কথাটা যেন মহারাজ বুঝতেই পারলেন না। তিনি কপাল পর্যন্ত ভুরু তুলে বললেন, “মহারানিকে বন্দী করেছে? তাঁকে পেল কোথা থেকে? আপনি যে বললেন, সে উত্তর সীমান্তের জঙ্গলে শিবির ফেলেছে? মহারানি তো রাজপ্রাসাদে ঘুমিয়ে আছেন!”

ছম্ভী বললেন, “না মহারাজ, মহারানি এখানে নেই। চম্পক বিদ্রোহ করেছে এই খবর পেয়ে মহারানি নিজে সেই বিদ্রোহ দমন করতে গিয়েছিলেন!” 

মহাচূড়ামণি বললেন, “রানি আমাকে না জানিয়ে সৈন্য নিয়ে বিদ্রোহ দমন করতে গেছেন?” 

ছম্ভী বললেন, “সৈন্য নিয়ে যাননি। সামান্য কয়েকজন দেহরক্ষী সঙ্গে ছিল। তিনি ভেবেছিলেন তিনি নিজে গিয়ে বুঝিয়ে বললেই চম্পক শান্ত হবে। কিন্তু অকৃতজ্ঞ চম্পক বিশ্বাসঘাতকতা করেছে! সে এমন নরাধম যে মহারানি তলতাদেবীকে বন্দী করতে তার হাত কাঁপল না!” 

মহারাজ মহাচূড়ামণি একটুক্ষণ চুপ করে রইলেন। তাঁর চোখ দুটি ঘুরতে লাগল। 

তারপর তিনি বিরাট এক হুঙ্কার দিয়ে বললেন, “ওই নরকের কীট চম্পক কাল আর সূর্যের আলো দেখবে না! আজ রাতেই সে শেষ হবে! আমার রানির গায়ে যে হাত দেয়, তার ছিন্ন মুণ্ড ধুলোয় গড়াবে, তার রক্ত কুকুরে চাটবে!” 

মহারাজ তক্ষুনি বেরিয়ে যেতে উদ্যত হলে ছম্ভী হাত তুলে তাঁকে বাধা দিয়ে বললেন, “মহারাজ দাঁড়ান। চম্পকের পত্রের বাকি অংশটা এখনও বলা হয়নি! চম্পক লিখেছে, আপনি সিংহাসন ত্যাগ করে দক্ষিণ দেশে চলে যান। সে এসে সিংহাসনে বসবে। আর আপনি যদি সৈন্যসামন্ত নিয়ে তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে যান, তা হলে দূর থেকে আপনাকে দেখেই সে রানি তলতাদেবীকে হত্যা করবে! চম্পককে দমন করতে গেলে আপনি আর মহারানিকে ফিরে পাবেন না!” 

মহাচূড়ামণি ধপ করে বসে পড়লেন মাটিতে। 

সকল অধ্যায়

১. উদাসী রাজকুমার – ১.১
২. উদাসী রাজকুমার – ১.২
৩. উদাসী রাজকুমার – ১.৩
৪. উদাসী রাজকুমার – ১.৪
৫. উদাসী রাজকুমার – ১.৫
৬. উদাসী রাজকুমার – ১.৬
৭. উদাসী রাজকুমার – ১.৭
৮. উদাসী রাজকুমার – ১.৮
৯. উদাসী রাজকুমার – ১.৯
১০. উদাসী রাজকুমার – ১.১০
১১. উদাসী রাজকুমার – ১.১১
১২. উদাসী রাজকুমার – ১.১২
১৩. উদাসী রাজকুমার – ১.১৩
১৪. উদাসী রাজকুমার – ১.১৪
১৫. উদাসী রাজকুমার – ১.১৫
১৬. উদাসী রাজকুমার – ১.১৬
১৭. উদাসী রাজকুমার – ১.১৭
১৮. উদাসী রাজকুমার – ১.১৮
১৯. উদাসী রাজকুমার – ২.১
২০. উদাসী রাজকুমার – ২.২
২১. উদাসী রাজকুমার – ২.৩
২২. উদাসী রাজকুমার – ২.৪
২৩. উদাসী রাজকুমার – ২.৫
২৪. উদাসী রাজকুমার – ২.৬
২৫. উদাসী রাজকুমার – ২.৭
২৬. উদাসী রাজকুমার – ২.৮
২৭. উদাসী রাজকুমার – ২.৯
২৮. উদাসী রাজকুমার – ২.১০
২৯. উদাসী রাজকুমার – ২.১১
৩০. উদাসী রাজকুমার – ২.১২
৩১. উদাসী রাজকুমার – ২.১৩
৩২. উদাসী রাজকুমার – ২.১৪

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন