জঙ্গল ঘেরা একটি বর্ধিষ্ণু গ্রাম। গ্রামটির নাম লালডুব। গ্রামের পাশ দিয়ে তির তির করে একটা নদী বয়ে গেছে। দিনরাত সেই নদী দিয়ে বয়ে চলেছে লাল রঙের জল।
নদীর দুধারে জঙ্গল। ঘন জঙ্গল। ও পাশটায় নানারকমের পাহাড়। পাহাড়ের মাঝখান দিয়ে নদীর ওপর দিয়ে চলে গেছে ট্রেনের লাইন। একটাই লাইন। একটার বেশী ট্রেন যাওয়া বা আসা করতে পারে না। রাত্রিবেলায় কেবল দূরপাল্লার ট্রেনগুলো ঐ পথ দিয়ে যাওয়া আসা করে। কারণ ঐ সময় লোকাল ট্রেন বন্ধ হয়ে যায়।
লালডুব গ্রামটায় জনবসতি খুবই কম। এখানকার মানুষজনদের সারা দিন চাষবাস করেই দিন কেটে যায়। সন্ধ্যাবেলায় সূর্য ডোবার সঙ্গে সঙ্গে লোকজন সব মাঠ থেকে বাড়ি ফিরে আসে। সকালে সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে লোকেরা ঘুম থেকে উঠে যে যার কাজে বেরিয়ে পড়ে।
কিন্তু বেশীদিন এভাবে চললো না।
একদিন রাতে ঘটে গেল সেই অদ্ভুত ঘটনা! দূর রাজ্যে যাওয়া আসার জন্যে ঐ একটি মাত্র রেলপথে, একটা ট্রেন লালডুব-এর রেলপথ ধরে যাচ্ছিলো। যখন ট্রেনটা লালডুব নদীর উপরে পৌঁছেছে, সঙ্গে সঙ্গে ট্রেনটা আটকে গেল। সামনে আর একটা ট্রেন।
অন্ধকার রাতে ট্রেন লাইনের ওপর হঠাৎ দাঁড়িয়ে পড়লো। কোনোদিন তো এমনটা হয় না। যাত্রীরা অন্ধকারের মধ্যে জানালা দিয়ে দেখতে লাগলো। কোনো লাল আলো তো জ্বলছে না! তবে ট্রেনটা দাঁড়িয়ে গেল কেন?
হঠাৎ তারা দেখতে পেলো সামনে একটা ট্রেন। সকলে তাজ্জব বনে গেল, এই সময়ে সামনে আবার কিসের ট্রেন?
ট্রেনের ড্রাইভার নেমে ট্রেনটার সামনে গিয়ে দেখলো ট্রেনটার মধ্যে লোকজন নেই। এমন কি ড্রাইভারকেও দেখা গেল না। তবে? তবে, এ ট্রেনটা এখানে এলো কি করে?
ট্রেনটার মধ্যে যে গার্ড সাহেব ছিলেন, তিনি বেশ বয়স্ক আর অভিজ্ঞ গার্ড। তিনি টর্চ নিয়ে ট্রেনটার সামনে গিয়ে নম্বরটা দেখতে চেষ্টা করলেন— ট্রেনটার নম্বর-শূন্য, শূন্য, শূন্য!
তাজ্জব ব্যাপার! এ নম্বরে তো কোনো ট্রেন নেই! তা হলে এ ট্রেনটা কোথা থেকে এলো? নিশ্চয়ই এটা কোনো ভৌতিক ট্রেন। পঁয়ত্রিশ বছর ধরে কাজ করছেন ভদ্রলোক। রেল কোম্পানীর খুঁটিনাটি তাঁর সব জানা।
গার্ড সাহেব-এর সঙ্গে ড্রাইভার যুক্তি করে নিলো কিছুক্ষণ। তারপর প্রবীণ গার্ড সাহেব ড্রাইভারকে বললো দেখো তো ট্রেনটাকে ড্রাইভ করে সরাতে পারো কিনা? ওটাকে সরানো না গেলে খুব মুশকিলে পড়তে হবে। কারণ জায়গাটা একেবারে নির্জন অন্ধকার। গাড়ী ভর্তি যাত্রী। তাদের চোখে মুখে ভয়ের ছাপ।
ড্রাইভার টর্চ হাতে করে যেই না ড্রাইভার-কেবিনে ঢুকছে, অমনি নিমেষের মধ্যে একটা ছায়া পাশে সরে গেল। ড্রাইভার সাহসী মানুষ: সহজে সে ভয় পায় না। প্রতিদিন তাকে কিছু না কিছু ভূত দেখতেই হয়। রোজ কতো লোক রেল লাইনে মাথা দিয়ে আত্মহত্যা করছে। তারপর তাদের আত্মা ভূত প্রেত হয়ে রাস্তা ঘাটে ঘুরে বেড়ায়।
ড্রাইভার যেই না ট্রেনটা চালাবার উদ্যোগ নিলো অমন একটা বিরাট কালো লোক (চোখগুলো তার আগুনের ভাঁটার মতো জ্বলছিলো, মাথা ভর্তি তার ঝাঁকড়া চুল আর হাতের নখগুলো তার অস্বাভাবিক লম্বা) পেছন থেকে এসে ছুঁড়ে ফেলে দিলে ড্রাইভারকে বাইরে। বেচারা ড্রাইভার মাটিতে পড়ে জ্ঞান হারালো। অভিজ্ঞ প্রবীণ গার্ড সাহেব দেখলো – সমস্ত ব্যাপারটা ভৌতিক কাণ্ড। মানুষের পক্ষে এর সমাধান করা অসম্ভব। আজ রাতে কিছুই করা সম্ভব হবে না। যাত্রীরাও তখন ভয়ে কাঠ হয়ে গেছিলো। গার্ড সাহেব তখন যাত্রীদের উদ্দেশ্যে বললো – আপনারা সব কিছু তো স্বচক্ষে দেখলেন। তাই আমার মনে হচ্ছে, আমাদের আজ এখানে থাকা উচিত হবে না। সামনে যে ট্রেনটা আমাদের বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে সেটা একটা ভৌতিক ট্রেন। আমরা বরং আমাদের ভালোর জন্যে পুনরায় আগের স্থানে ফিরে যাই। পৌঁছুতে আমাদের সকাল হয়ে যাবে। তার পরে যা হয় একটা কিছু করা যাবে’খন।
পরদিন সকালে রামগড় স্টেশনে ট্রেনটা পৌঁছুতে সবাই অবাক। কি ব্যাপার। গার্ড সাহেব নিজে ট্রেন চালিয়ে নিয়ে এলো।
যথারীতি ড্রাইভারকে অজ্ঞান অবস্থাতেই ট্রেন থেকে নামাতে হলো। স্টেশন মাষ্টার সব কিছু শুনলো। শূন্য শূন্য শূন্য নাম্বারের ট্রেন তো তার খাতায় নোট করা নেই। আর মনে হচ্ছে ঐ নাম্বারের ট্রেন তো সারা দেশেই নেই।
পুরোনো ফাইলপত্র বার করে দেখা হলো। আগে কোনো ট্রেনের এই নম্বর ছিলো কিনা।
—দেখা গেল, আজ থেকে প্রায় একশো পঁচাশি বছর আগে রামগড়ে রাজত্ব করতো শেরওয়াজল। সেই রাজার সবচেয়ে প্রিয় সংখ্যা ছিলো শূন্য শূন্য শূন্য। আর তাঁর ইচ্ছা অনুসারেই একটা ট্রেনের নম্বর দেওয়া হয়েছিলো শূন্য শূন্য শূন্য। তারপর রাজা মারা যাবার পর কিন্তু ট্রেনের ঐ নাম্বার পাল্টানো হলো না। তাঁর স্মৃতির উদ্দেশ্যে ট্রেনটায় ঐ নাম্বারই রয়ে গেল। শূন্য শূন্য শূন্য।
কিছুদিন পরে ট্রেনটা লালডুব গ্রামের ঐ লাল নদীর ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় ব্রীজ ভেঙে নদীতে পড়ে যায়। সেই ট্রেনে অসংখ্য যাত্রী ছিলো। তাঁদের আর হদিস পাওয়া যায়নি। এমন কি ট্রেনের একটা লোহাও তো আমাদের কাছে এসে পৌঁছায় নি।
চারদিকে খবর দেওয়া হলো। ট্রেনটাকে ওখান থেকে সরাবার জন্যে। বিভিন্ন পুলিশ বাহিনী, মিলিটারী সবাই সেখানে হাজির হলো, কিন্তু কি আশ্চর্য—কোথায় সেই শূন্য শূন্য শূন্য নাম্বারের ট্রেন। রেল লাইন সম্পূর্ণ ফাঁকা। ট্রেনের চিহ্ন পর্যন্ত নেই।
সঙ্গে সঙ্গে সেই রাতের গাড়ির ড্রাইভার আর গার্ডও এসে হাজির হয়েছে। তারাও সব দেখে শুনে হতভম্ব হয়ে গেল।
তখন কারো বুঝতে অসুবিধা হলো না যে সমস্ত ঘটনাটা হলো ভৌতিক ব্যাপার! আর ট্রেনটাও ভৌতিক।
সবাই তখন খুবই চিন্তায় পড়ে গেল। কি করা যায় এখন? কারো মাথাতেই কিছু ঢুকছিলো না।
অবশেষে সেই লালডুব গ্রামের একজন বুড়ো লোক সেখানে এসে সব কিছু দেখে শুনে, ভাবনা-চিন্তা করে বললেন সবে তো একদিন এরকম ভৌতিক কাণ্ডের ঘটনা শুনলাম। আজকের দিনটা না হয় দেখাই যাক না। তারপর কাল না হয় কিছু না কিছু একটা করা যাবে খন। আমি পঁচাশি বৎসর এই গ্রামে আছি। জীবনে কখনো এইরকম ঘটনার কথা শুনিনি। ড্রাইভার সাহেব আর গার্ড সাহেব যখন দেখেছেন তখন কিছু না কিছু ভৌতিক ব্যাপার তো অবশ্যই আছে।
বৃদ্ধের কথা মতো সবাই যে যার জায়গায় চলে গেল। শুধু পুলিশ আর মিলিটারী বাহিনীদের সেখানে রেখে দেওয়া হলো।
রাতেরবেলায় সেদিন সেই পথ দিয়ে কোনো ট্রেন যাওয়া আসা করতে দেওয়া হবে না ঠিক করা হলো।
রাতের অন্ধকার ঘনিয়ে এলো।
সেই রেল লাইনের চারপাশ পুলিশ মিলিটারীরা সারারাত পাহারা দিতে লাগলো।
ঠিক তখন মাঝরাত। গাঢ় অন্ধকার। চাঁদের আলোও নেই। আর জোনাকীর আলোও দেখা যাচ্ছিলো না। হয়তো সে সময় পাহারাদারেরা বিরক্ত হয়ে একটু ঘুমের ঘোরে ঢুলছিলো।
হঠাৎ ঘুম ভেঙ্গে গেল। গাড়ির শব্দ। কিন্তু হেডলাইট জ্বালায়নি তো! কেন? তারপরেই মনে পড়লো আজ তো সব রাত্রের গাড়িই বন্ধ করা আছে।
হঠাৎ মনে পড়লো, কাল রাতের ভৌতিক ট্রেনের কথা। টর্চ লাইট মারা হলো। দেখা গেল একটা গাড়ি পূর্বদিক থেকে প্রচণ্ড গতিতে ছুটে আসছে। সেই ট্রেনের মধ্যে থেকে হা-হা, হি-হি বিভিন্ন বিশ্রী ধরনের হাসির আওয়াজ শোনা যাচ্ছে। ঐরকম প্রচণ্ড গতি নিয়ে আসতে আসতে হঠাং ট্রেনটা লাল- নদীর ব্রীজের মাঝখানে এসে দাঁড়িয়ে গেল।
পুলিশ মিলিটারীরা ঘনঘন গুলি ছুঁড়তে লাগলো ঐ ট্রেনটাকে তাক করে। কিন্তু কিছুই হলো না। শুধু শুধু গুলি খরচ হলো। খটাখট করে গাড়ির সমস্ত পাল্লা খুলে গেল। প্রায় হাজার খানেক ছায়া মূর্তি সেই লাল নদীর মধ্যে নেমে গেল।
পুলিশ আর মিলিটারীরা ভাবলো এই সুযোগ। সব ভূত এখন জলে নেমেছে। তারা দল বেঁধে ভাগ ভাগ করে ট্রেনের এক একটা কামরায় ঢুকলো। সঙ্গে সঙ্গে ট্রেনের কামরার দরজাগুলো ঝপাঝপ বন্ধ হয়ে গেল। মানুষ তো আর ভূতদের সঙ্গে এঁটে উঠতে পারে না । তেঁনারা ছায়ার মতো জলে নেমেছিল আবার কখন যে মানুষেরই ছায়া হয়ে চলে এসেছে তা কি মানুষের পক্ষে বোঝা সম্ভব!
পরদিন সকালে গ্রামের লোকেরা সেই জায়গায় এসে হাজির হলো। দেখলো, পুলিশ, মিলিটারীদের মৃতদেহ পড়ে আছে লাইনের ধারে। বৃদ্ধ ভদ্রলোকটি এবার সত্যিই বুঝতে পারলো যে এটা সত্যি সত্যিই ভুতুড়ে ব্যাপার! নিশ্চয়ই ভূতগুলোর কোনো ক্ষতি করতে গিয়েছিলো তাই সবার এই দশা।
খবর গেলো রামগড়ে। খোঁজ খবর করতে লোকজন সব এলো। উপর মহলেও দ্রুত খবর ছড়িয়ে পড়লো। কিন্তু সকলের মুখেই এক কথা এখন কি করা যাবে? এখন উপায় কি?
কিছু একটা সমাধান করতে না পারলে– গাড়ি যে অচল হয়ে যাবে। মন্ত্রীরা সব মাথা চুলকোতে লাগলো ।
তখন বৃদ্ধ বললো– এ সব মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। এতো দিন কোনো কাণ্ড ঘটেনি। আজ হঠাৎ এমন ঘটনা ঘটলো কেন? নিশ্চয়ই কোনো রহস্য আছে। দুর্ঘটনা ঘটেছিলো তো আজ থেকে প্রায় একশো তেতাল্লিশ বৎসর আগে। সব থেকে ভালো হবে – ভালো একজন প্রবীণ অভিজ্ঞ গণৎকার দিয়ে উপায় বার করা।
এখান থেকে বিরাজগড়ের দূরত্ব প্রায় ত্রিশ মাইল। সেখানে লোক পাঠানো হলো মহঃ ফরিদ গণৎকারকে ডেকে আনার জন্যে। বিকেল-সন্ধ্যে নাগাদ ফরিদ ওঝা এলো।
সব শুনে সে একটা ফর্দ করলো। ফুল, বেলপাতা, গোলাপ জল, কচি বাঁশ গাছ, কাঁটা, নারকেল পাতার কাঠির ঝাঁটা, লঙ্কা-সরষের তেল ইত্যাদি; আর দক্ষিণা হলো হিমালয় যাবার আসা-যাওয়ার খরচ।
যথারীতি সব জোগাড় করা হলো। গণৎকার ফরিদকে জল মিষ্টি খেতে দেওয়া হলো। মশারির ভেতর শুতে দেওয়া হলো সন্ধ্যে বেলায়।
রাত্রি বেলায় ফরিদ গণৎকার সেই ভুতুড়ে জায়গায় গিয়ে হাজির হলো। সেদিন গ্রামের প্রচুর লোক সেই জায়গায় সেই রাত্রিতে হাজির হয়েছিলো।
গণৎকার প্রথমে ট্রেন লাইনের ওপর পুজো করলো। তারপর আগুন জ্বেলে যজ্ঞ শুরু করলো। সকলেই প্রচুর কৌতূহলের সঙ্গে দেখতে লাগলো গণৎকারের কেরামতি।
…..প্রচণ্ড গতিতে ট্রেনটা এসে দাঁড়িয়ে পড়লো আগুনের সামনে। আগুনের মধ্যে একটা ছায়ামূর্তি দেখা গেল, মুখ ভর্তি দাঁড়ি, মাথায় সাদা চুল, বড় বড় চোখ, সবাই দেখছে সেই দৃশ্য, কারো কারো ভয়ও লাগছে, তবুও মনে সাহস – গণৎকার আছে।
ফরিদ গণৎকার আস্তে আস্তে চোখ খুললো, তারপর সে আগুনের মধ্যকার ভীষণ ছায়ামূর্তিটাকে জিজ্ঞাসা করলো – তুই কে? বল?
—কেন? এখন তো তোরা আমায় চিনতে পারবি না। আমি তোদের ভালো করেছি যে! তোদের জন্যে সব সময় চিন্তা করতাম। তার এখন আমায় চিনতে পারছি না?
ফরিদ গণৎকার বিরক্তি বোধ করে– সে গম্ভীরভাবে আবার জিজ্ঞাসা করে, তাড়াতাড়ি বল, কে তুই?
—আমি রাজা শেরওয়াজল।
—কেন তুই এরকম ক্ষতি করার চেষ্টা করছিস?
—আমি তো তোদের কোনো ক্ষতি করিনি। আজ থেকে প্রায় দেড়শো বছর আগে মরে গেছি। আমার সবচেয়ে প্রিয় সংখ্যা ছিলে শূন্য শূন্য শূন্য। সেই সংখ্যায় আমার তৈরী একটা ট্রেন ছিলো। সেটা এই নদীতে ডুবে যাওয়ার পর আজ পর্যন্ত আমার প্রিয় সংখ্যার নম্বরে কোনো ট্রেন নেই। এমন কি ঐ নম্বরের কোনো জিনিষও বাজারে নেই। আমাকে আজ সবাই একেবারে ভুলে গেছে। আমি মরে যাওয়ার পরে লালডুব অঞ্চলের নিকটত্ব নদীতে আমাকে ভাসিয়ে দেওয়া হয়। আমি খুঁজে বের করি সাধের…..ট্রেনটা। পাঁচ দিন আগে আমার শেষ বংশধর মরে আমার কাছে এসেছে। এখন আমার বংশের সম্পর্কের কোনো লোক তোদের দেশে নেই। রোজ রাতে ট্রেনটায় করে লাল নদীর ওপর এসে আমার দলবলদের নিয়ে সুন্দর গ্রামটাকে দেখি আর কাঁদি।
—তা এখন কি করতে চাস্ তুই, কি করলে তুই আনন্দ পাবি?
—আমার প্রিয় সংখ্যার একটা গাড়ী তৈরী করতে হবে; আমাদের আত্মার সদ্গতি করতে হবে, তাহলে আমি খুশি হবো।
—বেশ তাই হবে, কিন্তু তোর ঐ গাড়িটা?
—ওটা লাল নদীর একেবারে তলায় আছে, আমি আজই ওটা ছেঁড়ে দিচ্ছি। তোর লোক দিয়ে কাল তুলে নে।
পরদিন সকালে ইঞ্জিনীয়ার আর মজুরের দল এলো। ট্রেন তোলা হলো। শেরওয়াজল এবং তার চেলা চামুণ্ডাদের আত্মার সদগতি করা হলো। রাজার প্রিয় সংখ্যাটার ট্রেন চালু হলো। সুন্দর গ্রাম লালডুব-এ আর কোনো ভয় রইলো না। সব কিছু আবার আগের মতোই চললো।
নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন
লগইন