বিদেশী ফুলের গুচ্ছ – ৫ (গোলাপ হাসিয়া বলে, আগে বৃষ্টি যাক চলে)

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর


গোলাপ হাসিয়া বলে, “আগে বৃষ্টি যাক চলে,
দিক দেখা তরুণ তপন–
তখন ফুটাব এ যৌবন।’
গেল মেঘ, এল উষা, আকাশের আঁখি হতে
মুছে দিল বৃষ্টিবারিকণা–
সে তো রহিল না।
কোকিল ভাবিছে মনে, “শীত যাবে কত ক্ষণে,
গাছপালা ছাইবে মুকুলে–
তখন গাহিব মন খুলে।’
কুয়াশা কাটিয়া যায়, বসন্ত হাসিয়া চায়,
কানন কুসুমে ভরে গেল–
সে যে মরে গেল!


এত শীঘ্র ফুটিলি কেন রে!
ফুটিলে পড়িতে হয় ঝরে–
মুকুলের দিন আছে তবু,
ফোটা ফুল ফোটে না তো আর।
বড়ো শীঘ্র গেলি মধুমাস,
দু দিনেই ফুরালো নিশ্বাস।
বসন্ত আবার আসে বটে,
গেল যে সে ফেরে না আবার।

Augusta Webster

শ্রাবণ, ১২৯১

সকল অধ্যায়

১. বিদেশী ফুলের গুচ্ছ – ১ (মধুর সূর্যের আলো, আকাশ বিমল)
২. বিদেশী ফুলের গুচ্ছ – ২ (সারাদিন গিয়েছিনু বনে)
৩. বিদেশী ফুলের গুচ্ছ – ৩ (আমায় রেখো না ধরে আর)
৪. বিদেশী ফুলের গুচ্ছ – ৪ (প্রভাতে একটি দীর্ঘশ্বাস)
৫. বিদেশী ফুলের গুচ্ছ – ৫ (গোলাপ হাসিয়া বলে, আগে বৃষ্টি যাক চলে)
৬. বিদেশী ফুলের গুচ্ছ – ৬ (হাসির সময় বড়ো নেই)
৭. বিদেশী ফুলের গুচ্ছ – ৭ (বেঁচেছিল, হেসে হেসে)
৮. বিদেশী ফুলের গুচ্ছ – ৮ (নিদাথের শেষ গোলাপ কুসুম)
৯. বিদেশী ফুলের গুচ্ছ – ৯ (ওই আদরের নামে ডেকো সখা মোরে)
১০. বিদেশী ফুলের গুচ্ছ – ১০ (কেমনে কী হল পারি নে বলিতে)
১১. বিদেশী ফুলের গুচ্ছ – ১১ (রবির কিরণ হতে আড়াল করিয়া রেখে)
১২. বিদেশী ফুলের গুচ্ছ – ১২ (দেখিনু যে এক আশার স্বপন)
১৩. বিদেশী ফুলের গুচ্ছ – ১৩ (নহে নহে এ মনে মরণ)
১৪. সম্মিলন (সেথায় কপোত-বধূ লতার আড়ালে)
১৫. তারা ও আঁখি (কাল সন্ধ্যাকালে ধীরে সন্ধ্যার বাতাস)
১৬. সূর্য ও ফুল (মহীয়সী মহিমার আগ্নেয় কুসুম)
১৭. বিসর্জন (যে তোরে বাসেরে ভালো, তারে ভালোবেসে বাছা)
১৮. কবি (ওই যেতেছেন কবি কাননের পথ দিয়া)
১৯. কোনো জাপানি কবিতার ইংরাজি অনুবাদ হইতে (বাতাসে অশথপাতা পড়িছে খসিয়া)

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন