বিদেশী ফুলের গুচ্ছ – ৯ (ওই আদরের নামে ডেকো সখা মোরে)

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

ওই আদরের নামে ডেকো সখা মোরে!
ছেলেবেলা ওই নামে আমায় ডাকিত–
তাড়াতাড়ি খেলাধুলা সব ত্যাগ করে
অমনি যেতেম ছুটে,
কোলে পড়িতাম লুটে।
রাশি-করা ফুলগুলি পড়িয়া থাকিত।
নীরব হইয়া গেছে যে স্নেহের স্বর–
কেবল স্তব্ধতা বাজে
আজি এ শ্মশান-মাঝে
কেবল ডাকি গো আমি “ঈশ্বর ঈশ্বর’!
মৃত কণ্ঠে আর যাহা শুনিতে না পাই
সে নাম তোমারি মুখে শুনিবারে চাই।
হাঁ সখা, ডাকিয়ো তুমি সেই নাম ধরে–
ডাকিলেই সাড়া পাবে,
কিছু না বিলম্ব হবে,
তখনি কাছেতে যাব সব ত্যাগ করে।

Mrs. Browning

আষাঢ়, ১২৮৮

সকল অধ্যায়

১. বিদেশী ফুলের গুচ্ছ – ১ (মধুর সূর্যের আলো, আকাশ বিমল)
২. বিদেশী ফুলের গুচ্ছ – ২ (সারাদিন গিয়েছিনু বনে)
৩. বিদেশী ফুলের গুচ্ছ – ৩ (আমায় রেখো না ধরে আর)
৪. বিদেশী ফুলের গুচ্ছ – ৪ (প্রভাতে একটি দীর্ঘশ্বাস)
৫. বিদেশী ফুলের গুচ্ছ – ৫ (গোলাপ হাসিয়া বলে, আগে বৃষ্টি যাক চলে)
৬. বিদেশী ফুলের গুচ্ছ – ৬ (হাসির সময় বড়ো নেই)
৭. বিদেশী ফুলের গুচ্ছ – ৭ (বেঁচেছিল, হেসে হেসে)
৮. বিদেশী ফুলের গুচ্ছ – ৮ (নিদাথের শেষ গোলাপ কুসুম)
৯. বিদেশী ফুলের গুচ্ছ – ৯ (ওই আদরের নামে ডেকো সখা মোরে)
১০. বিদেশী ফুলের গুচ্ছ – ১০ (কেমনে কী হল পারি নে বলিতে)
১১. বিদেশী ফুলের গুচ্ছ – ১১ (রবির কিরণ হতে আড়াল করিয়া রেখে)
১২. বিদেশী ফুলের গুচ্ছ – ১২ (দেখিনু যে এক আশার স্বপন)
১৩. বিদেশী ফুলের গুচ্ছ – ১৩ (নহে নহে এ মনে মরণ)
১৪. সম্মিলন (সেথায় কপোত-বধূ লতার আড়ালে)
১৫. তারা ও আঁখি (কাল সন্ধ্যাকালে ধীরে সন্ধ্যার বাতাস)
১৬. সূর্য ও ফুল (মহীয়সী মহিমার আগ্নেয় কুসুম)
১৭. বিসর্জন (যে তোরে বাসেরে ভালো, তারে ভালোবেসে বাছা)
১৮. কবি (ওই যেতেছেন কবি কাননের পথ দিয়া)
১৯. কোনো জাপানি কবিতার ইংরাজি অনুবাদ হইতে (বাতাসে অশথপাতা পড়িছে খসিয়া)

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন