৫২. আসমানী হতাশ চোখে

হুমায়ূন আহমেদ

আসমানী হতাশ চোখে রুনির দিকে তাকিয়ে আছে। মেয়েটা এত অবুঝ কী করে হয়ে গেল! সকাল থেকে ঘ্যানঘান করছে, এখন দুপুর। সে সন্দেশ খাবে। সন্দেশের ব্যাপারটা মেয়ের মাথায় কী করে এসেছে আসমানী জানে না। শরণার্থী শিবিরে সে কি কাউকে দেখেছে সন্দেশ খেতে? দেখতেও পারে। এই মেয়ে এখন নিজের মনে ঘুরঘুর করতে শিখেছে। কাউকে কিছু না বলে এখানেওখানে যাচ্ছে। এই পাশে আছে, এই নেই। একদিন তো সারা দুপুর তার খোঁজ নেই। চিন্তায় অস্থির হয়ে আসমানী যখন ঠিক করল, ক্যাম্প ওয়ার্ডেনকে জানাবে–তখন মেয়েকে দেখা গেল হেলতে দুলতে আসছে। হাতে একটা বনরুটি। কে দিয়েছে বনরুটি? মেয়ে বলবে না। আসমানীর ধারণা, সে কারো কাছ থেকে চেয়ে নিয়ে এসেছে। মেয়েটার ভিখিরি স্বভাব হয়ে গেছে। যেখানেসেখানে হাত পাতিছে।

রুনিকে অবশ্যি দোষ দেয়া যায় না। তারা তো এখন ভিখিরি। নিজ দেশ ছেড়ে অন্য এক দেশে ভিখিরি সেজে বাস করছে। থালা হাতে খাবারের জন্যে দুবেলা লাইন ধরতে হচ্ছে। কী লজ্জা কী লজ্জা! এই লজ্জা এই অপমানের শেষ কি হবে? না-কি বাকি জীবন কেটে যাবে শরণার্থী শিবিরে? এইসব নিয়ে চিন্তা করতে এখন আর আসমানীর ভালো লাগে না। তাঁর এখন একটাই চিন্তারুনিকে আগলে রাখা। যেন হারিয়ে না যায়। হারিয়ে গেলে এই মেয়েকে তার পক্ষে খুঁজে পাওয়া সম্ভব হবে না।

নানা হাতবদল হয়ে একসময় রুনির জায়গা হবে খারাপ পাড়ায়। রুনি ভুলেই যাবে এক সময় তার অতি সুখের সংসার ছিল।

কী দ্রুতই না মেয়েটা বদলাচ্ছে! একদিন আসমানী শুনল রুনি কাকে যেন কুৎসিত সব গালি দিচ্ছে–তোর হোগায় লাখি। আসমানী ছুটে বের হয়ে মেয়ের হাত ধরে কাঁদো কাঁদো গলায় বলল, এইসব কী বলছি মা? রুনি ঘাড় শক্ত করে বলল, ও তো আমাকে আগে বলেছে।

ও বললেই তুমি বলবে?

হ্যাঁ, বলব।

তুমি জানো না। এইসব খুব খারাপ গালি?

আমি এরচেয়েও খারাপ গালি জানি।

আসমানী কী করবে, মেয়েকে কীভাবে সামলে রাখবে ভেবে পায় না। কী ভয়ঙ্কর পরিবেশ চারপাশে! শরণার্থী শিবিরে চুরি হচ্ছে, এক শরণার্থী অন্যজনের কাপড় চুরি করছে। ধরা পড়ছে। মারামারি হচ্ছে। ওয়ার্ডেনরা ছুটে আসছে। তাদের মুখেও গালি–তোমরা জান বাঁচাইতে আসছি না চুরি করতে আসছ? কাজ তো জানো মোটে তিনটা–হাগা, মুতা আর চুরি।

মাঝে-মাঝে বাংলাদেশ সরকারের লোকজন আসেন। তারা মুখের ভাব এমন করে রাখেন যে শরণার্থীদের দুঃখ-দুর্দশায় তাদের হৃদয় ভেঙে যাচ্ছে। কী সুন্দর সুন্দর বক্তৃতা–আমরা বাঙালি। আমরা ধ্বংস হয়ে যাব। কিন্তু মাথা নোয়াবো না। আপনারা ধৈর্য ধরুন। আমাদের বীর মুক্তিবাহিনী যুদ্ধ করে যাচ্ছে। বিজয় এলো বলে।

তারা নানান ধরনের পরিকল্পনা নিয়েও আসেন। শরণার্থী শিশুদের জন্যে স্কুল হবে। পড়াশোনা যেন বন্ধ না হয়। শরণার্থীদের দিয়ে নাটক করানো হবে। নাটকের বিষয়বস্তু দেশপ্রেম। বাইরের পৃথিবী যেন দেখে এর মধ্যেও আমরা জীবনের আলোয় উদ্ভাসিত।

প্রায়ই বিদেশীরা আসে ছবি তুলতে। কেউ আসে মুভি ক্যামেরা নিয়ে। তাদের সঙ্গে বিরাট লটবহর। সেই সময় যদি শরণার্থীদের কেউ মারা যায়, তবেই তাদের আনন্দ। কত কায়দা করেই না ডেডবডির ছবি তোলা হয়! যারা শোকে অস্থির হয়ে কাঁদছে, তাদের ছবি তোলা হয়।

বিদেশীরা প্রায়ই এটা-সেটা উপহার হিসেবে নিয়ে আসে। গায়ে মাখা সাবান, বাচ্চাদের জন্য লজেন্স, চকলেট। তখন ভয়ঙ্কর অবস্থা হয়! সবাই একসঙ্গে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এই ঝাপিয়ে পড়ার দলে রুনিও আছে। ব্যাপাঝাপি করে একবার সে গায়ে মাখা একটা সাবান এনে মাকে দিল। সেদিন তাকে দেখে মনে হয়েছিল, সে বিরাট এক যুদ্ধ জয় করে ফিরেছে।

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বড় বড় কর্মকর্তারাও আসেন। একদিন এসেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল। তিনি খুবই সুন্দর বক্তৃতা দিয়েছিলেন। বক্তৃতার শেষ পর্যায়ে হাতজোড় করে বলেছিলেন–আমরা আপনাদের শুধু আশ্রয় দিতে পেরেছি। আর কিছু দিতে পারছি না। সাধ আছে, সাধ্য নেই। আমি ক্ষমা প্রার্থনা করছি।

কিছুদিন পর পরই খবর আসে–ইন্দিরা গান্ধীর আসার সম্ভাবনা আছে। তখন সাজ সাজ পড়ে যায়। ব্যাটন হাতে ওয়ার্ডেনরা তাঁবুতে ঢুকে অকারণেই চিৎকার চেচামেচি করে–বিছানা পরিষ্কার, বিছানা পরিষ্কার। খবরদার কেউ ঘরে হাগা-মুতা করবেন না।

রেডক্রস সাইন লাগানো একটা ডিসপেনসারি প্রতিদিনই খোলা থাকে। সেখানে দুজন ডাক্তার বসেন। তারা যত্ন নিয়েই রোগী দেখেন। ব্যবস্থাপত্ৰ লিখে দেন। কিন্তু ওষুধ দিতে পারেন না। ডিসপেনসারিতে ওষুধ নেই। মাঝেমাঝে দান হিসেবে ওষুধ পাওয়া যায়! সেই ওষুধ নিমিষেই শেষ হয়ে যায়।

গৰ্ভবতী মাদের একটা তালিকা রেডক্রস করেছে। সেখানে আসমানীর নাম আছে। তালিকায় নাম উঠার কারণে আসমানী সপ্তাহে এক টিন প্রোটিন বিসকিট পায়। সেই বিস্বাদ বিসকিট রুনি একা কুটকুট করে খায়। মাকে টিন ধরতে দেয় না। মেয়েটার জন্যে আসমানীর এত মায়া লাগে! তার বাড়ন্ত শরীর। এই শরীর খাদ্য চায়। সেই বাড়তি খাবার জোগাড়ের সামর্থ্য আসমানীর নেই।

সকাল থেকে মেয়েটা সন্দেশ সন্দেশ করছে। কোথেকে আসমানী সন্দেশ দেবে! গতকালই তার হাত পুরোপুরি খালি হয়ে গেছে। এখন হাতে একটা টাকাও নেই। মেয়েটার জন্যে আসমানীর এতই খারাপ লাগছে যে হাতে একটা টাকা পাকলেও সে সন্দেশ কিনে দিত।

মা, সন্দেশ কিনে দেবে না?

আসমানী বললেন, দেব।

কখন দেবে? এখন দিতে হবে। এই এখন।

কান্দবে না। রুনি।

রুনি কঠিন মুখ করে বলল, আমি কাঁদব। আমি চিৎকার করব। আমি তোমাকে খামচি দেব।

এসো বাইরে যাই। চিৎকার চোঁচামেচি খামচা-খামচি ক্যাম্পের বাইরে করে। ভেতরে না।

না, আমি এইখানে চিৎকার করব। আমি বাইরে যাব না।

আসমানী মেয়েকে প্রায় টেনে হিঁচড়ে টিনশেডের বাইরে এনে প্রচণ্ড শব্দে মেয়ের গালে চড় বসাল। রুনি হতভম্ব হয়ে মার দিকে তাকিয়ে আছে। সে এর আগে কখনো মায়ের কাছ থেকে এমন ব্যবহার পায় নি।

রুনি বলল, মা, তুমি আমাকে মারছ?

আসমানী বলল, আজ মেরে আমি তোমার হাডিড গুড়া করে দেব! বলতে বলতেই আসমানী মেয়ের গালে শরীরের সর্বশক্তি দিয়ে আবার চড় বসাল।

ভাবি, স্নামালিকুম।

আসমানী ঘুরে তাকাল। মুখভর্তি দাড়িগোঁফের জঙ্গল নিয়ে অচেনা একজন দাঁড়িয়ে আছে। রোদে ঝলসে যাওয়া তামাটে চেহারা। মাথাভর্তি উড়ুকু চুল।

ভাবি, আপনি আমাকে চিনতে পারছেন? চেনার অবশ্যি কথা না। আমি নিজেই এখন নিজেকে চিনি না। ভাবি, শাহেদ কি ক্যাম্পে আছে?

না, ও ক্যাম্পে নেই। ক্যাম্পে আমি মেয়েকে নিয়ে আছি।

শাহেদ কোথায়?

ও কোথায় আমি জানি না। বেঁচে আছে কি-না তাও জানি না। আপনার নাম কি নাইমুল?

ভাবি, আপনি দশে এগারো পেয়েছেন। আমি নাইমুল।

আপনি কি মুক্তিযোদ্ধা?

জি ভাবি। মেয়ের নাম রুনি না? রুনি মার খাচ্ছে কেন?

আসমানী শান্ত গলায় বলল, ও সন্দেশ খেতে চায়। আপনি কি রুনিকে একটা সন্দেশ কিনে খাওয়াতে পারবেন?

নাইমুল বলল, পারব, তবে এখন না ভাবি। আমি সন্ধ্যাবেলায় সন্দেশ নিয়ে আসব।

আসমানী তাকিয়ে আছে। মানুষটা লম্বা লম্বা পা ফেলে চলে যাচ্ছে। তার চলে যাবার ভঙ্গি বলে দিচ্ছে সে ফিরবে না। এখন দুঃসময়। দুঃসময়ে কেউ কথা

রুনি কান্দছে না। সন্দেশের জন্যেও হৈচৈ করছে না।

 

সন্ধ্যাবেলা নাইমুলের আসার কথা, সে এলো না। আসমানীর মনে হলো কোনো কারণে হয়তো আটকা পড়ে গেছে, রাতে আসবে। রাতেও এলো না। রুনি বলল, মা, আমি কি ঘুমিয়ে পড়ব? উনি মনে হয় আসবেন না।

আসমানী বলল, ঘুমাও। আমরা যখন দেশে ফিরে যাব, যখন তোমার বাবার সঙ্গে দেখা হবে, তখন যত ইচ্ছা সন্দেশ খাবে।

দেশে কবে যাব। মা?

জানি না কবে যাবে।

আসমানীর চোখ ভিজে উঠতে শুরু করছে। সে মেয়ের দিকে তাকাতে পারছে না। রুনির গালে হাতের দাগ বসে গেছে। গাল কালো হয়ে ফুলে উঠেছে। রুনি বলল, মা শোন, আমার এখন আর সন্দেশ খেতে ইচ্ছে করছে না।

তোমার যা খেতে ইচ্ছা করবে, তোমার বাবা তাই কিনে দেবে।

মার কান্না দেখেই হয়তো রুনির কান্না পেয়ে গেছে। মার শাড়ির আঁচলে মুখ ঢেকে সে ফোঁপাতে ফেঁচাপাতে বলল, বাবার কি আমাদের কথা মনে আছে মা?

রাতে রুনির জ্বর এসে গেল। ভালো জ্বর। আসমানী সারারাত মেয়ের মাথা কোলে নিয়ে বসে রইল।

 

নাইমুল এসে উপস্থিত হলো ভোরবেলা। লজ্জিত গলায় বলল, ভাবি, জোগাড়যন্ত্র করতে দেরি হয়ে গেল। আপনার মেয়ের জন্যে সন্দেশ আনার কথা। সেটাও ভুলে গেছি। খালিহাতে এসেছি। এখন চলুন। জিনিসপত্র গুছিয়ে নিন।

আসমানী অবাক হয়ে বলল, কোথায় যাব?

বারাসাত। আমার ফুপার বাড়ি। উনি এখানে সেটল করেছেন। আমি কাল উনার সঙ্গে কথা বলে সব ঠিক করে এসেছি। কোনো সমস্যা হবে না। আমি ক্যাম্পে আপনাদের এইভাবে ফেলে রেখে যাব না।

আসমানী বলল, ভাই, আপনি কী বলছেন।

নাইমুল বলল, কথা বলে সময় নষ্ট করবেন না তো ভাবি; আমি জিপ নিয়ে এসেছি। ক্যাম্পের লোকদের সঙ্গে কথা বলেছি। আমার ফুপা-ফুফু দুজনই অতি ভালো মানুষ। তাঁরা আপনাকে নিজের মেয়ের মতো যত্নে রাখবেন। আপনার শরীরের যে অবস্থা, আপনার যত্ন দরকার।

সত্যি যেতে বলছেন?

অবশ্যই। ভাবি শুনুন, আপনি আপনার মনে সামান্যতম দ্বিধা বা সংকোচ রাখবেন না। আপনার মনের সংকোচ দূর করার জন্যে ছোট্ট গল্প বলি– মন দিয়ে শুনুন। আমি ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করার সময় খুবই খারাপ অবস্থায় দিন কাটাতাম। বইপত্র কেনা দূরের কথা, ভাত খাওয়ার পয়সাও ছিল না। আমার এই অবস্থা দেখে শাহেদের বড়ভাই, মাওলানা ভাই, প্রতিমাসে মানি অর্ডারে আমাকে টাকা পাঠাতেন। আমাকে প্ৰতিজ্ঞা করিয়ে ছিলেন এই ঘটনা যেন শাহেদ না জানে। আমি শাহেদকে জানাই নি। আজ। আপনাকে বললাম! আর আমি এতই অমানুষ যে মাওলানা ভাইকে আমার বিয়ের খবরও জানাই নি। ভাবি, উনি কেমন আছেন জানেন?

ভাই, আমি জানি না। আমি কারোরই কোনো খবর জানি না।

 

লক্কর ধরনের জিপ রাস্তায় ধূলা উড়িয়ে ছুটে চলেছে। নাইমুল বসেছে ড্রাইভারের পাশে। রুনি বসেছে নাইমুলের কোলে। গাড়িতে উঠার পরই তার জ্বর সেরে গেছে। সে ক্রমাগত কথা বলে যাচ্ছে। নাইমুল খুবই মজা পাচ্ছে। রুনি একটা গল্প শেষ করে আর নাইমুল হাসতে হাসতে বলে, এই মেয়ে তো কথার রানী। শাহেদ তো কথাই বলতে পারে না, এই মেয়ে এত কথা শিখল কার কাছে?

পথে এক দোকানের পাশে নাইমুল গাড়ি থামাল। রুনিকে বলল, এসো এখন সন্দেশ খাবার বিরতি। দেখি কয়টা সন্দেশ তুমি খেতে পারো। তোমার সঙ্গে আমার কম্পিটিশন। দেখি কে বেশি খেতে পারে!

তারা বারাসাতে এসে পৌঁছল। সন্ধ্যায়। ছবির মতো সুন্দর গাছ দিয়ে ঢাকা একতলা পাকা দালান। গেটের কাছে জিপ এসে থামতেই এক বৃদ্ধা ছুটে এসে আসমানীকে জড়িয়ে ধরে বললেন, এসো গো মা, এসো। সেই দুপুর থেকে তোমার জন্যে অপেক্ষা করছি। আহা মার মুখ শুকিয়ে গেছে! খুব কষ্ট হয়েছে তাই না মা?

খড়ম পায়ে খালি গায় এক বৃদ্ধও বের হয়ে এলেন। তিনিও অতি মিষ্টি গলায় বললেন, দেখি আমাদের বাঙ্গাল মেয়ের চেহারা। ও আল্লা, এই মেয়ের গায়ের রঙ তো ময়লা। আমাদের হলো ফর্সা ঘর। ফর্সা ঘরে কালো মেয়ের স্থান নাই। এই মেয়ে আমরা রাখব না। বলেই শব্দ করে হাসতে লাগলেন।

অনেক অনেক দিন পর আসমানীর মনে হলো, সে নিজের বাড়িতেই ফিরেছে। এই বৃদ্ধ-বৃদ্ধ তাঁর অতি আপনজন।

যুদ্ধ খুব অদ্ভুত জিনিস। যুদ্ধ যেমন মানুষকে দূরে ঠেলে দেয়, আবার খুব কাছাকাছিও নিয়ে আসে।

সকল অধ্যায়

১. ০১. মাওলানা ইরতাজউদ্দিন কাশেমপুরী
২. ০২. শাহেদের অফিস মতিঝিলে
৩. ০৩. পুলিশ ইন্সপেক্টর মোবারক হোসেন
৪. ০৪. নীলগঞ্জ হাইস্কুলের বারান্দা
৫. ০৫. কলিমউল্লাহ নামটা
৬. ০৬. মোবারক হোসেনের ছুটির দিন
৭. ০৭. কবিতা একবার পড়লে
৮. ০৮. অনেকক্ষণ কড়া নাড়ার পর
৯. ০৯. মরিয়ম কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারছে না
১০. ১০. মোবারক হোসেন
১১. ১১. চায়ের কাপ নামিয়ে
১২. ১২. আকাশে ট্রেসার উড়ছে
১৩. ১৩. ২৬ মার্চ ভোর আটটায়
১৪. ১৪. বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্ৰ
১৫. ১৫. ভয়ঙ্কর রাতের পরের যে ভোর
১৬. ১৬. মাত্র দুঘণ্টার জন্যে কারফিউ-বিরতি
১৭. ১৭. ভয়ঙ্কর দিন যাচ্ছে
১৮. ১৮. পিরোজপুর মহকুমার পুলিশপ্রধান ফয়জুর রহমান
১৯. ১৯. জেনারেল টিক্কা খান
২০. ২০. দৈনিক পাকিস্তান-এর সাহিত্যপাতা
২১. ২১. শিউলি গাছে আশ্বিন কার্তিক মাসে ফুল ফুটবে
২২. ২৩. গৌরাঙ্গ বিরক্ত দাস
২৩. ২৩. ফাঁকা রাস্তায় ঠেলাগাড়ি
২৪. ২৪. শাহেদের চেহারায় পাগল পাগল ভাব
২৫. ২৫. চীনের প্রধানমন্ত্রী চৌ এন লাই
২৬. ২৬. দারোগাবাড়ি
২৭. ২৭. ফজরের নামাজ
২৮. ২৮. নীলগঞ্জ থানার ওসি ছদারুল আমিন
২৯. ২৯. সকাল থেকে বিরামহীন বৃষ্টি
৩০. ৩০. রুনি বলল, মা, আমরা কোথায় যাচ্ছি
৩১. ৩১. আয়েশা বেগম নৌকায় বসে আছেন
৩২. ৩২. হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মেয়ে বেগম আখতার সোলায়মান
৩৩. ৩৩. পাকিস্তান সরকার স্বীকার করে
৩৪. ৩৪. বুদ্ধিজীবীদের বিবৃতি
৩৫. ৩৫. জাতিসংঘের মহাসচিব উ থান্ট
৩৬. ৩৬. গভর্নর টিক্কা খান
৩৭. ৩৭. কবি শামসুর রাহমান
৩৮. ৩৮. ডেইলি পিপল পত্রিকার সাব-এডিটর নির্মলেন্দু গুণ
৩৯. ৩৯. ফজরের ওয়াক্তে
৪০. ৪০. ক্যাপ্টেন মুহাম্মদ বাসেতের চিঠি
৪১. ৪১. দলিলপত্ৰ : অষ্টম খণ্ড
৪২. ৪২. রাত দশটা
৪৩. ৪৩. একটা সময় পর্যন্ত দেশের মানুষ
৪৪. ৪৪. কাঁদছে আমাদের বাংলাদেশ
৪৫. ৪৫. দুর্ধর্ষ ক্র্যাক প্লাটুন
৪৬. ৪৬. বেগম সুফিয়া কামালের দিনলিপি
৪৭. ৪৭. জেনারেল ইয়াহিয়ার সাক্ষাৎকার
৪৮. ৪৮. লায়ালপুরের জেলের একটি বিশেষ কক্ষ
৪৯. ৪৯. বেগম মুজিবের বিষাদঘন দিনগুলো
৫০. ৫০. নীলগঞ্জ জামে মসজিদ
৫১. ৫১. বেলুচ রেজিমেন্টের সেপাই আসলাম খাঁ
৫২. ৫২. আসমানী হতাশ চোখে
৫৩. ৫৩. রফিকের নাম মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকাতেও নেই
৫৪. ৫৪. জেড ফোর্স
৫৫. ৫৫. মেজর জিয়া
৫৬. ৫৬. দিন ঘনায়ে আসলে মানুষ ধর্ম কপচায়
৫৭. ৫৭. কলিমউল্লাহর বাবুর্চি বাচ্চু মিয়া
৫৮. ৫৮. মাওলানা ভাসানী
৫৯. ৫৯. জনৈক মুক্তিযোদ্ধার চিঠি
৬০. ৬০. ডাক্তার ক্যাপ্টেন সিতারা বেগম, বীর প্রতীক
৬১. ৬১. শ্রাবণ মাসের এক দুপুরে
৬২. ৬২. ধীরেন্দ্রনাথ রায় চৌধুরী
৬৩. ৬৩. মিলিটারিরা গৌরাঙ্গকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে
৬৪. ৬৪. ৩৬ ডিভিশনের প্রধান মেজর জেনারেল জামশেদ
৬৫. ৬৫. জাহাজ মারা হাবীব
৬৬. ৬৬. হেমায়েতউদ্দিন ‘হিমু’
৬৭. ৬৭. আমার নাম মোহাম্মদ আবু তাহের
৬৮. ৬৮. ইন্দিরা গান্ধী
৬৯. ৬৯. ডিসেম্বরের ছয় তারিখ
৭০. ৭০. আত্মসমৰ্পণ করুন
৭১. ৭১. চৌদ্দই ডিসেম্বর ভোরবেলা
৭২. ৭২. ১৬ ডিসেম্বর সকাল

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন