রতনতনু ঘাটী
আজ নীলের জন্মদিন৷ নীল আমার মেজোকাকুর ছেলে৷ ভালো নাম অভ্রদীপ৷ ক্লাস ফোরে পড়ে৷ আমার ক্লাস ফাইভ৷ ছোটোকাকুর মেয়ে মউ৷ ওর ভালো নাম তনুশ্রী৷ ওর সবে ক্লাস টু৷ আমরা তিনজন বসার ঘরে জমজমাট৷ নীলের প্রতিটা জন্মদিনে একটা-না-একটা ধুন্ধুমার কাণ্ড হয়৷ সে খাওয়া-দাওয়াতেই হোক বা অনুষ্ঠানের আয়োজনেই হোক৷ আর মেজোকাকুর মাথায় আসেও নানা অবাক করা আইডিয়া৷
একবার আমার জন্মদিনে বাড়িতেই বসিয়েছিলেন ম্যাজিকের আসর৷ মঞ্চ তৈরি করে, আলোর ঝিকিমিকি লাগিয়ে সে কী কাণ্ড! সেবার মেজোকাকুর বন্ধু ম্যাজিশিয়ান অভিষেককাকু বিকেলেই বাড়িতে হাজির পুরো টিম নিয়ে৷ অভিষেককাকু মেজোকাকুর সঙ্গে কলেজে পড়তেন৷ এখন ম্যাজিশিয়ান হিসেবে বেশ নামডাক৷ তিনি কাগজ ভাঁজ করে কেমন দুটো পায়রা করে দিলেন৷ আমাকে একটা মুরগির কাঁচা ডিম দু-হাতে মুঠো করতে বললেন৷ তারপর সেটা খেয়ে ফেলতে বললেন৷ আমি তো খাবই না৷ মঞ্চে প্রায় কেঁদে ফেলি আর কি! তখন ম্যাজিককাকু বললেন, ‘ঠিক আছে৷ এবার মুঠো খুলে দেখো তোমার হাতে কী?’ আমি ভয়ে ভয়ে হাত খুলে দেখি, আমার হাতে একটা মস্ত বড়ো সন্দেশ৷
বাড়িতে যারা এসেছিলেন সকলেই একবাক্যে বলেছিলেন, ‘অঙ্কিতের জন্মদিনটা অনেকদিন মনে থাকবে আমাদের৷’ অঙ্কিত আমার ভালো নাম৷ আমার ডাকনাম টোটা৷ সেই জন্মদিনটার কথা এখনও আমার দারুণ ভাবে মনে আছে৷
আর একবার মউয়ের পাঁচ বছরের জন্মদিনে মেজোকাকু একটা মুখোশ-নাটকের দল এনেছিলেন৷ বাড়িতে সে কী হুলস্থুল ব্যাপার৷ ‘শ্রীনাথ বহুরূপী’ নাটক যখন মঞ্চে শেষ হল, মুখোশপরা অভিনেতাদের অভিনয় দেখে ছোটো-বড়ো সকলেই মুগ্ধ৷ অনেক ফোটো তোলাও হয়েছিল সেই মুখোশ-নাটকের৷ সেসব ফোটো অ্যালবামে রাখা আছে৷ বাড়িতে কোনো অতিথি এলে মউ সেই ফোটোগুলো তাঁদের দেখাবেই দেখাবে৷ আমরাও কোনো ছুটির দিনে তিন ভাই-বোন গোল হয়ে বসে ফোটোগুলো যে দেখি না, তা নয়৷ এ সবই মেজোকাকুর আইডিয়া৷ আজ পনেরো-কুড়ি দিন ধরে আমি, নীল, মউ অনেকবার মিটিংয়ে বসেছি৷ নীলের জন্মদিনের ব্যাপারে মেজোকাকুর আইডিয়াটা কী, জানার জন্যে৷ আমরা অনেক আলোচনা করেছি৷ কিন্তু কেউ কিনারায় আসতে পারিনি৷
মউ বলল, ‘এবার হবে বেলুন ফাটানোর খেলা৷ অতিথিরা যে বেশি বেলুন ফাটাবে, সে পুরস্কার পাবে৷’
এটা আমার মনে ধরল না৷ আমি অনেক ভেবে বললাম৷ ‘এবার মেজোকাকু হয়তো অন্ত্যাক্ষরি করবেন কবিতা নিয়ে৷ এখন তো চারদিকে, টিভিতে গানের অন্ত্যাক্ষরি হয়৷ কাকু নিশ্চয়ই গান নিয়ে নয়, কবিতা নিয়েই করবেন৷ কেননা, মঞ্চ বেঁধে তো কিছু হবে না৷ এখনও কোনো তোড়জোড়ই তো দেখছি না৷’
নীল গম্ভীর ভাবে বলল, ‘না, ওসব নয়৷ আমার মনে হয় মজার মজার জোকসের আসর বসাবেন৷ কোনো কৌতুকাভিনেতাকেও নিয়ে আসতে পারেন৷ ওই যে কাকুর এক বন্ধু আছেন না, ‘হট্টগোল’ সিরিয়ালে দারুণ মজা করেন, দর্শকদের হাসান? তিনিই এসে হয়তো দারুণ সব কৌতুক শোনাবেন৷’
মেজোকাকু কী ভাবছেন, শেষমেষ আমরা কোনো সমাধানে পৌঁছোতে পারলাম না৷ আমাদের উৎকন্ঠা বাড়তে থাকল৷
দুপুরে খাওয়ার সময় মেজোকাকু বাবাকে বললেন, ‘জানো বড়দা, ওই যে আমার এক বন্ধু কলেজে পড়ত, তপোময়, তোমার ওকে মনে আছে নিশ্চয়ই? ওকে ফোন করেছিলাম৷ ওর দাদার কথা তো তুমি জানো? উনি এলে কেমন হবে বলো তো?’
‘অরুণ, উনি এলে তো কোনো জবাব নেই! আজ নীলের জন্মদিনটা দারুণ জমে যাবে!’
খাওয়া শেষ হতে ওঁরা উঠে গেলেন৷ আমরা তিন ভাই-বোন মুখ চাওয়াচাওয়ি করলাম৷ ওঁদের কথা থেকে কিছুই বুঝতে পারা গেল না৷
সন্ধ্যের পর বাড়িতে অতিথিরা আসতে শুরু করলেন৷ ছোটোদের এবং বড়োদের মিলিয়ে আমন্ত্রিতের সংখ্যা প্রায় পঞ্চাশ৷ কেটারারের লোকজনও এসে পেছে৷ টেবিল সাজানো শেষ৷ নীল সেজেগুজে ঘুরছে এক-একজন এক-একরকম সেজেছি৷ মা-কাকিমারা অতিথি আপ্যায়নে ব্যস্ত৷ তখনও পর্যন্ত আমরা অন্ধকারে৷ কাকু যে কী করবেন আজ!
নীল একবার আমার কানে কানে ফিসফিস করে বলল, ‘জানিস দাদা, এবারের জন্মদিনে বাবা মনে হয় কিছুই করবেন না রে!’
আমি নীলের কথাটা কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারলাম না৷ ও কথা বিশ্বাস করা যায় না৷ মেজোকাকু একটা কিছু করেবনই৷
এমন সময় মেজোকাকু এক ভদ্রলোককে সঙ্গে নিয়ে ঢুকলেন৷ ভদ্রলোকের চোখে সোনালি ফ্রেমের চশমা৷ নীলচে রঙের পাঞ্জাবি পরা৷ পায়ে কোলাপুরি চটি৷ মেজোকাকু ঘোষকের ভঙ্গিতে শুরু করলেন, ‘আজ আমাদের অভ্রদীপের জন্মদিন৷ আজকের অনুষ্ঠানটিকে জমজমাট করে তোলার জন্যে আমরা আজ এক নতুন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি৷ আজ আমরা ভূতের গল্পের আয়োজন করেছি৷ এমন একজন মানুষকে আমরা এনেছি, যিনি ভূত নিয়ে গবেষণাও করেন৷ এমনকী, শুনেছি, ইনি নাকি ভূত কেনা-বেচাও করেন৷ চাই-কী, আজকের এই অনুষ্ঠানে ইনি ভূতকে হাজিরও করাতে পারেন৷’ তাঁর সঙ্গে সকলের আলাপ করিয়ে দিলেন মেজোকাকু, ‘ইনি অয়োময় মজুমদার৷ আমার কলেজের বন্ধু তপোময়ের দাদা৷ ইনি আজ আমাদের দারুণ ভূতের গল্প শোনাবেন৷ জমিয়ে ভূতের গল্প বলেন৷ শুধু তাই নয়, ইনি নিজের চোখে ভূতও দেখেছেন কয়েকবার৷ এখন আমরা গল্পের খাতিরে ঘরের সব বড়ো আলো নিভিয়ে দিচ্ছি৷ শুধু একটা মাত্র ছোট্ট আলো জ্বলবে ঘরে৷ নিন অয়োময়দা, আপনি এবার শুরু করুন৷’
ঘরের আলো নিভিয়ে দেওয়া হল৷ বড়োরা যাঁরা ভূতের ভয় পান, তাঁদের মুখটা ফ্যাকাসে হয়ে গেল যেন৷ আমরা ছোটোরা তো ভয়ে গুটিয়ে গেলাম৷ ঘরের আলো-আধাঁরির মাঝখানে দাঁড়িয়ে অয়োময়জেঠু নীচু গলায় অনেকটা বিনয়ীর ভঙ্গিতে শুরু করলেন, ‘অরুণ বাড়িয়ে বলেছে আমার সম্পর্কে৷ তবে ভূত আমার প্রিয় বিষয়৷ ভূত কেনা-বেচার ইচ্ছে আমার অনেক দিনের৷ দু-একবার চেষ্টাও করে দেখেছি৷ লোকে ভূতকে এত ভয় পায় যে, ভূত কিনতেই চায় না৷ একবার এক ভদ্রলোককে পেয়েছিলাম, তাঁর বাড়ি৷ তিনি নাকি ভূতকে রোবটের মতো কাজে লাগাতে চান৷ তিনি বলতেন, রোবটের কনসেপ্ট নাকি বিজ্ঞানীরা ভূতের থেকেই পেয়েছেন৷ তো যখন দরদাম সব ঠিক, হঠাৎ তিনি মারা গেলেন৷ তাঁর আর ভূত কেনা হল না৷ তবে ভূত পোষার শখ আমার অনেক দিনের৷ আমাদের রাজ্যের সব বড়ো বড়ো শ্মশানে রাতবিরেতে ঘুরে বেড়িয়েছি৷ গুনিনের সঙ্গে থেকে ভূত ছাড়ানোও দেখেছি কয়েকবার৷ প্ল্যানচেট করে কয়েকবার ভূতও নামিয়েছি৷ আপনাদের শুভেচ্ছায় অনেক জায়গা থেকে আজও প্ল্যানচেট করার ডাক পাই৷ তবে আমার অনেক দিনের শখ ছিল আমি নিজেই একটা ভূত পুষব৷’ বলে তিনি মেজোকাকুর কাছে জল খাওয়ার ইঙ্গিত করলেন৷
নীরবতা নেমে এল গোটা ঘরে৷ কেউ যেন অনেকক্ষণ কাশি চেপে রেখেছিলেন, এই ফাঁকে গলা ছেড়ে কেশে নিলেন৷ আমি, নীল আর মউ আরও গা ঘেঁষাঘেঁষি করে বসলাম৷ আমার বন্ধু বিট্টু আমার দিকে চেয়ারটা টেনে আনল৷ কিছু বলতে গিয়েও চুপ করে গেল মউ৷
জল খেয়ে খালি গ্লাসটা মেজোকাকুর হাতে দিয়ে একটু মুচকি হাসলেন অয়োময়জেঠু৷ তারপর শুরু করলেন, ‘তা, ভূত একটা আমি পুষেও ছিলাম৷ সেটা ছিল চম্পাহাটির ভূত৷ অধর মাইতি নামে একটা লোক মারা গিয়েছিল আধঘণ্টা আগে৷ আমি একটা কাজে ওখানে এক বন্ধুর বাড়িতে গিয়েছিলাম৷ বন্ধুটিই বলল, চল তো যাই৷ লোকটা মারা গেছে৷ আবার কেউ বলছে, সে নাকি মাঝে মাঝে নড়ে উঠছে৷ তুই তো ভূত বিশারদ! চল না গিয়ে দেখি৷
‘গেলাম বন্ধুর সঙ্গে৷ তখন সবে সন্ধ্যে নেমেছে৷ সেদিন পূর্ণিমা বলে তেমন অন্ধকার নেই৷ একটা পুকুর, তার দু-ধারে ঘন বাঁশঝাড়, একধারে একটা মস্ত মহানিম গাছ৷ তারই পাশে অধরের বাড়ি৷ উঠোনে অধর শুয়ে আছে৷ একটা ময়লা বেডকভার দিয়ে ঢাকা অধর৷ আমি পলকহারা চোখে তাকিয়ে আছি৷ হঠাৎ যেন মনে হল, অধর একটু নড়ে উঠল৷ বন্ধুর কানের কাছে মুখ নিয়ে গিয়ে ফিসফিস করে বললাম, লোকটা একটু নড়ে উঠল যেন!
‘বন্ধুটি বলল, তোরা যারা ভূতের চর্চা করিস, তোদের নিয়ে এই এক ঝামেলা! কী দেখতে যে কী দেখিস!
‘তুই বিশ্বাস কর৷ আমি ঠিক দেখলাম!
‘বন্ধুটি বিশ্বাসই করল না আমার কথা৷ আমি ঠিক করলাম, অধর লোক কেমন ছিল জানা দরকার৷ তারপর অধরের বাড়ির লোক, পাড়াপ্রতিবেশীর কাছ থেকে অধরের অনেক কথা শুনলাম৷ অধর ছিল গ্রামের খুব উপকারী মানুষ৷ কেউ বিপদে পড়েছে শুনলে সে ঝাঁপিয়ে পড়ত হিতাহিত বিবেচনা না করে৷ ভূত পুষব, ভূত পুষব বলে কতদিন ভেবেছি৷ ঠিক করলাম অধরের ভূতকেই পুষব৷ নিলাম অধরের ভূতটাকে বগলদাবা করে৷ এমন উপকারী ভূত তো সচরাচর পাওয়া যাবে না!’ বলে একটু দম নিতে চুপ করে গেলেন অয়োময়জেঠু৷
অতিথিদের মধ্যে থেকে বাবার অফিসের এক বন্ধু দেবোপমকাকু জিজ্ঞেস করলেন, ‘কীভাবে ভূতটাকে ধরলেন? ভূত তো চোখে দেখা যায় না?’
অয়োময়জেঠু হেসে বললেন, ‘সে বিদ্যে আপনাদের শেখাব না৷ তারপর কী হল, সে গল্প বরং শুনুন৷ আমার আবার উপকারের ভীষণ নেশা৷ আমার বাবাও ছিলেন ভীষণ উপকারী মানুষ৷ এত মানুষের উপকার করতেন যে, তাঁর নামই হয়ে গিয়েছিল উপকারী মজুমদার৷ অধরের ভূতটাকে পেয়ে আমার সুবিধেই হল৷ যখন কোথাও গিয়ে উপকার করার সময় সুযোগ হত না, তখন অধরের ভূতকে পাঠিয়ে দিতাম৷’ একটু থেমে অতিথিদের উদ্দেশে অয়োময়জেঠু বললেন, ‘আপনাদের কারও টাকাপয়সা ছাড়া কোনো সাহায্য যদি দরকার হয়, তা হলে হাত তুলুন, আমি অধরের ভূতকে পাঠিয়ে দিতে পারি৷’
ঘরভরতি লোক কেউ হাত তুললেন না৷ অয়োময়জেঠু আমাদের মতো ছোটোদের দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘ছোটোরা, তোমরাও যদি কোনো সাহায্যের দরকার মনে করো, তাহলে বলো, আমি অধরের ভূতকে পাঠিয়ে দেব৷ এই যেমন ধরো, তোমরা কোনো অঙ্ক করতে পারছ না, ভূগোলের ম্যাপ আঁকতে ভুল করছ বা কবিতা মুখস্থ হচ্ছে না, যদি অধরের ভূতের সাহায্য নাও, তাহলে দেখবে সব ঠিকঠাক পেরে যাচ্ছ! হাত তোলো কার কার সাহায্য চাই?’
হাত তোলার বদলে আমরা ছোটোরা মাথা নীচু করে যেন অয়োময়জেঠুর চোখ থেকে নিজেদের লুকোতে চাইলাম৷ চেয়ারের সঙ্গে মিশে গেলাম যেন৷ অয়োময়জেঠু বললেন, ‘তা বেশ! তোমাদেরও ভূতের সাহায্য চাই না৷ যে কথা বলছিলাম৷ যখন যে কাজে পাঠাতাম, সে কখনো ফেল করত না৷ পরে লোকজন আমাকে বলত, আপনি তো একবারও এলেন না মশাই! কিন্তু কেমন করে যেন আমার কাজটা হয়ে গেল! কী ব্যাপার বলুন তো?
‘কী ব্যাপার আমার বলতে বয়ে গেছে৷ চুপ করে মুখে কুলুপ এঁটে থাকতাম৷ আজ যখন অরুণের ছেলের জন্মদিনে ভূতের গল্প শোনাতে আসছি, কেন যেন মনে হল, অধরের ভূতটাকেও সঙ্গে নিয়ে যাই৷ আপনাদেরও ভূত দেখানো হবে৷ এই মনে করে ওকে সঙ্গে নিলাম৷ বাড়ি থেকে বেরিয়ে একটা ট্যাক্সি নিলাম৷ আমি সামনের সিটে ড্রাইভারের পাশে বসলাম৷ অধরের ভূতকে বসতে বললাম পিছনের সিটে৷ বাগুইহাটি থেকে উলটোডাঙা হয়ে যেই বাইপাসে এসে পড়েছি, অমনি একটা লরি এসে মুখোমুখি ধাক্কা মারল আমাদের ট্যাক্সিটাকে৷ অধরের ভূত প্রাণপণে লরিটাকে আটকাতে চেষ্টা করল৷ আমার মাথার উপর দিয়ে লাফ কেটে ঝাঁপিয়ে পড়ল লরিটার উপর৷ কিন্তু অধরের ভূত পারল না শেষ রক্ষা করতে৷ এই প্রথম ফেল করল অধরের ভূত!’
এমন সময় ঝপ করে নিভে গেল ঘরের ছোটো আলোটা৷ আমরা ছোটোরা জড়োসড়ো হয়ে এ-ওর দিকে সরে গিয়ে গায়ে লেপটে গেলাম৷ গোটা ঘরে কোনো শব্দ নেই৷
মিনিট খানেক পরে আলো জ্বলে উঠতেই আমরা দেখলাম, অয়োময়জেঠু নেই৷
নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন
লগইন