ঘানির বলদ

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

ঘানির বলদ যদি মনে করে আমি যতই ঘুরছি ততই নূতন রাজ্য আবিষ্কার করছি তবে সেটা তার একটা অন্ধ ভ্রম, কিন্তু সে যদি জানে আমি সর্ষেকে পেষণ করে তার মধ্যেকার নিগূঢ় তেলটকু বের করে নিচ্ছি তবে সে ঠিক কথাটা জানে।

বিজ্ঞান নিজের ঘানিযন্ত্রের চতুর্দিকে যতই সশব্দে ঘুরছে, রহস্যরাজ্যের সীমার দিকে এক পা অগ্রসর হতে পারছে না, কিন্তু বিবিধ বীজকে বিশ্লেষণ এবং পেষণ করে তার ভিতরকার তেল অনেকটা পরিমাণে বের করছে, এবং সে তেল থেকে মানুষের গৃহকোণের অন্ধকার দূর করবার একটা উপাদান তৈরি করছে সে কথা নিয়ে সে বাস্তিবিক গর্ব করতে পারে।

পারিবারিক স্মৃতিলিপি পুস্তক,

সকল অধ্যায়

১. সান্ত্বনা
২. নিঃস্বার্থ প্রেম
৩. যথার্থ দোসর
৪. গোলাম-চোর
৫. চর্ব্য, চোষ্য, লেহ্য পেয়
৬. দরোয়ান
৭. জীবন ও বর্ণমালা
৮. রেল গাড়ি
৯. লেখা কুমারী ও ছাপা সুন্দরী
১০. গোঁফ এবং ডিম
১১. সত্যং শিবং সুন্দরম্
১২. ভানুসিংহ ঠাকুরের জীবনী
১৩. পুষ্পাঞ্জলি
১৪. বিবিধ প্রসঙ্গ ১
১৫. বিবিধ প্রসঙ্গ ২
১৬. বর্ষার চিঠি
১৭. বরফ পড়া
১৮. শিউলিফুলের গাছ
১৯. বানরের শ্রেষ্ঠত্ব
২০. কার্যাধ্যক্ষের নিবেদন
২১. সৌন্দর্য ও বল
২২. আবশ্যকের মধ্যে অধীনতার ভাব
২৩. শরৎকাল
২৪. ছেলেবেলাকার শরৎকাল
২৫. ইন্দুর-রহস্য
২৬. কাজ ও খেলা
২৭. ঘানির বলদ
২৮. জীবনের বুদ্‌বুদ
২৯. বাগান
৩০. ঠাকুরঘর
৩১. নিষ্ফল চেষ্টা
৩২. সফলতার দৃষ্টান্ত
৩৩. লেখক-জন্ম
৩৪. সম্পাদকের বিদায় গ্রহণ

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন