কবিতা : মেজদাকে : মুক্তির অভিনন্দন

সুকান্ত ভট্টাচার্য

মেজদাকে : মুক্তির অভিনন্দন

তোমাকে দেখেছি আমি অবিচল, দৃপ্ত দুঃসময়ে
ললাটে পড়ে নি রেখা ক্রূরতম সংকটেরও ভয়ে;
তোমাকে দেখেছি আমি বিপদেও পরিহাস রত
দেখেছি তোমার মধ্যে কোনো এক শক্তি সুসংহত৷
দুঃখ শোকে, বারবার অদৃষ্টের নিষ্ঠুর আঘাতে
অনাহত, আত্মমগ্ন সমুদ্যত জয়ধ্বজা হাতে৷
শিল্প ও সাহিত্যরসে পরিপুষ্ট তোমার হৃদয়
জীবনকে জানো তাই মান নাকো কোনো পরাজয়;
দাক্ষিণ্যে সমৃদ্ধ মন যেন ব্যস্ত ভাগীরথী জল
পথের দু’ধারে তার ছড়ায় যে দানের ফসল,
পরোয়া রাখে না প্রতিদানের তা এমনি উদার,
বহুবার মুখোমুখি হয়েছে সে বিশ্বাসহন্তার৷
তবুও অক্ষুণ্ণ মন, যতো হোক নিন্দা ও অখ্যাতি
সহিষ্ণু হৃদয় জানে সর্বদা মানুষের জ্ঞাতি,
তাইতো তোমার মুখে শুনে বাণপ্রস্থের ইঙ্গিত
মনেতে বিস্ময় মানি, শেষে হবে বিরক্তির জিত?
পৃথিবীকে চেয়ে দেখ, প্রশ্ন ও সংশয়ে থরো থরো,
তোমার মুক্তির সঙ্গে বিশ্বের মুক্তিকে যোগ করো॥

১৯৪৪ সালে সুকান্তর মেজদা রাখাল ভট্টাচার্য গ্রেপ্তার হন৷ তাঁর মুক্তি উপলক্ষে সুকান্ত এই কবিতাটি লেখেন৷

সকল অধ্যায়

১. কবিতা : আজিকার দিন কেটে যায়
২. কবিতা : চরমপত্র
৩. কবিতা : চৈত্রদিনের গান
৪. কবিতা : জবাব
৫. কবিতা : দেবদারু গাছে রোদের ঝলক
৬. কবিতা : নব জ্যামিতির ছড়া
৭. কবিতা : পটভূমি
৮. কবিতা : পত্র
৯. কবিতা : পরিচয়
১০. কবিতা : ব্যর্থতা
১১. কবিতা : ভবিষ্যতে
১২. কবিতা : ভারতীয় জীবনত্রাণ-সমাজের মহাপ্রয়াণ উপলক্ষে শোকোচ্ছ্বাস
১৩. কবিতা : মার্শাল তিতোর প্রতি
১৪. কবিতা : মেজদাকে : মুক্তির অভিনন্দন
১৫. কবিতা : সুচিকিৎসা
১৬. কবিতা : সুহৃদবরেষু
১৭. গল্প : ক্ষুধা
১৮. গান : বর্ষ-বাণী
১৯. গান : যেমন ক’রে তপন টানে জল
২০. গান : জনযুদ্ধের গান
২১. গান : আমরা জেগেছি আমরা লেগেছি কাজে
২২. গান : শৃঙ্খল ভাঙা সুর বাজে পায়ে
২৩. প্রবন্ধ : ছন্দ ও আবৃত্তি
২৪. গল্প : দুর্বোধ্য
২৫. গল্প : ভদ্ৰলোক
২৬. গল্প : দরদী কিশোর
২৭. গল্প : কিশোরের স্বপ্ন

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন