তিন নম্বর ভূত

সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ

তিন নম্বর ভূত

ছোটমামার সঙ্গে রাতবিরেতে কোথাও গেলে বরাবর দেখেছি, একটা না একটা গোলমেলে ঘটনা ঘটে। গিয়েছিলাম ঝাঁপুইতলা একাদশ বনাম বাবুইহাটি ইলে টাইগার্সের ফুটবল ম্যাচ দেখতে। কঁপুইতলা বাবুইহাটিকে একখানা গোল দিতেই তুলকালাম চ্যাঁচিমেচি। তারপর কেন কে জানে হাঙ্গামা বেধে গেল। যে যাকে সামনে পাচ্ছে, দুমদাম ঘুসি কিক্ল চড় থাপ্পড় চালাচ্ছে। ছোটমামার দিকে ঘুসি তুলে একটা ষণ্ডামার্কা লোক এগিয়ে আসামাত্র ছোটমামা চেঁচিয়ে উঠলেন,–আমি না! আমি না! ওই লোকটা।

অমনি ঘুসিটা গিয়ে পড়ল অন্য একজনের পিঠে। দুজনে মারামারি বেধে গেল। সেই ফাঁকে ছোটমামা আমার হাত ধরে বললেন,–চলে আয় পুঁটু। তারপর দুজনে দৌড়ে খেলার মাঠ ছাড়িয়ে নিরাপদ দূরত্বে চলে গেলুম।

তখন ছোটমামার সে কী হাসি! বললেন,–কেমন দিয়েছি বল!

খুশি হয়ে বললুম, দারুণ দিয়েছেন ছোটমামা!

–হেডে একটু বুদ্ধি না থাকলে আজকাল বাঁচা যায় না। বুঝলি পুঁটু?

–কেন মারামারি বাধল বলুন তো?

সেটাই তো বুঝতে পারছি না।–বলে ছোটমামা খেলার মাঠের দিকে ঘুরলেন। খি-খি করে হেসে ফের বললেন,–মনে হচ্ছে পুলিশ এসে গেছে। চল, আমরা কেটে পড়ি। পুলিশের ব্যাপারে কিছু বলা যায় না। এদিকে আকাশে মেঘ ঘনিয়েছে। ঝড়বৃষ্টি হলেই কেলেঙ্কারি।

পিচের রাস্তায় পৌঁছেছি, সে সময় আচমকা মেঘ ডাকল। তারপর সূর্য ঢেকে গেল চাপ-চাপ কালো মেঘের তলায়। ছোটমামা বললেন,–এই সেরেছে। সত্যিই কালবোশেখির ঝড়বৃষ্টি আসছে যে! শিগগির চল, কোথাও গিয়ে মাথা বাঁচাই।

রাস্তার ওধারে গাছপালার ভেতরে একটা একতলা দালানবাড়ি দেখা যাচ্ছিল। পলেস্তরা খসে যাওয়া জরাজীর্ণ বাড়ি। কার্নিশে অশথচারা। সেই বাড়ির বাইরের বারান্দায় উঠে গেলাম দুজনে। সেইসময় ঝড়টা এসে পড়ল। আর সঙ্গে চড়বড় করে বৃষ্টিও।

দুজনে দেয়াল ঘেঁষে দাঁড়ালাম। বারান্দায় বৃষ্টির ছাঁট আর ঝড়ে ভেঁড়া সবুজ পাতার কুচি এসে পড়েছিল। ছোটমামা আপনমনে বললেন,–পুলিশ না এলে আমার ধারণা, মারামারিটা এখনও চলত।

বললুম,–ঝড়বৃষ্টির মধ্যেও?

ছোটমামা আগের মতো বললেন,–কিছু বলা যায় না।

বারান্দাটা পশ্চিমদিকে। তাই বৃষ্টির ছাট আমাদের পা ভিজিয়ে দিচ্ছিল। এদিকে বারবার চোখ ধাঁধানো বিদ্যুৎ আর মেঘের গর্জন। ছোটমামা দরজায় কড়া নাড়লেন এবার। কিছুক্ষণ কড়া নাড়া-ডাকাডাকির পর দরজাটা খুলে গেল। একজন বেঁটেখাটো নাদুসনুদুস ভদ্রলোককে দেখা গেল। তিনি আমাদের দেখে অমায়িক হেসে বললেন, ইস! বড় ভিজেছেন দেখছি। আসুন, আসুন, ভেতরে এসে বসুন।

ঘরের ভেতরে আবছা আঁধার। কেমন একটা পুরোনো-পুরোনো গন্ধও টের পেলাম। নড়বড়ে কয়েকটা চেয়ার, একটা টেবিল এবং একপাশে একটা তক্তপোশ। আমরা চেয়ারে বসলুম। ভদ্রলোক তক্তপোশে। তক্তপোশটা মচমচ করে উঠল। বললেন, নিশ্চয় ফুটবল ম্যাচ দেখতে গিয়েছিলেন?

ছোটমামা বললেন, আজ্ঞে হ্যাঁ।

–মারামারি হয়নি আজ?

–ভীষণ মারামারি। যে যাকে সামনে পাচ্ছে পেটাচ্ছে।

ভদ্রলোক হাসতে-হাসতে বললেন,–তা তো পেটাবেই। তা না হলে ফুটবল ম্যাচ কীসে? বছর দুই আগে কেকরাডিহি আর ঘুঘুডাঙার ম্যাচে খুব মারামারি বেধে গেল। আমি তো একজনকে পেটাতে শুরু করলুম।

–বলেন কী!

–শুনুন না। যাকে পেটাচ্ছিলুম সে হঠাৎ সামনে একখানা থান ইট পেয়ে গেল। তারপর সেই ইট আমার মাথায় এবং সঙ্গে সঙ্গে আমি অক্কা পেলুম!

ছোটমামা আরও অবাক হয়েবললেন, অক্কা মানে?

ভদ্রলোক আরও হেসে-হেসে বললেন, অক্কা বোঝেন না? টেঁসে গেলুম

–টেঁসে গেলেন মানে?

–ধুর মশাই! তাও বোঝেন না? এই ছেলেটা যে ভয় পাবে, নইলে খোলাখুলি বলতুম। যাকগে! ঝড়বৃষ্টি দারুণ জমেছে! বলে ভদ্রলোক দরজার বাইরে বৃষ্টি দেখতে থাকলেন। ছোটমামা আমার দিকে একবার তাকিয়ে নিয়ে বললেন,–মশাইয়ের নামটা জানতে পারি?

–ঈশ্বর গোলোকপতি ঢোল।

–ঈশ্বর মানে?

গোলোকপতিবাবু একটু বিরক্ত হয়ে বললেন, খালি এর মানে ওর মানে! নামের গোড়ায় চন্দ্রবিন্দু দিলে কী হয়?

ছোটমামা সন্দিগ্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললেন,–মরা মানুষের নামের গোড়ায় চন্দ্রবিন্দু দেওয়া হয়। কিন্তু আপনি তো দেখছি জ্যান্ত মানুষ।

গোলোকপতি জোরে মাথা নেড়ে সহাস্যে বললেন,–ওই যে মাথায় ইট বলছিলুম। এক ইটেই ভবনদীর পার। বুঝলেন এবার?

ছোটমামা চটে গেল, আপনি বলতে চাইছেন যে আপনি জ্যান্ত মানুষ নন?

–ঠিক ধরেছেন, সেন্ট পারসেন্ট ঠিক।

ছোটমামা আরও চটে গিয়ে বললেন, তার মানে আপনি ভূত?

গোলোকপতি হঠাৎ খাপ্পা হয়ে বললে, যা-তা বলবেন না! কানাকে কানা, খোঁড়াকে খোঁড়া বললে তাদের রাগ হয় না। আমার ভীষণ রাগ হচ্ছে।

–কী আশ্চর্য! কী অদ্ভুত!

–আবার ভূত বলছেন। তার সঙ্গে বিচ্ছিরি একটা অদ!

এবার আমার বুক ঢিপঢিপ করছিল। বললুম,–ছোটমামা, বৃষ্টি কমেছে মনে হচ্ছে। চলুন এবার।

ছোটমামা ধমক দিয়ে বললেন, চুপচাপ বসে থাক। এর একটা বিহিত না করে যাওয়া যায় না! ও মশাই, প্রমাণ করতে পারেন যে আপনি ভূত?

আবার ভূত বলা হচ্ছে। তবে রে।বলে গোলোকপতি মুখখানা ভয়ঙ্কর করে ফেললেন। তারপর দাঁত কড়মড় করতে থাকলেন।

আমি আতঙ্কে চোখ বন্ধ করলুম। তারপর কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে চোখ খুলে দেখি, ছোটমামাও নিজের মুখখানা ভয়ঙ্কর করে চোখ কটমটিয়ে এবং দাঁত কড়মড় করে গোলোকপতির সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছেন। গোলোকপতি একের পর এক সাংঘাতিক মুখভক্তি করছেন। ছোটমামাও পাল্টা তাই করছেন। দুজনে দুজনকে ভয় দেখানোর লড়াই বেধে গেছে।

তারপর দেখি, গোলোকপতি উঠে দাঁড়িয়ে দুই হাত বাড়িয়ে সাংঘাতিক জান্তব গর্জন শুরু করলেন। ছোটমামাও উঠে দাঁড়িয়ে ঘ্যাঁও-ঘ্যাঁও শব্দ করে বললেন,–চোঁখ উঁপড়ে নেঁব।

গোলোকপতি বললেন,–ঘাঁড় মঁটকে দেঁব।

তারপর দুজনে ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে গেল। প্রচণ্ড শব্দে কোথাও বাজ পড়ল। ঘরের ভেতর ততক্ষণে আরও আঁধার জমেছে। তক্তপোশ, টেবিল, চেয়ার মড়মড় করার শব্দ শুনে ছিটকে দরজার বাইরে চলে গেলুম। চেঁচিয়ে উঠলুম,–ছোটমামা! ছোটমামা! কোনও সাড়া পেলাম না।

ঘরের ভেতর দুমদাম সমানে চলছে। সেই সঙ্গে ফোঁস ফোঁস ঘোঁত ঘোঁত আঃ উঃ এইসব চাপা শব্দ। কিছুক্ষণ পরে শব্দগুলো থেমে গেল। তারপর ছোটমামার সাড়া পেলুম,–পুঁটু! ও পুঁটু!

কাঁদ-কাঁদ গলায় বললুম,–এই তো এখানে।

ছোটমামা দরজার কাছে এসে বললেন, ভয় পেয়েছিস নাকি? ভূতকে কক্ষনও ভয় পাবিনে। ভয় পেলেই ওদের সুবিধে, বুঝলি তো? ভূত যদি ভয় দেখায়, তুইও পাল্টা ভয় দেখাবি।

–লোকটা মরে যায়নি তো ছোটমামা?

লোকটা কী বলছিস! ঈশ্বর গোলোকপতি বল–ছোটমামা হাসতে হাসতে বললেন, বাছাধনকে মেঝেয় শুইয়ে দিয়েছি। কত ভূত দেখলুম তো এই বাঁটকুল ভূত। বুঝলি পুঁটু? গোলা-গোব্দা হওয়ার বিপদ এই।

এই সময় বাইরে থেকে আমাদের ওপর টর্চের আলো পড়ল। কেউ বলল, কারা ওখানে?

ছোটমামা সাড়া দিয়ে বললেন, আমরা পাশের গ্রামে থাকি। ফুটবল ম্যাচ দেখতে এসে বিপদে পড়েছি।

টর্চ হাতে এবং ছাতি মাথায় একটা লোক এসে বারান্দায় উঠল। ঠিক গোলোপতির মতোই বেঁটে গাব্দাগোব্দা। সে বলল, এ কি! আমার ঘরের দরজা খুলল কে? তারপর ভেতরে আলো ফেলে খাপ্পা হয়ে গেল। এসব ভাঙচুর করল কে? বলে আমাদের দিকে প্রায়ই তেড়ে এল।

ছোটমামা ঝটপট বললেন, ভাঙচুর করেছেন ঈশ্বর গোলোপতি ঢোল।

–ঈশ্বর গোলোকপতি ঢোল মানে। অত কথা বলছেন তো! আমি গোলোকপতি ঢোল দিব্যি বেঁচেবর্তে আছি। আর আমাকে ভূত করে দিচ্ছেন?

ছোটমামা খুব অবাক হয়ে বললেন, কী আশ্চর্য! তাহলে ওই ভদ্রলোক কে? অবিকল আপনার মতো দেখতে। দরজার খুলে আমাদের ভেতরে ডাকলেন। তারপর

শাট আপ! চালাকি হচ্ছে? বলে সে হেঁড়ে গলায় ডাকতে লাগল, দারোগাবাবু! দারোগাবাবু। চোর! চোর!

পিচের রাস্তার দিক থেকে সাড়া এল, যাচ্ছি-ই-ই! ধরে থাকুন।

ছোটমামা ঝটপট বললেন, চলে আয় পুঁটু! তারপর বারান্দা থেকে লাফ দিলেন। আমিও তাকে অনুসরণ করলুম। বৃষ্টি কমে গেছে। পেছনে চ্যাঁচিমেচি আর টর্চের আলো। জলকাদায় দৌড়ুতে গিয়ে আছাড় খেলুম। তারপর উঠে দাঁড়িয়ে ছোটমামাকে আর দেখতে পেলুম না। ডাকতে থাকলুম, ছোটমামা! ছোটমামা।

ছোটমামার কোনও সাড়া পাওয়া গেল না। বৃষ্টি থেমে গেছে। কিন্তু আকাশ কালো হয়ে আছে মেঘে। বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে। খুব শিগগির সন্ধ্যা এসে গেছে। আবছা আঁধার ক্রমে ঘন হয়ে যাচ্ছে। গ্রামের পথ চিনে ফিরব কেমন করে, সেই ভাবনায় গলা শুকিয়ে গেল। মরিয়া হয়ে হাঁটতে-হাঁটতে আবার ডাকলুম,–ছোটমামা! ছোটমামা!

এবার কাছাকাছি কোথাও চাপাস্বরে সাড়া পাওয়া গেল, চলে আয় পুঁটু।

সহসা আওয়াজ ফিরে পেয়ে বললুম, আপনি কোথায়?

–এই গাছের ডগায়।

অবাক হয়ে বললুম,-গাছে কী করছেন?

–চ্যাঁচাচ্ছিস কেন? তুইও উঠে আয়। পুলিশের দারোগা আমাদের খুঁজে বেড়াচ্ছেন।

সামনে একটা গাছ। তার ডগা থেকে ছোটমামার চাপাগলার কথা শোনা যাচ্ছিল। গাছটার কাছে গিয়ে বললুম, ছোটমামা। আমি উঠব কেমন করে?

–এই ঠ্যাং ঝুলিয়ে দিলুম। দুহাতে চেপে ধর। আমি তোকে টেনে তুলব।

গাছের তলায় অন্ধকারটা বেশি। কিছু দেখা যাচ্ছে না। হাত বাড়িয়ে ছোটমামার ঠ্যাং খুঁজতে খুঁজতে কী একটা হাতে ঠেকল। ওপর থেকে ছোটমামা বললেন,–চেপে ধর! ছাড়িস না যেন। ছেড়ে দিলে আছাড় খেয়ে হাড়গোড় ভাঙা দ হয়ে যাবি কিন্তু।

ঠ্যাংটা দু-হাতে চেপে ধরতেই মনে হল ভীষণ ঠান্ডা হিম বরফের জিনিস। হাত কনকন করে উঠল ঠান্ডার চোটে। সঙ্গে সঙ্গে ছেড়ে দিলুম। ছোটমামা বললেন, কী হল?

–আপনার পা অত ঠান্ডা কেন ছোটমামা?

–খালি কথা বানায়। ওই দ্যাখ টর্চ জ্বালিয়ে দারোগাবাবু আসছেন।

কিছু দূরে টর্চের আলো দেখতে পেলাম। জ্বলছে আর নিভছে। এদিকেই এগিয়ে আসছে লোকটা। ওপর থেকে ছোটমামা ঠান্ডা হিম ঠ্যাংটা বারবার আমার নাকের ডগায় ঝুলিয়ে দিচ্ছেন, আর ঠান্ডার চোটে আমি সরে আসছি। এতক্ষণে টর্চের আলো গাছতলায় এসে পড়ল। তারপর সেই আলোয় যা দেখলুম বুক ধড়াস করে উঠল। ছোটমামার ঠ্যাংটা মস্ত লম্বা এবং তার চেয়ে সাংঘাতিক ব্যাপার, ঠ্যাংটা একটা কঙ্কালের।

আতঙ্কে চেঁচিয়ে উঠলুম, দারোগাবাবু! দারোগাবাবু!

টর্চ হাতে লোকটা বলল, কী হল খোকা? দারোগাবাবুদারোগাবাবু করে চেঁচাচ্ছ কেন?

লোকটা কাছাকাছি এলে বললুম, আমার ছোটমামা সেজে এই গাছে কে যেন বসে আছে।

সে টর্চের আলোয় গাছের ওপরটা তন্নতন্ন করে দেখে বলল, কই থোকা? কেউ তো নেই। তুমি মিছিমিছি ভয় পেয়েছ। তোমার বাড়ি কোথায়?

কাঁদ-কাঁদ মুখে বললুম,–পলাশপুর।

–চলো, আমি পলাশপুরেই যাচ্ছি।

লোকটা দারোগাবাবু নয়। কাজেই তার সঙ্গে হাঁটতে থাকলুম। একটু পরে আবার ছোটমামার সাড়া পেলুম। পুটু! পুঁটু! বলে ডাকাডাকি করছেন।

টর্চের আলোয় ছোটমামাকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলুম। লোকটা বলল, কী রকম লোক মশাই আপনি? ভাগ্নেকে ওই ভুতুড়ে জায়গায় ফেলে এসেছিলেন?

ছোটমামা বললেন, কী রে? ভয় পেয়েছিলি নাকি?

–পাব না? একটা কঙ্কালের ঠ্যাং ঝুলিয়ে কেউ আমাকে গাছে তোলার চেষ্টা করছিল। অবিকল আপনার মতো গলায় কথা বলছিল।

ছোটমামা খাপ্পা হয়ে বললেন,–তবে রে! আয় তো দেখি সে কোন ব্যাটাছেলে?

লোকটা বলল, খুব হয়েছে মশাই! ভূতের সঙ্গে লড়াই করার সময় পরে অনেক পাবেন। চলে আসুন। খোকাবাবুকে খুব ক্লান্ত দেখাচ্ছে।

ছোটমামা বললেন, ঠিক আছে। চল পুটু!

গ্রামে ঢুকে লোকটা বলল, বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে দেব নাকি?

ছোটমামা বললেন, নানো। এবার আমরা যেতে পারব। আপনাকে পেয়ে খুব সুবিধে হল। দিব্যি পথ চলে আসা গেল। তা মশাইয়ের বাড়ি?

-ঝাঁপুইতলা।

–নাম?

–ঈশ্বর গোলোকপতি ঢোল।

শোনামাত্র ছোটমামা চেঁচিয়ে উঠলেন,–পুঁটু! এ যে দেখছি, তিন নম্বর ভূ-ভূ-ভূ-ভয়ে দীর্ঘ উ ত।

তারপর দৌডুতে থাকলেন। আমিও দৌড়ুতে থাকলুম। তবে এবার রাস্তা ভুল হওয়ার কারণ নেই।

বাড়ির কাছাকাছি পৌঁছে ঘুরে দেখি, আলোটা নেই এবং কুকুরগুলো প্রচণ্ড চ্যাঁচিমেচি করছে। ব্যাপারটা সত্যি গোলমেলে।…

সকল অধ্যায়

১. কাটিহারের গঙ্গারাম
২. আজমগড়ের অশরীরী
৩. খুলি যদি বদলে যায়
৪. হরির হোটেল
৫. ভূতে-মানুষে
৬. তিন-আঙুলে দাদা
৭. সেই সব ভূত
৮. ডনের ভূত
৯. রাতের মানুষ
১০. চোর বনাম ভূত
১১. রাতদুপুরে অন্ধকারে
১২. আম কুড়োতে সাবধান
১৩. সত্যি ভূত মিথ্যে ভূত
১৪. ছুটির ঘণ্টা
১৫. ভুতুড়ে ফুটবল
১৬. ম্যাজিশিয়ান-মামা
১৭. ভৌতিক বাদুড় বৃত্তান্ত
১৮. তুতানখামেনের গুপ্তধন
১৯. মুরারিবাবুর মোটরগাড়ি
২০. ভুতুড়ে বেড়াল
২১. ঝড়ে-জলে-অন্ধকারে
২২. কেংকেলাস
২৩. মুরারিবাবুর টেবিলঘড়ি
২৪. স্টেশনের নাম ঘুমঘুমি
২৫. কালো ছড়ি
২৬. ভূত নয় অদ্ভুত
২৭. অদ্ভুত যত ভূত
২৮. মুরারিবাবুর আলমারি
২৯. শ্যামখুড়োর কুটির
৩০. বাঁচা-মরা
৩১. অন্ধকারে রাতবিরেতে
৩২. কেকরাডিহির দণ্ডীবাবা
৩৩. অদলবদল
৩৪. জটায়ুর পালক
৩৫. অলৌকিক আধুলি রহস্য!
৩৬. চোরাবালির চোর
৩৭. পি-থ্রি বুড়ো
৩৮. নিঝুম রাতের আতঙ্ক
৩৯. ডাকিনীতলার বুড়ো যখ
৪০. আসল ভূতের গল্প
৪১. বকুলগাছের লোকটা
৪২. ঘুঘুডাঙার ব্রহ্মদৈত্য
৪৩. ছক্কামিয়ার টমটম
৪৪. হাওয়া-বাতাস
৪৫. মানুষ-ভূতের গল্প
৪৬. গেছোবাবার বৃত্তান্ত
৪৭. শনি-সন্ধ্যার পঞ্চভূত
৪৮. জ্যোৎস্নায় মৃত্যুর ঘ্রাণ
৪৯. তিন নম্বর ভূত
৫০. জ্যোৎস্নারাতে আপদ-বিপদ
৫১. চোর-পুলিশ
৫২. ভুতুড়ে চশমা
৫৩. রাতের আলাপ
৫৪. শর্মার বকলমে
৫৫. বৃষ্টিরাতের আপদ-বিপদ
৫৬. তেরো ভূতের কবলে
৫৭. দারোগা, ভূত ও চোর
৫৮. দুই বন্ধু
৫৯. ভূতের চেয়ে সাংঘাতিক
৬০. বাঁট্টুবাবুর টাট্টু
৬১. বিবেকবধের পালা
৬২. রাত-বিরেতে
৬৩. আধি ভৌতিক
৬৪. যার যা খাদ্য
৬৫. কালো ঘোড়া
৬৬. মাছ ধরার আপদ-বিপদ
৬৭. ভয়ভুতুড়ে
৬৮. কৃতান্তবাবুর কাঁকুলে যাত্রা
৬৯. বোতল যখন কোকিল হয়?
৭০. কালো বেড়াল
৭১. বহুপ্রকার ভূত
৭২. মুরগিখেকো মামদো
৭৩. দাড়িবাবাদের কবলে
৭৪. মুরারিবাবুর দেখা লোকটা

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন