চলতি ভাষার রূপ

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

নানা জেলায় ভাষার নানা রূপ। এক জেলার ভিন্ন অংশেও ভাষার বৈচিত্র্য আছে। এমন অবস্থায় কোথাকার ভাষা সাহিত্যে প্রবেশ লাভ করবে তা কোনো কৃত্রিম শাসনে স্থির হয় না, স্বতই সে আপনার স্থান আপনি করে। কলকাতা সমগ্র বাংলার রাজধানী। এখানে নানা উপলক্ষে সকল জেলার লোকের সমাবেশ ঘটে আসচে। তাই কলকাতার ভাষা কোনো বিশেষ জেলার নয়। স্বভাবতই এই অঞ্চলের ভাষাই সাহিত্য দখল করে বসেচে। যেটাকে লেখ্য ভাষা বলি সেটা কৃত্রিম, তাতে প্রাণপদার্থের অভাব, তার চলৎশক্তি আড়ষ্ট, সে বদ্ধ জলের মতো, সে ধারা জল নয়। তাতে কাজ চলে বটে কিন্তু সাহিত্য শুধু কাজ চলবার জন্যে নয়, তাতে মন আপনার বিচিত্র লীলার বাহন চায়। এই লীলাবৈচিত্র্য বাঁধা ভাষায় সম্ভব হয় না। এইজন্যেই কলকাতা অঞ্চলের চলতি ভাষাই সাহিত্যের আশ্রয় হয়ে উঠেচে। একদা যখন সাধু ভাষার একাধিপত্য ছিল তখনো যে কোনো জেলার লেখক নাটক প্রভৃতিতে কলকাতার কথাবার্তা ব্যবহার করেচেন, কখনোই পূর্ব বা উত্তর বঙ্গের উপভাষা ব্যবহার করেন নি– স্বভাবতই কলকাতার চলতি ভাষা তাঁরা গ্রহণ করেচেন। এর থেকে বুঝবে সাহিত্য স্বভাবতই কোন্‌ প্রণালী অবলম্বন করেচে।

৬ কার্তিক, ১৩৩৮

সকল অধ্যায়

১. শব্দ-চয়ন : ১
২. শব্দ-চয়ন : ২
৩. শব্দচয়ন : ৩
৪. অন্যান্য রচনা ও চিঠিপত্র হইতে সংকলিত
৫. শব্দচয়ন : ৪
৬. শব্দচয়ন : ৫
৭. শব্দচয়ন : ৬
৮. ভাষার কথা
৯. বঙ্গভাষা
১০. বাংলা ব্যাকরণে তির্যক্‌রূপ
১১. বাংলা ব্যাকরণে বিশেষ বিশেষ্য
১২. বাংলা নির্দেশক
১৩. বাংলা বহুবচন
১৪. স্ত্রীলিঙ্গ
১৫. প্রতিশব্দ
১৬. প্রদোষ
১৭. কালচার ও সংস্কৃতি
১৮. প্রতিশব্দ-প্রসঙ্গ
১৯. অনুবাদ-চর্চা
২০. বাংলা কথ্যভাষা
২১. কর্তৃকারক
২২. সর্বনাম
২৩. বাদানুবাদ
২৪. চলতি ভাষার রূপ
২৫. অভিভাষণ
২৬. ভাষার খেয়াল
২৭. শব্দতত্ত্বের একটি তর্ক
২৮. বিবিধ
২৯. বাংলা বানান
৩০. বাংলার বানান-সমস্যা
৩১. বাংলা বানান : ২
৩২. বাংলা বানান : ৩
৩৩. বানান-বিধি
৩৪. বানান-বিধি – ০২
৩৫. চিহ্নবিভ্রাট
৩৬. বানান-প্রসঙ্গ
৩৭. মক্তব-মাদ্রাসার বাংলা ভাষা
৩৮. ভাষা-শিক্ষায় সাম্প্রদায়িকতা
৩৯. বাংলাভাষা ও বাঙালি চরিত্র : ১
৪০. জাতীয় সাহিত্য
৪১. নামের পদবী
৪২. হরপ্রসাদ সংবর্ধন
৪৩. প্রাচীন-কাব্য সংগ্রহ
৪৪. উত্তর-প্রত্যুত্তর

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন