ছায়াচরাচর – ২০

সন্মাত্রানন্দ

কুড়ি 

“পুরাকালে শত শত যোজনব্যাপী এক সমৃদ্ধিশালী রাজ্য ছিল। এই রাজ্যের রাজার নাম ছিল পদ্ম। তাহার এক অত্যন্ত সুন্দরী ও বহু সদগুণে বিভূষিতা রানি ছিলেন। রানির নাম ছিল লীলা। 

পদ্ম ও লীলা পরস্পর পরস্পরের প্রতি গভীর প্রণয়পাশে আবদ্ধ ছিলেন। একজন আর-একজনকে এক মুহূর্তও ছাড়িয়া থাকিতে পারিতেন না। একদিন লীলার মনে হইল, এ জগতে সকলই নশ্বর; সকলই মরণশীল। তাহা হইলে রাজা পদ্ম—তিনিও তো একদিন-না-একদিন মৃত্যুমুখে পতিত হইবেন। ইহার তো ব্যতিক্রম নাই। তখন প্রাণপ্রিয় স্বামীর মৃত্যু হইলে, স্বামীবিহনে তিনি কীরূপে প্রাণ ধারণ করিয়া থাকিবেন, এই চিন্তায় লীলা আকুল হইয়া উঠিলেন। 

এই মানসিক সমস্যার কথা রাজ্ঞী লীলা রাজসভার সভাসদ ও পুরোহিতবর্গের নিকট নিবেদন করিলেন। সকলেই বলিলেন, মৃত্যু অবধারিত। মরণের হাত হইতে কাহারও নিস্তার নাই। রাজাও মরিবে, ভিক্ষুকও মরিবে। সাধুও মরিবে, তস্করও মরিবে। জগতের ইহাই অমোঘ নিয়ম। অতএব, ইহা লইয়া আক্ষেপ করা বৃথা। 

সভাসদদিগের এবংবিধ বচনে রাজমহিষী কোনো সান্ত্বনা পাইলেন না। তিনি দীর্ঘকাল ধরিয়া কাঁদিয়া কাটিয়া, বহু তপশ্চর্যা করিয়া দেবী সরস্বতীর আরাধনা করিতে লাগিলেন। সরস্বতী জ্ঞানের দেবী। মৃত্যু-অতিক্রমী জ্ঞান তাঁহার নিকটেই পাওয়া সম্ভব। অবশেষে দেবী একদিন প্রসন্না হইলেন। লীলার সম্মুখে আবির্ভূত হইয়া সরস্বতী জিজ্ঞাসা করিলেন, পুত্রী! কাঁদিতেছ কেন? 

লীলা কাঁদিতে কাঁদিতে তাঁহার মনোবেদনা নিবেদন করিলেন। উত্তরে সরস্বতী বলিলেন, পদ্মর মৃত্যু হইলে ফুল-মালা-চন্দন-বস্ত্রে পদ্মর মৃতদেহ এই কক্ষে ঢাকিয়া রাখিবে। তাহা হইলে পদ্মর জীবাত্মা এ গৃহের আকাশ হইতে বাহিরে যাইতে পারিবে না। 

যথাকালে পদ্মর মৃত্যু হইল। দেবীর নির্দেশ অনুসারে লীলা পদ্মর মরদেহ পুষ্প- চন্দন-মাল্য-বস্ত্রে বিভূষিত করিয়া রাখিয়া দিল। কিন্তু তাহার পর লীলার মনে অন্যপ্রকার চিন্তা উঠিতে লাগিল। দেবী সরস্বতীর প্রতিশ্রুতিমতো স্বামীর জীবাত্মা এ গৃহাকাশ ছাড়িয়া যায় নাই—না হয় বুঝিলাম, কিন্তু স্বামীকে তো এখন আর দেখা যাইতেছে না। জীবাত্মা তো নিরবয়ব। তাহাকে চর্মচক্ষে দেখা যায় না! 

স্বামীর অদর্শনে তাপিতা লীলা পুনরায় শোকোচ্ছ্বাস প্রকাশ করিতে লাগিলেন। তাঁহার ক্রন্দনে বিচলিতা হইয়া দেবী সরস্বতী পুনরায় লীলার সম্মুখে আবির্ভূত হইলেন। কহিলেন, বৎসে, পুনর্বার কাঁদিতেছে কেন? 

লীলা কহিলেন, আমি আমার স্বামীর নিকটে যাইব। তাঁহাকে দর্শন করিব। 

দেবী বলিলেন, আইস। এই বলিয়া তিনি লীলার শিরোদেশে করস্পর্শ করিয়া তাঁহাকে এক অন্য ভুবনে লইয়া গেলেন। লীলা দেখিলেন, দেবী সরস্বতীর সহিত তিনি এক অন্য রাজ্যে প্রবেশ করিয়াছেন। সে-রাজ্যে এক রাজসভামধ্যে সভাসদ পরিবৃত হইয়া তাঁহার স্বামীরই ন্যায় অবিকল আকৃতিযুক্ত এক বৃদ্ধ রাজা রাজত্ব করিতেছেন। 

লীলা কহিলেন, এ কোথায় আসিয়া পড়িয়াছি? 

দেবী বলিলেন, এও তোমার স্বামীরই রাজ্য। তোমার স্বামী পদ্ম মৃত্যুর পর এই রাজা হইয়া জন্মিয়াছেন। এখন তাহার নাম রাজা বিদুরথ। 

লীলা বলিলেন, সে কী! ইহা কীরূপে হইতে পারে? আমার স্বামী তো গতকাল মাত্র মৃত্যুমুখে পতিত হইয়াছেন। আর এই রাজার বয়স তো প্রায় বাহাত্তর হইবে। তাহা হইলে কী করিয়া গতকাল মাত্র আমার স্বামীর মৃত্যু হইল, আর তাহার পর তিনি পুনর্জাত হইয়া আবার বাহাত্তর বৎসর অতিবাহিত করিয়া বৃদ্ধ হইয়া রাজত্ব করিতেছেন? তাঁহার যে গতকাল মাত্র মৃত্যু হইয়াছে! ইহা কীরূপে হইতে পারে? 

দেবী সরস্বতী বলিলেন, পুত্রী! তোমাদের লোকে যাহা এক দিন, এই ভুবনে তাহাই বাহাত্তর বৎসর। সময় একটি আপেক্ষিক ধারণা মাত্র। উহার কোনো স্থির পরিমাপ নাই। চলো, তোমাকে আর-এক স্থানে লইয়া যাইব। 

সরস্বতী লীলার হাত ধরিলেন। শূন্যপথে পায়ের নীচে কত বিচিত্র ব্রহ্মাণ্ড সরিয়া যাইতে লাগিল। তাহার পর বিচিত্র বিশ্বরাজি পরিভ্রমণ করিয়া তাঁহারা এক গ্রামদেশে এক দরিদ্রের কুটিরে প্রবেশ করিলেন। সেখানে দেখিলেন, কাহারা যেন মৃত এক ব্রাহ্মণদম্পতির নিমিত্ত ক্রন্দন করিতেছে। 

লীলা প্রশ্ন করিলেন, ইহারা কারা? 

সরস্বতী বলিলেন, এখানে এক বৃদ্ধ ব্রাহ্মণদম্পতি বাস করিতেন। ক্রন্দনকারী ব্যক্তিবর্গ তাঁহাদেরই পুত্রকন্যা। ব্রাহ্মণের নাম ছিল বশিষ্ঠ। আট দিন হইল, তাহাদের মৃত্যু হইয়াছে। তপোনিষ্ঠ এই দরিদ্র ব্রাহ্মণদম্পতি বৃদ্ধ বয়সে এক সমারোহের ভিতর এক রাজা ও রানিকে দর্শন করিয়াছিলেন। ইহাতে তাঁহাদের মনে হয়, আহা! আমরাও যদি রাজা-রানি হইতাম, তবে এইরূপ সমৃদ্ধি উপভোগ করিতে পারিতাম। মৃত্যুকালে এই বাসনা থাকায় আট দিন পূর্বে তাঁহাদের প্রাণবিয়োগ হইলে তাঁহারা রাজা ও রানিরূপে অন্য লোকে জন্ম লইয়াছেন। সেই রাজাই তোমার স্বামী পদ্ম এবং রানি তুমি—লীলা। অর্থাৎ রাজা পদ্ম পূর্বজন্মে এই ব্রাহ্মণ বশিষ্ঠ এবং তুমি পূর্বজন্মে তদীয়া ব্রাহ্মণী ছিলে। 

লীলা উত্তেজিত হইয়া বলিলেন, ইহা তো আরও অসম্ভব! আট দিন পূর্বে আমরা বৃদ্ধ ব্রাহ্মণদম্পতি ছিলাম। আট দিন পূর্বে মরিয়া যাই। তাহার পর আট দিনের মধ্যে জন্মিয়া রাজারানি হইয়া এত দীর্ঘকাল, তা প্রায় পঞ্চাশ বৎসর হইবে, রাজ্যভোগ করিতেছি? 

সরস্বতী বলিলেন, মায়ার রাজত্বে অসম্ভব বলিয়া বড়ো একটা কিছু নাই। ইহাই ঘটিয়াছে। আট দিন পূর্বে ব্রাহ্মণদম্পতি ছিলে। আট দিন পূর্বে মরিয়া পঞ্চাশ বৎসর রাজারানি হইয়া রাজ্যোপভোগ করিয়াছ এবং গতকাল রাজা পদ্ম মৃত্যুবরণ করিয়াছে। আবার গতকালই তাহার পুনর্জন্ম হইয়া রাজা বিদুরথরূপে বাহাত্তর বৎসর বাঁচিয়া থাকিয়া আজকেই সে রাজ্যশাসন করিতেছে। সমান্তরাল বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে এইরূপেই সময়ের ব্যভিচার ঘটিয়া থাকে। শুধু কি তাহাই? তোমার স্বামী পদ্মর সমগ্র রাজ্য এই ব্রাহ্মণের গৃহাকাশের ভিতর নিহিত আছে। আবার রাজা পদ্মর মৃতদেহ যে-গৃহে পড়িয়া আছে, তাহারই গৃহাকাশের ভিতর রাজা বিদুরথের সমগ্র সাম্রাজ্য নিহিত হইয়া আছে। 

লীলা বিস্মিত হইয়া বলিল, ওহ্, কী আশ্চর্য! এই সংকীর্ণ গৃহাকাশ অতি ক্ষুদ্র, আর সেই সাম্রাজ্য কত বৃহৎ! এত ক্ষুদ্র পরিসরের ভিতর অত বিশাল সাম্রাজ্য কেমন করিয়া ঢুকিয়া থাকিবে? সরস্বতী বলিলেন, ‘কেমন করিয়া বলিয়া কোনো কথা নাই। কালের যেমন ব্যভিচার হয়, স্থানেরও সেইরূপ ব্যভিচার ঘটিয়া থাকে। মায়ায় সকলই সম্ভব। 

লীলা বিহ্বল হইয়া বলিলেন, তাহা হইলে আমার স্বামী এখন কোথায়? 

সরস্বতী লীলাকে পুনরায় বিদুরথ রাজার রাজত্বে লইয়া আসিলেন। তাঁহারা দেখিলেন, ইতোমধ্যে সেই রাজ্য এক প্রতিবেশী রাজার দ্বারা আক্রান্ত হইয়াছে। ভয়ানক যুদ্ধ চলিতেছে। এ অবস্থায় দেবী সরস্বতী বিদূরথ রাজার সম্মুখে আবির্ভূত হইয়া তাঁহার বিগত দুই জন্মের পূর্বস্মৃতি জাগরিত করিলেন এবং বলিলেন, রাজা বিদুরথ! এই যুদ্ধে তোমার মৃত্যু হইবে এবং মৃত্যুর পর তুমি অন্য লোকে রাজা পদ্মর মৃতদেহের ভিতর প্রবেশ করিয়া জাগিয়া উঠিবে। এ লোকে তোমার মৃত্যু না হইলে সেই অন্য লোকে তুমি রাজা হইতে পারিবে না। 

সত্যই যুদ্ধে রাজা বিদূরথ নিহত হইলেন। তখন বিদূরথ রাজার মৃতদেহের উপর লুটাইয়া পড়িয়া বিদূরথের রানি শোক করিতেছিলেন। 

লীলা সেই বিদুরথ রাজার শোকাবিষ্টা রানিকে জিজ্ঞাসা করিলেন, তুমি কে? কাঁদিতেছ কেন? 

শোকার্তা রানি বলিল, আমার নাম লীলা! আমি বিদুরথ রাজার স্ত্রী। 

লীলা অবাক হইয়া বলিলেন, তোমার নামও লীলা? কী আশ্চর্য! তোমার আকৃতি যে সর্বাংশে আমার অনুরূপ!! 

সরস্বতী এই দ্বিতীয় লীলাকে প্রবোধ দিয়া বলিলেন, পুত্রী! শোক করিও না। তোমার স্বামী বিদূরথ মৃত্যুর পর যে-লোকে যাইবে, আমি তোমাকে সেই লোকেই লইয়া যাইতেছি। 

তখন দেবী সরস্বতী দুই লীলাকে লইয়া সেইখানে প্রবেশ করিলেন, যেখানে এক গৃহমধ্যে রাজা পদ্মর মৃতদেহ রাখা ছিল। 

সরস্বতীর কৃপায় বিদুরথের জীবাত্মা পদ্মর মৃতদেহে প্রবেশ করিল এবং রাজা পদ্ম চোখ রগড়াইয়া শয্যার উপর উঠিয়া বসিলেন। তিনি তো অবাক! সম্মুখে দুই একান্ত সদৃশ লীলা এবং এক দেবী বিরাজমানা! 

সরস্বতী রাজাকে সকল কথা পূর্বে জ্ঞাপন করিয়া পরিশেষে বলিলেন, পদ্ম। এক্ষণে দুই স্ত্রী লইয়া সুখে রাজ্যোপভোগ করো। কিন্তু যাহা বলিলাম, তাহা কখনও ভুলিও না। মায়ারচিত এ বিশ্বের নানা ভুবনে স্থান-কাল-পাত্রের কোনো সুস্থির হিসাব নাই। জন্ম, মৃত্যু, জীবনেরও কোনো স্থিরতা নাই। এ মরিতেছে, তো সে বাঁচিতেছে। এখানে মরিয়া পড়িয়া রহিল, তো অন্যত্র বহু যুগ ধরিয়া রাজ্যভোগ করিতেছে। 

পদ্ম জোড়হাতে জিজ্ঞাসা করিলেন, কিন্তু এই অস্থির প্রপঞ্চের অতীত কোনো সত্য কি নাই? 

সরস্বতী সানন্দে হাসিয়া বলিলেন, আছে। এই এলোমেলো বহুবিচিত্র অস্থিরতার পশ্চাতে এক স্থির পটভূমিকা আছে। উহাই পরম সম্বিৎ। এই সম্বিতই হইল আত্মা বা ব্রহ্ম। চিত্রকর যেমন স্থির একখানি শুভ্র বস্ত্রের উপর বহুবর্ণরঞ্জিত চিত্র আঁকিয়া থাকে, মায়াও তেমনই সেই এক শুদ্ধ সম্বিতের উপর এই সব স্থান-কাল-পাত্রের প্রহেলিকা আঁকিয়া চলিতেছে। 

এই বলিয়া দেবী সরস্বতী অন্তর্হিতা হইলেন। 

বহু বৎসর দুই স্ত্রী লইয়া রাজা পদ্ম সুখে রাজ্যভোগ করিলেন এবং অন্তিমে পদ্ম ও প্রথম লীলা জ্ঞানসহায়ে নির্বাণ লাভ করিলেন। তাঁহাদের আর জন্ম-মৃত্যু হইল না। গৃহাকাশ মহাকাশে মিলাইয়া গেল।” 

.

এই বলিয়া যোগিনী হিরণ্যবর্ণা তাঁহার কাহিনি সমাপ্ত করিলেন। পদ্মাক্ষ, হৈমবতী মুগ্ধ হইয়া শুনিতেছিল। বাহিরে এখনও বৃষ্টি পড়িতেছে। আর গুহার ভিতরে স্তিমিতপ্রায় প্রদীপটি তাহার অনতিস্পষ্ট আলোকে অন্ধকারকে যেন আরও ঘনীভূত করিয়া তুলিয়াছে। পদ্মাক্ষ ভাবিতেছিল, এ কেমন স্থান-কাল-পাত্রের হিসাব ওলটপালট করিয়া দেওয়া কাহিনি! 

পুরোবর্তী ঘটটি দুই হাতে ধরিয়া যোগিনী কী যেন পান করিলেন। তাহার পর বস্তুপ্রান্তে মুখ মুছিয়া বলিলেন, “শুনিলি তো? এখন-তখন, আগে-পরে, অত্র-অন্যত্র ইত্যাকার বিবেচনা মনের একটা রোগ। মন দ্রুতগামী ও নিরাসক্ত হইলে এই সব স্থানকালের হিসাব খসিয়া পড়ে। তখন এক স্থান হইতে অন্য স্থানে, এক লোক হইতে অন্য লোকে, এক সময় হইতে অন্য সময়ে চলিয়া যাওয়া সম্ভব হয়। পাত্রও পালটাইয়া যায়। এই দেখিতেছিস একজন, পরমুহূর্তে দেখিবি অন্য কেহ।” 

হৈমবতী যোগিনীকে সাষ্টাঙ্গ প্রমাণ করিয়া কহিল, “মা! অনেক রাত্রি হইয়াছে। এখন বিদায় লইব। আপনি আমার স্বামীকে প্রাণ ভরিয়া আশীর্বাদ করুন, ইনি যেন কবিত্বশক্তিতে অতুলনীয় হইয়া উঠেন। আমাদের প্রেম যেন অবিচল হইয়া থাকে, আর আমাদের পুত্র যেন মানুষের মতো মানুষ হইতে পারে।” 

পদ্মাক্ষও সাষ্টাঙ্গে যোগিনীকে প্রণাম করিল। যোগিনী দক্ষিণ কর উত্তোলন করিয়া সস্মিত বয়ানে পদ্মাক্ষ-হৈমবতীকে আশীর্বাদ করিলেন। 

হৈমর হাত ধরিয়া পদ্মাক্ষ গুহা হইতে বাহির হইয়া আসিতে লাগিল। সহসা কী মনে হইল, একবার শেষবারের মতো যোগিনীকে দেখিবার আগ্রহে গ্রীবা ফিরাইল। অবাক হইয়া দেখিল, সেই দেবীমূর্তি, সেই যোগিনী সকলই ভোজবাজির মতো অন্তর্হিত হইয়া গিয়াছে। পদ্মাক্ষ সবিস্ময়ে কহিল, “হৈম, দেখ, দেখ!” 

হৈমবতীও ফিরিয়া দেখিল… সেই দেবী নাই, যোগিনীও নাই, তৎস্থলে গুহার ভিতর স্বচ্ছ নীরে পরিপূর্ণ একটি হ্রদ। জলের উপর নীল কুমুদ ফুটিয়া আছে, আর তাহারই পাশে পাশে ধীরচ্ছন্দে সম্ভরণ করিতেছে এক শুভ্র রাজহংস! 

সকল অধ্যায়

১. ছায়াচরাচর – ১
২. ছায়াচরাচর – ২
৩. ছায়াচরাচর – ৩
৪. ছায়াচরাচর – ৪
৫. ছায়াচরাচর – ৫
৬. ছায়াচরাচর – ৬
৭. ছায়াচরাচর – ৭
৮. ছায়াচরাচর – ৮
৯. ছায়াচরাচর – ৯
১০. ছায়াচরাচর – ১০
১১. ছায়াচরাচর – ১১
১২. ছায়াচরাচর – ১২
১৩. ছায়াচরাচর – ১৩
১৪. ছায়াচরাচর – ১৪
১৫. ছায়াচরাচর – ১৫
১৬. ছায়াচরাচর – ১৬
১৭. ছায়াচরাচর – ১৭
১৮. ছায়াচরাচর – ১৮
১৯. ছায়াচরাচর – ১৯
২০. ছায়াচরাচর – ২০
২১. ছায়াচরাচর – ২১
২২. ছায়াচরাচর – ২২
২৩. ছায়াচরাচর – ২৩
২৪. ছায়াচরাচর – ২৪
২৫. ছায়াচরাচর – ২৫
২৬. ছায়াচরাচর – ২৬
২৭. ছায়াচরাচর – ২৭
২৮. ছায়াচরাচর – ২৮
২৯. ছায়াচরাচর – ২৯
৩০. ছায়াচরাচর – ৩০
৩১. ছায়াচরাচর – ৩১
৩২. ছায়াচরাচর – ৩২

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন