পত্রপরিচিতি

সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়

|| পত্রসংখ্যা ১ ||

ক. তোমার ভ্রমণবৃত্তান্ত… সুনীতিকুমার

দ্বীপময় ভারতে তাঁর ভ্রমণের বৃত্তান্ত ধারাবাহিকভাবে ১৩৩৪ সালের ভাদ্র থেকে ১৩৩৮ সালের আশ্বিন পর্যন্ত প্রকাশ করেছিলেন। সেটি পড়ে কবির ভালোলাগার কথা তিনি এই চিঠির কপালটুকিতে উল্লেখ করেছেন।

খ. অমিয়চন্দ্র চক্রবর্তীর সঙ্গে ডেনমার্কের মেয়ে হিওর্ডিস সিগোর বিয়ে হয় ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দের ডিসেম্বর মাসে। হিওর্ডিস শান্তিনিকেতনে এসেছিলেন নন্দিনীর শিক্ষার সহায়তার জন্যে। বিয়ে হয় শান্তিনিকেতনে। সি এফ এন্ড্রুজ কন্যা-সম্প্রদান করেন। রবীন্দ্রনাথ কন্যার নামকরণ করেন হৈমন্তী। অমিয়চন্দ্র তখন রবীন্দ্রনাথের সাহিত্যসচিব। তাঁর অসবর্ণ বিবাহ নিয়ে যে গোলযোগ উপস্থিত হয় তাঁর পরিবারে, এখানে তার ইঙ্গিত ও অবসানে রবীন্দ্রনাথের ভূমিকার কথা উল্লিখিত হয়েছে।

গ. প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশ।

ঘ. এসময়ে সুনীতিকুমার কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনারত।

ঙ. উপেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায়।

চ. এ বিষয়ে মৎ-রচিত ভূমিকা দ্রষ্টব্য।

|| পত্রসংখ্যা ২ ||

ক. আর্নল্ড আদ্রিয়ান বাকে এবং তাঁর পত্নী ভারতীয় সংগীতশাস্ত্র বিষয়ে গবেষণার জন্য হল্যাণ্ডের কার্ন ইনস্টিটিউট থেকে বৃত্তি পেয়ে ১৯২৬ খ্রিস্টাব্দে বিশ্বভারতীতে আসেন। এই ডাচ দম্পতিই ছিলেন এখানের সংগীতবিভাগে প্রথম বিদেশী ছাত্রছাত্রী। রবীন্দ্রনাথ এঁদের নামকরণ করেছিলেন যথাক্রমে আরুণি ও করুণা। ১৯২৭ সালে রবীন্দ্রনাথ পূর্ব দ্বীপপুঞ্জ ভ্রমণে গেলে এঁরা সেখানে যান পথিকৃৎ হয়ে। আট বছর পর তাঁরা স্বদেশ ফিরে যান।

খ. রুশ পন্ডিত বহুভাষাবিদ বগদানফ ফরাসি, ইংরেজি ও ফার্সি ভাষায় বিশেষ বুৎপন্ন ছিলেন। ১৯২৯ খ্রিস্টাব্দে তিনি পারসিয়ান অধ্যাপক পদে বিশ্বভারতীতে নিযুক্ত হন। এই গোঁড়া খ্রিস্টান তন্ত্রবিষয়ে খুব উৎসাহী ছিলেন। বিশেষ কারণে রবীন্দ্রনাথের নির্দেশে পরে তাঁকে শান্তিনিকেতন ত্যাগ করতে হয়।

গ. যদুবাবু—যদুনাথ সরকার। এ সময়ে তিনি কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন।

এই চিঠির তারিখ জানা যায়নি।

|| পত্রসংখ্যা ৩ ||

ক. মাঘ ১৩৩৪ সংখ্যা শনিবারের চিঠিতে মুদ্রিত।

খ. এ সময়ে প্রেসিডেন্সি কলেজের অধ্যাপক প্রশান্তচন্দ্র মহলনাবীশ এবং অধ্যাপক অপূর্বকুমার চন্দ তরুণদের পক্ষাবলম্বন করেছিলেন। ‘অধ্যাপক পাড়া’ কথাটির মধ্যেই সম্ভবত সেই ইঙ্গিত রয়ে গেছে। এঁরা পরবর্তীকালে এ বছরের ৪ ও ৭ চৈত্র ‘বিচিত্রাভবনে’ যে সভা বসে তাতে সুনীতিকুমার প্রমুখের সঙ্গে যোগ দেন। অন্যদের মধ্যে নীরদচন্দ্র চৌধুরী, অমল হোম, প্রমথ চৌধুরী, অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং সজনীকান্ত দাস যোগ দেন। সভায় সুনীতিকুমার কবিকে বলেন—‘সামাজিক প্রাণী হিসেবে সাহিত্যিকের সামাজিক বিধি-ব্যবস্থাকে ভাঙবার কতটা অধিকার আছে আপনি বিচার করবেন।’ প্রত্যুত্তরে রবীন্দ্রনাথ যা বলেন তার জন্য দ্রষ্টব্য ‘সাহিত্যের পথে’ গ্রন্থের সাহিত্যসমালোচনা নিবন্ধটি।

|| পত্রসংখ্যা ৪ ||

ক. এই চিঠিটি শারদীয় দেশ পত্রিকার ১৩৭১ সংখ্যায় মুদ্রিত হয়েছে। এ সময়ে রাজবন্দীদের পরিবারের সাহায্যের জন্য শান্তিনিকেতনে ছাত্র-ছাত্রীদের বিচিত্রানুষ্ঠানের প্রস্তাবে কেউ কেউ অখুশি হন। সাহায্যের জন্য এই উপায় তাঁদের মনোমত ছিল না। সুনীতিকুমার এই ভিন্নমতের কথা রবীন্দ্রনাথের গোচরীভূত করলে রবীন্দ্রনাথ এই চিঠি লেখেন। চিঠিতে রবীন্দ্রনাথের রাষ্ট্রনৈতিক মতামতও ব্যক্ত হয়েছে। ‘আমাদের নিজের দেশ… গভীরভাবে আপনাকে হারিয়েছে’ এই অংশে।

|| পত্রসংখ্যা ৫ ||

ক. দিলীপকুমার রায়।

|| পত্রসংখ্যা ৭ ||

ক. সুনীতিকুমার শান্তিনিকেতনে প্রায়ই থাকতেন। সেই রকম একবার অবস্থানকালে রবীন্দ্রনাথ সুনীতিকুমারের ছবির খাতায় একটি রঙিন ছবি এঁকে দেন। সুনীতিকুমার একজন শিল্পরসিক ও স্বয়ং শিল্পী ছিলেন। তাঁর এই খাতাটিতে নন্দলাল বসু প্রমুখ শিল্পীর আঁকা ছবিও আছে। রবীন্দ্রনাথের এই ছবিটি আজ পর্যন্ত অপ্রকাশিত। এ সময়ে রবীন্দ্রনাথের আঁকা ছবি সম্পর্কে বিরুদ্ধবাদীরা কটু কথা বলতে থাকলে বিরক্ত রবীন্দ্রনাথের মনের মধ্যে যে প্রতিক্রিয়া হয়, এই চিঠিতে তা ধরা পড়ে গেছে। চিঠির প্রতিলিপি তিনি সজনীকান্তকেও পাঠান।

খ. সম্ভবত ‘তপতী’ অভিনয়ের কথা বলা হয়েছে।

|| পত্রসংখ্যা ৮ ||

ক. পত্রসংখ্যা ৭-ক পরিচিতি দ্রষ্টব্য।

খ. ১৩৩৬ সালের ২৫ মাঘ বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের বিশেষ অধিবেশনে রবীন্দ্রনাথ ‘শব্দ-চয়ন’ শীর্ষক একটি দীর্ঘ প্রবন্ধ পাঠ করেন। এটি ছিল ইংরেজি শব্দের উপযুক্ত বাঙলা প্রতিশব্দের তালিকা। এই প্রবন্ধের শেষে রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন—‘যা সংগ্রহ করতে পেরেছি, তা শ্রীযুক্ত সুনীতিকুমারের প্ররোচনায় প্রকাশ করবার জন্য তাঁর হাতে অর্পণ করলুম। অন্তত এর অনেকগুলি শব্দ বাঙলা লেখকদের কাজে লাগবে বলে আমার বিশ্বাস।’

|| পত্রসংখ্যা ৯ ||

ক. অর্থাৎ পূর্বোক্ত শব্দসংগ্রহের তালিকাটি সুনীতিকুমারের কাছে পাঠিয়ে দেন।

খ. সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকায়। এই পত্রিকায় ৩৬ বর্ষ ৪র্থ সংখ্যায় ‘শব্দ-চয়ন’ প্রবন্ধটি প্রকাশিত হয়েছিল।

|| পত্রসংখ্যা ১১ ||

ক. সুরেন্দ্রনাথ কর (১৮৯৪-১৯৭০) স্থপতি, শিল্পী ও পরে শান্তিনিকেতন কলাভবনের অধ্যক্ষ। সুরেন্দ্রনাথ পূর্ব দ্বীপপুঞ্জ ভ্রমণকালে সুনীতিকুমারের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের সঙ্গী ছিলেন। পরে বিদেশেও যান এবং পদ্মশ্রী ও মরণোত্তর ‘দেশিকোত্তম’ উপাধিতে ভূষিত হন।

খ. নুটু, পোশাকী নাম রমা। ইনি সন্তোষচন্দ্র মজুমদারের ভগ্নী ছিলেন এবং আশৈশব আশ্রমলালিত হন ও সংগীতশাস্ত্রে ব্যুৎপন্ন হয়ে বিদ্যালয়ের সংগীত-শিক্ষয়িত্রী হন। বৈদ্যকন্যার সঙ্গে কায়স্থ পাত্রের বিবাহ মজুমদার পরিবারে অভিপ্রেত ছিল না। রবীন্দ্রনাথ তাঁদের এই বিবাহ সংঘটনে উদ্যোগী হয়েছিলেন। এ বিষয়ে প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় ‘রবীন্দ্রজীবনী’ তৃতীয় খন্ডে যে সব মন্তব্য করেছেন তা যথার্থ নয়। যথার্থ তথ্যের জন্য পঞ্চানন মন্ডল রচিত ‘ভারতশিল্পী নন্দলাল’ গ্রন্থের দ্বিতীয় খন্ড দ্রষ্টব্য। সেখানে বিবাহ বিষয়ে স্বয়ং সুরেন্দ্রনাথ এবং পুরোহিত সুজিতকুমার মুখোপাধ্যায়ের অভিমত মুদ্রিত আছে। এই বিবাহ শান্তিনিকেতনেই অনুষ্ঠিত হয় এবং কবি যৌতুকস্বরূপ কবিতা ও মূল্যবান উপহার দেন।

গ. প্রমথনাথ তর্কভূষণ, মহামহোপাধ্যায় (১৮৬৫-১৯৪৪) কাশীর বিখ্যাত পন্ডিত। হিন্দুর সমাজবিধির কালোচিত সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার প্রতি তিনি সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

ঘ. রবীন্দ্রনাথের জন্মদিনে এই বিবাহ হয়।

ঙ. সুনীতিকুমার এই বিবাহে পৌরোহিত্য করেননি, রবীন্দ্রনাথের গভীর অনুরোধ সত্ত্বেও। পৌরোহিত্য করেন শান্তিনিকেতনেরই ছাত্র সুজিতকুমার মুখোপাধ্যায় রবীন্দ্রনাথের অনুরোধে।

|| পত্রসংখ্যা ১৩ ||

এই চিঠিটি রবীন্দ্রনাথ সুনীতিকুমারকে লিখেছিলেন। তাঁর ‘বাঙলা ভাষা-পরিচয়’ গ্রন্থটি সুনীতিকুমারকে উৎসর্গ প্রসঙ্গে। শান্তিনিকেতন রবীন্দ্রভবনে রক্ষিত এই চিঠির কপালটুকিতে অন্যের হাতে লেখা আছে ‘বাঙলা ভাষা-পরিচয়’-এর ভূমিকা/শান্তিনিকেতন/ ২০/৯/৩৮। মূল পুস্তকে অবশ্য এমন কোনো চিঠি নেই। গ্রন্থে সংযুক্ত ভূমিকাটি সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকার ৪৫ বর্ষের তৃতীয় সংখ্যায় মুদ্রিত হয়েছিল। মনে হয়, এই পত্রটি অপ্রকাশিত রয়ে গেছে। রবীন্দ্রনাথ গ্রন্থের উৎসর্গপত্রেই প্রথম ‘ভাষাচার্য’ শব্দটি ব্যবহার করেন।

|| পত্রসংখ্যা ১৪ ||

এই চিঠিটি সুনীতিকুমারের পিতার নামে মুদ্রিত উপনয়নের পত্রে সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর পত্নী কলমাদেবীর অনুরোধের উত্তরে লিখিত। মূল আমন্ত্রণপত্রটির জন্য দ্রষ্টব্য, পত্রসংখ্যা ১৭।

|| পত্রসংখ্যা ১৫ ||

ক. এই পত্রের একটি খন্ডিত প্রতিলিপি অধ্যাপক সুকুমার সেনের ‘বাঙ্গালা সাহিত্যের ইতিহাস’-এর প্রথম খন্ড, পূর্বার্ধে মুদ্রিত আছে। সেখানে কেবল প্রথম প্যারাটি মুদ্রিত আছে।

|| পত্রসংখ্যা ১৬ ||

ক/খ. পত্রসংখ্যা ৮খ এর টীকা দ্রষ্টব্য।

গ. কালিদাস নাগ।

ঘ. সজনীকান্ত দাস—শনিবারের চিঠির সম্পাদক।

ঙ. মোহিতলাল মজুমদার।

এটি মূল চিঠির খসড়া, সর্বত্র পাঠোদ্ধার সম্ভব হয়নি। মূল চিঠির কোনো সন্ধান পাইনি।

|| পত্রসংখ্যা ১৮ ||

দ্রষ্টব্য ১৫ক সংখ্যক পত্রের পরিচিতি।

অধ্যায় ২৮ / ২৮

সকল অধ্যায়

১. ব্যাকরণিয়া রবীন্দ্রনাথ
২. বাকপতি রবীন্দ্রনাথ
৩. রবীন্দ্রনাথ ও বাঙলাভাষা
৪. বিশ্বমনা: বাকপতি
৫. ভারতীয় সংগীত ও রবীন্দ্রনাথ
৬. রবীন্দ্রনাথের ‘চিত্রলিপি’
৭. রবীন্দ্রনাথের দেশমর্যাদাবোধ
৮. রবীন্দ্রনাথ
৯. ভারতদূত রবীন্দ্রনাথ
১০. মেক্সিকোতে রবীন্দ্র-সাহিত্য
১১. লন্ডনে রবীন্দ্রনাথ
১২. রবীন্দ্রনাথের দেশাত্মবোধ
১৩. রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে দ্বীপময় ভারতে
১৪. রবীন্দ্রনাথের ‘জীবন-দেবতা’
১৫. RABINDRANATH TAGORE
১৬. PREFACE TO DEVANĀGARI GITĀNJALI
১৭. VIŚVA-MANĀH VĀK-PATI
১৮. VĀK-PATI
১৯. BOOK REVIEW
২০. TAGORE, THE FULL MAN AND IRAN
২১. MESSAGE
২২. TRANSLATION OF THE POEM
২৩. SOEKARNA MET TAGORE IN JAVA
২৪. MEETING SOEKARNO
২৫. A RECENT TRIBUTE TO RABINDRANATH THROUGH SCULPTURE FROM SOVIET LATVIA
২৬. সুনীতিকুমারকে লেখা রবীন্দ্রনাথের চিঠি
২৭. রবীন্দ্রনাথকে লেখা সুনীতিকুমারের চিঠি
২৮. পত্রপরিচিতি

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন