বাঙ্গালা সংবাদ পত্ৰ

প্রায় ৫২ বৎসর অতীত হইল, বঙ্গদেশে বাঙ্গালা পত্রিকার প্রথম প্রচলন আরম্ভ হইয়াছে। বঙ্গদেশের শুভানুধ্যায়ী শ্রীরামপুরস্থ মিসনরিগণ ইহার প্রথম উদ্যোগী। ১৮১৮ খৃষ্টীয় অব্দের এপ্রেল মাসে পূর্ব্ব কথিত ডাক্তর মাস মান সাহেব “দিদ্গর্শন’ নামক একখানি বাঙ্গালা মাসিক পত্র প্রকাশ করেন। তাহাতে নানাবিধ হিতকর প্রবন্ধ ও সংবাদাদি লিখিত হইত, কিন্তু তাহা প্রথম সংখ্যা মুদ্রিত হইয়াই “সমাচার দর্পণ” নাম ধারণ করত সাপ্তাহিক নিয়মে প্রচার আরম্ভ হয়। ডাক্তার কেরি সাহেব এই পত্র প্রচারণ বিষয়ে অনেক আপত্তি করিয়াছিলেন। কিন্তু তাঁহার আপত্তি কোন ফলদায়ক হয় নাই। গবর্ণর জেনেরল লর্ড হেষ্টিংসও মিসনরিদিগের এই মহৎ কাৰ্য্যে সন্তুষ্ট হইয়া, ইহার উন্নতির নিমিত্ত তৎকালপ্রচলিত ডাক মাশুলের চতুর্থাংশে ইহা বিতরণের অনুমতি দেন। মৃত বাবু দ্বারকানাথ ঠাকুর সমাচার দর্পণের প্রথম গ্রাহক শ্রেণী মধ্যে ভুক্ত হন, তৎপরে অন্যান্য স্বদেশপ্রিয় মহোদয়গণ তাহার উন্নতিকল্পে ব্রতী হইয়াছিলেন। সমাচার দর্পণ প্রকাশের এক পক্ষ পরে “তিমির নাশক” নামক একখানি সংবাদ পত্র কলিকাতা হইতে প্রকাশিত হইতে আরম্ভ হয়। একজন বঙ্গবাসী ইহার সম্পাদক ছিলেন। বাঙ্গালী কর্ত্তৃক এই প্রথম সংবাদ পত্র প্রচার হয়। দুঃখের বিষয়, তিমির নাশক স্বকীয় নামের সার্থকতা সাধন করিবার পূর্ব্বেই বঙ্গসমাজ হইতে অন্তর্হিত হইয়াছিল!

উহার কিয়দ্দিন পরে প্রাচীনতম “সমাচার চন্দ্রিকা” কলিকাতা হইতে প্রকাশিত হয়। মৃত বাবু ভবানীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় উক্ত পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। সময়ে সময়ে সমাচার দর্পণ ও চন্দ্রিকায় তুমুল সংগ্ৰাম হইত।—যখন গবর্ণমেণ্ট সহমরণ প্রথা নিবারণ জন্য সচেষ্ট হয়েন, তখন সেই বিষয় লইয়া পূর্ব্বোক্ত পত্রদ্বয়ে অত্যন্ত আন্দোলন হইয়াছিল। সমাচার দর্পণ উক্ত দুর্নীতি সংশোধন জন্য অনেক প্রয়াস পাইয়াছিলেন, কিন্তু চন্দ্রিকায় বিপরীত মত ব্যক্ত হয়। চন্দ্রিকা হিন্দু-সমাজের প্রতিপোষিকা ছিলেন। খৃষ্টানদিগের অযথা আক্রমণ হইতে হিন্দু ধর্ম্মকে রক্ষা করণার্থ এই পত্রিকা প্রচারিত হইয়াছিল। রাজা সর রাধাকান্ত দেব বাহাদুর ও অন্যান্য হিন্দুধর্ম্মানুরাগী মহোদয়গণ চন্দ্রিকার অনেক উপকার করিয়াছিলেন। যাহা হউক, দর্পণ ও চন্দ্রিকা প্রায় ক্রমাগত দশ বৎসর প্রতিযোগিতা করিয়াছিল। তদন্তর প্রথমোক্তখানি জনসমাজ পরিত্যাগ করে, শেষোক্ত চন্দ্রিকা এখনো যথানিয়মে বহির্গত হইয়া স্বদেশের উপকার সাধন করিতেছে।

গ্রন্থকর্ত্তাদিগের বিবরণ লিখিবার সময়ে কথিত হইয়াছে, ১২৩৭ সালের ১৬ই মাঘ হইতে “সংবাদ প্রভাকর” পত্রের প্রচার আরম্ভ হয়। কলিকাতাস্থ মৃত মহাত্মা যোগীন্দ্ৰ মোহন ঠাকুর এই পত্র প্রচারণের বিস্তর সাহায্য করিয়াছিলেন। প্রথমতঃ সাপ্তাহিক নিয়মে চলিত, ১২৪৩ সালের ২৭এ শ্রাবণ বুধবার হইতে তিন বৎসর কাল সপ্তাহে তিনবার করিয়া মুদ্রিত হয়, ১২৪৬ সালের ১লা আষাঢ় অবধি বৰ্ত্তমান সময় পৰ্য্যন্ত যথা নিয়মে প্রত্যহ প্রকাশিত হইয়া আসিতেছে। শ্রীযুক্ত বাবু রামচন্দ্র গুপ্ত ইহার বর্ত্তমান সম্পাদক। মান্যবর বাবু ভুবনচন্দ্র মুখোপাধ্যায় তাঁহার সহকারিতা করিয়া থাকেন। প্রভাকরের পর সংবাদ পূর্ণচন্দ্রোদয় পত্র প্রকাশিত হয়।

১২৪২ সালে “সংবাদ ভস্কার” পত্র প্রথম উদয় হয়। মৃত গৌরীশঙ্কর ভট্টাচার্য্য মহাশয় এই পত্রের জন্মদাতা। ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয় খর্ব্বাকার ছিলেন, এ জন্য তাঁহাকে সকলে “গুড়্‌গুড়ে ভট্টাচাৰ্য্য” বলিয়া ডাকিত। তিনি সুলেখেক ছিলেন, তাঁহার গদ্যপদ্য উভয়বিধ রচনা করিবার ক্ষমতা ছিল। তাঁহার দ্বারা অনেকগুলি বিলুপ্ত পুস্তক আবিষ্কৃত ও অনুবাদিত হইয়াছে। তিনি পরলোক গত হইলে বৰ্ত্তমান সময় পর্য্যন্ত শ্রীযুক্ত ক্ষেত্রমোহন বিদ্যারত্ন মহাশয় নানা বিঘ্ন বিপত্তি অতিক্রম করত ভাস্করকে জীবিত রাখিয়াছেন।

১৭৬৫ শকে (১২৫০ সালে) তত্ত্ববোধিনী সভার পত্রিকা প্রকাশ হইয়াছিল। এই পত্রিকা সম্বন্ধে পূর্ব্বেই এক প্রকার কথিত হইয়াছে, অতএব এস্থলে তাহা পুনরুক্তি করিবার প্রয়োজন নাই। অনন্তর “সাধুরঞ্জন” ও “পাষণ্ড পীড়ন” নামক দুই খানি সাপ্তাহিক পত্র প্রভাকর সম্পাদক ঈশ্বর বাবু দ্বারা প্রকাশিত হইয়াছিল। “পাষণ্ড পীড়ন” ১২৫৩ সালের ৭ই আষাঢ় দিবসে প্রথম মুদ্রিত হয়। সীতানাথ ঘোষ নামক এক ব্যক্তি তাহার নামধারী সম্পাদক ছিলেন, কিন্তু কবিবর ঈশ্বর গুপ্তই তাহার সমুদায় কার্য্য করিতেন। পূর্ব্বোক্ত পত্রদ্বয় প্রথমতঃ নানা প্রকার উৎকৃষ্ট উৎকৃষ্ট প্রবন্ধ দ্বারা অলঙ্কৃত করা হইত, কিন্তু কিছুকাল পরে ভাস্কর সম্পাদক গৌরী শঙ্কর ভট্টাচার্য্য “রসরাজ” পত্র প্রচার করেন। এক ব্যাবসয়ী লোকেরা কখনই মিলিতভাবে থাকিতে পারে না। সুতরাং কবিবর ঈশ্বর গুপ্ত ভাস্কর সম্পাদকের প্রতিপক্ষ হইয়া উঠিলেন। তাঁহারা প্রকাশ্যরূপে পরস্পরের কুৎসা প্রকাশ করিতে লাগিলেন। ১২৫৪ সালের ভাদ্র মাসে নামধারী সম্পাদক সীতানাথ ঘোষ পাষণ্ড পীড়নের শীর্ষক পংক্তি গোপনে লইয়া পলায়ন করেন। তাহার পর ভাস্কর যন্ত্রালয় হইতে দুই এক সংখ্যা বাহির হইয়াই লুক্কায়িত হয়। রসরাজ জীবিত থাকিয়া আর কিছুকাল উৎপাত করিয়াছিল। তাহার সমকালে “যেমন কৰ্ম্ম তেমনি ফল” নামক একখানি পত্রের প্রচার হয়। সংস্কৃত কালেজের একজন কৃতবিদ্য ছাত্র তাহা সম্পাদন করিতেন। এই পত্রের সহিতও রসরাজের কলহ হইয়াছিল। সেই বিবাদ উপলক্ষে যেমন কৰ্ম্ম তেমনি ফলের মৃত্যু হয়, রসরাজ তাহার পরেও মুদ্রিত হইয়া আসিতে ছিল, কিন্তু ১২৭৫ সাল অবধি আর জনসমাজে বহির্গত হয় নাই।

ইহার পূর্ব্বে “সমাচার সুধাবর্ষণ” নামক পত্র প্রচারিত হয়।

১৮৫৪ খৃঃ অব্দে (১২৬১ সালে) বঙ্গবিদ্যা প্রকাশিকা নাম্নী পত্রিকার প্রচারণ আরম্ভ হয়। প্রথমতঃ ইহা নানা প্রকার উন্নতি সাধক প্রবন্ধ সমূহে পরিপূরিত হইয়া, মাসিক নিয়মে প্রকাশিত হইত। শ্রীযুক্ত বাবু নবীনচন্দ্র আঢ্য মহাশয় ইহার সম্পাদক। সম্পাদক গুরুতর পরিশ্রম ও অর্থ ব্যয় করতঃ, এক্ষণে এই পত্রিকা খানি প্রাত্যহিক রূপে প্রকাশ করিতেছেন।

১২৬৩ সালে গবর্ণমেন্ট শিক্ষা-বিভাগের নিমিত্ত “এডুকেশন গেজেট” নামক একখানি বাঙ্গালা-পত্র প্রকাশেচ্ছুক হন। পাদরি স্মিথ সাহেবের প্রতি এই পত্র সম্পাদনের ভার অর্পিত হয়। প্রথমে কলিকাতার দক্ষিণাংশ পদ্মপুকুর নামক স্থান হইতে প্রকাশিত হইত। তৎপরে বাবু প্যারীচরণ সরকার মহোদয় সম্পাদকতা গ্রহণ করেন। ইঁহার সময়ে এডুকেশনের অত্যন্ত উন্নতি হইয়াছিল। কয়েক বৎসর হইল, তিনি ইহার সম্পাদকত্ব পরিত্যাগ করিয়াছেন। এক্ষণে উহার সমস্ত ভার মান্যবর ভূদেব মুখোপাধ্যায় মহাশয়ের হস্তে অর্পিত হইয়াছে। বৰ্ত্তমান সময়ে এডুকেশন গেজেট হুগলি বুধোদয় যন্ত্র হইতে যন্ত্রিত হইয়া প্ৰকাশিত হয়। পূর্ব্বে গবর্ণমেন্ট মাসিক ৩০০ টাকা সাহায্য প্রদান করিতেন, ভূদেব বাবুর সময়ে তাহা রহিত করিয়াছেন।

১২৬৪ সালে দেশহিতৈষী বাবু রাজেন্দ্রলাল মিত্র মহাশয় দ্বারা বর্ণাকিউলার লিটারেচর সোসাইটীর সহায্যে “বিবিধাৰ্থসংগ্রহ” প্রচারিত হয়। সেই পত্র প্রতি মাসে মুদ্রিত হইত। মৃত বাবু কালীপ্রসন্ন সিংহ মহোদয়ও কিছুকাল তাহা সম্পাদন করিয়া ছিলেন। বিবিধার্থসংগ্রহ এক্ষণে জীবিত নাই; তাহার পরিবর্ত্তে “রহস্য-সন্দর্ভ” প্রকাশিত হইতেছে।

১২৬৫ সালে “সোমপ্রকাশ” প্রচারিত হয়। প্রথমতঃ ইহা কলিকাতায় মুদ্রিত হইত। কিন্তু এক্ষণে উহা কলিকাতার দক্ষিণ চাঙ্গড়িপোতা নামক স্থান হইতে সাপ্তাহিক নিয়মে প্রকাশিত হইতেছে। সংস্কৃত কালেজের সাহিত্য অধ্যাপক পণ্ডিতবর দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ ইহার সম্পাদক। বাবু বিপ্রদাস বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁহার সহকারী। ইত্যগ্রে শ্রীযুক্ত বাবু ভুবনচন্দ্র মুখোপাধ্যায় প্রায় দুই বৎসর কাল তাঁহার সহকারী সম্পাদক ছিলেন। সংবাদ পত্রের যে সকল গুণ থাকা আবশ্যক, সোমপ্রকাশে তাহার কিছুরই অভাব নাই; তজ্জন্যই বঙ্গসমাজে ইহার এত মান বৃদ্ধি হইয়াছে।

১২৬৭ সালের বৈশাখ হইতে “ভারতবর্ষীয় সংবাদপত্র” নামক একখানি পত্ৰ প্ৰকাশিত হইয়াছিল। রত্নাবলী নাটকের মর্ম্মানুবাদক শ্রীযুক্ত তারকনাথ চূড়ামণি কর্ত্তৃক তাহা সম্পাদিত হইত। কতিপয় ধনাঢ্য ব্যক্তি এই উন্নতিসাধক কার্য্যের নিমিত্ত ১৫৪৪ টাকা সাহায্য দান করিয়াছিলেন। সেই পত্র পক্ষান্তরে প্রকাশ হইত। দুঃখের বিষয়, বিনা মূল্যে বিতরণ জন্য সেইখানির সৃষ্টি হয়, সুতরাং অল্প দিন জীবিত থাকিয়াই অন্তর্হিত হইয়াছে।

ঐ বৎসর “পরিদর্শক” পত্র প্রচার হয়। পণ্ডিতবর জগন্মোহন তর্কালঙ্কার ও মদনগোপাল গোস্বামী ইহার প্রথম সৃষ্টি করেন। ১২৬৯ সালের ১লা অগ্রহায়ণ হইতে মৃত বাবু কালীপ্রসন্ন সিংহ মহোদয় উহার সম্পাদকত্ব গ্রহণ করিয়াছিলেন। এই সময়ে পরিদর্শক দীর্ঘ কলেবর ধারণ করে। শ্রীযুক্ত জগন্মোহন তর্কালঙ্কার ও শ্রীযুক্ত বাবু ভুবনচন্দ্র মুখোপাধ্যায় মহাশয় এই পত্রের সহকারী ছিলেন। ঐ বৎসর মধ্যে “সংবাদ সজ্জনরঞ্জন” ও “ঢাকাপ্রকাশ” নামক আর দুইখানি পত্রের সৃষ্টি হয়। প্রথমোক্ত পত্র অকালে অন্তর্হিত হইয়াছে, ঢাকাপ্রকাশ এখনও প্রতি সপ্তাহে বহির্গত হয়। 

অতঃপর ১২৭১ সালে “হিন্দুহিতৈষিণী” পত্রিকা প্রচারিত হইয়াছে। পূর্ব্বে বাবু হরিশ চন্দ্র মিত্র ইহার সম্পাদক ছিলেন।

তৎপরে “গ্রামবার্ত্তাপ্রকাশিকা” “অমৃতবাজার পত্রিকা” “প্রয়াগদূত” “হিন্দুরঞ্জিকা” ইত্যাদি প্রকাশিত হইয়া জনসমাজের প্রভূত উপকার সাধন করিতেছে। এতদ্ভিন্ন যে কত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পত্রিকা বঙ্গভাষার উন্নতি লক্ষ্য করত বাহির হইয়াছিল ও হইতেছে, তাহার ইয়ত্তা করা যায় না। এক্ষণে অস্মদেশের অবস্থা উন্নত। আবাল বৃদ্ধ সকলেই স্বদেশ ও স্বদেশীয় ভাষার প্রতি বিশেষ মনোযোগী হইয়াছেন। এই নিমিত্তই বাঙ্গালা পত্রিকার দিন দিন গৌরব বৃদ্ধি হইতেছে। দেশীয় সংবাদপত্র যতই প্রকাশিত হইবে, ততই মঙ্গল।

পরিশেষে মহাত্মা প্রজাহিতৈষী গবর্ণর সর চার্‌ল্‌স্‌ মেট্‌কাফ্‌ সাহেবকে ধন্যবাদ না দিয়া প্রস্তাব শেষ করিতে পারিলাম না। তিনি ছয় মাস এই দেশ শাসন করিয়া অনেক উন্নতি সাধক কার্য্যের অনুষ্ঠান করিয়াছিলেন। তাঁহার পূর্ব্বে এদেশীয় (কি ইংরাজী কি বাঙ্গালা) সংবাদপত্র সকল গবর্ণমেন্টের নিয়োজিত কৰ্ম্মচারী দ্বারা পরীক্ষিত না হইলে, যন্ত্র হইতে বাহির হইত না। তন্নিবন্ধন পত্রিকা সম্পাদকদিগকে বিশেষ ক্ষতি সহ্য করিতে হইত, স্বাধীন মতও প্রকাশ করিতে পারিতেন না। সদাশয় মেটকাফ্ সাহেব সেই গোলযোগ নিবারণের জন্য মুদ্রাযন্ত্রের স্বাধীনতা প্রদান করিয়াছেন। তিনি অধিক কাল এদেশে থাকিলে অস্মদ্দেশের অত্যন্ত মঙ্গল হইত। তাঁহার নিমিত্ত এক্ষণে সকলে স্বাধীন ভাবে মনোভাব ব্যক্ত করিতেছে, স্বদেশের কুরীতি সকল সংশোধনার্থ লেখনী ধারণ করিতেছেন; তাঁহারই মহানুভাবতায় অশিক্ষিত প্রজাগণ রক্ষা পাইতেছে; তাঁহা হইতেই দুষ্টমতি রাজকর্মচারিগণের অত্যাচার নিবারিত হইয়াছে। যে মহোদয় দ্বারা এতদুর উপকার সাধিত হইয়াছে, বঙ্গসমাজের কৃতজ্ঞ অন্তরে তাঁহাকে ধন্যবাদ দেওয়া কৰ্ত্তব্য।

সকল অধ্যায়

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন