স্বদেশের ভাষা অনুশীলন ব্যতিরেকে লোকে কখনই শীঘ্র ও সহসা আত্মোন্নতি করিতে পারে না। এক ব্যক্তি বহুল অর্থ ব্যয় করিয়া কত শত রাত্রি জাগরণ পূর্ব্বক যে বিদেশীয় ভাষা মধ্যমরূপ শিক্ষা করিবেন, তাঁহার ন্যায় মেধা-শক্তি সম্পন্ন অপর এক ব্যক্তি তদপেক্ষা অল্প ব্যয় ও অল্প পরিশ্রমে স্বকীয় ভাষার মহাপণ্ডিত মধ্যে গণ্য হইতে পারেন। এক ব্যক্তির বিদেশীয় ভাষা বহুকাল শিক্ষ৷ করিয়া এক পংক্তি রচনা করিতে হইলে, বারম্বার অভিধান ও ব্যাকরণের সাহায্য গ্রহণ করিতে হয়, কিন্তু অপর এক ব্যক্তি স্বদেশীয় ভাষায় তাঁহা অপেক্ষা অল্প ব্যুৎপত্তি লাভ করিয়া বৃহৎ বৃহৎ সুললিত কাব্য সমূহ রচনা করিতেছেন। দেশীয় লোক স্বদেশের ভাষা যত্নপূর্ব্বক শিক্ষা না করিলে কখনই দেশের ভাষায় উত্তমোত্তম গ্রন্থের সৃষ্টি হয় না। অস্মদ্দেশীয়দিগের মধ্যে অনেকেই ইংরাজী ভাবায় কাব্যাদি রচনায় প্রবৃত্ত হইয়াছেন, কিন্তু কেহই ইংরাজ জাতিকে পরাজিত করিতে সক্ষম হন নাই। কোন্ স্থলে কিরূপ শব্দ প্রয়োগ করা উচিত, দেশীয় লোক যেমন সেটা বুঝিবেন, বিদেশীয়েরা কখনই ততদূর পারদর্শিতা লাভ করিতে পারিবেন না। দেখুন! যখন ইংলণ্ড দেশে নর্ম্মাণ ফ্রেঞ্চ ভাষা প্রচলিত ছিল, তখন ঐ দেশে কোন সুবিখ্যাত কবি আবিভূর্ত হন নাই,কিন্তু যখন ইংলণ্ডে দেশীয় ভাষার আলোচনা বৃদ্ধি হইল, অমনি উন্নত মানসিক-বৃত্তি-সম্পন্ন সেক্সপিয়র, মিল্টন, বায়রণ প্রভৃতি কবি-কুল -চূড়া ব্যক্তিগণ জনসমাজে কীৰ্ত্তিলাভ করিলেন; যখন জৰ্ম্মণদেশ হইতে ফ্রেঞ্চ ভাষা অন্তর্হিত হইল, তখন অমনিমুবি- খ্যাত গোয়েথি, সিলর, ফ্রিনিগ্রন্থ প্রভৃতি মহোদয়গণের চিত্তোদ্যান জন্মণীয় কবিত্ব-কুসুমে পরিপূর্ণ হইল। আসিয়া খণ্ডের প্রতি দৃষ্টি- নিক্ষেপ করিলে দেখা যায়, যখন পারস্যদেশে আরব্য ভাষার অধিক আলোচনা হইত, তখন উক্ত দেশে কোন প্রসিদ্ধ কাব্য-প্রণেতা উদিত হন নাই, কিন্তু যে সময়ে ঐ দেশে দেশীয় ভাষার আলোচনা বৃদ্ধি হইল, তখন ফেরদোসি ইরাণের রাজবৃত্তান্ত লইয়া বীররস-পরিপূর্ণ। “সাহানামা” কাব্য প্রকাশ করিলেন, সাদিকত উপদেশময় গ্রন্থ সকল প্রচারিত হইল, এবং ভুবন-বিখ্যাত কবিবর হাফেজও শান্তি-রসময়ী কবিতা-মালা প্রকাশ দ্বারা জন-সমাজে যশো-ভাজন হইতে লাগিলেন। এক্ষণে সাধারণে দেখুন! স্বদেশীয় ভাষা শিক্ষা দ্বারা জগতের কতদূর মঙ্গল সাধিত হইয়াছে। অতএব ব্যক্তি মাত্রেরই প্রথমতঃ স্বদেশীয় ভাষা উত্তমরূপ শিক্ষা করিয়া তৎপরে বিদেশীয় ভাষানুশীলনে প্রবৃত্ত হওয়া উচিত। এক্ষণে বিবেচনা করিতে হইবে, কিপ্রকারে দেশীয় ভাষার অনুশীলন বহুলরূপে হইতে পারে। অল্পবুদ্ধির প্রভাবে এই মাত্র বলা যায় যে, বিদ্যামন্দির সংস্থাপনই তাহার প্রশস্ত উপায়। বিদ্যালয় সংস্থাপন পদ্ধতি সকল সত্য জাতির মধ্যে প্রচলিত আছে। বঙ্গদেশেও এই প্রথা বহুকালাবধি প্রচলিত হইয়া আসিতেছে। তাহারই বিবরণ বর্ণন করা বর্ত্তমান প্রস্তাবের উদ্দেশ্য। কিন্তু বঙ্গ দেশের ইতিবৃত্ত এতদূর অপরিজ্ঞেয় যে, প্ৰাচীনকালের কোন বিবরণই বিশিষ্টরূপ জ্ঞাত হওয়া যায় না। বঙ্গভাষার বিদ্যালয় সম্বন্ধে অধুনা যে সকল বিবরণ পাওয়া যায়, তাহারই সারমর্ম এস্থলে লিখিত হইল। যথাঃ—
খৃষ্টীয় উনবিংশ শতাব্দীর প্রারম্ভে মালদহ প্রদেশে ইলটন সাহেব কর্তৃক, এতদ্দেশীয় ভাষা শিক্ষাদানার্থ, কতকগুলি বিদ্যালয় স্থাপিত হয়। মান্যবর ইলটন সাহেব বঙ্গদেশের একজন মহোপকারী ব্যক্তি। তৎকালে তাঁহার যত্নে বালকদিগের পাঠ্যপুস্তকের অনেক অভাব মোচন হইয়াছিল। তাহার কিছু দিন পূর্ব্বে মহামান্য গবর্ণর জেনেরল লর্ড ওয়েলেসলি ভাবিলেন, ইংলণ্ড হইতে যে সকল সিবিল-স রবেন্ট ভারতবর্ষে আগমন করিতেন, তাঁহারা কেহই এতদ্দেশীয় ভাষায় ব্যুৎপন্ন ছিলেন না। তন্নিমিত্ত রাজকার্য্যের অত্যন্ত গোলযোগ হইত। লর্ড ওয়েলেসলি সেই বিশৃঙ্খলা দূর করিবার জন্য প্রয়াস পাইয়াছিলেন। সেই নিমিত্ত তিনি ১৮০০ খৃষ্টাব্দে “ফোর্ট উইলিম কালেজ নামক” একটা বিদ্যামন্দির স্থাপন করেন। তাহাতে কেবল এতদ্দেশীয় ভাষা সমূহ শিক্ষা প্রদান করা হইত। ইংলণ্ড হইতে যে সকল ব্যক্তি সিবিলিয়ান হইয়া এখানে আসিতেন, তাঁহারা উপরি উক্ত বিদ্যালয়টীতে অধ্যয়ন করিয়া পরীক্ষোতীর্ণ না হইলে সর্বিসে প্রবেশের অনুমতি পাইতেন না। পূৰ্ব্ব কথিত ডাক্তার কেরি সেই বিদ্যালয়ের প্রধান অধ্যাপকের আসন প্রাপ্ত হয়েন। এতদ্ভিন্ন উৎকল নিবাসী পণ্ডিতবর মৃত্যুঞ্জয় ও অন্যান্য অনেক উপযুক্ত পণ্ডিত মহাশয়েরা নিযুক্ত হইয়াছিলেন। এই সময়ে উক্ত বিদ্যালয়ের ব্যবহারার্থ বঙ্গভাষায় অনেক- গুলি পুস্তক রচিত ও মুদ্রাঙ্কিত হয়। ১৮১৪ খৃঃ অব্দে পাদরি মে সাহেব চুচুঁড়া নগরীতে একটী বাঙ্গালা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। ১৮১৫ খৃঃ অব্দের জুন মাস পর্যন্ত তৎ প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়ের-সংখ্যা ১৬টী হইয়াছিল। সেই সকল বিদ্যালয়ে ৯৫১ জন ছাত্র অধ্যয়ন করিত। তাহার পর বিদ্যালয়-সংখ্যা ২৬টী হইলে, বদান্যবর গবর্ণর জেনেরেল লর্ড হেষ্টিংস কর্তৃক উপরোক্ত বিদ্যা-মন্দির সমূহের উন্নতি নিমিত্ত সাহায্য প্রদত্ত হয়। ১৮১৬ খৃঃঅব্দে পূর্ব্ব কথিত বিদ্যালয় সমূহে ২,১৩৬ জন বালক পাঠ করিত। এইরূপে ক্রমশঃ বিদ্যালয়ের সংখ্যা বর্দ্ধিত হওয়াতে অধিক শিক্ষকের প্রয়োজন হইতে লাগিল, তজ্জন্য শিক্ষক প্ৰস্তুত করণার্থ আর একটা স্বতন্ত্র বিদ্যামন্দির সংস্থাপিত হয়। ১৮১৮ খৃঃ অব্দে বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৩৭টী হইয়াছিল। তাহাতে ৩০০০ ছাত্র শিক্ষা প্রাপ্ত হইত। কিন্তু বঙ্গদেশের হতভাগ্যতা দোষে এই সময়ে রেবরেন্ড মে সাহেব প্রাণ ত্যাগ করেন। তাঁহার পর পিয়ার্সন সাহেব উক্ত বিদ্যালয় সমূহের ভার গ্রহণ করেন। সদাশয় পিয়ার্সন এবং হার্লি এ দেশের উন্নতির জন্য বিস্তর কায়িক ও মানসিক পরিশ্রম করিয়াছিলেন। এই দুই পাদরির প্রযত্নে চন্দননগর ও কালনার মধ্যবর্তী স্থান সমূহে অনেকগুলি বাঙ্গালা বিদ্যালয় সংস্থাপিত হইয়াছিল। ১৮১৯ খৃঃঅব্দে উক্ত মহোদয়দিগের হস্তে চুচুঁড়া ও তাহার নিকটবর্ত্তী স্থান সমূহে ১৭টা বিদ্যালয় ও ১৫০০ ছাত্র এবং বাঁকিপুরে ১২টী স্কুল ও ১২৬৬ জন বালক ছিল। সেই সকল স্কুলে মাদ্রাজের শিক্ষা- প্রণালী অনুসারে শিক্ষা প্রদত্ত হইত। সেই বিদ্যালয় সকলের উন্নতির নিমিত্ত গবর্ণমেণ্ট মাসিক ৮০০ টাকা সাহায্য প্রদান করিতেন।
চর্চ মিসন সোসাইটীও বাঙ্গালা ভাষার উন্নতির জন্য চেষ্টা পাইয়াছিলেন। ১৮১৬ খৃঃ অব্দে কাপ্তেন ষ্টুয়ার্ট সাহেব এই সভাকর্তৃক নিযুক্ত হইয়া বৰ্দ্ধমানে দুটী বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। পরে ১৮১৮ খৃঃঅব্দে তৎপ্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়ের সংখ্যা ১০টী হয়, তাহাতে ১০০০ ছাত্র অধ্যয়ন করিত। স্টুয়ার্ট সাহেব সেই সকল বিদ্যালয় স্থাপন সময়ে অনেক বাধা পাইয়াছিলেন। বিশেষত সেই কালে তথায় ব্রাহ্মণ শিক্ষকদিগের প্রতিষ্ঠিত ৫টা পাঠশালা ছিল। ব্রাহ্মণ শিক্ষক মহাশয়েরা লাভ ও ধর্ম্মলোপাশঙ্কার মিসনরিদিগের বিপক্ষতাচরণ আরম্ভ করেন। কিন্তু যোগ্যবর ষ্টুয়ার্ট সাহেবের কার্য্য দক্ষতা গুণে সেই সকল বিঘ্ন পরিশেষে নিবারিত হইয়াছিল। তিনি চুচুঁড়াস্থ মে সাহেবের শিক্ষা প্রণালীর অনুকরণ করেন। সেই সকল পাঠশালায় মাসিক ২৪০ টাকা ব্যয় হইত।
১৮১৯ খৃষ্টাব্দে “কলিকাতা স্কুলবুক সোসাইটী” কতকগুলি বিদ্যালয়ের কর্তৃত্বতার গ্রহণ করেন। তাহাতে বর্দ্ধমানস্থ ষ্টুয়ার্ট সাহেব প্রণীত নিয়মাদি প্রচলিত হইয়াছিল। সেই সকল বিদ্যালয়ের প্রত্যেকটার প্রতি ১৬ টাকা ব্যয় পড়িত। এই সময়ে এতদ্দেশীয়গণও নিদ্রিতাবস্থায় ছিলেন না, তাঁহাদিগের অধীনেও ১০০টী বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল; এবং তাঁহারা সেই সকলের উন্নতির নিমিত্ত এতদুর যত্নবান হইয়াছিলেন যে, প্ৰথম বৎসরেই চাঁদা ও এক কালীন দান ৮০০০ টাকা সংগ্রহ করেন। মাননীয় ডেবিড হেয়ার সাহেবের পরোপকারিতার বিষয় কাহারও অবিদিত নাই। তিনি নিজাজ্জিজ তাবৎ সম্পত্তি ও জীবনের অধিকাংশই এ দেশের মঙ্গলজন্য ক্ষেপণ করিয়াছিলেন। তিনি মৃত রাজা সর রাধাকান্ত দেব বাহাদুরের সহায়তায় বঙ্গভাষার ও বঙ্গ বিদ্যালয়ের উন্নতি বিধানে প্রবৃত্ত হন। তাঁহারই প্রযত্নে কলিকাতা ও অন্যান্য স্থানের গুরু পাঠশালা সকল উন্নতাবস্থা প্রাপ্ত হইয়াছিল। তৎকতৃক অনেক বিদ্যালয় সংস্থাপিত হয়। তন্মধ্যে “সেণ্টারল বর্ণাকিউলার স্কুল” নামক বিদ্যালয়টী প্রধান। এই পাঠশালায় দুই শত বালক অধ্যয়ন করিত।
১৮২১ খৃঃ অব্দে ১১৫টী বাঙ্গালা বিদ্যালয় ছিল। ১৮৩৩ খৃঃ অব্দ পর্যন্ত ঐ সকল বিদ্যালয়ের কার্য্য অতি উৎকৃষ্টরূপে চলিয়া আইসে। ঐ সকল বিদ্যালয় ১৮২৩ খৃঃ অব্দে গবর্ণমেণ্ট হইতে ৫০০ টাকা সাহায্য প্রাপ্ত হইয়াছিল। তখন ঐ সকলে ৩,৮২৮ জন ছাত্র শিক্ষা প্রাপ্ত হইত।
কলিকাতাস্থ চর্চ্চমিসনরি এসোসিয়েসন দেশীয় ভাষার অনেকগুলি বিদ্যামন্দির স্থাপন করিয়াছিলেন। সেই সকল পাঠশালায় ছাত্র সংখ্যা ছয় শতের অধিক ছিল না। এই সময়ে বাপ্টিষ্ট মিসনরি সোসাইটী এবং লণ্ডন মিসনরি সোসাইটী দ্বারায়ও অনেকগুলি বাঙ্গালা পাঠশালা প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল।
১৮২১ খৃঃ অব্দে চর্চ্চাসোসাইটী কলিকাতাস্থ স্কুল বুক সোসাইটীর নিকট হইতে কতকগুলি বিদ্যালয়ের তার প্রাপ্ত হন। তাঁহারা সেই সকলের তত্ত্বাবধানার্থ জোঠার সাহেবেকে নিযুক্ত করেন। ১৮২২ খৃঃ অব্দে একখানি পুস্তকে যীশুখৃষ্টের নাম দর্শন করত অকস্মাৎ কতকগুলি বালক বিদ্যালয় পরিত্যাগ করিয়াছিল।
মিস কুক শণী একটা ইউরোপীয় স্ত্রীলোক ১৮২১ খৃং অব্দে মাননীয়া লেডী হেষ্টিংসের উৎসাহে চর্চ্চ মিসনরি সোসাইটীর সহিত সংস্রব রাখিয়া কলিকাতায় বালিকা বিদ্যালয়ের প্রথম সূত্রপাত করেন। ১৮২২ খৃষ্টাব্দে তং প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়ের সংখ্যা ২২টা হয়। তাহাতে ৪০০ বালিকা অধ্যয়ন করিত।
“খৃষ্টান নলেজ সোসাইটী” ১৮২২ অব্দে প্রথম সার্কেল স্কুল সংস্থাপন করেন। তাঁহাদিগের প্রতিষ্ঠিত প্রত্যেক সার্কেলে ৫টী করিয়া বঙ্গ পাঠশালা ও একটী সেন্ট্রাল স্কুল ছিল। পূর্ব্বে যে সকল সার্কেল ছিল, তন্মধ্যে টালিগঞ্জ, হাবড়া, ও কাশীপুর অতি প্রধান। ১৮৩৪ অব্দে প্রপোগেসন সোসাইটী ঐ সকল বিদ্যালয়ের ভার গ্রহণ করেন। তাহাতে ৬৯৭ জন বালক অধ্যয়ন করিত। ১৮২৪ খৃঃ অব্দে “সেন্ট্রাল স্কুল” এবং ১৮৩৭ অব্দে “আগড়পাড়া অরফ্যান রেফিউজ” নামক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়।
তৎপরে সুবিখ্যাত ড্রিঙ্ক ওয়াটর বেথুন সাহেবের বালিকা বিদ্যালয় স্থাপিত হইয়াছে। ১৮৫৫ খৃষ্টাব্দের ১৭ই জুলাই গবর্ণমেণ্টের আজ্ঞানুসারে শ্রীযুক্ত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মহাশয় কর্তৃক কলিকাতা নৰ্ম্মাল বিদ্যালয় সংস্থাপিত হয়। সেই সময়ে শ্রীযুক্ত বাবু অক্ষয়- কুমার দত্ত ইহার প্রধান শিক্ষক ছিলেন। শ্রীযুক্ত পণ্ডিতবর মধুসূদন বাচস্পতি মহাশয় দ্বিতীয় শিক্ষকের পদ গ্রহণ করেন। কিছুকাল পরে শ্রীযুক্ত রাজকৃষ্ণ গুপ্ত মহাশয় তৃতীয় শিক্ষক হন।
তৎপরে হুগলি ও ঢাকাস্থ নর্মাল বিদ্যালয় প্রভৃতি অনেকগুলি দেশহিতকর বিদ্যামন্দির প্রতিষ্ঠিত হয়। এতদ্ভিন্ন এক্ষণে বঙ্গদেশের নানা স্থানে কত শতবিদ্যালয় স্থাপিত হইয়াছে ও হইতেছে,তাহার নিশ্চয় করা অত্যন্ত সুকঠিন।
নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন
লগইন