ভারতচন্দ্র রায়
স্ত্রীজাতি কথন
 অতঃপর চারি জাতি বর্ণিব কামিনী। পদ্মিনী চিত্রিণী আর শঙ্খিনী হস্তিনী।।
পদ্মিনী
 নয়নকমল : কুঞ্চিত কুন্তল : ঘন কুচস্থল মৃদু হাসিনী।
 ক্ষুদ্র রন্ধ্রনাসা : মৃদু মন্দ ভাষা : নৃত্য গীতে আশা সত্যবাদিনী।।
 দেবদ্বিজে ভক্তি : পতি অনুরক্তি : অল্প রতিভক্তি নিদ্রাভোগিনী।
 সুললিত কায় : লোম নাহি হয় : পদ্মগন্ধ কয় সেই পদ্মিনী।।
চিত্রিণী
 প্রমাণ শরীর : সর্ব্বকর্ম্মে স্থির : নাভি সুগভীর মৃদুহাসিনী।
 সুকঠিন স্তন : চিকুর চিকণ : শয়ন ভোজন মধ্যচারিনী।।
 তিন রেখাযুত : কণ্ঠ বিভূষিত : হাস্য অবিরত মন্দগামিনী।
 কমনীয় কায় : অল্প লোম হয় : ক্ষারগন্ধ কয় সেই চিত্রিণী।।
শঙ্খিনী
 দীঘল শ্রবণ : দীঘল নয়ন : দীঘল চরণ দীঘল পাণি।
 সুদীঘল কায় : অল্প লোম হয় : মীনগন্ধ কয় শঙ্খিনী জানি।।
হস্তিনী
 স্থূল কলেবর : স্থূল পয়োধর : স্থূল পদকর ঘোরনাদিনী।
 আহার বিস্তর : নিদ্রা ঘোরতর : বিহারে প্রখর পরগামিনী।।
 ধর্ম্ম নাহি ডর : দন্ত ঘোরতর : কর্ম্মেতে তৎপর মিথ্যাবাদিনী।
 সুপ্রশস্ত কায় : বহু লোম হয় : মদ গন্ধ কয় সেই হস্তিনী।।
পুরুষ কথন
 চারি জাতি নায়িকার শুনহ নায়ক। শশ মৃগ বৃষ অশ্ব সন্তোষদায়ক।।
 পদ্মিনীর শশ পতি মৃগ চিত্রিণীর। বৃষে শঙ্খিনীর তুষ্টি অশ্বে হস্তিনীর।।
 রূপ গুণ দোষ সব নায়িকার মতো। চারি জাতি নায়কের লক্ষণ সম্মত।।
 রসভাণ্ড মত রসদণ্ড ভেদ হয়। ছয় আট দশ বার পরিমাণ কয়।।
 নরনারী স্বভাবেতে বিশেষ যে হয়। কহিতে কবিতা বাড়ে ক্ষোভ এই হয়।।
নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন
লগইন