ভারতচন্দ্র রায়
সহচরীকথন
 বেশভূষা করে দেয় পরিহাস। কথা কৈতে খেতে শুনে শিখায় বিলাস।।
 যার কাছে বিশ্রাম বিশ্বাস কথা কয়। সহচরী সখী সেই পঞ্চ মত হয়।।
 সখী নিত্যসখী প্রিয়সখী প্রাণসখী। অতিপ্রিয়সখী এই পঞ্চমত সখী।।
সখী
 আমার নিকটে রয়ে : মরম আমারে কয়ে : এমত শিখাব কথা সুধাবৃষ্টি করিবে।
 আঁচড়িয়া দিব কেশ : বানাইয়া দিব বেশ : থাকুক পতির মন মুনিমন ভুলিবে।।
 হাবভাব লীলা হেলা : শিখাইব নানা খেলা : আসিতে আমার কাছে কাহারে না ডরিবে।
 দোষ যত লুকাইব : গুণ যত প্রকাশিব : বড় দায়ে ঠেক যদি আমা হতে তরিবে।।
দূতীসখী
 নায়ক নায়িকা যেই করয়ে বচন। বিরহ যাপন করে দূতী সেই জন।।
 স্বয়ং দূতী আদ্যদূতী এই যে প্রকার। আদ্যদূতী তিন মত শুন ভেদ তার।।
 অমিতার্থ নিশ্চয়ার্থ আর পত্রহারী। বিশেষ বিশেষ শুন করিয়া বিচারি।।
 ইঙ্গিতে যে কর্ম্ম করে অমিতার্থ সেই। নিশ্চয়ার্থ আজ্ঞা পায়ে কর্ম্ম করে যেই।।
 পত্র লয়ে কর্ম্ম করে পত্রহারী সেই। বিশেষিয়া বুঝ সবে কয়ে দিনু এই।।
আদ্যদূতী
 সিন্দূর চন্দন চুয়া : ফুলমালা পান গুয়া : পড়ে দিতে পারি যদি ভুলে চন্দ্রবদনী।
 কুমন্ত্র এমত জানি : বিষ দেখে রাজা রাণী : অপ্রীতি করিতে পারি কাম কামকরণী।।
 যে নারী না নর জানে : যে নর না নারী মানে : তাহারে মিলাতে পারি দিনে করে যামিনী।
 নাগর নাগরী যত : হও মোর অনুগত : সিদ্ধি করে মনোরথ যাই দ্রুতগামিনী।।
নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন
লগইন