দিদিমণি– অফুরান সান্ত্বনার খনি

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

দিদিমণি–
অফুরান সান্ত্বনার খনি।
কোনো ক্লান্তি কোনো ক্লেশ
মুখে চিহ্ন দেয় নাই লেশ।
কোনো ভয় কোনো ঘৃণা কোনো কাজে কিছুমাত্র গ্লানি
সেবার মাধুর্যে ছায়া নাহি দেয় আনি।
এ অখণ্ড প্রসন্নতা ঘিরে তারে রয়েছে উজ্জ্বলি,
রচিতেছে শান্তির মণ্ডলী;
ক্ষিপ্র হস্তক্ষেপে
চারি দিকে স্বস্তি দেয় ব্যেপে;
আশ্বাসের বাণী সুমধুর
আবসাদ করি দেয় দূর।
এ স্নেহমাধুর্যধারা
অক্ষম রোগীরে ঘিরে আপনার রচিছে কিনারা;
অবিরাম পরশ চিন্তার
বিচিত্র ফসলে যেন উর্বর করিছে দিন তার।
এ মাধুর্য করিতে সার্থক
এতখানি নির্বলের ছিল আবশ্যক।
অবাক হইয়া তারে দেখি,
রোগীর দেহের মাঝে অনন্ত শিশুরে দেখেছে কি।

উদয়ন, ২ জানুয়ারি, ১৯৪১

সকল অধ্যায়

১. এ দ্যুলোক মধুময়, মধুময় পৃথিবীর ধূলি
২. পরম সুন্দর আলোকের স্নানপুণ্য প্রাতে
৩. নির্জন রোগীর ঘর
৪. ঘন্টা বাজে দূরে
৫. মুক্তবাতায়নপ্রান্তে জনশূন্য ঘরে
৬. অতি দূরে আকাশের সুকুমার পান্ডুর নীলিমা
৭. হিংস্র রাত্রি আসে চুপে চুপে
৮. একা ব’সে সংসারের প্রান্ত-জানালায়
৯. বিরাট সৃষ্টির ক্ষেত্রে
১০. অলস সময়-ধারা বেয়ে
১১. পলাশ আনন্দমূর্তি জীবনের ফাগুনদিনের
১২. দ্বার খোলা ছিল মনে
১৩. ভালোবাসা এসেছিল একদিন তরুণ বয়সে
১৪. প্রত্যহ প্রভাতকালে ভক্ত এ কুকুর
১৫. খ্যাতি নিন্দা পার হয়ে জীবনের এসেছি প্রদোষে
১৬. দিন পরে যায় দিন
১৭. যখন এ দেহ হতে রোগে ও জরায়
১৮. ফসল কাটা হলে সারা মাঠ হয়ে যায় ফাঁক
১৯. দিদিমণি– অফুরান সান্ত্বনার খনি
২০. বিশুদাদা– দীর্ঘবপু, দৃঢ়বাহু, দুঃসহ কর্তব্যে নাহি বাধা
২১. চিরদিন আছি আমি অকেজোর দলে
২২. নারী তুমি ধন্যা
২৩. নগাধিরাজের দূর নেবু-নিকুঞ্জের
২৪. অলস শয্যার পাশে জীবন মন্থরগতি চলে
২৫. বিরাট মানবচিত্তে
২৬. এ কথা সে কথা মনে আসে
২৭. বাক্যের যে ছন্দোজাল শিখেছি গাঁথিতে
২৮. মিলের চুমকি গাঁথি ছন্দের পাড়ের মাঝে মাঝে
২৯. এ জীবনে সুন্দরের পেয়েছি মধুর আশীর্বাদ
৩০. ধীরে সন্ধ্যা আসে
৩১. ক্ষণে ক্ষণে মনে হয় যাত্রার সময় বুঝি এল
৩২. আলোকের অন্তরে যে আনন্দের পরশন পাই
৩৩. এ আমির আবরণ সহজে স্খলিত হয়ে যাক

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন