ফসল কাটা হলে সারা মাঠ হয়ে যায় ফাঁক

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

ফসল কাটা হলে সারা মাঠ হয়ে যায় ফাঁক;
অনাদরের শস্য গজায়, তুচ্ছ দামের শাক।
আঁচল ভরে তুলতে আসে গরিব-ঘরের মেয়ে,
খুশি হয়ে বাড়িতে যায়, যা জোটে তাই পেয়ে।
আজকে আমার চাষ চলে না, নাই লাঙলের বালাই;
পোড়ো মাঠের কুঁড়েমিতে মন্থর দিন চালাই।
জমিতে রস কিছু আছে, শক্ত যায় নি আঁটি;
ফলায় না সে ফল তবুও সবুজ রাখে মাটি।
শ্রাবণ আমার গেছে চলে, নাই বাদলের ধারা;
অঘ্রান সে সোনার ধানের দিন করেছে সারা।
চৈত্র আমার রোদে পোড়া, শুকনো যখন নদী,
বুনো ফলের ঝোপের তলায় ছায়া বিছায় যদি,
জানব আমার শেষের মাসে ভাগ্য দেয় নি ফাঁকি,
শ্যামল ধরার সঙ্গে আমার বাঁধন রইল বাকি।

উদয়ন, ১০ জানুয়ারি, ১৯৪১ – সকাল

সকল অধ্যায়

১. এ দ্যুলোক মধুময়, মধুময় পৃথিবীর ধূলি
২. পরম সুন্দর আলোকের স্নানপুণ্য প্রাতে
৩. নির্জন রোগীর ঘর
৪. ঘন্টা বাজে দূরে
৫. মুক্তবাতায়নপ্রান্তে জনশূন্য ঘরে
৬. অতি দূরে আকাশের সুকুমার পান্ডুর নীলিমা
৭. হিংস্র রাত্রি আসে চুপে চুপে
৮. একা ব’সে সংসারের প্রান্ত-জানালায়
৯. বিরাট সৃষ্টির ক্ষেত্রে
১০. অলস সময়-ধারা বেয়ে
১১. পলাশ আনন্দমূর্তি জীবনের ফাগুনদিনের
১২. দ্বার খোলা ছিল মনে
১৩. ভালোবাসা এসেছিল একদিন তরুণ বয়সে
১৪. প্রত্যহ প্রভাতকালে ভক্ত এ কুকুর
১৫. খ্যাতি নিন্দা পার হয়ে জীবনের এসেছি প্রদোষে
১৬. দিন পরে যায় দিন
১৭. যখন এ দেহ হতে রোগে ও জরায়
১৮. ফসল কাটা হলে সারা মাঠ হয়ে যায় ফাঁক
১৯. দিদিমণি– অফুরান সান্ত্বনার খনি
২০. বিশুদাদা– দীর্ঘবপু, দৃঢ়বাহু, দুঃসহ কর্তব্যে নাহি বাধা
২১. চিরদিন আছি আমি অকেজোর দলে
২২. নারী তুমি ধন্যা
২৩. নগাধিরাজের দূর নেবু-নিকুঞ্জের
২৪. অলস শয্যার পাশে জীবন মন্থরগতি চলে
২৫. বিরাট মানবচিত্তে
২৬. এ কথা সে কথা মনে আসে
২৭. বাক্যের যে ছন্দোজাল শিখেছি গাঁথিতে
২৮. মিলের চুমকি গাঁথি ছন্দের পাড়ের মাঝে মাঝে
২৯. এ জীবনে সুন্দরের পেয়েছি মধুর আশীর্বাদ
৩০. ধীরে সন্ধ্যা আসে
৩১. ক্ষণে ক্ষণে মনে হয় যাত্রার সময় বুঝি এল
৩২. আলোকের অন্তরে যে আনন্দের পরশন পাই
৩৩. এ আমির আবরণ সহজে স্খলিত হয়ে যাক

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন