গোধূলি নিঃশব্দে আসি আপন অঞ্চলে ঢাকে যথা

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গোধূলি নিঃশব্দে আসি আপন অঞ্চলে ঢাকে যথা
কর্মক্লান্ত সংসারের যত ক্ষত, যত মলিনতা,
ভগ্নভবনের দৈন্য, ছিন্নবসনের লজ্জা যত–
তব লাগি স্তব্ধ শোক স্নিগ্ধ দুই হাতে সেইমতো
প্রসারিত করে দিক অবারিত উদার তিমির
আমার এ জীবনের বহু ক্ষুব্ধ দিনযামিনীর
স্খলন খণ্ডতা ক্ষতি ভগ্নদীর্ণ জীর্ণতার ‘পরে-
সব ভালো-মন্দ নিয়ে মোর প্রাণ দিক এক ক’রে
বিষাদের একখানি স্বর্ণময় বিশাল বেষ্টনে।
আজ কোনো আকাঙক্ষার কোনো ক্ষোভ নাহি থাক মনে,
অতীত অতৃপ্তি-পানে যেন নাহি চাই ফিরে ফিরে–
যাহা-কিছু গেছে যাক, আমি চলে যাই ধীরে ধীরে
তোমার মিলনদীপ অকম্পিত যেথায় বিরাজে
ত্রিভুবনদেবতার ক্লান্তিহীন আনন্দের মাঝে।

শান্তিনিকেতন, ৩ জানুয়ারি, ১৯০৩

সকল অধ্যায়

১. আজি প্রভাতেও শ্রান্ত নয়নে
২. সে যখন বেঁচে ছিল গো
৩. তখন নিশীথরাত্রি; গেলে ঘর হতে
৪. প্রেম এসেছিল , চলে গেল সে যে খুলি দ্বার
৫. আমার ঘরেতে আর নাই সে যে নাই
৬. যত দিন কাছে ছিলে বলো কী উপায়ে
৭. ঘরে যবে ছিলে মোরে ডেকেছিলে ঘরে
৮. মিলন সম্পূর্ণ আজি হল তোমা-সনে
৯. তোমার সকল কথা বল নাই, পার নি বলিতে
১০. হে লক্ষ্মী, তোমার আজি নাই অন্তঃপুর
১১. মৃত্যুর নেপথ্য হতে আরবার এলে তুমি ফিরে
১২. আপনার মাঝে আমি করি অনুভব
১৩. তুমি মোর জীবনের মাঝে
১৪. দেখিলাম খানকয়েক পুরাতন চিঠি
১৫. এ সংসারে একদিন নববধূবেশে
১৬. স্বল্প-আয়ু এ জীবনে যে-কয়টি আনন্দিত দিন
১৭. বজ্র যথা বর্ষণেরে আনে অগ্রসরি
১৮. সংসার সাজায়ে তুমি আছিলে রমণী
১৯. এসো, বসন্ত, এসো আজ তুমি
২০. পাগল বসন্তদিন কতবার অতিথির বেশে
২১. বহুরে যা এক করে, বিচিত্রেরে করে যা সরস
২২. জ্বালো ওগো, জ্বালো ওগো, সন্ধ্যাদীপ জ্বালো
২৩. যে ভাবে রমণীরূপে আপন মাধুরী
২৪. গোধূলি নিঃশব্দে আসি আপন অঞ্চলে ঢাকে যথা
২৫. জাগো রে জাগো রে চিত্ত জাগো রে
২৬. আজিকে তুমি ঘুমাও, আমি জাগিয়া রব দুয়ারে
২৭. ভালো তুমি বেসেছিলে এই শ্যাম ধরা

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন